যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
৮ তিনি যখন সপ্তম সিলমোহরটা খুললেন, তখন স্বর্গে প্রায় আধ ঘণ্টা পর্যন্ত নীরবতা বিরাজ করল। ২ পরে আমি সাত জন স্বর্গদূতকে দেখলাম, যারা ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আর তাদের সাতটা তূরী দেওয়া হল।
৩ পরে আরেকজন স্বর্গদূত এসে বেদির কাছে দাঁড়ালেন। তার হাতে একটা সোনার ধূপদানি রয়েছে আর তাকে প্রচুর পরিমাণে ধূপ দেওয়া হল, যেন সমস্ত পবিত্র ব্যক্তি যখন প্রার্থনা করে, তখন তিনি সিংহাসনের সামনে থাকা সোনার বেদিতে তা উৎসর্গ করেন। ৪ এতে সেই স্বর্গদূতের হাত থেকে ধূপের ধোঁয়া এবং পবিত্র ব্যক্তিদের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে গিয়ে পৌঁছাল। ৫ আর সঙ্গেসঙ্গে সেই স্বর্গদূত ধূপদানিটা নিলেন এবং বেদি থেকে আগুন নিয়ে তা পূর্ণ করলেন আর সেই আগুন পৃথিবীতে নিক্ষেপ করলেন। এতে বজ্রধ্বনি ও কণ্ঠস্বর শোনা গেল এবং বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা গেল এবং ভূমিকম্প হল। ৬ আর যে-সাত জন স্বর্গদূতকে সাতটা তূরী দেওয়া হয়েছিল, তারা সেগুলো বাজানোর জন্য প্রস্তুত হলেন।
৭ প্রথম স্বর্গদূত তূরী বাজালেন। আর রক্ত মেশানো শিলা ও আগুন পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হল; এতে পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ পুড়ে গেল এবং গাছপালার এক-তৃতীয়াংশ পুড়ে গেল এবং সমস্ত ঘাস পুড়ে গেল।
৮ পরে দ্বিতীয় স্বর্গদূত তূরী বাজালেন। আর জ্বলন্ত এক বিশাল পর্বতের মতো কিছু-একটা সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হল। এতে সমুদ্রের এক-তৃতীয়াংশ রক্ত হয়ে গেল; ৯ আর সমুদ্রের এক-তৃতীয়াংশ প্রাণী মরে গেল এবং জাহাজগুলোর এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস হয়ে গেল।
১০ পরে তৃতীয় স্বর্গদূত তূরী বাজালেন। আর মশালের মতো জ্বলন্ত এক বড়ো তারা আকাশ থেকে খসে পড়ল এবং সেটা নদনদীর এক-তৃতীয়াংশের উপর এবং জলের উৎসের উপর পড়ল। ১১ সেই তারার নাম সোমরাজ।* আর জলের এক-তৃতীয়াংশ সোমরাজের মতো তেতো হয়ে গেল এবং তেতো জলের কারণে অনেক লোক মারা গেল।
১২ পরে চতুর্থ স্বর্গদূত তূরী বাজালেন। আর সূর্যের এক-তৃতীয়াংশ এবং চাঁদের এক-তৃতীয়াংশ এবং তারাগুলোর এক-তৃতীয়াংশকে আঘাত করা হল, যাতে সেগুলোর এক-তৃতীয়াংশের উপর অন্ধকার নেমে আসে এবং দিনের এক-তৃতীয়াংশে ও সেইসঙ্গে রাতের এক-তৃতীয়াংশে আলো না থাকে।
১৩ পরে আমি তাকালাম আর আমি আকাশের মাঝপথে উড়তে থাকা একটা ঈগল পাখিকে উচ্চস্বরে এই কথা বলতে শুনলাম: “বিপর্যয়, বিপর্যয়, বিপর্যয়! পৃথিবীতে বসবাসকারীদের উপর বিপর্যয়! কারণ বাকি তিন জন স্বর্গদূত খুব শীঘ্রই তূরী বাজাবেন!”