দ্বিতীয় বিবরণ
১৮ “লেবীয় যাজকদের, এমনকী পুরো লেবীয় বংশকে ইজরায়েলীয়দের সঙ্গে সেই দেশে জমির কোনো অংশ কিংবা উত্তরাধিকার দেওয়া হবে না। যিহোবার উদ্দেশে আগুনে যে-বলি উৎসর্গ করা হবে, সেখান থেকে অর্থাৎ তাঁর অংশ থেকে তারা খাবে। ২ এইজন্য লেবীয়েরা তাদের ইজরায়েলীয় ভাইদের মধ্যে কোনো উত্তরাধিকার পাবে না। যিহোবাই তাদের উত্তরাধিকার, ঠিক যেমনটা তিনি তাদের বলেছেন।
৩ “যখনই লোকেরা কোনো পশু বলি দেবে, হোক তা ষাঁড় অথবা মেষ, তারা যেন সেটার কাঁধ, চোয়াল ও পাকস্থলী যাজককে দেয়। এই অংশগুলোর উপর যাজকদের অধিকার রয়েছে। ৪ তুমি তোমার ফসল, নতুন দ্রাক্ষারস* ও তেলের প্রথম ফল এবং তোমার মেষলোমের প্রথম অংশ তাদের দেবে। ৫ তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমার সমস্ত বংশের মধ্য থেকে লেবীয়দের বেছে নিয়েছেন, যেন তারা এবং তাদের ছেলেরা সবসময় যিহোবার নামে সেবা করে।
৬ “যদি কোনো লেবীয় ইজরায়েলে নিজের নগর ত্যাগ করে যিহোবার বেছে নেওয়া জায়গায়* যেতে চায়, ৭ তা হলে সে যেতে পারে আর সেখানে তার ঈশ্বর যিহোবার নামে সেবা করতে পারে, ঠিক যেমনটা তার অন্য লেবীয় ভাইয়েরা যিহোবার সামনে উপস্থিত থেকে সেবা করে। ৮ সে তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে যে-টাকা পাবে, সেটা ছাড়াও অন্য লেবীয় ভাইদের সঙ্গে সমপরিমাণ খাবারদাবার পাবে।
৯ “তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমাকে যে-দেশ দিতে চলেছেন, তুমি যখন সেই দেশে প্রবেশ করবে, তখন তুমি সেখানে বসবাসরত জাতিগুলোর মতো জঘন্য কাজ করবে না। ১০ তোমার মধ্যে যেন এমন কাউকে পাওয়া না যায়, যে নিজের ছেলে বা মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করে,* জ্যোতিষবিদ্যা চর্চা করে, জাদুবিদ্যা চর্চা করে, লক্ষণ দেখে ভবিষ্যতের কথা বলে, মায়াবিদ্যা চর্চা করে, ১১ মন্ত্র পড়ে কাউকে বশ করে, ভবিষ্যৎ বলতে পারে এমন ব্যক্তির কাছে পরামর্শ চায়, মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার দাবি করে কিংবা যারা তা করার দাবি করে, তাদের কাছ থেকে পরামর্শ চায়। ১২ যে-কেউ এইরকম কাজ করে, সে যিহোবার দৃষ্টিতে জঘন্য আর এই জঘন্য কাজগুলোর কারণেই তোমার ঈশ্বর যিহোবা সেই জাতিগুলোকে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। ১৩ তুমি যেন তোমার ঈশ্বর যিহোবার দৃষ্টিতে সবসময় নির্দোষ থাক।
১৪ “তুমি সেই দেশ থেকে যে-জাতিগুলোকে তাড়িয়ে দিচ্ছ, তারা জাদুবিদ্যা চর্চাকারী ও জ্যোতিষীদের কথা শোনে, কিন্তু তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমাকে এই ধরনের কোনো কাজ করার অনুমতি দেননি। ১৫ তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমার জন্য তোমার ভাইদের মধ্য থেকে আমার মতো একজন ভাববাদীকে উৎপন্ন করবেন। তোমরা যেন তার কথা শোন। ১৬ তোমার ঈশ্বর যিহোবা এমনটা করবেন কারণ হোরেবে যখন তোমাদের পুরো মণ্ডলী একত্রিত হয়েছিল, তখন তোমরা অনুরোধ করেছিলে, ‘আমরা আমাদের ঈশ্বর যিহোবার কণ্ঠস্বর আর শুনতে পারছি না এবং এই ভয়াবহ আগুনও আর দেখতে পারছি না। আমরা যদি এভাবে দেখতে ও শুনতে থাকি, তা হলে আমরা মারা যাব।’ ১৭ তখন যিহোবা আমাকে বললেন, ‘এরা ঠিকই বলছে। ১৮ আমি এদের জন্য এদের মধ্য থেকেই তোমার মতো একজন ভাববাদীকে উৎপন্ন করব আর তাকে কী বলতে হবে, সেটা আমি তাকে বলে দেব। আমি তাকে যে-সমস্ত আজ্ঞা দেব, সে গিয়ে এদের সেই সমস্ত কিছু জানাবে। ১৯ যদি কোনো ব্যক্তি সেই ভাববাদীর কথা না শোনে, যিনি আমার নামে কথা বলবেন, তা হলে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে আমি নিকাশ নেব।
২০ “‘যদি কোনো ভাববাদী আমার নামে এমন কোনো কথা বলার দুঃসাহস দেখায়, যেটা বলার আজ্ঞা আমি তাকে দিইনি বা অন্য দেবতাদের নামে কোনো বার্তা জানায়, তা হলে তাকে যেন মেরে ফেলা হয়। ২১ কিন্তু, তোমাদের মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে: “যিহোবা যে এই কথা বলেননি, তা আমরা কীভাবে জানব?” ২২ যদি কোনো ভাববাদী যিহোবার নামে ভবিষ্যদ্বাণী করে, কিন্তু সেটা পরিপূর্ণ না হয় কিংবা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়, তা হলে সেটার অর্থ হল, সেই বার্তা যিহোবার কাছ থেকে আসেনি। সেই ভাববাদী নিজে থেকে কথা বলার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তুমি তাকে ভয় পাবে না।’