গীতসংহিতা

 ২ কিন্তু, আমার পা প্রায় বিপথে চলে গিয়েছিল,

আমার পা প্রায় পিছলে গিয়েছিল।

 ৩ কারণ আমি যখন মন্দ লোকদের শান্তিতে থাকতে দেখলাম,

তখন সেই অহংকারী লোকদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়লাম।

 ৬ তাই, অহংকার তাদের গলার হার,

দৌরাত্ম্য তাদের পোশাক।

 ৭ তাদের সমৃদ্ধির* কারণে তাদের চোখ ফুলে ওঠে,

তারা তাদের মনের কল্পনার চেয়েও বেশি সাফল্য লাভ করে।

 ৯ তারা এমনভাবে কথা বলে, যেন তারা আকাশে রয়েছে,

পৃথিবীতে তাদের জিভ অনেক বড়াই করে।

১০ তাই, তাঁর* লোকেরা তাদের দিকে চলে যায়

এবং তারা তাদের উপচে পড়া জল খায়।

১৩ আমি বৃথাই আমার হৃদয় বিশুদ্ধ রেখেছি,

আমি যে নির্দোষ, তা প্রমাণ করার জন্য নিজের হাত ধুয়েছি।

১৪ সারাদিন আমি কষ্ট ভোগ করতাম,

প্রতি সকালে আমাকে ধমক দেওয়া হত।

১৫ কিন্তু, আমি যদি আমার মনের কথাগুলো বলতাম,

তা হলে আমি তোমার লোকদের* সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতাম।

১৬ আমি যখন এই সমস্ত কিছু বোঝার চেষ্টা করলাম,

তখন উদ্‌বিগ্ন হয়ে পড়লাম,

১৭ যতক্ষণ না আমি ঈশ্বরের মহৎ পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলাম

আর মন্দ লোকদের পরিণতি নিয়ে চিন্তা করলাম।

২০ ঠিক যেভাবে কেউ ঘুম থেকে ওঠার পর তার স্বপ্ন আর মনে থাকে না,

সেভাবেই হে যিহোবা, তুমি যখন উঠবে, তখন তাদের প্রত্যাখ্যান* করবে।

২১ কিন্তু, আমার মন তেতো হয়ে গিয়েছিল

আর আমি ভিতরে* তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছিলাম।

২২ আমি নিজের বিচারবুদ্ধি ও বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম,

আমি তোমার সামনে নির্বোধ পশুর মতো হয়ে গিয়েছিলাম।

২৩ কিন্তু, এখন আমি সবসময় তোমার সঙ্গে রয়েছি,

তুমি আমার ডান হাত ধরে রেখেছ।

২৪ তুমি আমাকে পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে পথ দেখাও

আর পরে তুমি আমাকে সেই পথে পরিচালিত করবে, যে-পথে গৌরব রয়েছে।

২৬ আমার দেহ ও মন দুর্বল হয়ে পড়তে পারে,

কিন্তু ঈশ্বর সেই শৈল, যিনি আমার মনকে দৃঢ় করেন,

তিনিই আমার চিরকালের অংশ।

আমি নিখিলবিশ্বের প্রভু যিহোবার কাছে আশ্রয় নিয়েছি,

যাতে তাঁর সমস্ত কাজের বিষয়ে ঘোষণা করতে পারি।