জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
সেপ্টেম্বর ৭-১৩
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন
যাত্রাপুস্তক ২৩-২৪
“বহু লোকের পশ্চাৎ অনুসরণ করবেন না”
আপনার কাছে কি সঠিক তথ্য রয়েছে?
৭ আপনি কি বন্ধুবান্ধবের কাছে ই-মেল ও টেক্সট মেসেজ পাঠাতে ভালোবাসেন? আপনি যখন খবরে কোনো আগ্রহজনক গল্প অথবা কোনো অসাধারণ অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে শোনেন, তখন আপনি কি একজন সাংবাদিকের মতো অনুভব করেন, যিনি কিনা সঙ্গেসঙ্গে সেই তথ্য অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান? সেই ই-মেল অথবা টেক্সট মেসেজটা পাঠানোর আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমি কি নিশ্চিত যে, এই গল্পটা সত্য? আমার কাছে কি সত্যিই সঠিক তথ্য রয়েছে?’ আপনি যদি নিশ্চিত না হন, তা হলে আপনি হয়তো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ফেলবেন। তাই, আপনি যদি না জানেন যে, কোনো গল্প সত্য না কি মিথ্যা, তা হলে সেটা অন্যদের পাঠাবেন না। সেটাকে সঙ্গেসঙ্গে ডিলিট করুন!
৮ চিন্তা না করে কারো কাছ থেকে পাওয়া ই-মেল ও টেক্সট মেসেজ অন্যদের পাঠানো যে কেন বিপদজনক, সেটার পিছনে আরেকটা কারণ রয়েছে। কোনো কোনো দেশে, আমাদের কাজের উপর সীমা আরোপ করা হয়েছে অথবা এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই দেশগুলোতে থাকা বিরোধীরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গল্প ছড়াতে পারে, যেগুলোর উদ্দেশ্য হল, আমাদের আতঙ্কিত করা অথবা আমাদের একে অন্যকে সন্দেহের চোখে দেখতে পরিচালিত করা। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নে কী ঘটেছিল, তা নিয়ে চিন্তা করুন। সেইসময়কার গোয়েন্দা পুলিশ, যাদের কেজিবি বলা হতো, এই গুজব ছড়িয়েছিল যে, কয়েক জন সুপরিচিত ভাই যিহোবার লোকেদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। দুঃখের বিষয় হল, অনেক ভাই এই মিথ্যা গল্পগুলোতে বিশ্বাস করেছিল এবং যিহোবার সংগঠন ত্যাগ করেছিল। তাদের মধ্যে অনেকে পরবর্তী সময়ে ফিরে এসেছিল কিন্তু কয়েক জন আর কখনো ফিরে আসেনি। তারা সেই মিথ্যা গল্পগুলোর দ্বারা তাদের বিশ্বাসকে নষ্ট হয়ে যেতে দিয়েছিল। (১ তীম. ১:১৯) কীভাবে আমরা এইরকম একটা বিপর্যয় এড়িয়ে চলতে পারি? নেতিবাচক অথবা অপ্রমাণিত গল্প না ছড়ানোর বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হোন। আপনি যা যা শোনেন, সেই সমস্ত কিছু বিশ্বাস করবেন না। এর পরিবর্তে, এই বিষয়টা নিশ্চিত করুন যে, আপনার কাছে সঠিক তথ্য রয়েছে।
প্রহরীদুর্গ ১১ ৭/১৫ ১০-১১ অনু. ৩, ৬
আপনি কি যিহোবার প্রেমময় নির্দেশনা অনুসরণ করবেন?
