আনন্দিত প্রশংসাকারী হিসাবে তারা সমবেত হয়েছিল
যিহোবার প্রাচীন লোকেরা উপাসনা করার জন্য যখন সমবেত হয়েছিল, তখন তাদের “সম্পূর্ণরূপে আনন্দিত” হতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৬:১৫) ১৯৯৫/৯৬ সালের “আনন্দিত প্রশংসাকারীগণ” জেলা সম্মেলনগুলি বাস্তবিকই যিহোবার সাক্ষীদের আনন্দিত হওয়ার জন্য উত্তম কারণ যুগিয়েছে।
এই ধারাবাহিক সম্মেলনগুলি শুরু হওয়ার পর থেকে তারা তাদের বিশ্বাসকে গড়ে তুলেছে। এছাড়া কিভাবে আনন্দহীন এক জগতে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় সেগুলি তাও দেখিয়েছিল। আসুন এক এক দিনের সম্মেলন বিবেচনা করে দেখি।
‘তোমরা যিহোবার প্রশংসা কর . . . আনন্দিত হও!’
সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচ্য বিষয়বস্তুটি গীতসংহিতা ১৪৯:১, ২ পদের উপর ভিত্তি করে ছিল। “আমাদের উচ্চস্বরে আনন্দ করার কারণ রয়েছে” বক্তৃতাটি যিশাইয় ৩৫ অধ্যায়ে ভবিষ্যদ্বাণীর প্রয়োগটি সম্বন্ধে পরীক্ষা করেছিল। এর এক পরিপূর্ণতা ঘটেছিল প্রাচীন ইস্রায়েলে ও বিশেষকরে আমাদের দিনে তা ঘটে আধ্যাত্মিক পরমদেশে যিহোবার উপাসকদের সমৃদ্ধি ও উন্নতিসহ পুনর্স্থাপনের মাধ্যমে। তাই, এক আধ্যাত্মিক পরমদেশে ও খুবই নিকটবর্তী পার্থিব পরমদেশে তাঁর লোকেদের জন্য ঈশ্বর যা উদ্দেশ্য করেছেন, তার জন্য সম্মেলনে যোগদানকারীদের উচ্চস্বরে আনন্দ করার কারণ ছিল।
“পৃথিবীব্যাপী আনন্দিত প্রশংসাকারীগণ হিসাবে পৃথক করে রাখা” নামক মুখ্য বক্তৃতাটি এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছিল: কী আমাদের এই জগৎ থেকে পৃথক করে রাখে? এটি হল আমাদের যিহোবার একতাবদ্ধ উপাসনা। এই জগতের যেখানেই বাস করুক না কেন যিহোবার সাক্ষীরা একই কথা বলে ও একই শিক্ষা দেয়। এছাড়া, তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে তাঁর পবিত্র নামকে পবিত্রকৃত ও তাঁর সার্বভৌমত্বকে প্রতিপাদন করতে যিহোবার মহান উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতেও তারা আনন্দ করে। কিন্তু, কিভাবে তাঁর উদ্দেশ্যে স্থান রাখতে যিহোবা আমাদের সাহায্য করেন? তিনি তাঁর পবিত্র বাক্যের সত্য আমাদের দিয়েছেন। ঈশ্বর আমাদের তাঁর পবিত্র আত্মা দিয়েছেন। তিনি আমাদের পৃথিবীব্যাপী এক ভ্রাতৃসমাজ দিয়ে ও বিশুদ্ধ উপাসনার এক আয়োজন করে আশীর্বাদ করেছেন। আনন্দ হৃদয়ে যিহোবার সেবা করতে আমাদের আন্তর্জাতিক পরিবার আমাদের সাহায্য করে।
“জগৎ থেকে পৃথক ও নিষ্কলঙ্ক থাকা” বক্তৃতাটি পক্ষপাতিত্ব ও শ্রেণী বিভাজনের ক্ষেত্রে দুর্নাম এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিল। (যাকোব ২:৫-৯) কিছুজন হয়ত শুধুমাত্র যারা একই পটভূমিকার অথবা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিক দিয়ে এক তাদের সাথে মেলামেশা করে আর যারা দরিদ্র অথবা যাদের পরিস্থিতি খারাপ সেই সব সহখ্রীষ্টানদের উপেক্ষা করে থাকে। আবার অন্যদের হয়ত প্রবণতা আছে, মণ্ডলীতে যাদের দায়িত্বপূর্ণ পদ রয়েছে তাদের খাতির করা। তারা ভুলে যায় যে যিহোবার সাক্ষী হওয়াই কোন এক ব্যক্তির জন্য মহান সুযোগ। তাই, আমাদের কলুষিত করতে এবং মণ্ডলীর শান্তি নষ্ট করতে জাগতিক প্রবণতাগুলিকে অবশ্যই আমরা প্রশ্রয় দেব না।—২ পিতর ৩:১৪.
