দ্বিতীয় বিবরণ
২৭ তারপর, মোশি এবং ইজরায়েলের প্রাচীনেরা লোকদের সামনে দাঁড়ালেন আর মোশি লোকদের বললেন: “আজ আমি তোমাদের যে-সমস্ত আজ্ঞা দিচ্ছি, তোমরা সেই সমস্ত আজ্ঞা পালন করবে। ২ যখন তোমরা জর্ডন পার হয়ে সেই দেশে যাবে, যেটা তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমাকে দিতে চলেছেন, তখন তুমি সেখানে বড়ো বড়ো পাথর দাঁড় করাবে এবং সেগুলোতে সাদা রং করবে।* ৩ তারপর, তুমি সেই পাথরগুলোতে ব্যবস্থার সমস্ত কথা লিখবে। যখন তুমি জর্ডন পার হবে আর ঠিক যেমন তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর যিহোবা তোমার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তুমি সেই দেশে প্রবেশ করবে, যেটা যিহোবা তোমাকে দিতে চলেছেন এবং যেখানে দুধ ও মধু বয়ে যায়, তখন তুমি সেই পাথরগুলোতে ব্যবস্থার সমস্ত কথা লিখবে। ৪ জর্ডন পার হওয়ার পর তুমি এবল পর্বতে পাথর দাঁড় করাবে এবং সেগুলোতে সাদা রং করবে,* ঠিক যেমনটা আজ আমি তোমাদের আজ্ঞা দিচ্ছি। ৫ সেখানে তুমি তোমার ঈশ্বর যিহোবার জন্য একটা পাথরের বেদিও তৈরি করবে, কিন্তু তুমি লোহার যন্ত্রপাতি দিয়ে সেই পাথরগুলো কাটবে না। ৬ তুমি গোটা পাথর দিয়েই তোমার ঈশ্বর যিহোবার জন্য বেদি তৈরি করবে আর সেখানে যিহোবার জন্য হোমবলি উৎসর্গ করবে। ৭ তুমি সেখানে মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করবে এবং সেখানেই তা খাবে আর তোমার ঈশ্বর যিহোবার সামনে আনন্দ করবে। ৮ তুমি এই ব্যবস্থার সমস্ত কথা সেই পাথরগুলোতে স্পষ্টভাবে লিখবে।”
৯ এরপর, মোশি এবং লেবীয় যাজকেরা সমস্ত ইজরায়েলীয়কে বললেন: “হে ইজরায়েল, তুমি শান্ত হয়ে দাঁড়াও এবং মন দিয়ে শোনো। আজ তুমি তোমার ঈশ্বর যিহোবার লোক হয়ে উঠেছ। ১০ তুমি তোমার ঈশ্বর যিহোবার কথা শুনবে আর আজ আমি তোমাকে যে-সমস্ত আজ্ঞা ও আইনকানুন দিচ্ছি, সেগুলো পালন করবে।”
১১ সেই দিন মোশি লোকদের এই আজ্ঞা দিলেন: ১২ “তোমরা জর্ডন পার হওয়ার পর লোকদের আশীর্বাদ করার জন্য এই বংশগুলো গরিষীম পর্বতে দাঁড়াবে: শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর, যোষেফ ও বিন্যামীন। ১৩ আর অভিশাপ দেওয়ার জন্য এই বংশগুলো এবল পর্বতে দাঁড়াবে: রূবেণ, গাদ, আশের, সবূলূন, দান ও নপ্তালি। ১৪ আর লেবীয়েরা সমস্ত ইজরায়েলের সামনে উচ্চস্বরে এই কথা বলবে:
১৫ “‘যে-ব্যক্তি খোদিত মূর্তি কিংবা ধাতব মূর্তি* তৈরি করে এবং সেটা লুকিয়ে রাখে, সে অভিশপ্ত কারণ শিল্পীর* হাতের এইরকম শিল্পকর্ম যিহোবার দৃষ্টিতে জঘন্য।’ (উত্তরে সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’*)
১৬ “‘যে-ব্যক্তি তার বাবা কিংবা মাকে অবজ্ঞা করে, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
১৭ “‘যে-ব্যক্তি তার প্রতিবেশীর জমির সীমাচিহ্ন সরিয়ে দেয়, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
১৮ “‘যে-ব্যক্তি কোনো অন্ধ ব্যক্তিকে ভুল পথে পরিচালিত করে, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
১৯ “‘যে-ব্যক্তি তোমাদের মাঝে বসবাসরত বিদেশি, অনাথ* কিংবা বিধবার মামলায় ভুল রায় দিয়ে অবিচার করে, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
২০ “‘যে-ব্যক্তি তার বাবার স্ত্রীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করে, সে অভিশপ্ত কারণ সে তার বাবার অপমান করেছে।’* (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
২১ “‘যে-ব্যক্তি কোনো পশুর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করে, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
২২ “‘যে-ব্যক্তি তার বোনের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করে, সে অভিশপ্ত, তা সে তার বাবার মেয়ে কিংবা মায়ের মেয়ে, যে-ই হোক না কেন।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
২৩ “‘যে-ব্যক্তি তার শাশুড়ির সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করে, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
২৪ “‘যে-ব্যক্তি ওত পেতে তার প্রতিবেশীকে হত্যা করে, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
২৫ “‘যে-ব্যক্তি কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে হত্যা করার জন্য ঘুষ নেয়, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)
২৬ “‘যে-ব্যক্তি এই ব্যবস্থার কথাগুলো পালন করে না, সে অভিশপ্ত।’ (তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন!’)