এক গুপ্ত বিষয় যা খ্রীষ্টানেরা লুকিয়ে রাখতে সাহসী হয় না!
“আমি স্পষ্টরূপে জগতের কাছে কথা কহিয়াছি; . . . গোপনে কিছু কহি নাই।”—যোহন ১৮:২০.
১, ২. যেমন শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়েছে, গ্রীক শব্দ মিসটেরিয়ন এর তাৎপর্য কী?
গ্রীক শব্দ মিসটেরিয়ন পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরাজি)-এ ২৫ বার “পবিত্র গুপ্ত বিষয়” ও ৩ বার “রহস্য” হিসাবে অনুবাদিত হয়েছে। বাস্তবিকই একটি গুপ্ত বিষয়, যখন সেটিকে পবিত্র বলে অভিহিত করা হয় তখন অবশ্যই তা গুরুত্বপূর্ণ হবে! যে কেউ এই গুপ্ত বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করার জন্য সুযোগপ্রাপ্ত, তার উচিত এটিকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা, যেহেতু তিনি মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ ঈশ্বরের সাথে গুপ্ত বিষয়টি ভাগ করে নেওয়ার জন্য যোগ্যরূপে বিবেচিত হয়েছেন।
২ ভাইনের পুরাতন ও নতুন নিয়মের বাক্যগুলির বর্ণনামূলক অভিধান (ইংরাজি) নিশ্চিত করে যে অধিকাংশ ক্ষেত্রগুলিতে, “রহস্য” এই শব্দের চেয়ে “পবিত্র গুপ্ত বিষয়” অনেক বেশি উপযুক্ত অনুবাদ। মিসটেরিয়ন সম্বন্ধে এটি বলে: “[খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রে] এটি (যেমন ইং[রাজি] শব্দের অর্থ অনুযায়ী) রহস্যজনক এই অর্থকে নির্দেশ করে না, কিন্তু এটি হচ্ছে সহায়তাহীন স্বাভাবিক চেতনার সীমার বাইরের এক বিষয় যা কেবলমাত্র ঐশিক প্রকাশের দ্বারা জানা যেতে পারে এবং কেবলমাত্র ঈশ্বরের নিরূপিত পদ্ধতি ও সময়েই তা জানা যায় ও তা কেবলমাত্র তাদের জন্যই যারা তাঁর আত্মা দ্বারা আলোকপ্রাপ্ত। সাধারণ অর্থে রহস্য অবরুদ্ধ জ্ঞানকে ইঙ্গিত করে; এর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য হল সত্য প্রকাশিত। সুতরাং ‘জ্ঞাত হওয়া,’ ‘প্রদর্শিত হওয়া,’ ‘প্রকাশিত হওয়া,’ ‘প্রচারিত হওয়া,’ ‘বোঝা,’ ‘বন্টন করা’ এই পরিভাষাগুলি বিশেষভাবে এই বিষয়টির সাথে সংযুক্ত।”
৩. প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী কিভাবে কিছু নির্দিষ্ট রহস্যজনক ধর্মীয় দলগুলি থেকে পৃথক ছিল?
৩ এই ব্যাখ্যাটি রহস্যজনক ধর্মীয় দলগুলি যা প্রথম শতাব্দীতে বিস্তারলাভ করেছিল সেগুলি এবং নবগঠিত খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর মধ্যে এক বৃহৎ পার্থক্যের প্রতি আলোকপাত করে। যেখানে এই গুপ্ত ধর্মবিশ্বাস প্রবর্তকেরা প্রায়ই ধর্মীয় শিক্ষাকে রক্ষা করার জন্য নিরবতার এক অঙ্গীকারে আবদ্ধ থাকে, সেখানে খ্রীষ্টানদের কখনও এইধরনের সীমাবদ্ধতার অধীনে রাখা হয়নি। এটি সত্য যে প্রেরিত পৌল “নিগূঢ়তত্ত্বরূপে ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের” বিষয়ে বলেছিলেন, এটিকে “গুপ্ত জ্ঞান” বলে অভিহিত করে, যেটি “এই যুগের শাসনকর্ত্তাদের” কাছে গুপ্ত। এটি খ্রীষ্টানদের জন্য গুপ্ত নয় যাদের কাছে এটি পবিত্র আত্মার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল যাতে করে তারা এটিকে জনসাধারণের করে তুলতে পারে।—১ করিন্থীয় ২:৭-১২; তুলনা করুন হিতোপদেশ ১:২০.