“আমি কি বিবাহ করতে প্রস্তুত?” বক্তৃতাটি উল্লেখ করেছিল যে অনেকেই তাড়াতাড়ি করে বিবাহ করে। কেউ কেউ ঘরেতে কঠিন পরিস্থিতিকে এড়ানোর জন্য অথবা তাদের সাথীরা বিবাহ করছে এই কারণে বিবাহিত হয়। কিন্তু, বিবাহের জন্য যথার্থ কারণগুলির অন্তর্ভুক্ত হল ঐশিক লক্ষ্যগুলি, প্রকৃত ভালবাসা, সাহচর্য ও সুরক্ষা এবং সন্তান বড় করে তোলার পারস্পরিক ইচ্ছার অনুধাবন করা। বিবাহের জন্য প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজন। অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে নতুন ব্যক্তিত্ব পরিধান করার দ্বারা কাম্য গুণগুলি গড়ে তোলা প্রয়োজন। এটি নির্ণয় করাও বিজ্ঞের কাজ যে সম্ভাব্য সাথীটির যিহোবার সাথে প্রকৃত সম্পর্ক থাকার এবং অন্যদের সাথে সম্মানজনকভাবে আচরণের কোন প্রমাণ আছে কি না। পরিপক্ব খ্রীষ্টানদের কাছ থেকে পরামর্শের অন্বেষণ করাও হল বিজ্ঞের কাজ।—হিতোপদেশ ১১:১৪.
এরপরই “পিতামাতারা যারা তাদের সন্তানদের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পান” নামক জ্ঞানালোকিত আলোচনাটি হয়েছিল। শিশুর জন্মের সময়টি সাধারণত মহা আনন্দের সময়। কিন্তু, সন্তান ধারণ করা বিরাট দায়িত্বও নিয়ে আসে। (গীতসংহিতা ১২৭:৩) তাই, সন্তানকে যিহোবাকে ভালবাসতে শিক্ষা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিতভাবে তাদের সন্তানদের যিহোবার সম্বন্ধে কথা বলা এবং পরিবারে তাঁর বাক্যের নীতিগুলি প্রয়োগ করার দ্বারা পিতামাতারা তা করতে পারেন।
অবাক করে দিয়ে প্রথম দিনের সম্মেলনটি যেভাবে শেষ হয়েছিল—তা হল যিহোবার সাক্ষীবৃন্দ এবং শিক্ষা (ইংরাজি) নামক এই নতুন ব্রোশারটির প্রকাশ। এটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে যে সাক্ষীরা “তাদের অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েদের কঠোর পরিশ্রম করতে এবং স্কুলেতে তাদের যে কাজ দেওয়া হয় সেটিকে গুরুত্বের সাথে নিতে উৎসাহ দেয়।” এই প্রকাশনাটি যিহোবার সাক্ষীদের সাক্ষরতা দানের ক্লাসগুলির উল্লেখযোগ্য ফলগুলির কথাও ব্যাখ্যা করে যা বহু বছর যাবৎ নাইজিরিয়া, মেস্কিকো ও অন্যান্য দেশগুলিতে পরিচালিত হয়েছে। ব্রোশারটি শিক্ষকদের এটি বুঝতে সাহায্য করবে যে আমরা শিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখে থাকি।
‘ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিয়ত স্তব-বলি, . . . উৎসর্গ কর’
দ্বিতীয় দিনের আলোচ্য বিষয়বস্তুটি ইব্রীয় ১৩:১৫ পদের উপর ভিত্তি করে ছিল। সকালের কার্যক্রমটিতে উপস্থাপিত হয়েছিল এক সিম্পোজিয়াম বক্তৃতা “যিহোবার প্রশংসার ডাকে সাড়া দেওয়া” এর উপর। এই ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বয়স কোন প্রতিবন্ধক নয়। গীতসংহিতা ১৪৮:১২, ১৩ পদ যুবক, যুবতী, বৃদ্ধ এবং বালকদের যিহোবার প্রশংসা করতে উপদেশ দেয়। যিহোবার আনন্দিত দাসেদের অনেকেই প্রশংসা বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে। পৃথিবীব্যাপী ৬,০০,০০০ জনেরও বেশি পূর্ণ-সময়ের প্রচার কাজে অথবা অগ্রগামীর পরিচর্যায় অংশ নিয়ে থাকে। ১৫,০০০ জনের বেশি বিশেষ অগ্রগামীর কাজে এবং ১৫,০০০ জনের বেশি বেথেল পরিচর্যার কাজের সাথে যুক্ত।
