দ্বিতীয় বিবরণ
২৩ “এমন কোনো পুরুষ যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না, যার অন্ডকোষ থেঁতলে দেওয়া হয়েছে কিংবা যার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।
২ “কোনো অবৈধ সন্তান যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না। তার দশম প্রজন্ম পর্যন্ত কেউই যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না।
৩ “কোনো অম্মোনীয় কিংবা মোয়াবীয় যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না। তাদের দশম প্রজন্ম পর্যন্ত কেউই যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না। ৪ কারণ যখন তোমরা মিশর থেকে বের হয়ে যাত্রা করছিলে, তখন তারা তোমাদের খাবার ও জল দিয়ে সাহায্য করেনি। এর পরিবর্তে, তারা মেসোপটেমিয়ার পথোরের বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে টাকা দিয়ে আনিয়েছিল যেন সে তোমাকে অভিশাপ দেয়। ৫ কিন্তু, তোমার ঈশ্বর যিহোবা বিলিয়মের কথা শোনেননি বরং যিহোবা তার অভিশাপকে তোমাদের জন্য আশীর্বাদে পরিণত করেছিলেন কারণ তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমাকে ভালোবাসেন। ৬ তুমি যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন তাদের শান্তি ও মঙ্গলের জন্য কিছুই করবে না।
৭ “তুমি কোনো ইদোমীয়কে ঘৃণা করবে না কারণ ইদোমীয়েরা তোমার ভাই।
“তুমি কোনো মিশরীয়কে ঘৃণা করবে না কারণ তুমি তার দেশে বিদেশি হিসেবে ছিলে। ৮ তাদের তৃতীয় প্রজন্মের লোক যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে।
৯ “তুমি যদি শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য কোথাও শিবির স্থাপন কর, তা হলে সেই সময়ে তুমি খেয়াল রেখো যেন তুমি কোনোভাবে কলুষিত হয়ে না পড়। ১০ যদি কোনো পুরুষ রাতে বীর্যপাতের কারণে অশুচি হয়ে যায়, তা হলে সে যেন শিবিরের বাইরে চলে যায় এবং সেখানেই থাকে। ১১ বিকেলে সূর্যাস্তের পর সে যেন স্নান করে। তারপর, সে শিবিরে ফিরে আসতে পারে। ১২ তুমি শৌচকর্মের জন্য শিবিরের বাইরে এক জায়গা নির্ধারণ করবে আর তুমি সেখানেই যাবে। ১৩ তোমার সরঞ্জামের মধ্যে যেন মাটি খোঁড়ার যন্ত্র* থাকে। যখন তুমি শৌচকর্মের জন্য শিবিরের বাইরে যাবে, তখন তুমি সেটা দিয়ে একটা গর্ত খুঁড়বে আর সেখানে মল ত্যাগ করার পর সেটা মাটি দিয়ে ঢেকে দেবে। ১৪ তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমাকে শত্রুদের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য এবং তাদের তোমার হাতে সমর্পণ করার জন্য শিবিরে তোমার মাঝে চলাফেরা করেন। এইজন্য তোমার শিবির যেন সবসময় পবিত্র থাকে, যাতে এমনটা না হয় যে, ঈশ্বর তোমার মাঝে কোনো জঘন্য বিষয় দেখে তোমাকে ছেড়ে চলে যান।
১৫ “যদি কোনো দাস তার মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে তোমার কাছে আসে, তা হলে তুমি তাকে তার মালিকের হাতে তুলে দেবে না। ১৬ সে তোমারই কোনো নগরে তোমার মাঝে যেখানে ইচ্ছা, সেখানে থাকতে পারে। তুমি তার সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করবে না।
১৭ “কোনো ইজরায়েলীয় মেয়ে যেন মন্দিরের বেশ্যা না হয় কিংবা কোনো ইজরায়েলীয় ছেলেও যেন মন্দিরের পুরুষ-বেশ্যা না হয়। ১৮ তুমি কোনো অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য কোনো মহিলা বেশ্যা কিংবা পুরুষ-বেশ্যার* উপার্জিত টাকা তোমার ঈশ্বর যিহোবার গৃহে নিয়ে আসতে পারবে না কারণ তারা দু-জনেই তোমার ঈশ্বর যিহোবার দৃষ্টিতে জঘন্য।
১৯ “যখন তুমি কোনো ইজরায়েলীয় ভাইকে কিছু ধার দেবে, হোক তা টাকাপয়সা, খাবারদাবার কিংবা অন্য যেকোনো জিনিস, তখন তুমি তার কাছ থেকে সুদ নেবে না। ২০ তুমি কোনো বিদেশির কাছ থেকে সুদ নিতে পারো কিন্তু তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে নয়, যাতে তুমি যে-দেশ দখল করতে চলেছ, সেখানে তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমার সমস্ত কাজে আশীর্বাদ করেন।
২১ “তুমি যদি তোমার ঈশ্বর যিহোবার কাছে কোনো অঙ্গীকার কর, তা হলে সেটা পূরণ করার ব্যাপারে দেরি করবে না কারণ তোমার ঈশ্বর যিহোবা অবশ্যই তোমার কাছ থেকে সেই বিষয়টা চাইবেন। তুমি যদি সেটা পূরণ না কর, তা হলে তুমি পাপী হিসেবে বিবেচিত হবে। ২২ কিন্তু, তুমি যদি কোনো অঙ্গীকার না কর, তা হলে তুমি পাপী হিসেবে বিবেচিত হবে না। ২৩ তুমি তোমার প্রতিজ্ঞা অবশ্যই পূরণ করবে। তুমি তোমার ঈশ্বর যিহোবার কাছে যে-অঙ্গীকার করেছ, সেটা তাঁর উদ্দেশে স্বেচ্ছায় দেওয়া বলি। তুমি অবশ্যই সেটা পূরণ করবে।
২৪ “তুমি তোমার প্রতিবেশীর আঙুরের খেত থেকে মন ভরে আঙুর খেতে পারো। কিন্তু, তুমি পাত্রে করে একটাও আঙুর নিয়ে যাবে না।
২৫ “তুমি যদি তোমার প্রতিবেশীর খেতে যাও, তা হলে তুমি পাকা শস্যের শীষ ছিঁড়ে খেতে পারো। কিন্তু, তুমি সেই শস্যে কাস্তে চালাবে না।