“নিগূঢ়তত্ত্ব” শনাক্তিকৃত হয়েছিল
৪. “নিগূঢ়তত্ত্ব” কার উপর কেন্দ্রীভূত এবং কিভাবে?
৪ যিহোবার “নিগূঢ়তত্ত্ব” যীশু খ্রীষ্টেতে কেন্দ্রীভূত। পৌল লিখেছিলেন: “[যিহোবা] আমাদিগকে আপন ইচ্ছার নিগূঢ়তত্ত্ব জ্ঞাত করিয়াছেন, তাঁহার সেই হিতসঙ্কল্প অনুসারে যাহা তিনি কালের পূর্ণতার বিধান লক্ষ্য করিয়া তাঁহাতে পূর্ব্বে সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। তাহা এই, স্বর্গস্থ ও পৃথিবীস্থ সমস্তই খ্রীষ্টেই সংগ্রহ করা যাইবে, তাঁহাতেই করা যাইবে।” (ইফিষীয় ১:৯, ১০, ১১) পৌল এমনকি এই “নিগূঢ়তত্ত্ব” এর প্রকৃতি সম্বন্ধে আরও বেশি নির্দিষ্ট ছিলেন, যখন তিনি ‘ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব অর্থাৎ খ্রীষ্টকে জানার’ প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে নির্দেশ করেছিলেন।—কলসীয় ২:২.
৫. “নিগূঢ়তত্ত্ব” এর সাথে কী জড়িত আছে?
৫ কিন্তু, আরও বেশি কিছু জড়িত আছে, কারণ “নিগূঢ়তত্ত্ব” বিভিন্ন দিক ব্যাপৃত একটি গুপ্ত বিষয়। এটি কেবলমাত্র প্রতিজ্ঞাত বংশ অথবা মশীহ হিসাবে যীশুর শনাক্তিকরণ নয়; এটি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যে ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন তাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এটি একটি স্বর্গীয় সরকার, ঈশ্বরের মশীহ রাজ্যকে অন্তর্গত করে, যেমন যীশু পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন যখন তিনি তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “স্বর্গ-রাজ্যের নিগূঢ় তত্ত্ব সকল তোমাদিগকে জানিতে দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু তাহাদিগকে দেওয়া হয় নাই।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—মথি ১৩:১১.
৬. (ক) কেন এটি বলা সঠিক যে “নিগূঢ়তত্ত্ব” “অনাদি কাল অবধি অকথিত” ছিল? (খ) কিভাবে এটি ক্রমাগ্রসরভাবে প্রকাশিত হয়েছিল?
৬ মশীহ রাজ্যের জন্য এক ভিত্তি সরবরাহ করা সম্বন্ধীয় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের প্রথম উল্লেখ এবং “নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত” করার মধ্যে এক দীর্ঘ সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার ছিল। (প্রকাশিত বাক্য ১০:৭; আদিপুস্তক ৩:১৫) এটির শেষ নিয়ে আসা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে ঘটার ছিল যেমন প্রকাশিত বাক্য ১০:৭ এবং ১১:১৫ পদের তুলনা তা প্রমাণ করে। বস্তুতপক্ষে, এদনে প্রথম রাজ্য সম্বন্ধীয় প্রতিজ্ঞা করা থেকে সা.শ. ২৯ সালে মনোনীত রাজার আবির্ভাব হওয়ার মধ্যে প্রায় ৪,০০০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও আরও ১,৮৮৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছিল ১৯১৪ সালে স্বর্গে রাজ্য স্থাপিত হওয়ার আগে। এইভাবে “নিগূঢ়তত্ত্ব” প্রায় ৬,০০০ বছর সময়কাল ব্যাপী ক্রমাগ্রসরভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। (১৬ পৃষ্ঠা দেখুন।) পৌল বাস্তবিকই “সেই নিগূঢ়তত্ত্বের প্রকাশ অনুসারে, যাহা অনাদি কাল অবধি অকথিত ছিল, কিন্তু সম্প্রতি ব্যক্ত হইয়াছে, এবং . . . জ্ঞাত করা গিয়াছে।” এই বিষয়টি বলার ক্ষেত্রে সঠিক ছিলেন।—রোমীয় ১৬:২৫-২৭; ইফিষীয় ৩:৪-১১.
