আপনার জীবনে সর্বপ্রধান বিষয়টি কী?
“আমার গন্তব্য পথ আমাকে জানাও।”— গীতসংহিতা ১৪৩:৮.
১. মানুষের অভীষ্ট ও সম্পাদনগুলি সম্বন্ধে রাজা শলোমন কী উপসংহার করেছিলেন?
অন্যান্যদের মত আপনিও সম্ভবত জানেন যে, জীবন কার্যধারা ও উদ্বেগগুলি দ্বারা পরিপূর্ণ। যখন আপনি এটি সম্বন্ধে চিন্তা করেন, আপনি এর মধ্যে কতকগুলিকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে শনাক্ত করতে পারেন। অন্যান্য কার্যধারা এবং উদ্বেগগুলি নিতান্তই কম গুরুত্বপূর্ণ অথবা এমনকি নিরর্থক। তাই আপনি যে এটি উপলব্ধি করেন এর অর্থ হল আপনি সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী ব্যক্তিদের অন্যতম রাজা শলোমনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। জীবনের কার্যধারাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পুনরালোচনা করার পর তিনি উপসংহার করেছিলেন: “ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য।” (উপদেশক ২:৪-৯, ১১; ১২:১৩) আজকে আমাদের জন্য এর কী তাৎপর্য আছে?
২. ঈশ্বর-ভয়শীল ব্যক্তিরা কোন্ মূল প্রশ্নটি নিজেদের জিজ্ঞাসা করতে পারে, এর সাথে কোন্ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলি যুক্ত আছে?
২ যদি আপনি ‘ঈশ্বরকে ভয় করতে, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করতে’ চান, তাহলে নিজেকে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করুন, ‘আমার জীবনে সর্বপ্রধান বিষয়টি কী?’ এটি স্বীকার্য যে, আপনি হয়ত প্রত্যেকদিন এই বিষয়ে চিন্তা করতে পারেন না, কিন্তু এখন এটিকে বিবেচনা করুন না কেন? প্রকৃতপক্ষে, এটি কিছু সম্পর্কিত প্রশ্নের বিষয়েও প্রস্তাব করে, যেমন ‘আমি কি আমার চাকুরি, পেশা অথবা বস্তুগত বিষয়গুলির প্রতি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছি? আমার জীবনচিত্রে আমার ঘর, পরিবার এবং প্রিয়জনদের জন্য স্থানটি কোথায়?’ একজন যুবক হয়ত জিজ্ঞাসা করতে পারে, ‘কতদূর পর্যন্ত শিক্ষা আমার মনোযোগ ও সময় নিচ্ছে? প্রকৃতই কি কোন শখ, খেলাধূলা অথবা কিছু প্রকারের আমোদপ্রমোদ বা প্রযুক্তিবিদ্যা আমার মুখ্য আগ্রহ?’ আর আমাদের বয়স অথবা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন আমাদের যথার্থভাবে জিজ্ঞাসা করা উচিত, ‘আমার জীবনে ঈশ্বরের সেবার স্থানটি কী?’ সম্ভবত আপনি অগ্রাধিকারগুলি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার সাথে একমত হবেন। কিন্তু বিজ্ঞভাবে সেগুলি স্থাপন করার জন্য আমরা কিভাবে ও কোথায় সহায়তা লাভ করতে পারি?
৩. খ্রীষ্টানদের জন্য অগ্রাধিকারগুলি স্থাপন করা কী জড়িত করে?
