প্রাথমিক খ্রীষ্টতত্ত্ব এবং রাষ্ট্র
তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে, যীশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “তোমরা ত জগতের নহ, বরং আমি তোমাদিগকে জগতের মধ্য হইতে মনোনীত করিয়াছি, এই জন্য জগৎ তোমাদিগকে দ্বেষ করে।” (যোহন ১৫:১৯) তাহলে, এর অর্থ কি এই যে খ্রীষ্টানেরা এই জগতের কর্তৃপক্ষদের প্রতি বিরোধী মনোভাব পোষণ করবে?
জগতের নয়, কিন্তু তাই বলে বিরোধী নয়
রোমে বসবাসকারী খ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “প্রত্যেক প্রাণী প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্ত্তৃপক্ষদের বশীভূত হউক।” (রোমীয় ১৩:১) একইভাবে, প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “তোমরা প্রভুর নিমিত্ত মানব-সৃষ্ট সমস্ত নিয়োগের বশীভূত হও, রাজার বশীভূত হও, তিনি প্রধান; দেশাধ্যক্ষদের বশীভূত হও, তাঁহারা দুরাচারদের প্রতিফল দিবার নিমিত্ত ও সদাচারদের প্রশংসার নিমিত্ত তাঁহার দ্বারা প্রেরিত।” (রোমীয় ২:১৩, ১৪) প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের মধ্যে রাষ্ট্র এবং উপযুক্তরূপে নির্বাচিত তার প্রতিনিধিদের প্রতি বশ্যতা দেখানো স্পষ্টরূপে এক গ্রহণীয় নীতি ছিল। তারা আইন-মান্যকারী নাগরিক হতে এবং সকল মানুষের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে প্রচেষ্টা করেছিল।—রোমীয় ১২:১৮.
“গির্জা এবং রাষ্ট্র” নামক প্রসঙ্গের নিচে, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজ্ন্ ঘোষণা করে: “খ্রীষ্টাব্দের প্রথম তিনটি শতাব্দীতে খ্রীষ্টীয় গির্জা রোমীয় আধিকারিকদের সমাজ থেকে ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল . . . তৎসত্ত্বেও, খ্রীষ্টীয় নেতারা . . . খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস দ্বারা স্থাপিত সীমার মধ্যে রোমীয় আইনকে মান্য করতে এবং সম্রাটদের অনুগত হতে শিক্ষা দিয়েছিল।”
সম্মান, কিন্তু উপাসনা নয়
খ্রীষ্টানেরা রোমীয় সম্রাটের বিরোধী ছিল না। তারা তার কর্তৃত্বকে সম্মান করেছিল এবং তাকে সম্মান করেছিল যা তার স্থান অনুসারে প্রাপ্য ছিল। সম্রাট নিরোর শাসনকালে, রোমীয় সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বসবাসকারী খ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “সকলকে সমাদর কর, . . . রাজাকে সমাদর কর।” (১ পিতর ২:১৭) গ্রীক-ভাষী জগতে শুধুমাত্র স্থানীয় রাজাদের ক্ষেত্রে “রাজা” কথাটি ব্যবহৃত হত না, কিন্তু রোমীয় সম্রাটের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হত। রোমীয় সাম্রাজ্যের রাজধানীতে বসবাসকারী খ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “যাহার যাহা প্রাপ্য, তাহাকে তাহা দেও। . . . যাঁহাকে সমাদর করিতে হয়, সমাদর কর।” (রোমীয় ১৩:৭) রোমীয় সম্রাট ছিলেন সবচেয়ে বেশি সম্মানের যোগ্য। কালক্রমে, এমনকি তাকে উপাসনা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, এখানেই প্রাথমিক খ্রীষ্টানেরা সীমা নির্ধারণ করেছিল।
সা.শ. দ্বিতীয় শতাব্দীতে রোমের প্রাদেশিক শাসকের সামনে তার পরীক্ষার সময়ে, রিপোর্ট করা হয় যে পলিকার্প ঘোষণা করেছিলেন: “আমি একজন খ্রীষ্টান। . . . আমাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে সকল প্রাপ্য সম্মান দিতে . . . শাসক ও কর্তৃপক্ষদের প্রতি যেটি ঈশ্বরের দ্বারা নিয়োজিত।” পলিকার্প কিন্তু সম্রাটকে উপাসনা করার চাইতে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রেরিত আন্তিয়খিয়ার থিওফিলাস লিখেছিলেন: “আমি বরঞ্চ সম্রাটকে সম্মান করব, অবশ্যই তাকে উপাসনা করব না, কিন্তু তার জন্য প্রার্থনা করব। কিন্তু, যে ঈশ্বর জীবন্ত ও সত্য, আমি সেই ঈশ্বরের উপাসনা করব।”
সম্রাটের জন্য যথার্থ প্রার্থনা করা একেবারেই তাকে উপাসনা করা কিংবা জাতীয়তাবাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল না। প্রেরিত পৌল তাদের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছিলেন: “আমার সর্ব্বপ্রথম নিবেদন এই, যেন সকল মনুষ্যের নিমিত্ত, বিনতি, প্রার্থনা, অনুরোধ, ধন্যবাদ করা হয়; [বিশেষতঃ] রাজাদের ও উচ্চপদস্থ সকলের নিমিত্ত; যেন আমরা সম্পূর্ণ ভক্তিতে ও ধীরতায় নিরুদ্বেগ ও প্রশান্ত জীবন যাপন করিতে পারি।”—১ তীমথিয় ২:১, ২.
