যিশাইয়
৫৪ যিহোবা বলেন: “হে বন্ধ্যা মহিলা, তুমি, যে সন্তানের জন্ম দাওনি, তুমি আনন্দে চিৎকার করো!
তুমি, যে কখনো প্রসববেদনা ভোগ করনি, তুমি উল্লসিত হও এবং আনন্দে চিৎকার করো
কারণ পরিত্যক্ত মহিলার ছেলেদের* সংখ্যা
সেই মহিলার ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি, যার স্বামী* তার সঙ্গে রয়েছে।
২ তোমার তাঁবুর জায়গা আরও বাড়াও।
তোমার মহিমাময় পবিত্র তাঁবুর কাপড়গুলো বিছাও।
প্রচেষ্টায় কোনো ত্রুটি রেখো না, তোমার তাঁবুর দড়িগুলো লম্বা করো
আর তোমার তাঁবুর গোঁজগুলো মজবুত করো।
৩ কারণ তুমি ডান দিকে এবং বাঁ-দিকে বৃদ্ধি পাবে।
তোমার বংশধরেরা জাতিগুলোর উপর কর্তৃত্ব করবে
আর তারা জনশূন্য নগরগুলোতে বাস করবে।
৪ ভয় পেয়ো না কারণ তোমাকে লজ্জিত করা হবে না,
অপমানিত বোধ কোরো না কারণ তোমাকে হতাশ করা হবে না।
কারণ তুমি তোমার যৌবনকালের লজ্জা ভুলে যাবে
এবং তোমার বিধবা হওয়ার অপমান তোমার আর মনে থাকবে না।”
৫ “কারণ তোমার মহান নির্মাতা তোমার স্বামীর* মতো,
তাঁর নাম স্বর্গীয় বাহিনীর শাসক যিহোবা
আর ইজরায়েলের পবিত্র ঈশ্বর তোমার মুক্তিদাতা।
তাঁকে পুরো পৃথিবীর ঈশ্বর বলা হবে।
৬ যিহোবা তোমাকে এমনভাবে ডেকেছেন, যেন তুমি কোনো পরিত্যক্ত ও শোকার্ত স্ত্রী,
যার যৌবনকালে বিয়ে হয়েছিল এবং যাকে পরে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।”
তোমার ঈশ্বর এই কথা বলেছেন।
৭ “কারণ কিছুক্ষণের জন্য আমি তোমাকে পরিত্যাগ করেছিলাম,
কিন্তু আমি অনেক করুণা দেখিয়ে তোমাকে ফিরিয়ে আনব।
৮ প্রচণ্ড রেগে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য আমি তোমার দিক থেকে আমার মুখ লুকিয়ে রেখেছিলাম,
কিন্তু আমি তোমার প্রতি করুণা দেখাব কারণ তোমার প্রতি আমার অনন্তকালস্থায়ী অটল প্রেম রয়েছে।”
তোমার মুক্তিদাতা যিহোবা এই কথা বলেছেন।
৯ “এটা আমার কাছে নোহের দিনের মতো।
ঠিক যেভাবে আমি দিব্য করেছিলাম যে, নোহের দিনের জলপ্লাবন আর কখনো পৃথিবীকে ডুবিয়ে দেবে না,
সেভাবেই আমি দিব্য করছি যে, আমি আর কখনো তোমার উপর প্রচণ্ড রেগে যাব না কিংবা তোমাকে ধমক দেব না।
১০ কারণ পর্বতগুলো সরে যেতে পারে
আর পাহাড়গুলো টলে যেতে পারে,
কিন্তু তোমার কাছ থেকে আমার অটল প্রেম সরানো হবে না
কিংবা আমার শান্তির চুক্তি টলানো হবে না।”
যিহোবা, যিনি তোমার প্রতি করুণা দেখান, তিনি এই কথা বলেছেন।
১১ “হে মহিলা, তুমি, যে ঝড়ের কারণে কষ্ট পেয়েছ এবং যাকে সান্ত্বনা দেওয়া হয়নি,
আমি তোমার পাথরগুলো মিশ্রণ সহকারে
এবং তোমার ভিত্তি নীলকান্ত মণি দিয়ে স্থাপন করব।
১২ আমি তোমার নীচু প্রাচীরগুলো চুনি দিয়ে,
তোমার দরজাগুলো চকচকে পাথর* দিয়ে
এবং তোমার সমস্ত সীমানা মূল্যবান পাথর দিয়ে তৈরি করব।
১৪ তুমি সঠিক কাজের দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তোমাকে অত্যাচার থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নেওয়া হবে,
তুমি কোনো কিছুকে ভয় পাবে না এবং তোমার কোনো আতঙ্কের কারণ থাকবে না
কারণ সেটা তোমার কাছেও আসবে না।
১৫ কেউ যদি তোমাকে আক্রমণ করে,
তা হলে সেটা আমার আদেশে হবে না।
যে-কেউ তোমার উপর আক্রমণ করবে, সে পরাজিত হবে।”
১৬ “দেখো! আমি নিজে সেই কারিগরকে সৃষ্টি করেছি,
যে কয়লার আগুনে ফুঁ দেয় এবং অস্ত্র তৈরি করে।
আমি নিজে সেই বিনাশককেও সৃষ্টি করেছি, যে ধ্বংস করে।
১৭ তাই, তোমার বিরুদ্ধে গঠিত কোনো অস্ত্রই সফল হবে না
আর বিচারে যে-জিভই তোমাকে দোষারোপ করুক না কেন, তুমি সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করবে।
এটাই যিহোবার দাসদের উত্তরাধিকার
আর আমার চোখে তারা সঠিক।”
যিহোবা এই কথা ঘোষণা করেন।