পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল
সংবাদ প্রতিবেদনগুলি অনুযায়ী, একটি শিশু প্রসব হওয়ার পর কিছু হাসপাতাল গর্ভফুল এবং নাভিসংলগ্ন নাড়ী রেখে দেয়, এর ভিতরের রক্ত থেকে কিছু জিনিস বের করে আনার জন্য। এই বিষয়টির কি একজন খ্রীষ্টানকে উদ্বিগ্ন করা উচিত?
বহু এলাকায়, এইধরনের কিছু ঘটে না, সুতরাং খ্রীষ্টানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি বিশ্বাস করার সুদৃঢ় যুক্তি থাকে যে এইধরনের কাজ সেই হাসপাতালে করা হয়ে থাকে যেখানে একজন খ্রীষ্টান প্রসব করবে, তবে চিকিৎসককে গর্ভফুল এবং নাভিসংলগ্ন নাড়ী অন্য কোন ক্ষেত্রেই ব্যবহার না করে, ফেলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ করা যথাযথ হবে।
চিকিৎসাগত বিভিন্ন উৎপাদিত বস্তু পশু অথবা মানুষের জৈবিক উৎসগুলি থেকে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, গর্ভবতী ঘোড়ার মূত্র থেকে নির্দিষ্ট কিছু হরমোন বের করা হয়েছে। ঘোড়ার রক্ত ধনুষ্টঙ্কার সিরামের এক উৎস হয়েছে এবং দীর্ঘ রোগ প্রতিরোধ করার জন্য গামা গ্লোবিউলিন্ মানুষের গর্ভফুলের রক্ত থেকে (জন্মের পরে) আহরণ করা হয়েছে। কিছু হাসপাতাল গর্ভফুল সংরক্ষিত এবং হিমায়িত করে রাখে এবং পরবর্তীকালে প্রস্তুতকারী গবেষণাগার তা সংগ্রহ করে যেন গামা গ্লোবিউলিন্ বের করার জন্য জীবাণু প্রতিরোধী পদার্থ সমৃদ্ধ রক্ত, প্রক্রিয়াজাত করা যেতে পারে।
আরও সম্প্রতি, গবেষকেরা এক প্রকার লিউকোমিয়ার চিকিৎসা করতে জন্মের পরে রক্ত ব্যবহার করার সফলতাকে দাবি করেছে, আর এটি ধারণা করা হয়েছে যে এইধরনের রক্ত সম্ভবত কিছু রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থার বিকলাবস্থার জন্য অথবা অস্থি মজ্জা প্রতি স্থাপনের পরিবর্তে উপযোগী হতে পারে। এইজন্য, সাধারণ্যে প্রচারিত হয়েছে যে কিছু পিতামাতা জন্মের পর রক্ত বের করে, হিমায়িত, এবং সংরক্ষিত করে রাখে এই সম্ভাবনার জন্য যে হয়ত পরবর্তী বছরগুলিতে তাদের সন্তানের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তা ব্যবহৃত হতে পারে।
গর্ভফুল রক্তের প্রতি এইধরনের ব্যবসায়িক মনোভাব সত্য খ্রীষ্টানদের খুব একটা প্ররোচিত করে না, যারা তাদের চিন্তাকে ঈশ্বরের সিদ্ধ ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত করে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা রক্তকে পবিত্র হিসাবে দেখেন যা, ঈশ্বর-প্রদত্ত জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে। রক্তের একমাত্র ব্যবহার তিনি বেদির উপরে বলিদানের ক্ষেত্রে অনুমোদন করেছিলেন। (লেবীয় ১৭:১০-১২; তুলনা করুন রোমীয় ৩:২৫; ৫:৮; ইফিষীয় ১:৭.) অন্যথায়, একটি প্রাণী থেকে বের করা রক্ত ভূমিতে ঢেলে, ফেলে দেওয়া হত।—লেবীয় পুস্তক ১৭:১৩; দ্বিতীয় বিবরণ ১২:১৫, ১৬.