“সমাজের প্রান্তে”
প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের এই সম্মানপূর্বক আচরণ জগতের যেখানে তারা বসবাস করত, সেখানে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে আনেনি। ফরাসী ইতিহাসবেত্তা এ. আমান বর্ণনা করেন যে প্রাথমিক খ্রীষ্টানেরা “সমাজের প্রান্তে বাস করত।” তারা আসলে দুটি সমাজের প্রান্তে বসবাস করত, যিহূদী ও রোমীয় আর উভয়ের থেকেই কুসংস্কার ও বিভ্রান্তির সম্মুখীন হত।
উদাহরণস্বরূপ, যখন তিনি যিহূদী নেতাদের দ্বারা মিথ্যাভাবে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তখন প্রেরিত পৌল রোমীয় শাসকের সামনে নিজের সপক্ষে বলেছিলেন: “যিহূদীদের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, ধর্ম্মধামের বিরুদ্ধে, কিম্বা কৈসরের বিরুদ্ধে আমি কোন অপরাধ করি নাই। . . . আমি কৈসরের নিকটে আপিল করি!” (প্রেরিত ২৫:৮, ১১) যিহূদীরা তাকে হত্যা করার চক্রান্ত করছে জেনে পৌল নিরোর কাছে আপিল করেছিলেন, এইভাবে রোমীয় সম্রাটের কর্তৃত্বকে স্বীকার করেছিলেন। পরবর্তীকালে, রোমে তার প্রথম বিচারের সময়ে দেখা যায়, পৌলকে নিরপরাধ বলে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি আবার কারারুদ্ধ হন এবং রীতি অনুসারে নিরোর আদেশে তিনি হত হয়েছিলেন।
রোমীয় সমাজে প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের পরিস্থিতির বিষয়ে সমাজবিদ্ এবং ঈশ্বরতত্ত্ববিদ্ আর্নস্ট ট্রোইল্টচ লিখেছিলেন: “সকল কাজ ও অনুধাবনগুলিকে যেগুলি মূর্তিপূজার সাথে অথবা সম্রাটকে উপাসনা করার সাথে কিংবা যারা রক্তপাতের দোষে দোষী ছিল বা যেগুলি খ্রীষ্টানদের পরজাতীয় অনৈতিকতার সান্নিধ্যে নিয়ে আসবে সেগুলিকে নিষেধ করা হয়েছিল।” এই স্থানটি কি খ্রীষ্টান ও রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সম্মানপূর্বক সম্পর্ক রাখার জন্য কোন স্থান দেয়নি?