৩ “সর্বপ্রধান বিষয়” অভিব্যক্তিটির মূল অর্থ, যা সমস্ত বিষয়ের আগে আসে অথবা সর্বপ্রথমে বিবেচনা করা প্রয়োজন এমন কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে। আপনি একজন যিহোবার সাক্ষীই হন অথবা তাদের সাথে মেলামেশা করে থাকে এমন লক্ষ লক্ষ আন্তরিক বাইবেলের ছাত্রদের অন্তর্ভুক্তই হন না কেন, এই সত্যটি বিবেচনা করুন: “সকল বিষয়েরই সময় আছে, ও আকাশের নীচে সমস্ত ব্যাপারের কাল আছে।” (উপদেশক ৩:১) যথার্থভাবেই, এটি আপনার পারিবারিক সম্পর্কগুলির প্রতি প্রেমপূর্ণ উদ্বেগ দেখানোর বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করে। (কলসীয় ৩:১৮-২১) এটি জাগতিক কাজের মাধ্যমে আপনার গৃহের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়াকে জড়িত করে। (২ থিষলনীকীয় ৩:১০-১২; ১ তীমথিয় ৫:৮) আর জীবনে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য আপনি হয়ত কোন শখ অথবা কখনও কখনও মনোরঞ্জন বা আমোদপ্রমোদে সময় ব্যয় করতে পারেন। (তুলনা করুন মার্ক ৬:৩১.) কিন্তু গম্ভীরভাবে চিন্তা করলে, আপনি কি দেখতে পান না যে এগুলির মধ্যে কোনটিই জীবনের সর্বপ্রধান বিষয় নয়? অন্য আরেকটি বিষয় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৪. কিভাবে ফিলিপীয় ১:৯, ১০ পদ আমাদের অগ্রাধিকারগুলি স্থাপন করার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
৪ সম্ভবত আপনি শনাক্ত করবেন যে বাইবেলের পরিচালক নীতিগুলি অগ্রাধিকারগুলি স্থাপনে এবং বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল্যবান সহায়ক। উদাহরণস্বরূপ, ফিলিপীয় ১:৯, ১০ পদে, খ্রীষ্টানদের উৎসাহিত করা হয়েছে “তত্ত্বজ্ঞানে ও সর্ব্বপ্রকার সূক্ষ্মচৈতন্যে উত্তর উত্তর উপচিয়া” পড়তে। কোন্ পরিণতিসহ? প্রেরিত পৌল আরও বলেছিলেন: “যাতে তোমরা আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, নিশ্চিত হতে পার।” (NW) (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) এটি কি অর্থবহ নয়? যথার্থ জ্ঞানের ভিত্তিতে একজন বিচক্ষণ খ্রীষ্টান স্থির করতে পারেন যে প্রথম আগ্রহের বিষয়টি কী হওয়া উচিত—জীবনে—সর্বপ্রধান বিষয়টি।
সর্বপ্রধান বিষয়টি কী এই ক্ষেত্রে এক আদর্শ
৫. খ্রীষ্টানদের জন্য রেখে যাওয়া আদর্শ বর্ণনা করে কিভাবে শাস্ত্র দেখায় যীশুর জীবনে সর্বপ্রধান বিষয়টি কী ছিল?
৫ আমরা প্রেরিত পিতরের বাক্যগুলিতে জ্ঞানের এক মহামূল্যবান দিক খুঁজে পাই: “তোমরা ইহারই নিমিত্ত আহূত হইয়াছ; কেননা খ্রীষ্টও তোমাদের নিমিত্ত দুঃখ ভোগ করিলেন, এ বিষয়ে তোমাদের জন্য এক আদর্শ রাখিয়া গিয়াছেন, যেন তোমরা তাঁহার পদচিহ্নের অনুগমন কর।” (১ পিতর ২:২১) হ্যাঁ, জীবনে সর্বপ্রধান বিষয়টি কী, সে সম্পর্কে সূত্র পাওয়ার জন্য আমরা পরীক্ষা করতে পারি যে যীশু খ্রীষ্ট এই বিষয়ে কী চিন্তা করেছিলেন। গীতসংহিতা ৪০:৮ পদ তাঁর সম্বন্ধে ভাববাণীমূলকভাবে বলেছিল: “হে আমার ঈশ্বর, তোমার অভীষ্ট সাধনে আমি প্রীত, আর তোমার ব্যবস্থা আমার অন্তরে আছে।” সেই একই চিন্তাধারাটিকে তিনি এইভাবে উল্লেখ করেছিলেন: “আমার খাদ্য এই, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, যেন তাঁহার ইচ্ছা পালন করি ও তাঁহার কার্য্য সাধন করি।”—যোহন ৪:৩৪; ইব্রীয় ১২:২.
৬. কিভাবে আমাদেরও একই পরিণতি থাকতে পারে, যেমন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করাকে প্রথম স্থানে রাখার দ্বারা যীশুর ছিল?
