“অসমভাবে যোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না”
এখানে আপনি যেমন দেখতে পাচ্ছেন যে, একটা উট ও ষাঁড় একসঙ্গে হাল বইছে আর এগুলোকে দেখে কষ্ট পাচ্ছে বলে মনে হয়। দুটো পশু যে-জোয়ালে বাঁধা রয়েছে, যা একই আকার ও শক্তির দুটো পশুর জন্য তৈরি, তা উভয়কেই কষ্ট দিচ্ছে। এই ধরনের ভারবাহী পশুদের কথা চিন্তা করে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের বলেছিলেন: “বলদে ও গর্দ্দভে একত্র যুড়িয়া চাস করিবে না।” (দ্বিতীয় বিবরণ ২২:১০) একটা ষাঁড় ও উটের বেলায়ও একই নীতি প্রযোজ্য।
সাধারণত একজন কৃষক তার পশুদের এই ধরনের কষ্ট দেবে না। কিন্তু তার যদি দুটো ষাঁড় না থাকে, তা হলে তিনি হয়তো তার যে-দুটো পশু রয়েছে, সেই দুটোকে জোয়ালে বাঁধবে। স্পষ্টত, ছবিতে দেওয়া উনিশ শতাব্দীর কৃষক সম্ভবত এটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আকার ও ওজনে পার্থক্য থাকায় দুর্বল পশুকে একই গতিতে চলার জন্য কঠিন লড়াই করতে হতো এবং অধিকতর শক্তিশালী পশুকে বেশি ভার বহন করতে হতো।
প্রেরিত পৌল আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য অসম জোয়ালের দৃষ্টান্তকে ব্যবহার করেছিলেন। “তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে যোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না,” তিনি লিখেছিলেন। “কেননা ধর্ম্মে ও অধর্ম্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?” (২ করিন্থীয় ৬:১৪) কীভাবে একজন খ্রিস্টান অসম জোয়ালে বদ্ধ হতে পারেন?
একটা উপায়ে হতে পারে, যদি একজন খ্রিস্টান এমন এক বিবাহ সঙ্গী বেছে নেন, যিনি তার বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন। এই ধরনের বন্ধন দুপক্ষের জন্যই সমস্যার সৃষ্টি করবে, এমনকি দম্পতি মৌলিক বিষয়গুলোতেও দ্বিমত পোষণ করবে।
যিহোবা যখন বিবাহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন তিনি স্ত্রীকে “অনুরূপ [“পরিপূরক,” NW]” হওয়ার ভূমিকা দান করেছিলেন। (আদিপুস্তক ২:১৮) একইভাবে, ভাববাদী মালাখির মাধ্যমে ঈশ্বর একজন স্ত্রীকে “সখী” বলে উল্লেখ করেছিলেন। (মালাখি ২:১৪) আমাদের সৃষ্টিকর্তা চান যেন বিবাহিত দম্পতিরা একসঙ্গে একই আধ্যাত্মিক নির্দেশনা মেনে চলে, পরস্পরের ভার বহন করে এবং সমভাবে উপকারগুলো লাভ করে।
“কেবল প্রভুতেই” বিয়ে করে একজন খ্রিস্টান আমাদের স্বর্গীয় পিতার পরামর্শের প্রতি সম্মান দেখান। (১ করিন্থীয় ৭:৩৯) এটা এক একতাবদ্ধ বিবাহের ভিত্তি স্থাপন করে, যা ঈশ্বরের প্রশংসা ও সম্মান নিয়ে আসে যখন দুজন সঙ্গীই তাঁকে এক বিশেষ অর্থে “প্রকৃত সহযুগ্য” হিসেবে সেবা করে।—ফিলিপীয় ৪:৩.
[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
উট ও ষাঁড়: From the book La Tierra Santa, Volume ১, ১৮৩০