৭. কেন আমরা বিশ্বস্ত বুদ্ধিমান্ দাস শ্রেণীর উপর সম্পূর্ণ প্রত্যয় রাখতে পারি?
৭ মানুষের বৈসাদৃশ্যে, যাদের কেবলমাত্র এক সীমিত জীবনকাল আছে, যিহোবা কখনও তাঁর গুপ্ত বিষয়গুলিকে অপরিণত অবস্থায় প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সময়ের কারণে চাপ অনুভব করেন না। এই বিষয়টি আমাদের অধৈর্য হওয়াকে প্রতিরোধ করে যখন নির্দিষ্ট কিছু বাইবেলের প্রশ্ন উপস্থিতভাবে তখনই আমাদের কাছে সন্তুষ্টিজনকভাবে ব্যাখ্যা করা না হয়। বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস শ্রেণী যারা খ্রীষ্টীয় পরিজনদের উপযুক্ত সময়ে খাদ্য সরবরাহ করার জন্য নিযুক্ত, নম্রতা তাদের বিরত করে অসঙ্গতভাবে এগিয়ে গিয়ে সেই বিষয়গুলির সম্বন্ধে অবিবেচকভাবে অনুমান করার জন্য দ্রুতগতি হতে যে বিষয়গুলি তখনও অস্পষ্ট। দাস শ্রেণী অন্ধবিশ্বাসী হওয়াকে এড়ানোর জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করে থাকে। হিতোপদেশ ৪:১৮ পদটিকে স্পষ্টভাবে স্মরণে রেখে তারা নম্রতার সাথে স্বীকার করে যে এখনও তারা সমস্ত উত্তর দিতে পারে না। কিন্তু এটি জানা কতই না রোমাঞ্চকর যে যিহোবা তাঁর নিরূপিত সময়ে এবং তাঁর সুনির্দিষ্ট পথে তাঁর উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তাঁর গুপ্ত বিষয়গুলিকে প্রকাশ করবেন! অবিবেচনাপূর্ণভাবে গুপ্ত বিষয়ের প্রকাশকের চেয়ে দ্রুতগতি হতে চেষ্টা করে যিহোবার ব্যবস্থার প্রতি কখনও অধৈর্য হওয়া আমাদের উচিত নয়। এটি জানা কতই না আশ্বাসজনক যে যিহোবা আজকের দিনে যে মাধ্যম ব্যবহার করছেন, সেটি তা করে না! এটি বিশ্বস্ত এবং বিচক্ষণ উভয়ই।—মথি ২৪:৪৫; ১ করিন্থীয় ৪:৬.
যে গুপ্ত বিষয় প্রকাশিত হয়েছে তা অবশ্যই বলতে হবে!
৮. কিভাবে আমরা জানি যে “নিগূঢ়তত্ত্ব” জানানো হবে?
৮ যিহোবা তাঁর “নিগূঢ়তত্ত্ব” খ্রীষ্টানদের কাছে এইজন্য প্রকাশ করেননি যে তারা সেটি লুকিয়ে রাখবে। যীশু তাঁর সমস্ত অনুগামীদের জন্য যে নীতিটি স্থাপন করেছিলেন তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এটি জানানো হয়েছে—কেবলমাত্র কিছু যাজকবর্গের জন্য নয়: “তোমরা জগতের দীপ্তি; পর্ব্বতের উপরে স্থিত নগর গুপ্ত থাকিতে পারে না। আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়া কাঠার নীচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাহাতে তাহা গৃহস্থিত সকল লোককে আলো দেয়। তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।”—মথি ৫:১৪-১৬; ২৮:১৯, ২০.
৯. কী প্রমাণ করে যে যীশু বিপ্লবাত্মক ছিলেন না যেমন কিছুজন দাবি করে থাকে?
