মতের অমিল হলে আপনি কী করে তা মিটমাট করেন?
প্রত্যেক দিন আমাদের নানা রকমের লোকেদের সঙ্গে ওঠাবসা করতে হয়। কখনও কখনও লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা করে, তাদের জেনে, বুঝে আমরা আনন্দ পাই, আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। কিন্তু সবসময় এমন হয় না। কখনও কখনও আবার তাদের কারও কারও সঙ্গে আমাদের মতের অমিলও হয়। কোন কোন সময় আমরা এতে খুব বেশি ভেঙে পড়ি আবার কোন কোন সময় কম। মতের অমিল হলে আমরা কী করে তা মিটমাট করি তা আমাদের মন, আমাদের অনুভূতি ও ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ওপর অনেকখানি ছাপ ফেলে।
অন্যদের সঙ্গে মতের অমিল হলে আমরা যখন তা মিটমাট করে নিতে চাই বা করার চেষ্টা করি তখন আমাদের আর মনে মনে অশান্তি পোহাতে হয় না। এছাড়া অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও ভাল থাকে। ঠিক যেমন একটা পুরনো নীতিবচন বলে: “শান্ত হৃদয় শরীরের জীবন।”—হিতোপদেশ ১৪:৩০.
আর একটা নীতিবচন বলে: “যে আপন আত্মা দমন না করে, সে এমন নগরের তুল্য, যাহা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, যাহার প্রাচীর নাই।” (হিতোপদেশ ২৫:২৮) এমনিতে তো আমাদের কেউই চায় না যে আমরা খারাপ কথা ভাবি বা খারাপ কাজ করি আর নিজেদের ও অন্যদের ক্ষতি করি। কিন্তু আমরা যদি আমাদের রাগকে বশে রাখতে না পারি, তাহলে আমরা এইরকমই কিছু খারাপ কাজ করে বসতে পারি। যীশু একবার উপদেশ দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে আমাদের নিজেদেরকে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। (মথি ৭:৩-৫) আমরা যদি তা করি, তাহলে আমরা খুব সহজেই মতের অমিলকে মিটমাট করে নিতে পারব। এছাড়াও যাদের চিন্তাভাবনা বা কথাবার্তার সঙ্গে আমাদের মেলে না তাদের জন্য খারাপ চিন্তা করার বদলে আমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইব।
আমাদের ব্যবহার
মতের অমিলকে মিটমাট করার জন্য দুটো বিষয় আমাদের সাহায্য করতে পারে। প্রথমেই আমাদের বোঝা দরকার যে আমাদের মনে খারাপ চিন্তা আসতে পারে আর আমরা খারাপ কাজও করে ফেলতে পারি। বাইবেলের একটা পদ বলে যে আমরা সকলেই পাপ করি ‘এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হই।’ (রোমীয় ৩:২৩) তাই আমাদের ভেবেচিন্তে কাজ করা দরকার। এটা করলে আমরা হয়তো বুঝতে পারব যে সমস্যার মূল অন্য কেউ নয় বরং আমরা নিজেরাই। এই কারণে আসুন আমরা এখন যোনার উদাহরণটা একটু মন দিয়ে দেখি।
যিহোবা যোনাকে নীনবী শহরে গিয়ে সেখানকার লোকেদের তাঁর বিচার দণ্ডাজ্ঞা শোনাতে বলেছিলেন। বিচার দণ্ডাজ্ঞা শুনে সেখানকার লোকেরা কী করেছিল? খুশির বিষয় যে তারা খারাপ কাজ করা ছেড়ে দিয়েছিল, অনুতাপ করেছিল আর সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করতে শুরু করেছিল। (যোনা ৩:৫-১০) তাদের অনুতাপ দেখে যিহোবার দয়া হয়েছিল আর যিহোবা তাদের ক্ষমা করছিলেন। “কিন্তু ইহাতে যোনা মহা বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ হইলেন।” (যোনা ৪:১) যিহোবার দয়া দেখে যোনার