“যিহোবার সংগঠনের সাথে বিশ্বস্তভাবে সেবা করা” নামক বক্তৃতাটি দেখিয়ে দিয়েছিল যে ঈশ্বরের দাসেদের জন্য বিশ্বস্ততা অত্যন্ত প্রয়োজন। যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকার অর্থ শক্তিশালী আঠার মত দৃঢ় ভক্তি সহকারে তাঁর প্রতি লেগে থাকা। অন্যেরা আমাদের দেখুক অথবা নাই দেখুক বিশ্বস্ততার অর্থ হল আমরা যেন ইচ্ছাকৃতভাবে বাইবেলের আদেশকে অমান্য করা এড়িয়ে চলি। এটি এও আশা করে যে আমরা যেন বিশ্বস্তভাবে বাইবেলের শিক্ষাগুলিকে তুলে ধরি যা প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকাগুলিতে ও সেই সাথে ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির দ্বারা সরবরাহিত আধ্যাত্মিক খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়। এরপর বাপ্তিস্মের বক্তৃতাটি দেওয়া হয়েছিল। যখন অবগাহন প্রার্থীরা যিহোবার উদ্দেশ্যে তাদের উৎসর্গীকরণকে ঘোষণা করে তখন তা কতই না আনন্দের ছিল!
হোশেয় ৪:১-৩ পদের কথাগুলি, অপরাহ্ণের বক্তৃতা “সদ্গুণ অথবা অবগুণ—কোন্টিকে আপনি অনুধাবন করেন?” এর জন্য আদর্শ স্থাপন করে। যদিও জগতের দৃষ্টিতে সদ্গুণের অবনতি হয়েছে, তবুও খ্রীষ্টানেরা নৈতিক উৎকর্ষের অনুধাবন করতে অবশ্যই “সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ” করবে। (২ পিতর ১:৫) কিভাবে একজন ব্যক্তি চিন্তা করে তা দিয়েই এটি শুরু হয়। যদি তার চিন্তাধারা সদ্গুণ সম্পন্ন হয়, তাহলে সে উত্তম, উপকারজনক ও গঠনমূলক কথাবার্তা বলবে এবং অন্যদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সৎ হতে চেষ্টা করবে। এছাড়া সদ্গুণ অনুধাবন করার অন্তর্ভুক্ত সহখ্রীষ্টানদের প্রতি বোধগম্য ও করুণাময় হতে চেষ্টা করা যারা দুর্দশা অথবা বিষণ্ণতায় ভুগছে।—১ থিষলনীকীয় ৫:১৪.
আরেকটি বক্তৃতা, “দিয়াবলের ফাঁদগুলি থেকে সতর্ক থাকুন” খ্রীষ্টানদের মন্দ দূতেদের অধীনে নিজেদের উন্মোচন করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছিল। অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োগকৌশল যেমন, হিপনোটিজম্, মায়াবিদ্যার আস্বাদ সম্বন্ধে খ্রীষ্টানদের সাবধান থাকার প্রয়োজন। অন্যথায়, শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে প্রত্যেকে কী করবে তা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
আনন্দের সাথে অবাক করে দিয়ে দ্বিতীয় দিনটি যেভাবে শেষ হয়েছিল—তা হল সহৃদয় ব্যক্তিদের উৎসর্গীকরণ এবং বাপ্তিস্মের জন্য তাড়াতাড়ি করে উন্নতিতে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত করা এক পকেট-সাইজ প্রকাশনের প্রকাশ। নতুন এই ১৯২-পৃষ্ঠার বইটির নামকরণ ছিল জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে। এই জ্ঞান বইটি এক গঠনমূলক উপায়ে সত্যকে তুলে ধরে। এটি মিথ্যা মতবাদগুলিকে ভুল প্রমাণিত করার বিষয়ের উপর আলোচনা করে না। ভাষার স্পষ্টতা ও যুক্তিযুক্ততা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করার জন্য এই বইটিকে ব্যবহার করতে সহজ করবে ও লোকেদের ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানকে বুঝতে সাহায্য করবে।
“তোমরা তাহাতে চিরকাল আমোদ ও উল্লাস কর”