৩ কোনো দীর্ঘ যাত্রা করার সময়, কোন পথে যেতে হবে, সেই ব্যাপারে আপনি যদি অনিশ্চিত থাকেন, তাহলে আপনি কী করবেন? আপনি হয়তো অন্যান্য ভ্রমণকারীকে অনুসরণ করার জন্য প্রলুব্ধ হবেন—বিশেষভাবে আপনি যদি দেখেন যে, অনেকেই তা করা বেছে নিচ্ছে। এই ধরনের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সেই ভ্রমণকারীরা হয়তো আপনি যে-গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেদিকে যাচ্ছে না কিংবা তারাও হয়তো পথ হারিয়ে ফেলতে পারে। এই প্রসঙ্গে, প্রাচীন ইস্রায়েলে প্রদত্ত আইনগুলোর মধ্যে একটা আইনের পিছনে বিদ্যমান নীতিটা বিবেচনা করুন। বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে যারা বিচারক অথবা সাক্ষি হিসেবে কাজ করত, তাদেরকে ‘বহু লোকের পশ্চাৎ’ অনুসরণ করার বিপদ সম্বন্ধে সাবধান করা হয়েছিল। (পড়ুন, যাত্রাপুস্তক ২৩:২.) কোনো সন্দেহ নেই যে, অসিদ্ধ মানুষের পক্ষে সঙ্গীসাথির চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ন্যায়বিচারকে বিকৃত করে ফেলা খুবই সহজ। কিন্তু, বহু লোকের পশ্চাৎ অনুসরণ না করার সেই নীতি কি বিচার সংক্রান্ত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল? একেবারেই না।
৬ আপনি কি কখনো বহু লোকের পশ্চাৎ অনুসরণ করার চাপ অনুভব করেছেন? যে-লোকেরা যিহোবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তাঁর নৈতিক মানগুলোকে অবজ্ঞা করে, নিশ্চিতভাবে তাদেরকে নিয়ে বর্তমানে বহু লোকের এক বিশাল দল গঠিত। যখন আমোদপ্রমোদ ও বিনোদনের বিষয়টা আসে, তখন সেই লোকেরা প্রায়ই ভিত্তিহীন ধারণাগুলো তুলে ধরে। তারা হয়তো দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারে যে, টেলিভিশনের অনুষ্ঠান, সিনেমা এবং ভিডিও গেমস্গুলোতে অবাধে প্রদর্শিত অনৈতিকতা, দৌরাত্ম্য ও প্রেতচর্চা ক্ষতিকর নয়। (২ তীম. ৩:১-৫) আপনি যখন নিজের অথবা আপনার পরিবারের জন্য আমোদপ্রমোদ ও বিনোদন বাছাই করেন, তখন আপনি কি অন্যের দুর্বল বিবেকের দ্বারা আপনার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং বিবেককে প্রভাবিত হতে দেন? সেটা কি আসলে বহু লোকের পশ্চাৎ অনুসরণ করার মতোই বিষয় নয়?
অন্তর্দৃষ্টি-১ ৩৪৩ অনু. ৫, ইংরেজি
অন্ধত্ব
মোশির ব্যবস্থায় বিচারকদের স্পষ্টভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যেন ঘুস না নেন, কারো কাছ থেকে উপহার গ্রহণ না করেন আর কখনো পক্ষপাত না করেন। এর কারণ হল, এই বিষয়গুলো তাদের এক ধরনের অন্ধ করে দিতে পারত এবং তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারতেন। উদাহরণ স্বরূপ, ব্যবস্থায় লেখা ছিল “উৎকোচ” বা ঘুস “মুক্তচক্ষুদিগকে অন্ধ করে।” (যাত্রা ২৩:৮) “উৎকোচ” বা ঘুস “জ্ঞানীদের চক্ষু অন্ধ করে।” (দ্বিতীয় ১৬:১৯) একজন বিচারক যতই সততা বা বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করুন না কেন, যদি কেউ তাকে উপহার দিত, তা হলে তিনি হয়তো জেনে-শুনে বা অজান্তেই সেই ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে ফেলতে পারতেন। শুধু তা-ই নয়, ঈশ্বরের আইনে এও বলা হয়েছিল, বিচারের সময় কেউ যেন আবেগের দ্বারা পরিচালিত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়। বিচারকদের বলা হয়েছিল: “তোমরা বিচারে অন্যায় করিও না। তুমি দরিদ্রের মুখাপেক্ষা” বা পক্ষপাত “করিও না, ও ধনবানের সমাদর করিও না।” (লেবীয় ১৯:১৫) একইভাবে, একজন বিচারক যদি শুধুমাত্র লোকেদের খুশি করার জন্য একজন ধনবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতেন, তা হলে সেটা অন্যায় হত।
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
“তোমরা অতিথিসেবা ভুলিয়া যাইও না”
৪ যিহোবা ইস্রায়েলীয়দেরকে বিদেশিদের প্রতি শুধু সম্মান দেখাতেই বলেননি কিন্তু সেইসঙ্গে একজন বিদেশি হিসেবে থাকার অনুভূতি কেমন, তিনি তাদের সেই বিষয়টাও মনে রাখতে বলেছিলেন। (পড়ুন, যাত্রাপুস্তক ২৩:৯.) এমনকী ইস্রায়েলীয়রা মিশরে দাস হওয়ার আগে থেকেই মিশরীয়রা তাদের পছন্দ করত না কারণ তারা মিশরীয়দের চেয়ে আলাদা ছিল। (আদি. ৪৩:৩২; ৪৬:৩৪; যাত্রা. ১:১১-১৪) বিদেশি হিসেবে সেখানে ইস্রায়েলীয়দের জীবন খুব কঠিন ছিল। যিহোবা চেয়েছিলেন যেন তারা এটা মনে রাখে এবং তাদের সঙ্গে থাকা বিদেশিদের প্রতি সদয় হয়।—লেবীয়. ১৯:৩৩, ৩৪.