৬ মুখ্য বিষয়টি লক্ষ্য করুন—ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা। যীশুর উদাহরণ জোর দেয় যে কোন্ বিষয়টিকে তাঁর শিষ্যদের যথার্থভাবে জীবনের সর্বপ্রধান বিষয়ে পরিণত করা উচিত, কারণ তিনি বলেছিলেন “যে কেহ পরিপক্ব হয়, সে আপন গুরুর তুল্য হইবে।” (লূক ৬:৪০) আর যেহেতু যীশু সেই পথে চলেছিলেন যা তাঁর পিতার উদ্দেশ্য ছিল, তিনি দেখিয়েছিলেন যে সর্বপ্রধান বিষয়রূপে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে চলায় “তৃপ্তিকর আনন্দ” আছে। (গীতসংহিতা ১৬:১১; প্রেরিত ২:২৮) আপনি কি উপলব্ধি করেন যে এটি কী ইঙ্গিত করে? যদি যীশুর অনুগামীরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালনকে তাদের জীবনের সর্বপ্রধান বিষয় হিসাবে নির্বাচন করে, তাহলে তারা “তৃপ্তিকর আনন্দ” ও প্রকৃত জীবন উপভোগ করবে। (১ তীমথিয় ৬:১৯) সুতরাং, আমাদের জীবনে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে।
৭, ৮. যীশু কোন্ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন আর আমরা এর থেকে কী শিখতে পারি?
৭ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য যীশুর উপস্থাপনকে প্রতীকস্বরূপ চিত্রিত করার ঠিক পরেই দিয়াবল তাঁকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিভাবে? তিনটি ক্ষেত্রে প্রলোভনের দ্বারা। প্রত্যেক বার যীশু শাস্ত্র থেকে, স্পষ্টভাষায় উত্তর দিয়েছিলেন। (মথি ৪:১-১০) কিন্তু আরও পরীক্ষাগুলি তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল—তাড়না, উপহাস, যিহূদা দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা অভিযোগ এবং তারপর যতনাদণ্ডে মৃত্যুবরণ। তবুও, এর কোনকিছুই ঈশ্বরের বিশ্বস্ত পুত্রকে তাঁর জীবনধারা থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। চরম এক মুহূর্তে, যীশু প্রার্থনা করেছিলেন: “আমার ইচ্ছামত না হউক, তোমার ইচ্ছামত হউক। . . . তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক।” (মথি ২৬:৩৯, ৪২) আমাদের জন্য রেখে যাওয়া আদর্শের এই দিকটি কি আমাদের প্রত্যেককে “প্রার্থনায় নিবিষ্ট” থাকার কারণস্বরূপ হয়ে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে না?—রোমীয় ১২:১২.
৮ হ্যাঁ, যখন আমরা আমাদের জীবনে অগ্রাধিকারগুলি স্থাপন করি, তখন ঐশিক পরিচালনা নির্দিষ্টভাবে সাহায্যকারী হয়, বিশেষকরে যদি আমরা সত্যের শত্রু ও ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরোধীদের মুখোমুখি হই। যখন বিশ্বস্ত রাজা দায়ূদ শত্রুদের বিরোধিতা অভিজ্ঞতা করছিলেন, তখন পরিচালনার জন্য তার বিনতি সম্বন্ধে স্মরণ করুন। আমরা গীতসংহিতা ১৪৩ অধ্যায়ের কিছুটা অংশ বিবেচনা করার সময় এটি দেখব। এটি আমাদের সাহায্য করে, কিভাবে আমরা যিহোবার সাথে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে দৃঢ় করতে পারি এবং আমাদের জীবনে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করাকে সর্বপ্রথম স্থানে রাখার জন্য শক্তিশালী হতে পারি।
যিহোবা আমাদের প্রার্থনাগুলি শোনেন ও উত্তর দেন
৯. (ক) যদিও দায়ূদ একজন পাপী ছিলেন, তবুও তার কথা ও কাজ কী প্রকাশ করে? (খ) যা সঠিক তা করার ক্ষেত্রে কেন আমরা হাল ছেড়ে দেব না?