“যাহা যাহা” কৈসরের তা তাকে দেওয়া
রোমীয় রাষ্ট্রের প্রতি অথবা অন্য যে কোন সরকারের প্রতি খ্রীষ্টীয় আচরণকে পরিচালিত করা সম্বন্ধে যীশু একটি সংজ্ঞা প্রদান করেছিলেন, যখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন: “কৈসরের যাহা যাহা, কৈসরকে দেও, আর ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে দেও।” (মথি ২২:২১) যীশুর অনুগামীদের প্রতি এই উপদেশ অনেক জাতীয়তাবাদী যিহূদীদের আচরণের সাথে বৈসাদৃশ্য ছিল, যারা রোমীয় শাসনকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল এবং বিদেশী ক্ষমতাকে কর প্রদানের আইনের প্রতি আপত্তি জানিয়েছিল।
পরে, রোমে বসবাসকারী খ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে পৌল বলেছিলেন: “অতএব কেবল ক্রোধের ভয়ে নয়, কিন্তু সংবেদেরও নিমিত্ত বশীভূত হওয়া আবশ্যক। কারণ এই জন্য তোমরা রাজকরও দিয়া থাক; কেননা তাঁহারা [সরকারি “প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ”] ঈশ্বরের সেবাকারী, সেই কার্য্যে নিবিষ্ট রহিয়াছেন। যাহার যাহা প্রাপ্য, তাহাকে তাহা দেও। যাঁহাকে কর দিতে হয়, কর দেও; যাঁহাকে শুল্ক দিতে হয়, শুল্ক দেও।” (রোমীয় ১৩:৫-৭) যদিও খ্রীষ্টানেরা জগতের কোন অংশ নয়, তবুও তারা সৎ হতে, কর-প্রদানকারী নাগরিক হতে, সুযোগসুবিধার জন্য রাষ্ট্রকে যা প্রাপ্য তা প্রদান করতে দায়বদ্ধ।—যোহন ১৭:১৬.
কিন্তু যীশুর কথাগুলি কি কর প্রদান করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল? যেহেতু যীশু সঠিকভাবে কোন্ জিনিসগুলি কৈসরের এবং কোন্গুলি ঈশ্বরের তার সংজ্ঞা দেননি, তাই যেখানে অনিশ্চিত বিষয়গুলি রয়েছে যা অবশ্যই প্রসঙ্গ অনুসারে অথবা সম্পূর্ণ বাইবেলের প্রতি আমাদের বোধগম্যতা অনুসারে নির্ধারিত হবে। আর এক কথায়, কোন্ জিনিসগুলি একজন খ্রীষ্টান কৈসরকে প্রদান করতে পারে তা কখনও কখনও খ্রীষ্টানের সংবেদকে জড়িত করে, যেমন বাইবেলের নীতিগুলির মাধ্যমে তা আলোকপাত করা হয়েছে।
দুই প্রতিযোগী দাবির মধ্যে সতর্কমূলক ভারসাম্য
কৈসরের যা তা তাকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত কথাটি বলার পর যীশু আরও যা বলেছিলেন তা বহু লোকেই ভুলে যায়: “আর ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে [প্রদান কর] দেও।” প্রেরিত পিতর দেখিয়েছিলেন খ্রীষ্টানদের জন্য কোথায় অগ্রগণ্যতা শায়িত রয়েছে। ‘রাজার’ অথবা সম্রাটের এবং তার “শাসকদের” বশীভূত হওয়ার উপদেশ দেওয়ার পরই পিতর লিখেছিলেন: “আপনাদিগকে স্বাধীন জান; আর স্বাধীনতাকে দুষ্টতার আবরণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে ঈশ্বরের দাস জান। সকলকে সমাদর কর, ভ্রাতৃসমাজকে প্রেম কর, ঈশ্বরকে ভয় কর, রাজাকে সমাদর কর।” (১ পিতর ২:১৬, ১৭) প্রেরিত দেখিয়েছিলেন যে খ্রীষ্টানেরা হল ঈশ্বরের দাস, কোন মনুষ্য শাসকদের নয়। রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের প্রতি যদিও তাদের উপযুক্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখানো উচিত, তবুও তারা তা করবে ঈশ্বরের ভয়ে, যাঁর আইনগুলি হল উৎকৃষ্ট।
কয়েক বছর আগে পিতর এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছিলেন যে মানুষের আইনের উর্দ্ধে ঈশ্বরের আইনই শ্রেষ্ঠ। যিহূদী মহাসভা ছিল একটি প্রশাসক গোষ্ঠী যার উপর রোমীয়রা সরকারি এবং ধর্মীয় উভয়ই কর্তৃত্ব অনুমোদন করেছিল। যখন এটি যীশুর অনুগামীদের খ্রীষ্ট বিষয়ক শিক্ষা দিতে নিষেধ করেছিল, তখন পিতর এবং অন্যান্য প্রেরিতেরা সম্মানের সাথে অথচ দৃঢ়ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন: “মনুষ্যদের অপেক্ষা বরং ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করিতে হইবে।” (প্রেরিত ৫:২৯) স্পষ্টতই, প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের ঈশ্বরের প্রতি বাধ্যতা এবং মনুষ্য কর্তৃপক্ষদের প্রতি সঠিক বশ্যতা দেখানোর মধ্যে সতর্কমূলক ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছিল। সা.শ. তৃতীয় শতাব্দীর প্রথম দিকে টারটুলিয়ান এটিকে এইভাবে প্রয়োগ করেন: “যদি সমস্ত কিছুই কৈসরের, তাহলে ঈশ্বরের জন্য কী অবশিষ্ট থাকবে?”
