তৎপরতার মনোভাব বজায় রাখুন!
১ যিশু জানতেন যে, পৃথিবীতে তাঁর পিতার কাজ সম্পাদন করার জন্য তাঁর হাতে সীমিত সময় ছিল। (যোহন ৯:৪) তাই, তিনি তৎপরতার মনোভাব নিয়ে তাঁর পরিচর্যা চালিয়ে গিয়েছিলেন আর সেই একই কাজ করার জন্য তাঁর শিষ্যদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। (লূক ৪:৪২-৪৪; ৮:১; ১০:২-৪) গুরুত্বের দিক দিয়ে বস্তুগত আরাম-আয়েশ তাঁর কাছে মুখ্য বিষয় ছিল না। (মথি ৮:২০) ফলে, যিহোবা তাঁকে যে-কাজ করতে দিয়েছিলেন, তা তিনি সমাপ্ত করতে পেরেছিলেন।—যোহন ১৭:৪.
২ সীমিত সময়: “সমুদয় জগতে” সুসমাচার প্রচার করার সময়ও সীমিত। (মথি ২৪:১৪) বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করে যে, আমরা শেষকালের শেষ মুহূর্তে বাস করছি। শীঘ্রই “যাহারা ঈশ্বরকে জানে না ও যাহারা আমাদের প্রভু যীশুর সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় না, . . . তাহারা . . . অনন্তকালস্থায়ী বিনাশরূপ দণ্ড ভোগ করিবে।” (২ থিষল. ১:৬-৯) সেই বিচার লক্ষণীয়ভাবে হঠাৎ উপস্থিত হবে। (লূক ২১:৩৪, ৩৫; ১ থিষল. ৫:২, ৩) লোকেদের তাদের বিপদজনক পরিস্থিতি সম্বন্ধে সর্তক হতে হবে। তাই, সময় থাকতে থাকতেই তাদেরকে যিহোবার অনুগ্রহ পেতে সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।—সফ. ২:২, ৩.
৩ আমাদের যথাসাধ্য করা: “সময় সঙ্কুচিত” এ কথা উপলব্ধি করে, ঈশ্বরের দাসেরা প্রচার কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। (১ করি. ৭:২৯-৩১; মথি ৬:৩৩) কেউ কেউ পরিচর্যায় তাদের অংশ বৃদ্ধি করার জন্য আর্থিক সুযোগসুবিধা অথবা অন্যান্য ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলোকে বিসর্জন দিয়েছে। (মার্ক ১০:২৯, ৩০) অন্যেরা বিভিন্ন পরীক্ষা সহ্য করা সত্ত্বেও, ক্রমাগত ‘প্রভুর কার্য্যে উপচিয়া’ পড়ছে। (১ করি. ১৫:৫৮) অনেকে দশকের পর দশক ধরে অটলভাবে জনসাধারণ্যে সুসমাচার ঘোষণা করে চলেছে। (ইব্রীয় ১০:২৩) রাজ্যের কাজের সমর্থনে এই ধরনের ত্যাগস্বীকারকে যিহোবা খুবই মূল্য দেন।—ইব্রীয় ৬:১০.
৪ যিহোবার উপাসনার ওপর আমাদের জীবন কেন্দ্রীভূত করা, যার অন্তর্ভুক্ত হল প্রচার কাজ, আমাদেরকে যিহোবার দিনের আকাঙ্ক্ষায় থাকতে সাহায্য করে। এটা শয়তানের জগতের দ্বারা বিক্ষিপ্ত হওয়া থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে এবং পবিত্র আচারব্যবহার বজায় রাখার জন্য আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে। (২ পিতর ৩:১১-১৪) বাস্তবিকই, তৎপরতার মনোভাব নিয়ে আমাদের পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়া আমাদের নিজেদের এবং যারা আমাদের কথা শোনে, উভয়ের জন্যই জীবনরক্ষাকারী হতে পারে।—১ তীম. ৪:১৬.