ঈশ্বর সম্বন্ধে আপনি কতখানি জানেন?
এই প্রশ্নটার উত্তর আপনি কীভাবে দেবেন? অধিকাংশ লোক মনে করে যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তারা তাঁর প্রতি একনিষ্ঠ ও তাঁকে ভয় করে। কিন্তু, অনেকে তাঁর সম্বন্ধে খুব সামান্যই জানে। আপনি যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, তাহলে কীভাবে আপনি নীচে তালিকাবদ্ধ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন?
১. ঈশ্বর কি একজন বাস্তব ব্যক্তি?
২. ঈশ্বরের কি একটা নাম আছে?
৩. যিশু কি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর?
৪. ঈশ্বর কি আমার জন্য চিন্তা করেন?
৫. ঈশ্বর কি সব ধরনের উপাসনা গ্রহণ করেন?
আপনি যদি অন্যদেরকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে বলেন, তাহলে আপনি সম্ভবত বিভিন্ন ধরনের উত্তর পাবেন। তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ঈশ্বর সম্বন্ধে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি এবং ভুল ধারণা গড়ে উঠেছে।
যেকারণে উত্তরগুলো গুরুত্বপূর্ণ
একটা কুয়োর ধারে একজন ধর্মপ্রাণ স্ত্রীলোকের সঙ্গে কথা বলার সময়, যিশু ঈশ্বর সম্বন্ধে জানার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন। সেই স্ত্রীলোকটি, যিনি একজন শমরীয় ছিলেন, তিনি যিশুকে একজন ভাববাদী বলে স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু, কোনো একটা বিষয় সেই স্ত্রীলোককে উদ্বিগ্ন করেছিল। যিশুর ধর্ম তার চেয়ে আলাদা ছিল। সেই স্ত্রীলোক যখন তার চিন্তার বিষয় ব্যক্ত করেছিলেন, তখন যিশু খোলাখুলিভাবে তাকে বলেছিলেন: “তোমরা যাহা জান না, তাহার ভজনা করিতেছ।” (যোহন ৪:১৯-২২) স্পষ্টতই, যিশু অনুভব করেছিলেন যে, সব ধর্মের লোকেরাই প্রকৃতরূপে ঈশ্বরকে জানে না।
যিশুর উক্তিটি কি বুঝিয়েছিল যে, কেউই প্রকৃতরূপে ঈশ্বরকে জানতে পারে না? না। সেই স্ত্রীলোকটিকে যিশু আরও বলেছিলেন: “প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।” (যোহন ৪:২৩) আপনি কি সেই লোকেদের মধ্যে আছেন, যারা “আত্মায় ও সত্যে” ঈশ্বরের উপাসনা করে?
সেই প্রশ্নের উত্তর সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন? যিশু সঠিক জ্ঞান নেওয়ার বা জানার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন, যখন তিনি প্রার্থনা করেছিলেন: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” (যোহন ১৭:৩) হ্যাঁ, আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের প্রত্যাশা, ঈশ্বর সম্বন্ধে সত্য জানার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত!
ঈশ্বর সম্বন্ধে সত্য জানা কি আসলেই সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব! তাহলে, কীভাবে আপনি তা খুঁজে পেতে পারেন? যিশু তাঁর নিজের সম্পর্কে এই কথা বলেছিলেন: “আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না।” (যোহন ১৪:৬) তিনি এও বলেছিলেন: “পিতা কে, তাহা কেহ জানে না, কেবল পুত্ত্র জানেন, আর পুত্ত্র যাহার নিকটে তাঁহাকে প্রকাশ করিতে মানস করেন, সে জানে।”—লূক ১০:২২.
তাই, ঈশ্বর সম্বন্ধে জানার চাবিটি ঈশ্বরের পুত্র যিশু খ্রিস্টের শিক্ষাগুলোতে পাওয়া যায়। বস্তুতপক্ষে, যিশু আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন: “তোমরা যদি সকলে আমার শিক্ষা মান্য করে চল তবে তোমরা সকলেই আমার প্রকৃত শিষ্য। তোমরা সত্যকে জানবে, আর সেই সত্য তোমাদের স্বাধীন করবে।”—যোহন ৮:৩১, ৩২, বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন।
তাহলে, যিশু কীভাবে শুরুতে উত্থিত পাঁচটা প্রশ্নের উত্তর দেবেন? (w০৯ ২/১)
[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]
আপনি কি এমন একজন ঈশ্বরকে উপাসনা করেন, যাঁকে আপনি প্রকৃতরূপে জানেন না?