বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড
৮ যিহোবার গৃহ এবং নিজের রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করতে শলোমনের ২০ বছর লাগল। তারপর, ২ তিনি সেই নগরগুলো পুনর্নির্মাণ করলেন, যেগুলো হীরম তাকে দিয়েছিলেন আর সেখানে ইজরায়েলীয়দের* বাস করালেন। ৩ এ ছাড়া, শলোমন হমাৎ-সোবায় গিয়ে সেটা দখল করে নিলেন। ৪ তারপর, তিনি প্রান্তরে তদ্মোর ও সেইসঙ্গে তিনি হমাতে যে-ভাণ্ডারের নগরগুলো নির্মাণ করেছিলেন, সেগুলো আরও দৃঢ়* করলেন। ৫ এ ছাড়া, তিনি উপরের বৈৎ-হোরোণ এবং নীচের বৈৎ-হোরোণের প্রাচীর, দরজা ও হুড়কো তৈরি করে সেই নগরগুলোকে আরও দৃঢ় করলেন। ৬ শলোমন বালৎ ও সেইসঙ্গে তার সমস্ত ভাণ্ডারের নগর, রথের নগর এবং অশ্বারোহীদের জন্য নগরও নির্মাণ করলেন। আর জেরুসালেম, লেবানন এবং তার পুরো রাজ্যে তিনি যা-কিছু নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, সেই সমস্ত কিছু নির্মাণ করলেন।
৭ হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের অবশিষ্ট লোকেরা, যারা ইজরায়েলের প্রজা ছিল না ৮ এবং যাদের ইজরায়েলীয়েরা বিনষ্ট করেনি, তাদের বংশধরেরা ইজরায়েল দেশে বাস করত। শলোমন এই লোকদের দিয়ে জোর করে দাসের কাজ করালেন আর আজ পর্যন্ত তারা এই কাজই করছে। ৯ কিন্তু, শলোমন তার কাজ করানোর জন্য কোনো ইজরায়েলীয়কে দাস করলেন না। তারা তো তার যোদ্ধা, সহ-সেনাপতিদের প্রধান এবং রথচালক ও অশ্বারোহীদের প্রধান ছিল। ১০ ২৫০ জন আধিকারিক* রাজা শলোমনের কাজের দেখাশোনা করত। কর্মচারীদের উপর তাদের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছিল।
১১ শলোমন ফরৌণের মেয়েকে দায়ূদ-নগর থেকে সেই প্রাসাদে নিয়ে এলেন, যেটা তিনি তার জন্য নির্মাণ করেছিলেন। কারণ তিনি বললেন: “যদিও তিনি আমার স্ত্রী, তবুও তিনি ইজরায়েলের রাজা দায়ূদের প্রাসাদে থাকতে পারবেন না কারণ যে-জায়গাগুলোতে যিহোবার সিন্দুক এসেছে, সেই জায়গাগুলো পবিত্র।”
১২ তারপর, শলোমন বারান্দার সামনে যিহোবার যে-বেদি বানিয়েছিলেন, সেটার উপর যিহোবার উদ্দেশে হোমবলি উৎসর্গ করলেন। ১৩ তিনি মোশির আজ্ঞা অনুসারে প্রতিদিন, বিশ্রামবারে, নতুন চাঁদের দিনে এবং বছরের এই তিনটে উৎসবে বলি উৎসর্গ করতেন—খামিরবিহীন* রুটির উৎসব, শস্য কাটার উৎসব* এবং কুটিরোৎসব।* ১৪ এ ছাড়া, তিনি তার বাবা দায়ূদের নিয়ম অনুসারে যাজকদের সেবাকাজের জন্য আলাদা আলাদা দল তৈরি করলেন আর লেবীয়দের দায়িত্ব দিলেন, যেন তারা প্রতিদিনের নিয়ম অনুসারে ঈশ্বরের প্রশংসা করে এবং যাজকদের সামনে সেবা করে। তিনি দারোয়ানদের দলগুলোকে আলাদা আলাদা দরজায় নিযুক্ত করলেন কারণ সত্য ঈশ্বরের দাস দায়ূদ এই আজ্ঞাই দিয়েছিলেন। ১৫ রাজা ভাণ্ডারের কক্ষগুলোর বিষয়ে কিংবা অন্য কোনো বিষয়ে যাজক ও লেবীয়দের যে-সমস্ত আজ্ঞা দিয়েছিলেন, তারা সেগুলোর কোনোটাই অমান্য করেনি। ১৬ যে-দিন যিহোবার গৃহের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল, সেই দিন থেকে শুরু করে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত শলোমন সমস্ত কাজ ভালোভাবে সংগঠিত করেছিলেন।* এভাবে যিহোবার গৃহের কাজ শেষ হল।
১৭ এরপর, শলোমন ইৎসিয়োন-গেবরে গেলেন ও সেইসঙ্গে ইদোম দেশের সাগরের তীরে অবস্থিত এলতে গেলেন। ১৮ হীরম তার সেবকদের মাধ্যমে তার জাহাজ এবং অভিজ্ঞ নাবিকদের শলোমনের কাছে পাঠালেন। তারা শলোমনের সেবকদের সঙ্গে মিলে ওফীরে গেল এবং সেখান থেকে ৪৫০ তালন্ত* সোনা রাজা শলোমনের কাছে নিয়ে এল।