৯ গুপ্ত উদ্দেশ্যগুলিকে অনুধাবন করার জন্য অনুগামীদের এক ভূনিম্নস্থ সংগঠন গঠন করার কোন বৈপ্লবিক অভিপ্রায় যীশুর ছিল না। প্রাথমিক খ্রীষ্টতত্ত্ব এবং সমাজ (ইংরাজি) নামক বইটিতে রবার্ট এম. গ্রান্ট দ্বিতীয় শতাব্দীর সমর্থক জাস্টিন মার্টায়ার দ্বারা প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের বিষয়ে কৃত কৈফিয়ত সম্বন্ধে লিখেছিলেন: “যদি খ্রীষ্টানেরা বিপ্লবাত্মক হত, তাহলে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তারা লুকিয়ে থাকত।” কিন্তু কিভাবে খ্রীষ্টানেরা ‘লুকিয়ে থাকতে’ এবং একই সাথে “পর্ব্বতের উপরে স্থিত নগর” হতে পারত? তারা তাদের দীপ্তি একটি কাঠার নিচে লুকিয়ে রাখার জন্য সাহসী ছিল না! তাই, তাদের কার্যকলাপের জন্য সরকারের ভয় করার কিছুই ছিল না। এই লেখক, তাদের “শান্তি এবং সুব্যবস্থার কারণে সম্রাটের সর্বোত্তম মিত্র” বলে বর্ণনা করেছিলেন।
১০. কেন খ্রীষ্টানদের তাদের পরিচিতিকে গোপন করে রাখা উচিত নয়?
১০ যীশু চাননি যে এক তথা-কথিত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্য হিসাবে তাঁর শিষ্যেরা তাদের পরিচয়কে গুপ্ত রাখুক। (প্রেরিত ২৪:১৪; ২৮:২২) বর্তমানে আমাদের দীপ্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা খ্রীষ্ট এবং তাঁর পিতা যিনি গুপ্ত বিষয়ের প্রকাশক, উভয়কেই অসন্তুষ্ট করবে এবং এটি আমাদেরও সুখী করবে না।
১১, ১২. (ক) কেন যিহোবা চান যে খ্রীষ্টতত্ত্ব জানানো হোক? (খ) কিভাবে যীশু যথার্থ উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন?
১১ যিহোবার ক্ষেত্রে “কতকগুলি লোক যে বিনষ্ট হয়, এমন বাসনা তাঁহার নাই; বরং সকলে যেন মনপরিবর্ত্তন পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পায়, এই তাঁহার বাসনা।” (২ পিতর ৩:৯; যিহিষ্কেল ১৮:২৩; ৩৩:১১; প্রেরিত ১৭:৩০) অনুতপ্ত মানুষের পাপের ক্ষমা পাওয়ার ভিত্তি হল যীশু খ্রীষ্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের উপর বিশ্বাস, যিনি নিজেকে সকলের নিমিত্ত মুক্তির মূল্যরূপে প্রদান করেছিলেন—কেবলমাত্র অল্প কিছুজনের জন্য নয়—কিন্তু যেন “যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।” (যোহন ৩:১৬) লোকেদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হওয়া অত্যাবশ্যকীয় যা তাদের আগত বিচারে ছাগ নয়, কিন্তু মেষ হিসাবে বিচারিত হওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তিতে পরিণত করবে।—মথি ২৫:৩১-৪৬.
১২ সত্য খ্রীষ্টতত্ত্ব লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়; সম্ভাব্য প্রত্যেকটি উপযুক্ত উপায়ে এটিকে জানানো প্রয়োজন। যীশু নিজে এই বিষয়ে যথার্থ উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন। যখন মহাযাজক তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর শিক্ষা সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন: “আমি স্পষ্টরূপে জগতের কাছে কথা কহিয়াছি; আমি সর্ব্বদা সমাজ-গৃহে ও ধর্ম্মধামে শিক্ষা দিয়াছি, যেখানে যিহূদীরা সকলে একত্র হয়; গোপনে কিছু কহি নাই।” (যোহন ১৮:১৯, ২০) এই পূর্ববর্তী বিষয়টি দৃষ্টিতে রেখে কোন্ ঈশ্বর-ভয়শীল ব্যক্তি, যে বিষয়টি সম্বন্ধে ঈশ্বর ঘোষণা করেছেন যে তা অবশ্যই সাধারণ্যে জানাতে হবে সেটিকে গুপ্ত রাখার জন্য তৎপর হবে? কে “জ্ঞানের চাবি” লুকিয়ে রাখার জন্য সাহসী হবে যেটি অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে? এইরকম করা তাকে প্রথম শতাব্দীর ধর্মীয় কপটীদের মত হতে পরিচালিত করবে।—লূক ১১:৫২; যোহন ১৭:৩.
১৩. কেন আমাদের প্রত্যেকটি সুযোগে প্রচার করা উচিত?
১৩ কেউই কখনও যেন বলতে সমর্থ না হয় যে যিহোবার সাক্ষী হিসাবে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যের বার্তা গুপ্ত অবস্থায় রেখে দিয়েছি! বার্তাটি গৃহীত অথবা প্রত্যাখ্যাত যাই হোক না কেন, লোকেরা অবশ্যই জানবে যে এটি প্রচারিত হয়েছে। (তুলনা করুন যিহিষ্কেল ২:৫; ৩৩:৩৩.) তাই আসুন আমরা সকলকে সত্যের এই বার্তা বলার জন্য প্রত্যেকটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করি যেখানেই তাদের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হোক না কেন।
শয়তানের চোয়ালে বড়শী লাগানো
১৪. আমাদের উপাসনার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত হতে আমাদের কেন ইতস্ততঃ করা উচিত নয়?
১৪ অনেক স্থানগুলিতে যিহোবার সাক্ষীরা আরও বেশি করে প্রচার মাধ্যমগুলির মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের প্রতি যেমন ঘটেছিল অনুরূপভাবে তারা প্রায়ই ভুলভাবে উপস্থাপিত হয় এবং প্রশ্নজনক ধর্মীয় সংঘ এবং গুপ্ত সংগঠনগুলির সমপর্যায়ভুক্ত করা হয়ে থাকে। (প্রেরিত ২৮:২২) প্রচার কাজে আমাদের উন্মুক্ততা কি আমাদের আরও আক্রমণের বস্তু করে তুলতে পারে? নিশ্চিতভাবেই নিজেদের অনাবশ্যক বিতর্কের মধ্যে অনুপ্রবেশ করান অজ্ঞতার কাজ আর যীশুর পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্যবিহীন হবে। (হিতোপদেশ ২৬:১৭; মথি ১০:১৬) কিন্তু, রাজ্য প্রচার ও লোকেদের তাদের জীবনে উন্নতিবিধানের জন্য সাহায্য করার এই উপকারজনক কাজ লুকিয়ে রাখার জন্য নয়। এটি যিহোবাকে গৌরবান্বিত করে, তাঁকে উচ্চীকৃত করে তাঁর এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজ্যের প্রতি মনোযোগ আকৃষ্ট করে। সম্প্রতি পূর্ব ইউরোপে এবং আফ্রিকার অংশগুলিতে বাইবেল সত্যের প্রতি সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া অংশতঃ সেই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত উন্মুক্ততার কারণে যার সাথে এখন সেখানে সত্য প্রচার করতে পারা যাচ্ছে।
১৫, ১৬. (ক) আমাদের উন্মুক্ততা এবং আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির দ্বারা কী উদ্দেশ্য সাধিত হয়, কিন্তু এটি কী উদ্বিগ্ন হওয়ার একটি কারণ? (খ) কেন যিহোবা শয়তানের চোয়ালে বড়শী লাগান?
১৫ এটি সত্য যে সেই উন্মুক্ততা যিহোবার সাক্ষীরা যেভাবে প্রচার করে, যে আধ্যাত্মিক পরমদেশ তারা উপভোগ করে এবং তাদের সমৃদ্ধি—মানব সম্পদ এবং বস্তুগত সম্পত্তি উভয় ক্ষেত্রেই—অলক্ষিত থাকে না। যখন এই বিষয়গুলি সৎ হৃদয়সম্পন্ন ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করে তখন তা হয়ত বিরোধীদের প্রতিহতও করে। (২ করিন্থীয় ২:১৪-১৭) বস্তুতপক্ষে, পরবর্তী সময়ে এটি শয়তানের শক্তিকে ঈশ্বরের লোকেদের উপর আক্রমণ করার জন্য প্রলোভিতও করতে পারে।