অন্তর্দৃষ্টি-২ ৩৯৩, ইংরেজি
মীখায়েল
১. বাইবেলে গাব্রিয়েল ছাড়া আরেক জন স্বর্গদূতের নাম উল্লেখ রয়েছে, তিনি হলেন মীখায়েল। এইস্বর্গদূতকে ‘প্রধান স্বর্গদূতও’ বলা হত। (যিহূদা ৯) দানিয়েল ১০ অধ্যায়ে প্রথম বার এই নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, মীখায়েল ‘প্রধান অধ্যক্ষদের মধ্যে এক জন।’ যখন “পারস্যরাজ্যের অধ্যক্ষ” যিহোবার এক জন স্বর্গদূতের বিরোধিতা করছিলেন, তখন মীখায়েল সেই স্বর্গদূতকে সাহায্য করেন। মীখায়েলকে “মহান্ অধ্যক্ষ” বলা হয়েছিল, যিনি “[দানিয়েলের] জাতির সন্তানদের পক্ষে দাঁড়াইয়া থাকেন।” (দানি ১০:১৩, ২০, ২১; ১২:১) এটা থেকে স্পষ্ট হয়, মীখায়েলই সেই স্বর্গদূত ছিলেন, যিনি ইস্রায়েলীয়দের প্রান্তর থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন। (যাত্রা ২৩:২০, ২১, ২৩; ৩২:৩৪; ৩৩:২) আমরা এই জন্যও এটা বলতে পারি, কারণ “প্রধান স্বর্গদূত মীখায়েল . . . মোশির দেহের বিষয়ে দিয়াবলের সহিত বাদানুবাদ করিলেন।”—যিহূদা ৯.
সেপ্টেম্বর ১৪-২০
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন
যাত্রাপুস্তক ২৫-২৬
“আবাসে নিয়ম সিন্দুকের ভূমিকা”
অন্তর্দৃষ্টি-১ ১৬৫, ইংরেজি
নিয়ম সিন্দুক
ধরন ও নকশা। যিহোবা যখন মোশিকে আবাস নির্মাণ করার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছিলেন, তখন তিনি সবচেয়ে প্রথমে তাকে বলেছিলেন যে, নিয়ম সিন্দুক ঠিক কীভাবে তৈরি করতে হবে। এর কারণ হল আবাসে এবং সমগ্র ইস্রায়েলের শিবিরে নিয়ম সিন্দুকের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিয়ম সিন্দুক আড়াই হস্ত লম্বা, দেড় হস্ত চওড়া আর দেড় হস্ত উঁচু ছিল। (প্রায় ১১১×৬৭×৬৭ সেন্টিমিটার; ৪৪×২৬×২৬ ইঞ্চি)। এটা শিটীম কাঠের তৈরি এবং বাইরে ও ভিতরে বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে মোড়ানো ছিল। আর এটার ‘চার কিনারা ধরে ছিল সোনার নক্শা।’ কিন্তু সিন্দুকের ঢাকনা কাঠের নয় বরং খাঁটি সোনার ছিল। এটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সিন্দুকের মতোই ছিল। নিয়ম সিন্দুকের ঢাকনার উপরে দুটো সোনার করূব তৈরি করা হয়েছিল। এগুলো সামনাসামনি রাখা হয়েছিল আর তাদের মুখ নীচের দিকে ঝুঁকে ছিল। তাদের ডানা দুটো উপর দিকে প্রসারিত ছিল আর নিয়ম সিন্দুকের ঢাকনাকে ঢেকে রেখেছিল। (যাত্রা ২৫:১০, ১১, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন, ১৭-২২; ৩৭:৬-৯) এই ঢাকনাকে ‘পাপাবরণও’ বলা হয়ে থাকে।—ইব্রীয় ৯:৫.
আপনি কি মনে করতে পারেন?
• নিয়ম-সিন্দুকের মধ্যে কী ছিল?