যখন খ্রীষ্টানেরা পশু শিকার করে অথবা একটি গৃহপালিত মুরগীর বাচ্চা বা শূকর ছানা হত্যা করে, তারা এটির রক্ত বের করে তা ফেলে দেয়। আক্ষরিকভাবে তাদের তা ভূমিতে ঢেলে দিতে হয় না, কিন্তু বিষয়টি হল যে তারা রক্তকে অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করে বরঞ্চ নষ্ট করে দেয়।
খ্রীষ্টানেরা যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়, বোঝে যে তাদের মধ্যে থেকে বের করা জৈবিক উৎপাদিত বস্তুসমূহ, তা দেহের বর্জ্য পদার্থ, রোগাক্রান্ত কোষ, অথবা রক্ত যাই হোক না কেন ফেলে দিতে হবে। এটি স্বীকার্য, একজন ডাক্তার হয়ত প্রথমে কয়েকটি পরীক্ষা, যেমন মূত্রের বিশ্লেষণ, টিউমার কোষের প্যাথলোজিক্যাল পরীক্ষা, অথবা রক্তের পরীক্ষা করতে চাইতে পারেন। কিন্তু তারপর, উৎপাদিত স্থানীয় আইন অনুযায়ী ফেলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের রোগীর এই বিষয়ে কোন বিশেষ অনুরোধ করার খুব একটা প্রয়োজন নেই কারণ এটি উভয়ই, যুক্তিসঙ্গত এবং চিকিৎসাগত দিক থেকে বিচক্ষণতা যে এইরূপ জৈবিক উৎপাদিত বস্তুসমূহ ফেলে দেওয়া। যদি একজন রোগীর মনে এইধরনের সাধারণ অভ্যাস পালন সম্বন্ধে সন্দেহ করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে, তবে সেই পুরুষ অথবা মহিলার সাথে জড়িত চিকিৎসকদের তা জানাতে পারে, এই বলে যে ধর্মীয় কারণে সেই পুরুষ অথবা মহিলা চায় এইধরনের সমস্ত উৎপাদিত বস্তু যেন নষ্ট করে দেওয়া হয়।
যাইহোক, ইতিমধ্যেই যা উল্লেখ করা হয়েছে, এটি গড় সংখ্যক রোগীর জন্য কদাচিৎ উদ্বেগের বিষয়, কারণ অধিকাংশ স্থানে জন্মের পরের অথবা অন্যান্য জৈবিক উৎপাদিত বস্তুসমূহের এইধরনের সংরক্ষিত করা এবং পুনর্ব্যবহারের বিষয় এমনকি চিন্তাও করা হয় না, নিয়মিতভাবে অভ্যাস করা তো দূরের কথা।
জানুয়ারি ১, ১৯৯৭, “প্রহরীদুর্গ”-এ প্রকাশিত “আসুন আমরা দুষ্টতাকে ঘৃণা করি” নামক প্রবন্ধটি বালকগমনের উপর আলোকপাত করেছিল বলে মনে হয়েছিল। এই অভ্যাসটিকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়?
ওয়েবস্টারস্ নাইনথ্ কলেজিয়েট ডিকশনারী “বালকগমন”-কে “যৌন কামবিকৃতি, যেখানে শিশুরা পছন্দকৃত যৌনতার শিকার,” বলে সংজ্ঞায়িত করে।” এই অভ্যাসের দিকগুলিকে দ্বিতীয় বিবরণ ২৩:১৭, ১৮ পদে নিন্দা করা হয়। সেখানে ঈশ্বর মন্দিরের পুঙ্গামী হওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন (“অথবা, ‘কটামাইট,’ যৌন কামবিকৃতির উদ্দেশ্যে একটি বালককে রাখা,” পাদটীকা, NW)। এছাড়াও এই শাস্ত্রপদগুলি কাউকে “সদাপ্রভুর গৃহে” “কুকুরের” বেতন আনতে নিষিদ্ধ করেছিল (“সম্ভবত এক পায়ুসম্ভোগগামী; একজন যে পায়ুগত সম্পর্ক অভ্যাস করে, বিশেষ করে একটি বালকের সাথে,” পাদটীকা, NW)। এই শাস্ত্রীয় এবং জাগতিক উক্তিগুলি প্রমাণ দেয় যে প্রহরীদুর্গ যা আলোচনা করেছিল সেটি ছিল একজন প্রাপ্তবয়স্কের দ্বারা কোন এক শিশুর যৌন অপব্যবহারের শিকার হওয়া, যার অন্তর্ভুক্ত চটকাচটকি করা।