রাষ্ট্রের সাথে আপোশ
সময় যত অতিবাহিত হতে থাকে, রাষ্ট্রের প্রতি সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রথম-শতাব্দীর খ্রীষ্টানদের দ্বারা গৃহীত স্থানটি ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে পড়ে। যীশু এবং প্রেরিতদের দ্বারা যে ধর্মভ্রষ্টতা সম্বন্ধে ভাববাণী করা হয়েছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীতে তা প্রসারিত হতে থাকে। (মথি ১৩:৩৭, ৩৮; প্রেরিত ২০:২৯, ৩০; ২ থিষলনীকীয় ২:৩-১২; ২ পিতর ২:১-৩) ধর্মভ্রষ্ট খ্রীষ্টতত্ত্ব রোমীয়দের সাথে আপোশ করে এবং এর পরজাতীয় উৎসবগুলি ও দর্শনবাদকে গ্রহণ করে এবং কেবলমাত্র সরকারি কাজই নয়, কিন্তু সামরিক কাজও গ্রহণ করে।
অধ্যাপক ট্রোইল্টচ লিখেছিলেন: “তৃতীয় শতাব্দীর পর থেকে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে, যেহেতু খ্রীষ্টানেরা সমাজের উচ্চ-পদ ও উচ্চ-পেশায়, যেমন সেনা এবং সরকারি কার্য ক্ষেত্রে ব্যাপৃত হয়ে পড়ে। খ্রীষ্টীয় লেখাগুলির [বাইবেল সংক্রান্ত নয়] কয়েকটি অংশে এই বিষয়গুলির বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা দেখা যায়; কিন্তু অন্যদিকে, আমরা আপোশ করার প্রচেষ্টাও দেখতে পাই—তর্কবিতর্কগুলি প্রস্তুত করা হয়েছিল অস্থির সংবেদকে সুস্থির করতে . . . কনস্টানটাইনের সময় থেকে এই সমস্যাগুলি দূরীভূত হয়; খ্রীষ্টান এবং পরজাতীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ থেমে যায় এবং রাষ্ট্রের সমস্ত পদগুলি নামধারী খ্রীষ্টানদের জন্য প্রাপ্তিসাধ্য করা হয়।”
সা.শ. চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে, খ্রীষ্টতত্ত্বের এই বিকৃত আপোশমূলক প্রক্রিয়া রোমীয় সাম্রাজ্যের রাষ্ট্র ধর্ম হয়ে পড়ে।
এর সমগ্র ইতিহাসে, খ্রীষ্টীয়জগৎ—ক্যাথলিক, অর্থোডক্স এবং প্রটেস্টান্ট গির্জাগুলি দ্বারা প্রতিনিধিত্ব—ক্রমাগতভাবে রাষ্ট্রের সাথে আপোশ করেছে এবং ঘনিষ্ঠভাবে এর রাজনৈতিক বিষয়গুলিতে জড়িত হয়েছে ও এর যুদ্ধগুলিকে সমর্থন করেছে। বহু সহৃদয়সম্পন্ন গির্জার সদস্য যারা এর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তারা নিঃসন্দেহে খুশি হবে এই জেনে যে আজকের দিনেও খ্রীষ্টানেরা আছে যারা রাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রথম-শতাব্দীর খ্রীষ্টানদের স্থান ধরে রাখে। পরবর্তী দুটি প্রবন্ধ এই বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবে।
[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
কৈসর নিরো যার উদ্দেশ্যে পিতর লিখেছিলেন: “রাজাকে সমাদর কর”
[সজন্যে]
Musei Capitolini, Roma
[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
পলিকার্প সম্রাটকে উপাসনা করার চাইতে বরঞ্চ মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন
[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
প্রাথমিক খ্রীষ্টানেরা শান্তিপ্রিয়, সৎ, কর প্রদানকারী নাগরিক ছিলেন