সাহসপূর্বক ঈশ্বরের বাক্য বলে চলুন
১ খ্রিস্টান পরিচারক হিসেবে আমরা জানি যে, সকলেই আমাদের প্রচারকে স্বাগত জানাবে না। (মথি ১০:১৪) কিন্তু, আমরা কারো নেতিবাচক সাড়ার কারণে সুসমাচার জানানো থেকে নিজেদের বিরত রাখি না। (হিতো. ২৯:২৫) কী আমাদের সাহসপূর্বক ঈশ্বরের বাক্য বলে চলতে সাহায্য করে?
২ প্রেরিত পৌল “প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর জ্ঞানের শ্রেষ্ঠতা” উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এটা তাকে ‘অতিশয় নিশ্চয়তার’ সঙ্গে কথা বলতে চালিত করেছিল। (ফিলি. ৩:৮; ১ থিষল. ১:৫) যদিও কেউ কেউ তার প্রচারিত বার্তাকে দুর্বল এবং তুচ্ছ হিসেবে দেখেছিল, তবুও তিনি জানতেন যে এটা ছিল “প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি।” (রোমীয় ১:১৬) অতএব, বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, তিনি সর্বদা ‘প্রভুর [“যিহোবার,” NW] উপরে সাহস বাঁধিয়া কথা কহিয়া’ যেতেন।—প্রেরিত ১৪:১-৭; ২০:১৮-২১, ২৪.
৩ আমাদের শক্তির উৎস: পৌল তার নিজের শক্তিতে সাহসপূর্বক সাক্ষ্য দেননি। নিজের এবং সীলের বিষয়ে বলতে গিয়ে পৌল লিখেছিলেন: “ফিলিপীতে পূর্ব্বে দুঃখভোগ ও অপমান ভোগ করিলে পর, . . . আমরা আমাদের ঈশ্বরে সাহসী হইয়া অতিশয় প্রাণপণে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচারের কথা বলিয়াছিলাম।” (১ থিষল. ২:২; প্রেরিত ১৬:১২, ৩৭) এ ছাড়া, রোমে বন্দি থাকার সময় পৌল অন্যদেরকে তার জন্য প্রার্থনা করতে বলেছিলেন, যাতে তিনি ‘যেমন কথা তাহার বলা উচিত, সাহস দেখাইয়া’ সেভাবে ক্রমাগত সুসমাচার জানাতে পারেন। (ইফি. ৬:১৮-২০) নিজের ওপর নয়, বরং যিহোবার ওপর নির্ভর করে পৌল সাহসপূর্বক ঈশ্বরের বাক্য বলে চলতে পেরেছিলেন।—২ করি. ৪:৭; ফিলি. ৪:১৩.
৪ আজকেও একই বিষয় সত্য। একজন ভাই, যিনি তার কর্মস্থলে নিজেকে একজন যিহোবার সাক্ষি হিসেবে পরিচিত করানোকে এবং রীতিবহির্ভূত সাক্ষ্য দেওয়াকে খুবই কঠিন বলে মনে করেছিলেন, তিনি বিষয়টা নিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন আর সাক্ষ্য দিতে শুরু করেছিলেন। একজন সহকর্মী প্রথমে তার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কিন্তু পুনরুত্থানের আশা সম্বন্ধে উল্লেখ করার পর বাইবেল অধ্যয়ন শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে এই ভাই সাক্ষ্য দেওয়ার প্রতিটা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছিলেন। তিনি তার পরবর্তী কর্মস্থলে ১৪ বছরে ৩৪ জন ব্যক্তিকে বাপ্তিস্ম নিতে সাহায্য করেছিলেন। আমরা আস্থা রাখতে পারি যে, যিহোবা আমাদেরকে একইভাবে ‘সম্পূর্ণ সাহসের সহিত তাঁহার বাক্য বলিয়া’ চলার জন্য শক্তিশালী করবেন।—প্রেরিত ৪:২৯.