গীতসংহিতা
৭১ হে যিহোবা, আমি তোমার কাছে আশ্রয় নিয়েছি।
আমাকে যেন কখনো লজ্জিত হতে না হয়।
২ তুমি ন্যায়পরায়ণ ঈশ্বর, তাই আমাকে রক্ষা করো এবং উদ্ধার করো।
আমার কথায় কান দাও* আর আমাকে রক্ষা করো।
৩ আমার জন্য এমন এক দুর্গ হও, যেটা শৈলের উপর স্থাপিত,
যেখানে আমি যেকোনো সময় যেতে পারি।
আমাকে রক্ষা করার আদেশ দাও
কারণ তুমি আমার শৈল এবং আমার দৃঢ় দুর্গ।
৪ হে আমার ঈশ্বর, মন্দ ব্যক্তির হাত থেকে,
অন্যায় কাজ করে এমন অত্যাচারী ব্যক্তির মুঠো থেকে আমাকে উদ্ধার করো।
৫ কারণ হে নিখিলবিশ্বের প্রভু যিহোবা, তুমিই আমার আশা,
আমি যুবকবয়স থেকে তোমার উপর আস্থা রেখে আসছি।
৬ জন্ম থেকেই আমি তোমার উপর নির্ভর করে আসছি,
তুমিই আমাকে আমার মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছিলে।
আমি সবসময় তোমার প্রশংসা করি।
৭ আমার প্রতি যা ঘটেছে, তা অনেকের চোখেই এক অলৌকিক কাজ,
কিন্তু তুমি আমার মজবুত আশ্রয়স্থান।
৮ আমার মুখ তোমার প্রশংসায় পরিপূর্ণ,
সারাদিন আমি তোমার মহিমার বিষয়ে বর্ণনা করি।
৯ বৃদ্ধবয়সে আমাকে দূর করে দিয়ো না,
আমার শক্তি ফুরিয়ে গেলে আমাকে পরিত্যাগ কোরো না।
১০ আমার শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে কথা বলে
আর যারা আমার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, তারা একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে।
১১ তারা বলে: “ঈশ্বর ওকে পরিত্যাগ করেছেন।
ওর পিছু ধাওয়া করো এবং ওকে ধরে ফেলো কারণ ওকে বাঁচানোর মতো কেউ নেই।”
১২ হে ঈশ্বর, আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না।
হে আমার ঈশ্বর, আমাকে সাহায্য করার জন্য তাড়াতাড়ি এসো।
১৩ যারা আমার বিরোধিতা করে,
তাদের যেন লজ্জিত করা হয় আর তারা যেন বিনষ্ট হয়ে যায়।
যারা আমার উপর বিপর্যয় নিয়ে আসার চেষ্টা করে,
তারা যেন লজ্জায় ও অপমানে ঢেকে যায়।
১৪ কিন্তু, আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে থাকব,
আমি আরও বেশি করে তোমার প্রশংসা করব।
১৫ আমি তোমার ন্যায্য কাজের বিষয়ে বর্ণনা করব,
সারাদিন ধরে তোমার পরিত্রাণের বিষয়ে বর্ণনা করব,
যদিও সেগুলো এত বেশি যে, আমি সেগুলো বুঝে উঠতে* পারি না।
১৬ হে নিখিলবিশ্বের প্রভু যিহোবা,
আমি এসে তোমার মহৎ কাজের বিষয়ে বর্ণনা করব।
আমি তোমার ন্যায্য কাজের বিষয়ে, হ্যাঁ, তোমারই ন্যায্য কাজের বিষয়ে বর্ণনা করব।
১৭ হে ঈশ্বর, তুমি আমার যুবকবয়স থেকে আমাকে শিখিয়ে আসছ
আর আমি এখনও পর্যন্ত তোমার আশ্চর্যজনক কাজ সম্বন্ধে ঘোষণা করছি।
১৮ হে ঈশ্বর, আমি যখন বৃদ্ধ হয়ে যাব এবং আমার চুল পেকে যাবে, তখনও আমাকে পরিত্যাগ কোরো না।
আমাকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তোমার শক্তির* বিষয়ে
এবং ভবিষ্যতে যারা আসবে, তাদের কাছে তোমার ক্ষমতার বিষয়ে বলার সুযোগ দিয়ো।
১৯ হে ঈশ্বর, তোমার ন্যায়বিচার কত মহৎ,
তুমি কত মহৎ মহৎ কাজ করেছ!
হে ঈশ্বর, তোমার মতো আর কে আছে?
২০ যদিও তুমি আমার উপর অনেক বিপদ ও বিপর্যয় আসতে দিয়েছ,
তবুও তুমি আমাকে আবারও জীবিত করো,
পৃথিবীর গভীরতা* থেকে আমাকে তুলে আনো।
২১ তুমি যেন আমার সম্মান আরও বাড়িয়ে দাও,
তুমি যেন আমাকে ঘিরে রেখে আমাকে সান্ত্বনা দাও।
২২ তখন হে ঈশ্বর, আমি তোমার বিশ্বস্ততার কারণে
তারওয়ালা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তোমার প্রশংসা করব।
হে ইজরায়েলের পবিত্র ঈশ্বর,
আমি বীণা বাজিয়ে তোমার প্রশংসায় গান গাইব।*
২৩ আমার ঠোঁট তোমার প্রশংসায় গান গাইবে, আনন্দে চিৎকার করবে
কারণ তুমি আমার জীবন বাঁচিয়েছ।*
২৪ আমার জিভ সারাদিন তোমার ন্যায়বিচারের বিষয়ে কথা বলবে*
কারণ যারা আমাকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, তারা লজ্জিত ও অপমানিত হবে।