জেগে থাকুন!
যুদ্ধ কি কখনো শেষ হবে?—এই বিষয়ে বাইবেল কী বলে?
২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিল, শনিবার, ইরান ইজরায়েলের উপর সরাসরি আক্রমণ করে। এই বিষয়ে ইউনাইটেড নেশন্স-এর মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন: “এই মুহূর্তে আমাদের প্রচেষ্টা করতে হবে, যাতে পরিস্থিতি আরও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে না ওঠে। আমাদের এখনই নিজেদের আরও বেশি করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
সারা পৃথিবীতে যা ঘটে চলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ হল তারই একটা নমুনা।
“আজ সারা পৃথিবীতে এত দৌরাত্ম্যমূলক সংঘর্ষ ঘটে চলেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আর কখনো ঘটেনি। ২০০ কোটি লোক অর্থাৎ পৃথিবীর জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মানুষ এর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।”—ইউনাইটেড নেশন্স সিকিউরিটি কাউন্সিল, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩.
যে-সমস্ত দেশে দৌরাত্ম্যমূলক সংঘর্ষ হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইজরায়েল, গাজা, সিরিয়া, আজারবাইজান, ইউক্রেন, সুদান, ইথিওপিয়া, নাইজার, মিয়ানমার ও হাইতি।a
এই সংঘর্ষগুলো কখন শেষ হবে? পৃথিবীর নেতারা কি শান্তি আনতে পারবে? বাইবেল এই বিষয়ে কী বলে?
যুদ্ধে পরিপূর্ণ এক জগৎ
সারা পৃথিবীতে যে যুদ্ধ হবে, তা বাইবেলে অনেক আগে থেকেই বলা ছিল আর আমরা ঠিক সেই সময়েই বাস করছি। কিন্তু এই সংঘর্ষগুলো এও ইঙ্গিত দেয় যে, খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। বাইবেল আমাদের এই সময়কালকে ‘এই বিধিব্যবস্থার শেষ সময়’ বলে উল্লেখ করে।—মথি ২৪:৩.
“তোমরা যুদ্ধের আওয়াজ এবং যুদ্ধের খবর শুনবে। … এক জাতি আরেক জাতিকে এবং এক রাজ্য আরেক রাজ্যকে আক্রমণ করবে।”—মথি ২৪:৬, ৭.
আজকের যুদ্ধগুলো কীভাবে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ করে, তা জানার জন্য “What Is the Sign of ‘the Last Days,’ or ‘End Times’?” শিরোনামের প্রবন্ধটা পড়ুন।
সমস্ত যুদ্ধ শেষ করার জন্য এক যুদ্ধ
বাইবেলে আগে থেকে বলা আছে, সমস্ত ধরনের যুদ্ধ ও সংঘর্ষ শেষ হবে। কীভাবে? এটা মানুষের করা কোনো প্রচেষ্টার মাধ্যমে নয় বরং আরমাগিদোন অর্থাৎ “ঈশ্বরের মহাদিনের যুদ্ধের” মাধ্যমে শেষ হবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬) এই যুদ্ধের পর, ঈশ্বর মানবজাতির জন্য যে-প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা পরিপূর্ণ করবেন আর তারা চিরকাল ধরে শান্তিতে থাকতে পারব।—গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১, ২৯.
ঈশ্বরের যুদ্ধ কীভাবে পৃথিবীর সমস্ত যুদ্ধ শেষ করবে, তা জানার জন্য “আরমাগিদোনের যুদ্ধ কী?” শিরোনামের প্রবন্ধটা পড়ুন।
a ACLED Conflict Index, “Ranking violent conflict levels across the world,” January 2024