৯ যদিও এক পাপপূর্ণ মরনশীল মনুষ্য ছিলেন, দায়ূদের বিশ্বাস ছিল যে যিহোবা তার বিনতিতে কর্ণপাত করবেন। তিনি নম্রভাবে অনুরোধ করেছিলেন: “সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শুন; আমার বিনতিতে কর্ণপাত কর; তোমার বিশ্বস্ততায় ও তোমার ধর্ম্মশীলতায় আমাকে উত্তর দেও। তোমার দাসকে বিচারে আনিও না, তোমার সাক্ষাতে ত কোন প্রাণী ধার্ম্মিক নয়।” (গীতসংহিতা ১৪৩:১, ২) দায়ূদ তার অসিদ্ধতা সম্বন্ধে সচেতন ছিলেন, তবুও যিহোবার প্রতি তার হৃদয় সম্পূর্ণ ছিল। তাই, তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি ধার্মিকতায় উত্তর পাবেন। এটি কি আমাদের উৎসাহিত করে না? এমনকি যদিও আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার সম্মুখে খুবই নগণ্য, আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে যদি আমাদের হৃদয় তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ হয় তাহলে তিনি আমাদের কথা শুনবেন। (উপদেশক ৭:২০; ১ যোহন ৫:১৪) যখন প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকি, আমরা অবশ্যই এই মন্দ দিনগুলিতে ‘উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাজয় করতে,’ সংকল্পবদ্ধ হব।—রোমীয় ১২:২০, ২১; যাকোব ৪:৭.
১০. কেন দায়ূদের উদ্বেগজনক সময়কাল ছিল?
১০ দায়ূদের শত্রু ছিল, ঠিক যেমন আমাদের আছে। শৌলের কাছ থেকে একজন পলাতক হিসাবে, নির্জন অগম্য স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়ার জন্য অথবা শত্রুদের দ্বারা উপদ্রুত এক রাজা হিসাবে দায়ূদের জীবনে উদ্বেগপূর্ণ সময়কাল ছিল। কিভাবে এটি তাকে প্রভাবিত করেছিল সে সম্বন্ধে তিনি বর্ণনা করেছিলেন: “শত্রু আমার প্রাণকে তাড়না করিয়াছে; . . . সে আমাকে অন্ধকারে বাস করাইয়াছে, . . . ইহাতে আমার আত্মা অন্তরে অবসন্ন হইয়াছে, আমার অন্তরে চিত্ত অসার হইয়াছে।” (গীতসংহিতা ১৪৩:৩, ৪) আপনার কি একইরকম অনুভব করার কারণ রয়েছে?
১১. ঈশ্বরের আধুনিক-দিনের দাসেরা কোন্ উদ্বেগজনক মুহূর্তগুলির সম্মুখীন হয়?
১১ শত্রুর চাপ, নিদারুণ অর্থনৈতিক কষ্টের কারণে পরীক্ষা, গুরুতর অসুস্থতা অথবা অন্যান্য উদ্বেগজনক সমস্যাগুলি ঈশ্বরের কিছু লোকেদের এটি অনুভব করতে পরিচালিত করেছিল যে তাদের আত্মা অবসন্ন হয়ে পড়বে। কখনও কখনও তাদের হৃদয়ও যেন অনড় হয়ে পড়েছে। এটি যেন এমন যে তারা ব্যক্তিগতভাবে ক্রন্দন করেছে: “তুমি আমাদিগকে অনেক দারুণ সঙ্কট দেখাইয়াছ, তুমি ফিরিয়া আমাদিগকে সঞ্জীবিত করিবে, . . . তুমি . . . ফিরিয়া আমাকে সান্ত্বনা দেও।” (গীতসংহিতা ৭১:২০, ২১) কিভাবে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছে?
কিভাবে শত্রুর প্রচেষ্টার মুখোমুখি হওয়া যায়
১২. কিভাবে রাজা দায়ূদ বিপদ ও পরীক্ষাগুলির সাথে মোকাবিলা করেছিলেন?
