তার অধ্যবসায় পুরস্কৃত হয়েছিল
অনেক সৎহৃদয়ের ব্যক্তিরা চায় যেন তাদের প্রিয়জনরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে শেখে এবং এক সুখী জীবন লাভ করে। একজন ব্যক্তি যখন ঈশ্বরের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করেন তখন অন্যেরা, যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকলে হয়তো তাদের ভাল আচরণের মাধ্যমে তাকে সেই বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে থাকে। খেয়ারিম নামে মেক্সিকোর এক কিশোরীর বেলায়ও এমনটাই হয়েছিল, যে যিহোবার সাক্ষিদের এক বিশেষ অধিবেশন দিনে নিচের এই ছোট্ট চিঠিটা দিয়েছিল:
“আমি আমার আনন্দ ও সুখ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। এর কারণটা আমাকে বলতে দিন। আঠারো বছর আগে, যখন আমার জন্মও হয়নি, তখন আমার বাবামা সত্য শিখেছিলেন। মা উন্নতি করতে থাকেন এবং পরবর্তী সময়ে আমার ভাই এবং আমিও উন্নতি করি। আমরা একসঙ্গে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করতাম, যাতে আমাদের বাবাও জীবনের পথে আসে। আঠারো বছর পেরিয়ে গেছে এবং আজকে আমাদের জন্য এটা খুবই বিশেষ এক দিন। আমার বাবা বাপ্তিস্ম নিচ্ছেন। এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মুহূর্তের আগেই যিহোবা যে ধ্বংস নিয়ে আসেননি, এর জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। তোমাকে ধন্যবাদ, যিহোবা!”
বছরের পর বছর ধরে এই কিশোরী মেয়ের পরিবারের মনে নিশ্চিতভাবে সেই নীতিটা ছিল, যা ১ পিতর ৩:১, ২ পদের অনুপ্রাণিত পরামর্শের মধ্যে রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে: “হে ভার্য্যা সকল, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হও; যেন কেহ কেহ যদিও বাক্যের অবাধ্য হয়, তথাপি যখন তাহারা তোমাদের সভয় বিশুদ্ধ আচার ব্যবহার স্বচক্ষে দেখিতে পায়, তখন বাক্য বিহীনে আপন আপন ভার্য্যার আচার ব্যবহার দ্বারা তাহাদিগকে লাভ করা হয়।” আর অল্পবয়স্ক খেয়ারিম নিশ্চয়ই দ্বিতীয় বিবরণ ৫:১৬ পদের কথাগুলো কাজে লাগিয়েছিল: “তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও।” এইধরনের নীতিগুলো কাজে লাগানো এবং ধৈর্য ধরে যিহোবাতে প্রতীক্ষা করা নিঃসন্দেহে খেয়ারিম এবং তার পরিবারের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিল।