যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
৫ আর আমি দেখলাম, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, সেই ঈশ্বরের ডান হাতে একটা গোটানো পুস্তক রয়েছে, যেটার উভয় দিকেই* লেখা রয়েছে আর সেটা সাতটা সিলমোহর দিয়ে বাঁধা। ২ পরে আমি দেখলাম, একজন শক্তিশালী স্বর্গদূত উচ্চস্বরে ঘোষণা করছেন: “কে এই গোটানো পুস্তক এবং এটার সিলমোহরগুলো খোলার যোগ্য?” ৩ কিন্তু স্বর্গে, কি পৃথিবীতে, কি পৃথিবীর ভূমির নীচে কেউই সেই গোটানো পুস্তক খুলতে এবং সেটার ভিতরে দেখতে আর সেটা পড়তে পারল না। ৪ তখন আমি খুব কাঁদতে লাগলাম, কারণ এমন কাউকেই পাওয়া গেল না, যে সেই গোটানো পুস্তক খোলার ও পড়ার যোগ্য। ৫ কিন্তু, সেই প্রাচীনদের* মধ্যে একজন আমাকে বললেন: “কেঁদো না। দেখো! যিনি যিহূদা বংশের সিংহ, দায়ূদের মূল, তিনি জয় করেছেন আর তাই তিনি সেই গোটানো পুস্তক এবং সেটার সাতটা সিলমোহর খোলার যোগ্য।”
৬ আর আমি দেখলাম, সেই সিংহাসনের এবং সেই চার জন জীবিত প্রাণীর মাঝখানে আর সেই প্রাচীনদের* মাঝখানে এক মেষশাবক দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁকে দেখে মনে হয়, যেন তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর সাতটা শিং এবং সাতটা চোখ রয়েছে। সেই চোখগুলো ঈশ্বরের সাতটা শক্তিকে চিত্রিত করে, যেগুলোকে পৃথিবীর সমস্ত জায়গায় পাঠানো হয়েছে। ৭ আর তখনই সেই মেষশাবক এগিয়ে এলেন এবং যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, সেই ঈশ্বরের ডান হাত থেকে গোটানো পুস্তকটা নিলেন। ৮ তিনি যখন গোটানো পুস্তকটা নিলেন, তখন সেই চার জন জীবিত প্রাণী এবং ২৪ জন প্রাচীন* সেই মেষশাবকের সামনে হাঁটু গেড়ে তাঁকে প্রণাম করলেন।* প্রত্যেক প্রাচীনের* হাতে একটা করে বীণা রয়েছে এবং তাদের কাছে ধূপে পূর্ণ সোনার বাটি রয়েছে। (এই ধূপ পবিত্র ব্যক্তিদের প্রার্থনাকে চিত্রিত করে।) ৯ আর তারা এক নতুন গান গাইতে লাগলেন: “তুমিই এই গোটানো পুস্তক নেওয়ার এবং এটার সিলমোহরগুলো খোলার যোগ্য, কারণ তোমাকে হত্যা করা হয়েছিল এবং তুমি নিজের রক্ত দিয়ে সমস্ত বংশ ও ভাষা ও বর্ণ ও জাতির মধ্য থেকে ঈশ্বরের জন্য লোকদের কিনেছ ১০ আর তুমি তাদের রাজা ও যাজক করেছ, যেন তারা আমাদের ঈশ্বরের সেবা করে। তারা পৃথিবীর উপর রাজত্ব করবে।”
১১ পরে আমি তাকালাম আর সেই সিংহাসনের এবং জীবিত প্রাণীদের ও প্রাচীনদের* চারদিক থেকে অনেক স্বর্গদূতের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। সেই স্বর্গদূতদের সংখ্যা অযুত অযুত ও হাজার হাজার ১২ আর তারা উচ্চস্বরে বলছেন: “যাঁকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই মেষশাবকই ক্ষমতা ও ধনসম্পদ ও প্রজ্ঞা ও শক্তি ও সমাদর ও গৌরব ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।”
১৩ পরে আমি স্বর্গের ও পৃথিবীর এবং পৃথিবীর ভূমির নীচের এবং সমুদ্রের সমস্ত প্রাণীকে আর সেগুলোর মধ্যে যা-কিছু আছে, সেগুলোকে এই কথা বলতে শুনলাম: “যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, সেই ঈশ্বরের এবং মেষশাবকেরই যুগে যুগে চিরকাল প্রশংসা ও সমাদর ও গৌরব ও ক্ষমতা থাকুক।” ১৪ আর সেই চার জন জীবিত প্রাণী বললেন: “আমেন!” এবং সেই প্রাচীনেরা* উবুড় হয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করলেন।