১২ গীতসংহিতা ১৪৩:৫ পদ ইঙ্গিত করে দায়ূদ কী করেছিলেন যখন তিনি বিপদ ও ভীষণ পরীক্ষা দ্বারা বিজড়িত হয়েছিলেন: “আমি পূর্ব্বকালের দিন সকল স্মরণ করিতেছি, তোমার সমস্ত কর্ম্ম ধ্যান করিতেছি, তোমার হস্তের কার্য্য আলোচনা করিতেছি।” দায়ূদ তাঁর দাসেদের সাথে ঈশ্বরের ব্যবহার সম্পর্কে এবং তিনি নিজে কিভাবে উদ্ধার অভিজ্ঞতা করেছিলেন তা স্মরণ করেন। যিহোবা তাঁর মহৎ নামের জন্য কী করেছেন সে বিষয়ে তিনি ধ্যান করেছিলেন। হ্যাঁ, দায়ূদ নিজেকে ঈশ্বরের কাজে মনোযোগী রেখেছিলেন।
১৩. যখন আমরা পরীক্ষাগুলির সম্মুখীন হই, কিভাবে প্রাচীন ও আধুনিক বিশ্বস্ত দাসেদের উদাহরণগুলিকে বিববেচনা করা আমাদের সহ্য করতে সাহায্য করবে?
১৩ আমরাও কি প্রায়ই তাঁর লোকেদের সাথে ঈশ্বরের ব্যবহার সম্পর্কে স্মরণ করি না? অবশ্যই! এটি খ্রীষ্ট-পূর্ব সময়ের ‘বৃহৎ সাক্ষিমেঘ’ দ্বারা গঠিত নথিকে অন্তর্ভুক্ত করে। (ইব্রীয় ১১:৩২-৩৮; ১২:১) প্রথম শতাব্দীর অভিষিক্ত খ্রীষ্টানদেরকেও উৎসাহিত করা হয়েছিল, তারা যা সহ্য করেছিল সেই সম্বন্ধে এবং ‘পূর্ব্বকার সেই সময় স্মরণ করতে।’ (ইব্রীয় ১০:৩২-৩৪) আধুনিক সময়ের ঈশ্বরের দাসেদের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে কী, যেমন যাদের সম্বন্ধে যিহোবার সাক্ষীবৃন্দ—ঈশ্বরের রাজ্যের ঘোষণাকারীa (ইংরাজি) নামক বইটিতে বর্ণিত হয়েছে? সেখানে অথবা অন্যত্র নথিবদ্ধ বিবরণগুলি আমাদের স্মরণ করতে সমর্থ করে যে কিভাবে যিহোবা তাঁর লোকেদের নিষিদ্ধ অবস্থা, কারাবরণ, উচ্ছৃঙ্খল জনতার কার্যকলাপ এবং কনসেনট্রেশন ও ক্রীতদাস-শ্রমিক শিবিরগুলিকে সহ্য করতে সাহায্য করেছিলেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশগুলিতেও যেমন বুরুণ্ডী, লাইবেরিয়া, রুয়াণ্ডা এবং পূর্বতন যুগস্লাভিয়ায় পরীক্ষাগুলি রয়েছে। যখন বিরোধিতা প্রকট হয়েছে, ঈশ্বরের দাসেরা যিহোবার সাথে এক দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তা সহ্য করেছে। তাঁর হস্ত তাদের রক্ষা করেছে যারা তাঁর ইচ্ছা পালন করাকে জীবনে সর্বপ্রধান স্থান দিয়েছিল।
১৪. (ক) এক ব্যক্তিকে ঈশ্বরের রক্ষা করার একটি উদাহরণ কী, এমন একটি পরিস্থিতিতে যা হয়ত আমাদের সাথে সমরূপ? (খ) ওই উদাহরণটি থেকে আপনি কী শিখতে পারেন?