১৬ এটি কি উদ্বিগ্ন হওয়ার একটি কারণ? যিহিষ্কেল ৩৮ অধ্যায়ে পাওয়া যিহোবার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী নয়। এটি ভাববাণী করে যে মাগোগের গোগ যা শয়তান দিয়াবলের বর্ণনাত্মক আখ্যা, ১৯১৪ সালে রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হওয়ার সময় থেকে ঈশ্বরের লোকেদের উপর এক আক্রমণ পরিচালিত করবে। (প্রকাশিত বাক্য ১২:৭-৯) যিহোবা গোগকে বলেন: “তুমি কহিবে, আমি সেই অপ্রাচীর গ্রামপূর্ণ দেশের বিরুদ্ধে যাত্রা করিব, আমি সেই শান্তিযুক্ত লোকদের কাছে যাইব, তাহারা নির্ভয়ে বাস করিতেছে; তাহারা সকলে প্রাচীরহীন স্থানে বাস করিতেছে; এবং তাহাদের অর্গল কি কবাট নাই। [তোমার অভিপ্রায় এই] যে, লুট কর ও দ্রব্য হরণ কর, [পূর্ব্বে] উৎসন্ন সেই বসতিস্থান সকলের প্রতি এবং জাতিগণের মধ্য হইতে সংগৃহীত, আর পশু ও ধন প্রাপ্ত এবং পৃথিবীর নাভিনিবাসী জাতির প্রতি হস্ত বিস্তার কর।” (যিহিষ্কেল ৩৮:১১, ১২) যাইহোক, ৪ পদ দেখায় যে ঈশ্বরের লোকেদের এই আক্রমণকে ভয় করবার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি যিহোবার কার্য। কিন্তু কেন ঈশ্বর অনুমতি দেবেন—হ্যাঁ, এমনকি প্ররোচিত করবেন—তাঁর লোকেদের উপর এক সর্বব্যাপী আক্রমণ? ২৩ পদে আমরা যিহোবার উত্তর সম্বন্ধে পড়ি: “আমি আপনার মহত্ত্ব ও পবিত্রতা প্রকাশ করিব, বহুসংখ্যক জাতির সাক্ষাতে আপনার পরিচয় দিব; তাহাতে তাহারা জানিবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
১৭. গোগের নিকটবর্তী আক্রমণকে আমাদের কোন্ দৃষ্টিতে দেখা উচিত?
১৭ তাই গোগের আক্রমণের ভয়ে জীবন যাপন করার চেয়ে বরঞ্চ যিহোবার লোকেরা বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর পরবর্তী পরিপূর্ণতার জন্য ঔৎসুক্যের সাথে প্রতীক্ষা করে। এটি জানা কতই না রোমাঞ্চকর যে তাঁর দৃশ্যতঃ সংগঠনকে সমৃদ্ধশালী এবং আশীর্বাদযুক্ত করার দ্বারা যিহোবা শয়তানের চোয়ালে বড়শী লাগান এবং তাকে ও তার সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করার জন্য আমন্ত্রণ জানান!—যিহিষ্কেল ৩৮:৪.
যে কোন সময়ের চেয়ে এখন আরও বেশি!
১৮. (ক) অনেক লোকেরা এখন কী উপলব্ধি করছে এবং কেন? (খ) কিভাবে রাজ্য প্রচারের প্রতি প্রতিক্রিয়া এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করে?
১৮ আধুনিক সময়ে যিহোবার সাক্ষীরা তাদের বাইবেল-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলি প্রকাশের ক্ষেত্রে খুবই উন্মুক্ত, এমনকি যদিও এটি জনপ্রিয় নয়। দশকগুলি ধরে তাদের ধূমপান ও নেশাকর ওষুধের অপব্যবহার, শৃঙ্খলাহীন শিশু প্রশিক্ষণের অদূরদর্শিতা, অবৈধ যৌনতা ও দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ আমোদ-প্রমোদের মন্দ প্রভাব এবং রক্ত গ্রহণের ঝুঁকি সম্বন্ধে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের ক্রমবিবর্তনবাদ তত্ত্বের অসঙ্গতি সম্বন্ধেও নির্দেশ করা হয়েছে। উত্তরোত্তর অধিক লোকেরা এখন বলছে, “সর্বোপরি যিহোবার সাক্ষীরা হয়ত ভুল নয়।” যদি আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলিকে জনসাধারণের প্রতি এতখানি উন্মুক্ত না করতাম, তাহলে তারা এইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারত না। আর এই বিষয়টি উপেক্ষা করবেন না যে এইধরনের উক্তি করার দ্বারা তারা এটি বলার প্রতি পরিচালিত হওয়ার জন্য এক পদক্ষেপ নিচ্ছে যে “শয়তান তুমি এক মিথ্যাবাদী, সর্বোপরি যিহোবাই সঠিক।” আমাদের জন্য ক্রমাগত যীশুর উদাহরণ অনুসরণ করে চলা, প্রকাশ্যভাবে সত্যের বাক্য সম্বন্ধে বলার ক্ষেত্রে কতই না শক্তিশালী অনুপ্রেরণা!—হিতোপদেশ ২৭:১১.