এতে নিয়মের দুই প্রস্তরফলক ও সেইসঙ্গে কিছু মান্না ছিল। কোরহের বিদ্রোহের পর, হারোণের যষ্টি সিন্দুকে রাখা হয়েছিল, যাতে তা বিদ্রোহী বংশধরদের বিরুদ্ধে এক চিহ্ন বা প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। (ইব্রীয় ৯:৪) শলোমনের মন্দির উৎসর্গীকরণের আগে, নিয়ম-সিন্দুকের মধ্যে থেকে যষ্টি এবং মান্না হয়তো সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
“সর্ব্বজাতির প্রার্থনা-গৃহ”
৬ “যিনি পরাৎপর, তিনি হস্তনির্ম্মিত গৃহে বাস করেন না” বাইবেল বলে। (প্রেরিত ৭:৪৮) কিন্তু, তাঁর পার্থিব গৃহে অতি পবিত্র স্থান নামক ভিতরের প্রকোষ্ঠে ঈশ্বরের উপস্থিতি মেঘ দ্বারা চিত্রিত করা হত। (লেবীয় পুস্তক ১৬:২) স্পষ্টতই, এই মেঘ উজ্জ্বলভাবে আলোকিত হত যা অতি পবিত্র স্থানকে আলো দিত। ‘সাক্ষ্য-সিন্দুক’ নামক পবিত্র সিন্দুকের উপরে এটি অবস্থান করত, যার মধ্যে ইস্রায়েলের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের দেওয়া কিছু আজ্ঞাখোদিত প্রস্তরফলকগুলি ছিল। সিন্দুকের প্রচ্ছদটির উপর থাকত প্রসারিত ডানাসহ দুটি স্বর্ণের করূব যেটি ঈশ্বরের স্বর্গীয় সংগঠনের উচ্চ-স্তরের আত্মিক প্রাণীদের চিত্রিত করে। আলোসহ অলৌকিক মেঘ প্রচ্ছদের উপর এবং করূবদের মাঝে অবস্থান করত। (যাত্রাপুস্তক ২৫:২২) এটি জীবন্ত করূবদের দ্বারা ধরে থাকা একটি স্বর্গীয় রথের উপর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর উপবিষ্ট আছেন এই ধারণাকে প্রকাশ করত। (১ বংশাবলি ২৮:১৮) এটি ব্যাখ্যা করে কেন রাজা হিষ্কিয় প্রার্থনা করেছিলেন: “হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, করূবদ্বয়ে আসীন।”—যিশাইয় ৩৭:১৬.
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
অন্তর্দৃষ্টি-১ ৪৩২ অনু. ১, ইংরেজি
করূব
নিয়ম সিন্দুকের ঢাকনার উপরে দুটো সোনার করূব তৈরি করা হয়েছিল। দুটো করূব সামনাসামনি রাখা হয়েছিল আর তাদের মুখ নীচের দিকে ঝুঁকে ছিল, যেন তারা যিহোবার উপাসনা করছে। তাদের ডানা দুটো উপর দিকে প্রসারিত ছিল আর নিয়ম সিন্দুকের ঢাকনাকে ঢেকে রেখেছিল, যেন তারা সেটাকে রক্ষা করছে। (যাত্রা ২৫:১০-২১; ৩৭:৭-৯) এ ছাড়া, আবাসের ঢাকনার জন্য ভিতরের দিকে ব্যবহার করা কাপড়ে এবং পবিত্র ও অতি পবিত্র স্থানের মাঝখানে থাকা পর্দায় শিল্পীর তৈরি করূবদের ছবি ছিল।—যাত্রা ২৬:১, ৩১; ৩৬:৮, ৩৫.
অন্তর্দৃষ্টি-২ ৯৩৬, ইংরেজি
দর্শন-রুটি
আবাসে ও পরবর্তী সময় মন্দিরের পবিত্র স্থানে মেজের উপর বারোটা রুটি রাখা হত। প্রতি বিশ্রামবারে সেগুলো সরিয়ে নতুন রুটি রাখা হত। (যাত্রা ৩৫:১৩; ৩৯:৩৬; ১রাজা ৭:৪৮; ২বংশা ১৩:১১; নহি ১০:৩২, ৩৩) ‘দর্শন-রুটির’ জন্য যে-ইব্রীয় শব্দের অনুবাদ ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটার আক্ষরিক অর্থ হল, ‘মুখমণ্ডলের রুটি।’ (মার্ক ২:২৬, NW) “মুখমণ্ডল” শব্দটা কখনো কখনো ‘সম্মুখকে[‘উপস্থিতিকে,’ NW]’ চিত্রিত করে। (২রাজা ১৩:২৩) আর এই কারণেই দর্শন-রুটি সবসময় যিহোবার সামনে যেন একটা বলি হিসেবে রাখা থাকত।—যাত্রা ২৫:৩০.
সেপ্টেম্বর ২১-২৭
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন
যাত্রাপুস্তক ২৭-২৮
“যাজকদের পোশাক থেকে আমরা কী শিখতে পারি?”
অন্তর্দৃষ্টি-২ ১১৪৩, ইংরেজি
ঊরিম ও তুম্মীম
অনেক বাইবেল পণ্ডিত মনে করেন যে, ঊরিম ও তুম্মীম আসলে ঘুঁটি ছিল। জেমস্ মোফাটের অনুবাদ অনুযায়ী যাত্রাপুস্তক ২৮:৩০ পদে এগুলোকে “পবিত্র ঘুঁট” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ কেউ মনে করে, এতে তিনটে ঘুঁটি ছিল। একটাতে “হ্যাঁ” লেখা থাকত, আরেকটাতে “না” লেখা থাকত আর অন্যটা খালি থাকত। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য এই ঘুঁটিগুলো চালা হত। যে-ঘুঁটি তোলা হত, সেটাই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে ধরে নেওয়া হত আর যদি খালি ঘুঁটি তোলা হত, তা হলে সেটার অর্থ ছিল যে, কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে কেউ কেউ মনে করে, ঊরিম ও তুম্মীম দুটো চ্যাপটা পাথর ছিল। এই পাথরগুলো এক দিকে সাদা হত ও আরেক দিকে কালো হত। এগুলো ছোঁড়ার পর যদি দুটো পাথরের সাদা দিকটা দেখা যেত, তা হলে সেটার অর্থ ছিল “হ্যাঁ” আর যদি কালো দিকটা দেখা যেত, তা হলে সেটার অর্থ ছিল “না”। আর যদি একটা পাথরের সাদা দিক ও আরেকটা পাথরের কালো দিক দেখা যেত, তা হলে সেটার অর্থ ছিল যে, কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এক বার শৌল এক জন যাজকের মাধ্যমে যিহোবাকে জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি পলেষ্টীয়দের আক্রমণ করবেন, কি করবেন না। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর পাননি। তখন শৌল মনে করেন যে, তার নিজের কোনো লোক হয়তো পাপ করেছে, তাই তিনি যিহোবার কাছে অনুরোধ করেন: “হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যথার্থ কি, দেখাইয়া দিউন [“তুম্মীমের সাহায্যে আমাদের উত্তর দিন,” NW]!” তারপর সমস্ত লোকের মধ্যে থেকে শৌল ও যোনাথনকে বাছাই করা হয় আর তাদের দু-জনের মধ্যে কে দোষী, তা নির্ধারণ করার জন্য ঘুঁটি চালা হয়। “তুম্মীমের সাহায্যে আমাদের উত্তর দিন,” এই অনুরোধ সম্ভবত ঘুঁটি চালানোকে বোঝায় না, তবে এই দুটো বিষয়ের মধ্যে কোনো সংযোগ ছিল।—১শমূ ১৪:৩৬-৪২.
অন্তর্দৃষ্টি-১ ৮৪৯ অনু. ৩, ইংরেজি
কপাল
ইস্রায়েলের মহাযাজক। ইস্রায়েলে, মহাযাজকের উষ্ণীষ বা পাগড়ির সামনের দিকে একটা সোনার পাত লাগানো থাকত, যেটা “পবিত্র মুকুট [“উৎসর্গীকরণের পবিত্র চিহ্ন,” NW]” ছিল। সেটার উপর “ক্ষোদিত মুদ্রার ন্যায়” এই কথা লেখাছিল, “সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র।” (যাত্রা ২৮:৩৬-৩৮; ৩৯:৩০) যিহোবার উপাসনায় মহাযাজক লোকেদের মুখ্য প্রতিনিধি ছিলেন, তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, তিনি যেন যিহোবার দৃষ্টিতে পবিত্র থাকেন। আর এই শব্দগুলো ইস্রায়েলীয়দের স্মরণ করিয়ে দিত, যিহোবার উপাসকদেরও পবিত্র থাকতে হবে। সোনার পাতে খোদাই করা সেই শব্দগুলো যিশু খ্রিস্টের প্রতিও প্রযোজ্য, যাঁকে যিহোবা মহান মহাযাজক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন এবং তিনি যিহোবার মতোই পবিত্র।—ইব্রীয় ৭:২৬.
প্রহরীদুর্গ ০৮ ৮/১৫ ১৫ অনু. ১৭
মর্যাদা প্রদর্শন করার মাধ্যমে যিহোবাকে সম্মান করুন
১৭ বাইবেল ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা যখন উপাসনায় যিহোবার নিকটবর্তী হই, তখন মর্যাদা দেখানোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। “তুমি ঈশ্বরের গৃহে গমন কালে তোমার চরণ সাবধানে রাখ,” উপদেশক ৫:১ পদ বলে। মোশি ও যিহোশূয় উভয়েই যখন পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে ছিল, তখন তাদেরকে জুতো খুলে ফেলার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। (যাত্রা. ৩:৫; যিহো. ৫:১৫) তাদেরকে তা সম্মান অথবা শ্রদ্ধার ইঙ্গিত হিসেবে করতে হয়েছিল। ইস্রায়েলীয় যাজকদের “উলঙ্গতার আচ্ছাদনার্থে” শুক্ল জাঙ্ঘিয়া পরতে হতো। (যাত্রা. ২৮:৪২, ৪৩) এটা বেদির সামনে সেবা করার সময় তাদের শরীর অসংগতভাবে অনাবৃত হয়ে যাওয়া থেকে রোধ করত। যাজকের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে মর্যাদার ঈশ্বরীয় মানকে সমর্থন করতে হতো।
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
প্রহরীদুর্গ ১২ ৮/১ ২৬ অনু. ১-৩, ইংরেজি
আপনি কি জানতেন?
ইস্রায়েলের মহাযাজকের বুকপাটায় থাকা মূল্যবান মণিগুলো সম্ভবত কোথা থেকে আনা হয়েছিল?
ইস্রায়েলীয়রা মিশর ছেড়ে প্রান্তরে চলে আসার পর, যিহোবা তাদের এই বুকপাটা তৈরি করার আজ্ঞা দেন। (যাত্রাপুস্তক ২৮:১৫-২১) এতে চুণী, পীতমণি, মরকত, পদ্মরাগ, নীলকান্ত, হীরক, পেরোজ, যিস্ম, কটাহেলা, বৈদূর্য্য, গোমেদক ও সূর্য্যকান্তের মতো মণি ছিল। ইস্রায়েলীয়রা এই সমস্ত মণিগুলো কোথা থেকে পেয়েছিল?
প্রাচীন কালে লোকেরা মণিকে খুবই বহুমূল্য বলে গণ্য করত আর সেগুলো ক্রয়-বিক্রয় করত। মিশরের লোকেরা দূরদূরান্ত থেকে মণি ক্রয় করত, যেমন বর্তমান সময়ের ইরান, আফগানিস্তান ও এমনকী সম্ভবত ভারত থেকেও। মিশরের খনি থেকে বিভিন্ন ধরনের বহুমূল্য মণি বের করা হত। মিশরের রাজারা নিজেদের অধীনে থাকা এলাকার খনি থেকেও এই ধরনের মণি বের করতেন। কুলপতি ইয়োবও বলেছিলেন, তার সময়ের লোকেরা নীলকান্ত, পীতমণি ও ভিন্ন ভিন্ন মণির খোঁজে মাটির নীচে সুরঙ্গ খনন করত।—ইয়োব ২৮:১-১১, ১৯.
