হিতোপদেশ
২৯ বার বার ধমক দেওয়া সত্ত্বেও যে একগুঁয়ে হয়ে থাকে,
হঠাৎ তার এমন পতন হবে যে, বাঁচার কোনো আশা থাকবে না।
২ সঠিক কাজ করে এমন লোকদের সংখ্যা অনেক বেশি থাকলে লোকেরা আনন্দ করে,
কিন্তু মন্দ ব্যক্তি শাসন করলে লোকেরা আর্তনাদ করে।
৩ যে প্রজ্ঞা ভালোবাসে, সে নিজের বাবাকে আনন্দিত করে,
কিন্তু যে বেশ্যাদের সঙ্গে মেলামেশা করে, সে নিজের ধনসম্পদ নষ্ট করে ফেলে।
৪ রাজা ন্যায়বিচারের মাধ্যমে দেশে শান্তি নিয়ে আসেন,
কিন্তু যে ঘুস নেয়, সে পুরো দেশকে ধ্বংস করে দেয়।
৫ যে নিজের প্রতিবেশীর তোষামোদ করে,
সে তার পায়ের জন্য জাল পাতে।
৬ মন্দ ব্যক্তি নিজেরই অপরাধের জালে জড়িয়ে পড়ে,
কিন্তু যে সঠিক কাজ করে, সে আনন্দে চিৎকার করে এবং উল্লাস করে।
৭ যে সঠিক কাজ করে, সে গরিব ব্যক্তিদের আইনি অধিকারের বিষয়ে খেয়াল রাখে,
কিন্তু মন্দ ব্যক্তির এই ধরনের কোনো চিন্তা থাকে না।
৮ যারা গর্ব করে, তারা নগরে আগুন লাগিয়ে দেয়,
কিন্তু যারা বিজ্ঞ, তারা রাগ ঠাণ্ডা করে।
৯ যখন কোনো বিজ্ঞ ব্যক্তি কোনো মূর্খ ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায়,
তখন মূর্খ ব্যক্তি প্রচণ্ড রেগে ওঠে এবং উপহাস করে
আর সেই বিজ্ঞ ব্যক্তি কোনো ভালো ফল পায় না।
১০ রক্তপিপাসু ব্যক্তিরা যেকোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে ঘৃণা করে
আর তারা সৎ ব্যক্তিদের জীবন কেড়ে নেওয়ার* চেষ্টা করে।
১১ মূর্খ ব্যক্তি তার মনের সমস্ত রাগ প্রকাশ করে দেয়,
কিন্তু বিজ্ঞ ব্যক্তি শান্তভাবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।
১২ যে-শাসক মিথ্যা কথার প্রতি মনোযোগ দেন,
তার সমস্ত দাস মন্দ হয়ে পড়বে।
১৩ গরিব ও অত্যাচারী ব্যক্তির মধ্যে একটা বিষয়ে মিল রয়েছে:
উভয়ের চোখেই যিহোবা আলো দেন।*
১৪ রাজা যখন গরিব লোকদের ন্যায্যভাবে বিচার করবেন,
তখন তাঁর সিংহাসন চিরস্থায়ী হবে।
১৫ লাঠি* ও ধমকের মাধ্যমে সন্তান বিজ্ঞ হয়ে ওঠে,
কিন্তু যে-সন্তানকে শাসন করা হয় না, সে তার মাকে লজ্জিত করে।
১৬ যখন মন্দ ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন অপরাধও বেড়ে যায়,
কিন্তু যারা সঠিক কাজ করে, তারা সেই মন্দ ব্যক্তিদের পতন দেখবে।
১৭ তোমার ছেলেকে শাসন করো, এতে সে তোমাকে স্বস্তি দেবে
এবং তোমার জন্য প্রচুর আনন্দ নিয়ে আসবে।
১৮ যেখানে ঈশ্বরের নির্দেশনা* নেই, সেখানে লোকেরা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে,
কিন্তু সুখী সেই লোকেরা, যারা আইন পালন করে।
১৯ একজন দাস কথার মাধ্যমে সংশোধিত হতে চায় না
কারণ সে বুঝতে পারলেও সেই কথার বাধ্য হয় না।
২০ তুমি কি এমন ব্যক্তিকে দেখেছ, যে চিন্তাভাবনা না করে কথা বলে?
তার চেয়ে বরং একজন মূর্খ ব্যক্তির শোধরানোর আরও বেশি আশা রয়েছে।
২১ কোনো দাসকে যদি ছোটোবেলা থেকে আশকারা দেওয়া হয়,
তা হলে পরবর্তী সময়ে সে অকৃতজ্ঞ হয়ে উঠবে।
২২ বদরাগী ব্যক্তি ঝগড়া বাধায়,
যে কথায় কথায় রেগে ওঠে, সে অনেক অপরাধ করে ফেলে।
২৩ মানুষের অহংকার তাকে নত করবে,
কিন্তু যে নম্র হৃদয়ের ব্যক্তি, সে গৌরব লাভ করবে।
২৪ চোরের সঙ্গী নিজেই নিজের শত্রু হয়ে ওঠে
কারণ তাকে যখন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়, তখন* সে কিছুই বলে না।
২৫ মানুষের প্রতি ভয় হল একটা ফাঁদ,
কিন্তু যে যিহোবার উপর আস্থা রাখে, তাকে সুরক্ষিত রাখা হবে।
২৬ অনেকে শাসকের কাছে আসতে* চায়,
কিন্তু যিহোবার কাছেই মানুষ ন্যায়বিচার পায়।
২৭ যে সঠিক কাজ করে, সে অন্যায়কারীকে জঘন্য বলে মনে করে,
কিন্তু মন্দ ব্যক্তি সেই ব্যক্তিকে জঘন্য বলে মনে করে, যে সৎ পথে চলে।