১৯, ২০. (ক) ১৯২২ সালে কোন্ দৃঢ়সংকল্প যিহোবার লোকেরা প্রকাশ করেছিল এবং এই বাক্যগুলি কি এখনও প্রয়োগযোগ্য? (খ) যিহোবার “নিগূঢ়তত্ত্ব”-কে আমাদের কোন্ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত?
১৯ এই বিষয়ে তাদের বাধ্যবাধকতা সম্বন্ধে যিহোবার লোকেরা বহু পূর্ব থেকেই অবগত আছে। ১৯২২ সালে এক উল্লেখযোগ্য সম্মেলনে ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি জে. এফ. রাদারর্ফোড, এই বিষয়টি বলার দ্বারা তার শ্রোতাদের রোমাঞ্চিত করেছিলেন: “বিনয়ী হোন, সতর্ক হোন, সক্রিয় হোন, সাহসী হোন। প্রভুর জন্য বিশ্বস্ত ও সত্য সাক্ষী হোন। অগ্রসর হোন যতক্ষণ পর্যন্ত না বাবিলের সমস্ত সাক্ষ্য উৎসন্ন হয়। দূর দূরান্তে এই বার্তাকে প্রচার করুন। জগৎকে অবশ্যই জানতে হবে যে যিহোবাই ঈশ্বর এবং যীশু খ্রীষ্ট রাজাদের রাজা এবং প্রভুদের প্রভু। এটিই সমস্ত সময়ের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট দিন। দেখুন, রাজা রাজত্ব করছেন! আপনারা তাঁর প্রচার অধিকর্তা। তাই ঘোষণা করুন, ঘোষণা করুন, ঘোষণা করুন রাজা এবং তাঁর রাজ্যকে।”
২০ ১৯২২ সালে এই বাক্যগুলি যতখানি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ৭৫ বছর পরে তা আরও কতই না বেশি, যখন বিচারক ও প্রতিশোধ গ্রহণকারী হিসাবে খ্রীষ্টের প্রকাশমানতা আরও অনেক বেশি নিকটবর্তী! যিহোবার প্রতিষ্ঠিত রাজ্য ও ঈশ্বরের লোকেদের দ্বারা উপভোগ্য আধ্যাত্মিক পরমদেশ এতখানিই মহান “নিগূঢ়তত্ত্ব” যে তা গুপ্ত রাখার নয়। যেমন যিহোবার অনন্ত উদ্দেশ্যে তাদের মুখ্য স্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যীশু নিজে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন যে তাঁর অনুগামীরা অবশ্যই পবিত্র আত্মার সহায়তায় “পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত” সাক্ষী হবে। (প্রেরিত ১:৮; ইফিষীয় ৩:৮-১২) বস্তুতপক্ষে, যিহোবা এক ঈশ্বর যিনি গুপ্ত বিষয়গুলিকে প্রকাশ করেন, তাঁর দাস হিসাবে আমরা আমাদের কাছে এটি গুপ্ত রাখতে সাহসী নই!
আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?
◻ “নিগূঢ়তত্ত্ব” কী?
◻ আমরা কিভাবে জানি যে এটি প্রচারিত হওয়া উচিত?
◻ যিহোবার লোকেদের উপর গোগের আক্রমণ কী নিয়ে আসে এবং এটিকে আমাদের কোন্ দৃষ্টিতে দেখা উচিত?
◻ আমাদের প্রত্যেকের কী করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হওয়া উচিত?