রাগ হওয়ার কথা অবাক হওয়ার মতো। কিন্তু যোনা কেন রেগে গিয়েছিলেন? কারণ যোনা শুধু তার নিজের কথাই ভেবেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন যে সবার সামনে তাকে নিচু হয়ে যেতে হবে আর এরপর থেকে তার কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি যিহোবার দয়াকে বুঝতে পারেননি। তাই যিহোবা তাকে কিছু শিক্ষা দিয়েছিলেন যাতে তিনি তার চিন্তাকে শুধরে নিতে পারেন আর ঈশ্বরের দয়াকে বুঝতে পারেন। (যোনা ৪:৭-১১) এই শিক্ষা খুবই সহজ ছিল আর যোনা খুব ভাল করে বুঝতে পেরেছিলেন যে দোষ তারই ছিল ও তার চিন্তাকে পালটানো দরকার।
যোনার মতো হয়তো কখনও কখনও আমাদেরও নিজেদের চিন্তাকে পালটাতে হতে পারে। প্রেরিত পৌল আমাদের পরামর্শ দেন: “সমাদরে এক জন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।” (রোমীয় ১২:১০) এর মানে কী? আমাদের ভাইবোনদের সঙ্গে বুঝেশুনে কথা বলা আর তাদের মানসম্মানের কথা মনে রেখে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করা দরকার। এছাড়াও আমাদের মনে রাখা দরকার যে প্রত্যেকের তাদের মনমতো বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। পৌল আমাদের মনে করিয়ে দেন: “প্রত্যেক জন নিজ নিজ ভার বহন করিবে।” (গালাতীয় ৬:৫) তাই মতের অমিল আমাদের মধ্যে অনেকখানি ফাটল তৈরি করে দেওয়ার আগেই নিজেদেরকে পরীক্ষা করে দেখা দরকার যে আমাদের ব্যবহার পালটানোর দরকার আছে কিনা! আসলে আমাদের চিন্তাকে যিহোবার মতো করার জন্য ও ভাইবোনদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখার জন্য খুবই চেষ্টা করা দরকার।—যিশাইয় ৫৫:৮, ৯.
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি
কল্পনা করুন যে একটা খেলনা নিয়ে দুজন বাচ্চার মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে আর তারা সেই খেলনা নিয়ে টানা-হিঁচড়া করছে। রাগের চোটে তারা একজন আরেকজনকে উলটো-পালটা কিছু বলেও দিল। আর তাদের ঝগড়া ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ এসে তাদের ছাড়ায় বা একজনের জিত হয়।
বাইবেলের আদিপুস্তকে আমরা পড়ি যে অব্রাহাম যখন তার পশুপালকদের ও লোটের পশুপালকদের মধ্যে ঝগড়ার কথা শুনতে পান তখন লোটের কাছে গিয়ে তিনি বলেছিলেন: “বিনয় করি, তোমাতে ও আমাতে এবং তোমার পশুপালকগণে ও আমার পশুপালকগণে বিবাদ না হউক; কেননা আমরা পরস্পর জ্ঞাতি।” অব্রাহাম চাননি যে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলতেই থাকুক আর লোটের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাক। তাই তিনি কী করেছিলেন? যদিও তিনি লোটের চেয়ে বড় ছিলেন আর সেইজন্য তিনি প্রথমে জায়গা বেছে নিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি লোটকে প্রথমে সুযোগ দিয়েছিলেন। লোট তার ইচ্ছামতো জায়গা বেছে নিয়েছিল আর তার ঘর-পরিবার, পশু-পাখি নিয়ে সেখানে গিয়েছিল। লোট সদোম ও ঘোমরা নামে এক উর্বর জায়গা বেছে নিয়েছিল। নিজেদের মধ্যে শান্তি রাখার জন্য তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিল।—আদিপুস্তক ১৩:৫-১২.