যাত্রাপুস্তকের একটা বিবরণ বলে, মিশর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তারা “মিস্রীয়দের ধন হরণ করিল।” (যাত্রাপুস্তক ১২:৩৫, ৩৬) তাই, মহাযাজকের বুকপাটায় থাকা মূল্যবান মণিগুলো ইস্রায়েলীয়রা হয়তো মিশর থেকে এনেছিল।
অন্তর্দৃষ্টি-১ ১১৩০ অনু. ২, ইংরেজি
পবিত্রতা
পশু ও উৎপাদন। প্রথমজাত পুং গোবৎস, প্রথমজাত পুং মেষশাবক ও প্রথমজাত পুং ছাগের শাবক যিহোবার জন্য পবিত্র বলে গণ্য করা হত আর ইস্রায়েলীয়রা এই পশুদের মুক্ত করতে পারত না। এগুলোকে যিহোবার জন্য বলি হিসেবে উৎসর্গ করা হত এবং বলিদানের কিছু অংশ যাজকদের দেওয়া হত। (গণনা ১৮:১৭-১৯) ফসলের প্রথম অংশ, দশমাংশ ও পবিত্র স্থানে উৎসর্গ করা সমস্ত বলি ও উপহার পবিত্র ছিল আর এগুলো যিহোবার জন্য আলাদা করে রাখা হত। (যাত্রা ২৮:৩৮) এই সমস্ত পবিত্র দ্রব্য যিহোবার সেবায় ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা উচিত হত না। কল্পনা করুন, এক জন ব্যক্তি নিজের গমের উৎপাদনের দশমাংশ যিহোবার জন্য আলাদা করে রাখেন। কিন্তু, কিছু সময় পর সেই ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য অজান্তে সেটা থেকে অল্প গম রান্না করার জন্য নিয়ে যায়। এভাবে তিনি পবিত্র দ্রব্য সম্বন্ধে যিহোবার আইনকে লঙ্ঘন করেন। তাই তাকে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হত। ক্ষতিপূরণের হিসেবে তাকে সেই অংশের দাম আর সেই দামের ২০ শতাংশ যোগ করে দিতে হত। এ ছাড়া, তাকে একটা নির্দোষ মেষের বলি উৎসর্গ করতে হত। এভাবে যে-দ্রব্য পবিত্র ছিল এবং যিহোবার জন্য আলাদা করে রাখা হত, সেগুলোকে অত্যন্ত সম্মান করা হত।—লেবীয় ৫:১৪-১৬.
সেপ্টেম্বর ২৮–অক্টোবর ৪
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন
যাত্রাপুস্তক ২৯-৩০
“যিহোবার কাজের জন্য দান”
অন্তর্দৃষ্টি-২ ৭৬৪-৭৬৫, ইংরেজি
নাম লেখানো
সীনয় প্রান্তরে। ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে বের করে নিয়ে আসার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসে যিহোবা সীনয় প্রান্তরে মোশিকে ইস্রায়েলীয়দের নাম লেখানোর আজ্ঞা দেন। এই কাজে মোশিকে সাহায্য করার জন্য প্রত্যেক বংশ থেকে এক জন ব্যক্তিকে বাছাই করা হয়, যিনি নিজের বংশের নাম লেখানোর দায়িত্ব নিতেন। সেই সমস্ত ব্যক্তির নাম লেখানো হয়, যাদের বয়স ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশি ছিল আর যারা ইস্রায়েলের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যোগ্য ছিল। শুধু তা-ই নয়, তাদের আবাসের কাজের জন্য আধ শেকল [প্রায় ৮৩ টাকা] দিতে হত। (যাত্রা ৩০:১১-১৬; গণনা ১:১-১৬, ১৮, ১৯) তাদের মোট সংখ্যা ৬,০৩,৫৫০ ছিল। এই সংখ্যার মধ্যে লেবীয়রা অন্তর্ভুক্ত ছিল না কারণ তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে কোনো জমি দেওয়া হত না। আর লেবীয়দের আবাসের কাজের জন্য দান দেওয়ার বা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।—গণনা ১:৪৪-৪৭; ২:৩২, ৩৩; ১৮:২০, ২৪.
অন্তর্দৃষ্টি-১ ৫০২, ইংরেজি
দান
ব্যবস্থা অনুযায়ী ইস্রায়েলীয়দের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দান দিতেই হত। মোশি যখন ইস্রায়েলীয়দের গণনা করেন, তখন যাদের বয়স ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশি ছিল, তাদের নিজেদের মুক্তির মূল্য হিসেবে ‘পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে অর্দ্ধশেকল [প্রায় ৮৩ টাকা] দিতে হত।’ এই মূল্য ‘সদাপ্রভুর উপহার’ স্বরূপ ছিল, যেটা তাদের প্রাণের প্রায়শ্চিত্তের জন্য এবং ‘সমাগম-তাম্বুর কার্য্যের জন্য’ দেওয়া হত। (যাত্রা ৩০:১১-১৬) যিহুদি ইতিহাসবেত্তা জোসিফাসের মতামত অনুযায়ী, পরবর্তী সময়ে তারা এই পবিত্র “কর” প্রতি বছর দিতে শুরু করে।—২বংশা ২৪:৬-১০; মথি ১৭:২৪.
প্রহরীদুর্গ ১১ ১১/১ ১২ অনু. ১-২, ইংরেজি
আপনি কি জানতেন?
যিরূশালেমে যিহোবার মন্দিরের সেবায় প্রয়োজনীয় খরচ কীভাবে পূরণ করা হত?
মন্দিরে বিভিন্ন রকমের সেবার খরচ পূরণ করার জন্য ইস্রায়েলীয়দের কর দিতে হত। তাদের আয়ের দশমাংশ দেওয়ার পাশাপাশি আরও অন্যান্য কর দিতে হত। যেমন, আবাস নির্মাণ করার সময়, যিহোবা মোশিকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যে-ইস্রায়েলীয়দের নাম গণনা করা হয়েছিল, তারা যেন আধ শেকল রুপো ‘সদাপ্রভুকে উপহার’ হিসেবে দেয়।—যাত্রাপুস্তক ৩০:১২-১৬.
পরবর্তী সময়ে প্রত্যেক যিহুদির জন্য এটা এক নিয়ম হয়ে ওঠে। তারা প্রতি বছর আধ শেকল রুপো মন্দিরে কর হিসেবে দিতে শুরু করে। যিশু যখন পিতরকে মাছের মুখ থেকে একটা টাকা দিতে বলেন, তখন তিনি এই করের কথাই বলেছিলেন।—মথি ১৭:২৪-২৭.
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
অন্তর্দৃষ্টি-১ ১০২৯ অনু. ৪, ইংরেজি
হাত
হস্তার্পণ। কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো জিনিসের উপর হস্তার্পণ করার বা হাত রাখার বিভিন্ন অর্থ ছিল। যেমন, কোনো কাজের জন্য কাউকে বাছাই করা, আশীর্বাদ দেওয়া, সুস্থ করা বা পবিত্র আত্মা দ্বারা অলৌকিক বর বা দান প্রদান করা। কখনো কখনো পশুবলি দেওয়ার আগে তাদের উপরও হাত রাখা হত। যখন হারোণ ও তার ছেলেদের যাজকত্বের দায়িত্ব অর্পণ করা হচ্ছিল, তখন তারা একটা গোবৎসের ও দুটো মেষের মাথার উপর নিজেদের হাত রাখে। এমনটা করার মাধ্যমে তারা দেখিয়েছিল যে, সেই পশুদের বলি উৎসর্গ করা হবে। তারপরই তারা যিহোবা ঈশ্বরের যাজক হিসেবে সেবা করতে পারত। (যাত্রা ২৯:১০, ১৫, ১৯; লেবীয় ৮:১৪, ১৮, ২২) যিহোবা যখন মোশিকে ইস্রায়েলীয়দের নেতা হিসেবে যিহোশূয়কে বাছাই করতে বলেছিলেন, তখন মোশি যিহোশূয়ের উপর নিজের হাত রেখেছিলেন। এভাবে যিহোশূয় “বিজ্ঞতার আত্মায় পরিপূর্ণ” হন এবং পরবর্তী সময়ে সেই কার্যভার ভালোভাবে পালন করতে পারেন। (দ্বিতীয় ৩৪:৯) কাউকে আশীর্বাদ দেওয়ার সময়ও তার উপর হাত রাখা হত। (আদি ৪৮:১৪; মার্ক ১০:১৬) যিশু খ্রিস্ট লোকেদের সুস্থ করার জন্য তাদের স্পর্শ করেছিলেন বা তাদের উপর হাত রেখেছিলেন। (মথি ৮:৩; মার্ক ৬:৫; লূক ১৩:১৩) কিছু কিছু ক্ষেত্রে, প্রেরিতরা পবিত্র আত্মা দ্বারা অলৌকিক বর বা দান প্রদান করার জন্য লোকেদের উপর হাত রেখেছিলেন।—প্রেরিত ৮:১৪-২০; ১৯:৬.
অন্তর্দৃষ্টি-১ ১১৪ অনু. ১, ইংরেজি
অভিষিক্ত, অভিষেক
যিহোবা মোশিকে যে-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি মোশিকে অভিষেকার্থ তেল তৈরি করার প্রস্তুতপ্রণালী সম্বন্ধে জানিয়েছিলেন। এটা গন্ধরস, সুগন্ধি দারচিনি, সুগন্ধি বচ, দারচিনি ফুলের কুঁড়ি ও জলপাইয়ের তেলের মতো উত্তম উত্তম উপকরণের এক বিশেষ মিশ্রণ ছিল। (যাত্রা ৩০:২২-২৫) কেউ যদি অভিষেকার্থ পবিত্র তেল তৈরি করত এবং নিযুক্ত নয় এমন কোনো ব্যক্তির মাথায় ঢেলে দিত, তা হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত। (যাত্রা ৩০:৩১-৩৩) এটা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, এই অভিষেকার্থ পবিত্র তেল দিয়ে কাউকে অভিষেক করা যিহোবার দৃষ্টিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।