১৪ কিন্তু, আপনি হয়ত এইভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন যে আপনি এইধরনের নৃশংস অপব্যবহার অভিজ্ঞতা করেননি আর আপনি হয়ত অনুভব করতে পারেন যে ভবিষ্যতে কখনও এইধরনের কিছু ঘটাও অসম্ভব। কিন্তু, তাঁর লোকেদের প্রতি ঈশ্বরের সহায়তা কেবলমাত্র সেই সময়েই যোগান হয়নি, যেগুলিকে কিছুজন হয়ত নাটকীয় পরিস্থিতি হিসাবে দেখে থাকে। তিনি অনেক “সাধারণ” ব্যক্তিদের “স্বাভাবিক” পরিস্থিতিগুলিতে সাহায্য করেছেন। অসংখ্য উদাহরণগুলির মধ্যে কেবলমাত্র একটি হল এইরকম: ডিসেম্বর ১, ১৯৯৬, প্রহরীদুর্গ পেনেলোপি মাক্রিস দ্বারা কথিত একটি বিবরণকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। খ্রীষ্টীয় বিশ্বস্ততার কতই না এক উজ্জ্বল উদাহরণ! আপনি কি স্মরণে আনতে পারেন যে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি কী সহ্য করেছিলেন, কিভাবে তিনি কঠিন অসুস্থতার সাথে যুদ্ধ করেছিলেন এবং পূর্ণ-সময় পরিচর্যায় লেগে থাকার জন্য কী প্রচেষ্টা তিনি করেছিলেন? মিতিলেনিতে তার পুরস্কারজনক অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে কী? বিষয়টি হচ্ছে, আপনি কি এইধরনের উদাহরণগুলিকে আমাদের সকলের জন্য অগ্রাধিকারগুলি স্থাপন করতে, আমাদের জীবনে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করাকে প্রথম স্থানে রাখতে সাহায্যকারী হিসাবে দেখেন?
১৫. যিহোবার কিছু কাজ কী যেগুলির উপর আমরা ধ্যান করতে পারি?
১৫ এটি যিহোবার কার্যধারার উপর ধ্যান করার জন্য আমাদের শক্তিশালী করে, যেমন দায়ূদ করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণ করার জন্য যিহোবা তাঁর পুত্রের মৃত্যু, পুনরুত্থান এবং তাঁকে গৌরবান্বিত করার মাধ্যমে পরিত্রাণের ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছিলেন। (১ তীমথিয় ৩:১৬) তিনি তাঁর স্বর্গীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন, শয়তান ও তার মন্দ দূতেদের প্রভাব থেকে স্বর্গকে পরিষ্কার করেছেন এবং পৃথিবীতে সত্য উপাসনাকে পুনর্স্থাপন করেছেন। (প্রকাশিত বাক্য ১২:৭-১২) তিনি এক আধ্যাত্মিক পরমদেশ নির্মাণ করেছেন ও বৃদ্ধি দিয়ে তাঁর লোকেদের আশীর্বাদ করেছেন। (যিশাইয় ৩৫:১-১০; ৬০:২২) তাঁর লোকেরা এখন মহাক্লেশ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে এক চূড়ান্ত সাক্ষ্য দিচ্ছে। (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬, ৭) হ্যাঁ, ধ্যান করার জন্য আমাদের অনেক কিছু আছে।
১৬. কোন্ বিষয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হতে উৎসাহিত করা হয়েছে আর আমাদের উপর তা কী প্রভাব ফেলে?
১৬ মানবীয় প্রচেষ্টাগুলি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার চেয়ে বরঞ্চ ঈশ্বরের হস্তের কাজে নিজেদের নিমগ্ন রাখা, আমাদের উপর এই প্রভাব ফেলে যে যিহোবার প্রযুক্ত ক্ষমতা অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু, এই কার্য স্বর্গ ও পৃথিবীর অত্যাশ্চর্য বস্তুগত সৃষ্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। (ইয়োব ৩৭:১৪; গীতসংহিতা ১৯:১; ১০৪:২৪) তাঁর অত্যাশ্চর্য কাজগুলির অন্তর্ভুক্ত তাঁর লোকেদের নিপীড়নকারী শত্রুদের থেকে উদ্ধার করা, যেমন তাঁর প্রাচীন মনোনীত লোকেদের অভিজ্ঞতায় প্রদর্শিত হয়েছিল।—যাত্রাপুস্তক ১৪:৩১; ১৫:৬.
কোন্ পথে চলতে হবে তা জানা
১৭. দায়ূদের কাছে যিহোবা কতখানি বাস্তব ছিলেন আর এটি দ্বারা আমরা কিভাবে পুনর্নিশ্চিত হতে পারি?
১৭ জীবনের সৌন্দর্য যেন শুকিয়ে না যায় তার জন্য সাহায্য চেয়ে দায়ূদ প্রার্থনা করেছিলেন: “আমি তোমার উদ্দেশে অঞ্জলি প্রসারণ করিতেছি; শুষ্ক ভূমির ন্যায় আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষী। আমাকে উত্তর দানে সত্বর হও, সদাপ্রভু, আমার উৎসাহ শেষ হইয়াছে; আমা হইতে তোমার মুখ লুক্কায়িত করিও না, পাছে আমি গর্ত্তগামীদের তুল্য হইয়া পড়ি।” (গীতসংহিতা ১৪৩:৬, ৭) পাপী দায়ূদ জানতেন যে ঈশ্বর তার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। (গীতসংহিতা ৩১:৭) কখনও কখনও আমরাও হয়ত অনুভব করতে পারি যে আমাদের আধ্যাত্মিকতা এক নিম্নমানে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু পরিস্থিতিটি আশাহীন নয়। যিহোবা যিনি আমাদের প্রার্থনা শ্রবণ করেন, আমাদের পুনরুদ্ধার তরান্বিত করবেন প্রেমপূর্ণ প্রাচীনদের দ্বারা সতেজতা দান করে, প্রহরীদুর্গ এর প্রবন্ধগুলির মাধ্যমে অথবা সভাগুলির সেইসমস্ত অংশ দ্বারা যা, যেন মনে হয় ঠিক আমাদের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে।—যিশাইয় ৩২:১, ২.
১৮, ১৯. (ক) যিহোবার কাছে আমাদের একান্ত বিনতি কী হওয়া উচিত? (খ) কোন্ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারি?
১৮ যিহোবার উপর আমাদের নির্ভরতা আমাদের পরিচালিত করে তাঁর কাছে এই বিনতি জানাতে: “আমাকে তোমার দয়ার বচন শুনাও, কেননা তোমাতে আমি নির্ভর করিতেছি; আমার গন্তব্য পথ আমাকে জানাও।” (গীতসংহিতা ১৪৩:৮) তিনি কি বোন মাক্রিসকে নিরাশ করেছিলেন, যিনি একটি গ্রীক দ্বীপে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন? তাহলে, তিনি কি আপনাকে নিরাশ করবেন যদি আপনি তাঁর ইচ্ছা পালন করাকে জীবনের সর্বপ্রধান বিষয়ে পরিণত করেন? দিয়াবল ও তার প্রতিনিধিরা আমাদের ঈশ্বরের রাজ্য ঘোষণার কাজকে ব্যাহত করতে বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে চাইবে। যদি আমরা এমন একটি দেশে কাজ করি, যেখানে সত্য উপাসনা সাধারণভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত অথবা যেখানে এটি দমন করা হয়, আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রার্থনা দায়ূদের আবেদনের সাথে সংগতিপূর্ণ হয়: “হে সদাপ্রভু, আমার শত্রুগণ হইতে আমাকে নিস্তার কর; আমি তোমারই কাছে লুকাইয়াছি।” (গীতসংহিতা ১৪৩:৯) আধ্যাত্মিক দুর্যোগ থেকে আমাদের নিরাপত্তা সর্বশক্তিমানের গুপ্তস্থানে বাস করার উপর নির্ভর করে।—গীতসংহিতা ৯১:১.
১৯ যেটি সর্বপ্রধান সে বিষয়ে আমাদের প্রত্যয় দৃঢ়ভাবে ভিত্তিযুক্ত। (রোমীয় ১২:১, ২) তাহলে, জগতের প্রচেষ্টাকে আপনার উপর আরোপিত হতে প্রতিরোধ করুন, যেটি মানবীয় ব্যবস্থাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। আপনার জীবনের প্রতিটি দিকে, আপনি যেটি সর্বপ্রধান বিষয় বলে জানেন তা ক্রমাগতভাবে প্রতিফলিত করুন—অর্থাৎ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা।—মথি ৬:১০; ৭:২১.
২০. (ক) গীতসংহিতা ১৪৩:১-৯ পদে দায়ূদ সম্বন্ধে আমরা কী শিখতে পারি? (খ) কিভাবে আজকের খ্রীষ্টানেরা দায়ূদের আত্মা প্রতিফলিত করতে পারে?
২০ গীতসংহিতা ১৪৩ অধ্যায়ের প্রথম নয়টি পদ ঈশ্বরের সাথে দায়ূদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ককে জোর দেয়। যখন শত্রুদের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন, তিনি নিঃসঙ্কোচে ঈশ্বরের পরিচালনার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সঠিক পথে চলবার জন্য সাহায্য অন্বেষণ করে, তিনি তার হৃদয় ঢেলে দিয়েছিলেন। বর্তমানে এটি পৃথিবীতে আত্মায়-অভিষিক্ত অবশিষ্টাংশ ও তাদের সাথীদের জন্য অনুরূপ। তারা পরিচালনার জন্য তাঁর কাছে বিনতি করার সময়ে যিহোবার সাথে তাদের সম্পর্ককে মূল্যবান হিসাবে বিবেচনা করে। দিয়াবল ও জগৎ থেকে চাপ আসা সত্ত্বেও তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করাকে সর্বপ্রথম স্থান দিয়ে থাকে।
২১. তাদের জীবনে কোন্ বিষয়টি সর্বপ্রধান হওয়া উচিত তা অন্যদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কেন উত্তম উদাহরণ স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ?
২১ লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা যারা যিহোবার সাক্ষীদের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করছে, তাদের শনাক্ত করা প্রয়োজন যে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা সর্বপ্রধান বিষয়। আমরা তাদের এটি বুঝতে সাহায্য করতে পারি যখন জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে বইটি থেকে ১৩ অধ্যায়টি আলোচনা করছি, যেটি বাক্যের বাধ্য হওয়ার সাথে জড়িত নীতিটির উপর জোর দেয়।b যে বিষয়ে আমরা তাদের শিক্ষা দিচ্ছি সেক্ষেত্রে, অবশ্যই তারা আমাদের উদাহরণস্বরূপ দেখবে। আপেক্ষিকভাবে অল্প কিছু সময় পরে তারাও সেই পথ সম্বন্ধে জানতে পারবে যেখানে তাদের চলা উচিত। এই সমস্ত লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা যখন ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করবে যে তাদের জীবনে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কী তখন অনেকেই উৎসর্গীকরণ ও বাপ্তিস্ম গ্রহণের প্রতি পদক্ষেপ নিতে পরিচালিত হবে। তারপর মণ্ডলী তাদের জীবনের পথে চলাকে বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
২২. পরবর্তী প্রবন্ধে কোন্ প্রশ্নগুলি বিবেচনা করা হবে?
২২ অনেকে সহজেই এটি স্বীকার করে নেয় যে ঈশ্বরের ইচ্ছা তাদের জীবনে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া উচিত। তাহলে কিভাবে যিহোবা অগ্রগতিমূলকভাবে তাঁর দাসেদের তাঁর ইচ্ছা পালন করার জন্য শিক্ষা দেন? তাদের জন্য এটি কী উপকার নিয়ে আসে? পরবর্তী প্রবন্ধে এই প্রশ্নগুলি গীতসংহিতা ১৪৩:১০ এই মুখ্য শাস্ত্রপদটি আলোচনা করার সাথে বিবেচিত হবে।
[পাদটীকাগুলো]
a ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত।
b ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত।
আপনার উত্তর কী?
◻ ফিলিপীয় ১:৯, ১০ পদ প্রয়োগ করে কিভাবে আমরা অগ্রাধিকারগুলি স্থাপন করতে পারি?
◻ কিভাবে যীশু দেখিয়েছিলেন যে তাঁর জীবনে সর্বপ্রধান বিষয়টি কী?
◻ যখন পরীক্ষার মধ্যে ছিলেন, তখন দায়ূদের কার্যধারা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
◻ আজকে কিভাবে গীতসংহিতা ১৪৩:১-৯ পদ আমাদের সাহায্য করতে পারে?
◻ আমাদের জীবনে সর্বপ্রধান বিষয়টি কী হওয়া উচিত?
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
দায়ূদের কাজ যিহোবার উপর তার নির্ভরতা প্রমাণ করেছিল
[সজন্যে]
Reproduced from Illustrirte Pracht - Bibel/Heilige Schrift des Alten und Neuen Testaments, nach der deutschen Uebersetzung D. Martin Luther’s