অন্যদের সঙ্গে শান্তি রাখার জন্য আমরাও কি অব্রাহামের মতো কিছু সুযোগসুবিধা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তৈরি? মতের অমিলকে মিটমাট করার জন্য বাইবেলে দেওয়া অব্রাহামের উদাহরণ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। অব্রাহাম নিজে আগে লোটের কাছে গিয়েছিলেন ও বলেছিলেন: “তোমাতে ও আমাতে . . . বিবাদ না হউক।” অব্রাহামের এই কথা থেকে বোঝা যায় যে শান্তিতে দুজনের মধ্যে মতের অমিলকে মিটিয়ে নেওয়াই অব্রাহামের ইচ্ছা ছিল যাতে কোন ভুল বোঝাবুঝি না হয়। অব্রাহাম লোটকে এ কথাও বলেছিলেন, “কেননা আমরা পরস্পর জ্ঞাতি।” কেন শুধু শুধু সামান্য স্বার্থের কারণে বা গর্বের জন্য এত কাছের, ভালবাসার সম্পর্ককে হারানো? কোন্ বিষয়টা জরুরি অব্রাহাম তা বুঝেছিলেন। নিজের সম্মান বজায় রেখে তিনি তা করেছিলেন আর সেই সঙ্গে তিনি তার ভাইপোর সম্মানের কথাও মাথায় রেখেছিলেন।
যখন মতের অমিল মিটমাট করার জন্য তৃতীয় কোন ব্যক্তির দরকার হয়ে পড়ে তখন ব্যাপারটাকে গোপনে মিটিয়ে নেওয়া কতই না ভাল! যীশু বলেছিলেন যে ভাইয়ের সঙ্গে মিটমাট করে নেওয়ার জন্য নিজে এগিয়ে যাওয়া দরকার। যদি দরকার হয় ক্ষমা চাওয়া উচিত।a (মথি ৫:২৩, ২৪) এরজন্য নম্র হওয়ার দরকার আছে। কারণ পিতর লিখেছিলেন: “‘তোমরা সকলেই এক জন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।’” (১ পিতর ৫:৫) আমরা আমাদের ভাইদের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করি তা যিহোবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ওপর একটা বড় ছাপ ফেলে।—১ যোহন ৪:২০.
মণ্ডলীতে শান্তি রাখার জন্য আমাদের হয়তো কিছু ছাড়তে হতে পারে। গত পাঁচ বছর ধরে অনেক লোকেরা যিহোবার সাক্ষি হয়েছেন। আর তা দেখে আমাদের কতই না আনন্দ হয়! তাই আমরা এই নতুন ভাইবোনদের সঙ্গে ও অন্য সবার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছি সে ব্যাপারে আমাদের খেয়াল রাখা দরকার কারণ তারা আমাদের লক্ষ্য করে। তাই আমাদের কথাবার্তা, কাজকর্ম, শখ, চাকরিবাকরি, মনোরঞ্জন এই সব ব্যাপারে খুব বেশি নজর রাখা দরকার যে তা যেন তাদের বিঘ্ন না জন্মায়। আমাদের নিজেদের ভাবা দরকার যে আমার কথাবার্তা বা কাজে কি অন্যে ভুল বোঝে?
প্রেরিত পৌল আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন: “সকলই বিধেয়, কিন্তু সকলই যে হিতজনক, তাহা নয়; সকলই বিধেয়, কিন্তু সকলই যে গাঁথিয়া তুলে, তাহা নয়। কেহই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, বরং প্রত্যেক জন পরের মঙ্গল চেষ্টা করুক।” (১ করিন্থীয় ১০:২৩, ২৪) যিহোবার উপাসক হওয়ায় আমরা সবাই আমাদের ভাইবোনদের একে অন্যকে ভালবাসতে ও গেঁথে তুলতে চাই।—গীতসংহিতা ১৩৩:১; যোহন ১৩:৩৪, ৩৫.