[১৬ পৃষ্ঠার বাক্স]
এক “নিগূঢ়তত্ত্ব” ক্রমাগ্রসরভাবে প্রকাশিত হয়েছিল
◻ সা.শ.পূ. ৪০২৬ সাল পরে: শয়তানকে ধ্বংস করার জন্য ঈশ্বর একটি বংশের উত্থান সম্বন্ধে প্রতিজ্ঞা করেন।—আদিপুস্তক ৩:১৫
◻ সা.শ.পূ. ১৯৪৩ সাল: অব্রাহামের সাথে কৃত চুক্তি বলবৎ করা হয়েছে এটি প্রতিজ্ঞা করে যে অব্রাহামের মাধ্যমে সেই বংশ আসবে।—আদিপুস্তক ১২:১-৭
◻ সা.শ.পূ. ১৯১৮ সাল: চুক্তির উত্তরাধিকারী হিসাবে ইস্হাকের জন্ম।—আদিপুস্তক ১৭:১৯; ২১:১-৫
◻ c. সা.শ.পূ. ১৭৬১ সাল: যিহোবা নিশ্চিত করেন যে বংশ ইস্হাকের পুত্র যাকোবের মাধ্যমে আসবে।—আদিপুস্তক ২৮:১০-১৫
◻ সা.শ.পূ. ১৭১১ সাল: যাকোব ইঙ্গিত দেন যে বংশ তার পুত্র যিহূদার মাধ্যমে আসবে।—আদিপুস্তক ৪৯:১০
◻ সা.শ.পূ. ১০৭০-১০৩৮ সাল: রাজা দায়ূদ জেনেছিলেন যে বংশ তার বংশধর হবেন এবং রাজা হিসাবে অনন্তকাল শাসন করবেন।—২ শমূয়েল ৭:১৩-১৬; গীতসংহিতা ৮৯:৩৫, ৩৬
◻ সা.শ. ২৯-৩৩ সাল: যীশু বংশ, মশীহ, ভবিষ্যৎ বিচারক এবং আখ্যাত রাজা হিসাবে শনাক্তিকৃত হন।—যোহন ১:১৭; ৪:২৫, ২৬; প্রেরিত ১০:৪২, ৪৩; ২ করিন্থীয় ১:২০; ১ তীমথিয় ৩:১৬
◻ যীশু প্রকাশ করেন যে তাঁর সহ শাসক ও বিচারকেরা থাকবে, স্বর্গীয় রাজ্যের পার্থিব প্রজারা থাকবে আর তাঁর সমস্ত অনুগামীরা রাজ্যের প্রচারক হবে।—মথি ৫:৩-৫; ৬:১০; ২৮:১৯, ২০; লূক ১০:১-৯; ১২:৩২; ২২:২৯, ৩০; যোহন ১০:১৬; ১৪:২, ৩
◻ যীশু প্রকাশ করেন যে রাজ্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠিত হবে যেমন তা জগতের ঘটনাগুলি দ্বারা সত্য বলে দৃঢ়ভাবে সমর্থিত।—মথি ২৪:৩-২২; লূক ২১:২৪
◻ সা.শ. ৩৬ সাল: পিতর জেনেছিলেন যে ন-যিহূদীরাও রাজ্যে অংশগ্রহণকারী উত্তরাধিকারী হবে।—প্রেরিত ১০:৩০-৪৮
◻ সা.শ. ৫৫ সাল: পৌল ব্যাখ্যা করেছিলেন যে রাজ্যে অংশগ্রহণকারী উত্তরাধিকারিকেরা খ্রীষ্টের উপস্থিতির সময়ে অমরতায় ও বিশুদ্ধতায় পুনরুত্থিত হবে।—১ করিন্থীয় ১৫:৫১-৫৪
◻ সা.শ. ৯৬ সাল: যীশু, ইতিমধ্যেই তাঁর অভিষিক্ত অনুগামীদের উপর শাসন করছিলেন, যা প্রকাশ করে যে তাদের চূড়ান্ত সংখ্যা হবে ১,৪৪,০০০.—ইফিষীয় ৫:৩২; কলসীয় ১:১৩-২০; প্রকাশিত বাক্য ১:১; ১৪:১-৩
◻ সা.শ. ১৮৭৯ সাল: জায়নস ওয়াচ টাওয়ার ঈশ্বরের “নিগূঢ়তত্ত্ব”-কে পূর্ণ করার ক্ষেত্রে এক মহান তাৎপর্যপূর্ণ বছর হিসাবে ১৯১৪ সালকে নির্দেশ করেছিল
◻ সা.শ. ১৯২৫ সাল: প্রহরীদুর্গ ব্যাখ্যা করেছিল যে ১৯১৪ সালে রাজ্যের জন্ম হয়েছিল; রাজ্য সম্বন্ধীয় “নিগূঢ়তত্ত্ব” অবশ্যই প্রচারিত হবে।—প্রকাশিত বাক্য ১২:১-৫, ১০, ১৭
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
তাদের নেতা, যীশুর মত যিহোবার সাক্ষীরা সাধারণ্যে যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে