বংশাবলির প্রথম খণ্ড
২ ইজরায়েলের ছেলেরা রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর, সবূলূন, ২ দান, যোষেফ, বিন্যামীন, নপ্তালি, গাদ ও আশের।
৩ যিহূদার ছেলেরা এর, ওনন ও শেলহ। যিহূদার এই তিন ছেলের জন্ম একজন কনানীয় মহিলা দিয়েছিল, যে শূয়ের মেয়ে। কিন্তু, যিহূদার প্রথমজাত ছেলে এর যিহোবার দৃষ্টিতে মন্দ ছিল, তাই ঈশ্বর তাকে মেরে ফেলেছিলেন। ৪ যিহূদার বউমা তামর তার জন্য পেরস ও সেরহের জন্ম দিয়েছিল। যিহূদার মোট পাঁচটি ছেলে।
৫ পেরসের ছেলেরা হিষ্রোণ ও হামূল।
৬ সেরহের ছেলেরা সিম্রি, এথন, হেমন, কল্কোল ও দারা। তার মোট পাঁচটি ছেলে।
৭ কর্মির ছেলে* আখর,* যে ইজরায়েলের উপর বিপদ* নিয়ে এসেছিল। যে-জিনিসগুলোকে ধ্বংসের যোগ্য বলে নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলোর বিষয়ে দেওয়া আজ্ঞা লঙ্ঘন করে আখর অবিশ্বস্ত হয়ে পড়েছিল।
৮ এথনের ছেলে* অসরিয়।
৯ হিষ্রোণের ছেলেরা যিরহমেল, রাম ও কালুবায়।*
১০ রামের ছেলে অম্মীনাদব। অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন, যিনি যিহূদার বংশধরদের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১১ নহশোনের ছেলে শল্ম। শল্মের ছেলে বোয়স। ১২ বোয়সের ছেলে ওবেদ। ওবেদের ছেলে যিশয়। ১৩ যিশয়ের প্রথমজাত ছেলে ইলীয়াব, দ্বিতীয় ছেলে অবীনাদব, তৃতীয় ছেলে শিমিয়, ১৪ চতুর্থ ছেলে নথনেল, পঞ্চম ছেলে রদ্দয়, ১৫ ষষ্ঠ ছেলে ওৎসম এবং সপ্তম ছেলে দায়ূদ। ১৬ তাদের বোনেরা সরূয়া ও অবীগল। সরূয়ার তিনটি ছেলে ছিল আর তারা হলেন অবীশয়, যোয়াব ও অসাহেল। ১৭ অবীগলের ছেলে অমাসা। অমাসার বাবা ইশ্মায়েলীয় যেথর।
১৮ হিষ্রোণের ছেলে কালেবের* স্ত্রী অসূবা ও যিরিয়োৎ তার জন্য যেশর, শোবব ও অর্দোনের জন্ম দিল। ১৯ অসূবার মৃত্যুর পর কালেব ইফ্রাথাকে বিয়ে করলেন আর ইফ্রাথা তার জন্য হূরের জন্ম দিল। ২০ হূরের ছেলে ঊরি। ঊরির ছেলে বৎসলেল।
২১ পরে, হিষ্রোণ গিলিয়দের বাবা মাখীরের মেয়েকে বিয়ে করল। সেইসময় তার বয়স ছিল ৬০ বছর। হিষ্রোণ তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার পর সে তার জন্য সগূবের জন্ম দিল। ২২ সগূবের ছেলে যায়ীর, যার গিলিয়দের এলাকায় ২৩টা নগর ছিল। ২৩ পরে, গশূর ও সিরিয়া তাদের কাছ থেকে হব্বোৎ-যায়ীর ও সেইসঙ্গে কনাৎ এবং সেটার আশেপাশের নগর নিয়ে নিল। তারা মোট ৬০টা নগর নিয়ে নিল। এরা সবাই গিলিয়দের বাবা মাখীরের বংশধর।
২৪ কালেব-ইফ্রাথায় হিষ্রোণের মৃত্যুর পর হিষ্রোণের স্ত্রী অবিয়া তার জন্য অস্হূরের জন্ম দিল, যে তকোয়ের বাবা।
২৫ হিষ্রোণের প্রথমজাত ছেলে যিরহমেলের ছেলেরা ছিল: প্রথমজাত ছেলে রাম, তারপর বূনা, ওরণ, ওৎসম ও অহিয়। ২৬ যিরহমেলের আরেকটি স্ত্রী ছিল, যার নাম অটারা। সে ওনমের মা। ২৭ যিরহমেলের প্রথমজাত রামের ছেলেরা মাষ, যামীন ও একর। ২৮ ওনমের ছেলেরা শম্ময় ও যাদা। শম্ময়ের ছেলেরা নাদব ও অবীশূর। ২৯ অবীশূরের স্ত্রীর নাম অবীহয়িল, যে তার জন্য অহবান ও মোলীদের জন্ম দিয়েছিল। ৩০ নাদবের ছেলেরা সেলদ ও অপ্পয়িম। কিন্তু, সেলদ নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গিয়েছিল। ৩১ অপ্পয়িমের ছেলে* যিশী। যিশীর ছেলে* শেশন আর শেশনের ছেলে* অহলয়। ৩২ শম্ময়ের ভাই যাদার ছেলেরা যেথর ও যোনাথন। কিন্তু, যেথর নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন। ৩৩ যোনাথনের ছেলেরা পেলৎ ও সাসা। এরা সবাই যিরহমেলের বংশধর।
৩৪ শেশনের কোনো ছেলে ছিল না, কেবলমাত্র মেয়ে ছিল। শেশনের একজন মিশরীয় দাস ছিল, যার নাম যার্হা। ৩৫ শেশন তার দাস যার্হার সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে দিল আর সে যার্হার জন্য অত্তয়ের জন্ম দিল। ৩৬ অত্তয়ের ছেলে নাথন। নাথনের ছেলে সাবদ। ৩৭ সাবদের ছেলে ইফ্লল। ইফ্ললের ছেলে ওবেদ। ৩৮ ওবেদের ছেলে যেহূ। যেহূর ছেলে অসরিয়। ৩৯ অসরিয়ের ছেলে হেলস। হেলসের ছেলে ইলীয়াসা। ৪০ ইলীয়াসার ছেলে সিস্ময়। সিস্ময়ের ছেলে শল্লুম। ৪১ শল্লুমের ছেলে যিকমিয়। যিকমিয়ের ছেলে ইলীশামা।
৪২ যিরহমেলের ভাই কালেবের* ছেলেরা ছিল: তার প্রথমজাত ছেলে মেশা, যে সীফের বাবা আর হিব্রোণের বাবা মারেশার ছেলেরা। ৪৩ হিব্রোণের ছেলেরা কোরহ, তপূহ, রেকম ও শেমা। ৪৪ শেমার ছেলে রহম, যে যর্কিয়মের বাবা। রেকমের ছেলে শম্ময়। ৪৫ শম্ময়ের ছেলে মায়োন। মায়োন বৈৎ-সূরের বাবা। ৪৬ কালেবের উপপত্নী ঐফা হারণ, মোৎসা ও গাসেসের জন্ম দিয়েছিল। হারণের ছেলে গাসেস। ৪৭ যেহদয়ের ছেলেরা রেগম, যোথম, গেসন, পেলট, ঐফা ও শাফ। ৪৮ কালেবের উপপত্নী মাখা শেবর ও তির্হনঃয়ের জন্ম দিয়েছিল। ৪৯ পরে, মাখা এদের জন্ম দিল: শাফ, যে মদ্মন্নার বাবা এবং শবা, যে মক্বেনা ও গিবিয়ার বাবা। কালেবের মেয়ে অক্ষা। ৫০ এরা সবাই কালেবের বংশধর।
এরা ইফ্রাথার প্রথমজাত ছেলে হূরের ছেলে: শোবল, যে কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের বাবা, ৫১ শল্ম, যে বেথলেহেমের বাবা এবং হারেফ, যে বৈৎ-গাদেরের বাবা। ৫২ শোবল, যে কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের বাবা, তার ছেলেরা: হরোয়া এবং মনূহোতের অর্ধেক বাসিন্দা। ৫৩ যে-পরিবারগুলো কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে বাস করত, তারা ছিল: যিত্রীয়, পূথীয়, শূমাথীয় ও মিস্রায়ীয়েরা। তাদের মধ্য থেকেই সরাথীয়েরা ও ইষ্টায়োলীয়েরা এসেছিল। ৫৪ শল্মের ছেলেরা বেথলেহেম, নটোফা ও অট্রোৎ-বেৎ-যোয়াবের বাসিন্দারা, মানহতের অর্ধেক বাসিন্দারা এবং সরায়ীয়েরা। ৫৫ লেখকদের যে-পরিবারগুলো যাবেষে বাস করত, তারা ছিল তিরিয়াথীয়, শিমিয়থীয় ও সূখাথীয়েরা। তারা ছিল সেই কেনীয়, যারা হম্মতের বংশধর। হম্মৎ রেখবের পরিবারের বাবা।