আমাদের মিষ্টি কথা
আমাদের কথা অনেক ভাল কাজ করতে পারে। “মনোহর বাক্য মৌচাকের ন্যায়; তাহা প্রাণের পক্ষে মধুর, অস্থির পক্ষে স্বাস্থ্যকর।” (হিতোপদেশ ১৬:২৪) গিদিয়োনের কাহিনীতে আমরা এই প্রবাদকে সত্যি হতে দেখি। গিদিয়োন মিষ্টি কথা বলে ইফ্রয়িমদের সঙ্গে ঝগড়াকে বাধা দিতে পেরেছিলেন।
মিদিয়নীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় গিদিয়োন ইফ্রয়িমদের সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে মিদিয়নীয়রা গিদিয়োনের ওপর খুব রেগে যায় আর বলতে লাগে যে যুদ্ধের শুরুতে গিদিয়োন কেন তাদের ডাকেনি। বাইবেল বলে যে ‘এইরূপে তাহারা তাঁহার সহিত অত্যন্ত বিবাদ করিবার’ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গিদিয়োন বলেছিলেন: “এখন তোমাদের কর্ম্মের তুল্য কোন কর্ম্ম আমি করিয়াছি? অবীয়েষরের দ্রাক্ষা চয়ন অপেক্ষা ইফ্রয়িমের পরিত্যক্ত দ্রাক্ষাফল কুড়ান কি ভাল নয়? তোমাদেরই হস্তে ত ঈশ্বর মিদিয়নের দুই রাজাকে, ওরেব ও সেবকে, সমর্পণ করিয়াছেন; আমি তোমাদের এই কর্ম্মের তুল্য কোন কর্ম্ম করিতে পারিয়াছি?” (বিচারকর্ত্তৃগণ ৮:১-৩) ভালভাবে, মিষ্টি করে কথা বলায় গিদিয়োন ইফ্রয়িমদের রাগকে ঠাণ্ডা করতে পেরেছিলেন আর এর ঘোরতর যুদ্ধকে রুখতে পেরেছিলেন। ইফ্রয়িমরা হয়তো খুব অহংকারী ছিল আর নিজেদের খুব বড় মনে করত। কিন্তু তারা যেমনই হোক না কেন গিদিয়োন শান্তভাবে মতের অমিলকে মিটিয়ে নিতে পেরেছিলেন। আমরাও কি তার মতো করতে পারি?
কিছুজন হয়তো আমাদের ওপর রেগে গিয়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আমাদের তাদেরকে বোঝা উচিত, তাদের অনুভূতিকে বোঝা উচিত। হতে পারে যে আমরা সত্যিই হয়তো তাদের রাগের কারণ। দোষ যদি আমাদেরই হয়, তাহলে নিজের থেকে গিয়ে ভুল স্বীকার করে নেওয়া আর তাদেরকে দুঃখ দেওয়ায় ক্ষমা চেয়ে নেওয়া কতই না ভাল! কিছু মিষ্টি কথা হয়তো পুরনো সম্পর্ককে আবার ফিরিয়ে দিতে পারে। (যাকোব ৩:৪) আবার এমনও হতে পারে যে কিছুজনের হয়তো মন খারাপ আর তারা আমাদের কাছ থেকে দুটো ভাল কথা শুনতে চায়। বাইবেল বলে, “কাষ্ঠ শেষ হইলে অগ্নি নিভিয়া যায়।” (হিতোপদেশ ২৬:২০) হ্যাঁ, দুটো মিষ্টি কথা ভালভাবে বললে ‘ক্রোধ নিবারণ করা যায়’ আর তা দুঃখ অনেক কমিয়ে দেয়।—হিতোপদেশ ১৫:১.
প্রেরিত পৌল আমাদের বলেছেন: “যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।” (রোমীয় ১২:১৮) একথা ঠিক যে আমরা অন্যের আবেগ অনুভূতিকে পালটাতে পারব না কিন্তু শান্তি রাখার জন্য আমাদের দিক থেকে যতটা আমরা করতে পারি তা আমাদের করা উচিত। আমাদের অসিদ্ধতাকে সুযোগ না দিয়ে বা দেরি না করে আমরা এখনই বাইবেলের নীতি আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি। আর অন্যদের সঙ্গে আমাদের মতের অমিলকে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারি। যখন আমরা যিহোবা যেভাবে বলেছেন সেভাবে আমাদের মতের অমিলকে মিটমাট করে নেওয়ার চেষ্টা করি তখন আমরা শান্তি আর আনন্দ পাই।—যিশাইয় ৪৮:১৭.
[পাদটীকাগুলো]
a ১৯৯৯ সালের ১৫ই অক্টোবরের প্রহরীদুর্গ এর “মন থেকে ক্ষমা করুন” ও “আপনি আপনার ভাইকে লাভ করতে পারেন” প্রবন্ধ দুটো দেখুন।
[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]
আমরা কি সবকিছু আমাদের মনমতো হওয়ার জন্য জেদ করি?
[২৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
মতের অমিলকে মিটমাট করে নেওয়ার ব্যাপারে অব্রাহাম আমাদের জন্য এক ভাল উদাহরণ