যিশাইয় ৬৫:১৮ পদের কথাগুলি ছিল সম্মেলনের তৃতীয় দিনের বিষয়বস্তু। বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা ইঙ্গিত করে ১৯১৪ সালের প্রতি, যখন এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা তার শেষ কালে প্রবেশ করে। যেহেতু, সিম্পোজিয়াম বক্তৃতাগুলির শিরোনাম ছিল “এই ব্যবস্থার শেষে আনন্দিত প্রশংসাকারীগণ,” তাই শ্রোতারা তাতে গভীর মনোযোগ দিয়েছিল। বক্তারা দেখিয়েছিলেন কিভাবে শত শত কোটি মানুষেরা এই জগতের লোভী ও দৌরাত্ম্যমূলক মনোভাব দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়েছে। উপযুক্ত সময়ে, তারা সেই জগতের অংশ রূপে বিচারিত হবে, যে জগতের শাসক হল শয়তান। তাই, এখনই হল মনোনয়ন করার সময়। কোন্ পক্ষে আমরা থাকতে চাইব? আমরা কি যিহোবার উপাসনা করতে ও তাঁর সার্বভৌমত্বকে তুলে ধরতে চাইব, অথবা যে কাজগুলি শয়তানকে খুশি করে তা করার দ্বারা আমরা তাকে আমাদের শাসক হতে দেব? আমাদের সকলের যিহোবার পক্ষে সুনির্দিষ্টভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
“অনন্তকালীন রাজার প্রশংসা করুন!” জনসাধারণের জন্য এই বক্তৃতাটি সভায় উপস্থিত সকলকে চিন্তা করার জন্য এক কঠিন খাদ্য প্রদান করেছিল। যদিও নশ্বর মনুষ্যের পক্ষে অনন্তকালীন কথাটির ধারণা বোধগম্যের বাইরে বলে মনে হয়, কিন্তু যিহোবা সম্পূর্ণরূপে তা বোঝেন। “সদাপ্রভু অনন্তকালীন রাজা,” গীতরচক গেয়েছিলেন। (গীতসংহিতা ১০:১৬) এই অনন্তকালীন রাজা তাঁর পুত্র, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে মানবজাতিকে অনন্ত জীবন উপভোগ করার পথ খুলে দিয়েছেন। (যোহন ১৭:৩) “হ্যাঁ, আমরা পাপপূর্ণ মানুষেরা ঐশিক শিক্ষা ও যীশুর মুক্তির মূল্যে বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারা হয়ত অনন্ত জীবন লাভ করতে পারব” বক্তা বলেছিলেন।
সম্মেলনের সমাপ্তি যতই এগিয়ে আসে, যারা উপস্থিত ছিল তারা “আনন্দের সাথে প্রতিদিন যিহোবার প্রশংসা করা” নামক শেষ বক্তৃতাটির দ্বারা আধ্যাত্মিক বিষয়ে দৃঢ়তর হয়। সারা জগতে শিষ্য-করণের কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট পাওয়া খুবই উৎসাহজনক বিষয় ছিল। সম্মেলনে যোগদানকারীরা ‘প্রতিদিন যিহোবার ধন্যবাদ করতে এবং চিরকাল তাঁর নামের প্রশংসা করতে’ প্ররোচিত হয়েছিল।—গীতসংহিতা ১৪৫:২.
বর্ণনাতীত অমানুষিক কাজগুলি জগতের আনন্দকে হরণ করে। তবুও, যিহোবার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে প্রত্যেকে ঈশ্বরীয় আনন্দের অধিকারী হতে পারে। পৃথিবীব্যাপী ভ্রাতৃসমাজ রূপে যিহোবার সাক্ষীরা তাই গীতসংহিতা ৩৫:২৭, ২৮ পদের নিম্নোক্ত কথাগুলি পুনরাবৃত্তি করতে পারে: “যাহারা আমার ধার্ম্মিকতায় প্রীত, তাহারা আনন্দধ্বনি করুক, আহ্লাদিত হউক, নিত্য নিত্য বলুক, সদাপ্রভু মহিমান্বিত হউন, যিনি নিজ দাসের কুশলে প্রীত। আর আমার জিহ্বা তোমার ধর্ম্মশীলতার, ও সমস্ত দিন তোমার প্রশংসার কথা কহিবে।”
[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
“যিহোবার সাক্ষীবৃন্দ এবং শিক্ষা” নামক ব্রোশারটি থেকে পরিবারগুলি উপকৃত হবে
[৮, ৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
“জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে” নামক নতুন বইটি এক গঠনমূলক উপায়ে বাইবেলের সত্যগুলিকে তুলে ধরে
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
অনেকেই যিহোবার কাছে তাদের উৎসর্গের প্রতীক হিসাবে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিল
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
সম্মেলনে যোগদানকারীরা “যোগ্য বৃদ্ধ ব্যক্তিদের সম্মান করা” এই নাটকটির দ্বারা গভীরভাবে অভিভূত হয়েছিল