আপনি কীভাবে উপদেশ দেন?
আপনার কাছে কি কখনো অন্যেরা উপদেশ চেয়েছে? উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে কি কখনো এইরকম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়েছে, যেমন: ‘আমার কী করা উচিত? আমার কি এই সমাবেশে যাওয়া উচিত? এই কেরিয়ারের পিছনে ছোটা উচিত? বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে এই ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত?’
আন্তরিক ব্যক্তিরা হয়তো বিভিন্ন সিদ্ধান্ত—বন্ধুবান্ধব, পরিবার অথবা এমনকী যিহোবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে, এমন সিদ্ধান্ত—নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কাছে সাহায্য চাইতে পারে। আপনি কোন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে উত্তর দেবেন? আপনি সাধারণত কীভাবে অন্যদের উপদেশ দিয়ে থাকেন? বিষয়টা তুচ্ছ কিংবা গুরুতর যা-ই বলে মনে হোক না কেন, “ধার্ম্মিকের মন উত্তর করিবার নিমিত্ত চিন্তা করে,” হিতোপদেশ ১৫:২৮ পদ বলে। এখানে উল্লেখিত বাইবেলের পাঁচটি নীতি, উপদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, তা বিবেচনা করুন।
১ প্রকৃত পরিস্থিতিটা বুঝতে চেষ্টা করুন।
“শুনিবার পূর্ব্বে যে উত্তর করে, তাহা তাহার পক্ষে অজ্ঞানতা ও অপমান।”—হিতো. ১৮:১৩.
উত্তম উপদেশ দেওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই যিনি সহযোগিতা চাচ্ছেন, তার পরিস্থিতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে। উদাহরণ হিসেবে: কেউ যদি ফোন করে আপনার বাড়িতে আসার সবচেয়ে সহজ রাস্তাটা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে, তখন তাকে সাহায্য করার জন্য আপনাকে কোন বিষয়টা জানতে হবে? তার বর্তমান অবস্থান প্রথমে না জেনে আপনি কি তাকে সবচেয়ে সহজ রাস্তা সম্বন্ধে উপদেশ দিতে পারবেন? অবশ্যই না! একইভাবে, যে-ব্যক্তি নির্দেশনা খুঁজছেন, তাকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তার বর্তমান “অবস্থান”—পরিস্থিতি ও দৃষ্টিভঙ্গি—বোঝা প্রয়োজন। এমন কোনো পরিস্থিতি কি রয়েছে, যেটাকে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অথচ সেটা হয়তো আমাদের উত্তরকে প্রভাবিত করতে পারে? কোনো পরিস্থিতি সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান না থাকলে আমরা হয়তো এমন উপদেশ দিতে পারি, যা একজন ব্যক্তিকে এমনকী আরও বিভ্রান্ত করে দিতে পারে।—লূক ৬:৩৯.
তিনি কতটা গবেষণা করেছেন, তা নির্ণয় করুন। যে-ব্যক্তি উপদেশ চাইছেন, তাকে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করাও বিজ্ঞতার কাজ হবে, যেমন: “বাইবেলের কোন নীতিগুলো কাজে লাগানো যায় বলে আপনি মনে করেন?” “আপনার সামনে যে-বাছাইগুলো রয়েছে, সেগুলোর কোন কোন সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?” “আপনি ইতিমধ্যে কতটুকু গবেষণা করেছেন?” “অন্যেরা যেমন, মণ্ডলীর প্রাচীনরা, আপনার বাবা-মা অথবা আপনার বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালক ইতিমধ্যেই আপনাকে কোন সাহায্য প্রদান করেছে?”
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়তো আমাদেরকে সেই ব্যক্তি কোনো উত্তর খোঁজার জন্য ইতিমধ্যেই কতটা প্রচেষ্টা করেছেন, তা বুঝতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া, অন্যেরা হয়তো ইতিমধ্যেই যা বলেছে, সেগুলো বিবেচনা করে আমরা পরামর্শ দিতে পারব। আমরা হয়তো এটাও বুঝতে পারব যে, সেই ব্যক্তি মূলত এইরকম একজন পরামর্শদাতাকে খুঁজছেন কি না, যিনি এমন উপদেশ দ্বারা ‘তাহার কানচুল্কানি’ দেবেন, যেমনটা তিনি শুনতে চান।—২ তীম. ৪:৩.
২ তাড়াহুড়ো করে উত্তর দেওয়া এড়িয়ে চলুন।
“প্রত্যেক জন শ্রবণে সত্বর, কথনে ধীর . . . হউক।”—যাকোব ১:১৯.
আমরা হয়তো ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই দ্রুত উত্তর দিতে পারি। কিন্তু, সেটা কি আসলে বিজ্ঞতার কাজ হবে, বিশেষভাবে যদি আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করি, যে-বিষয়ে আমরা খুব ভালোভাবে গবেষণা করিনি? হিতোপদেশ ২৯:২০ পদ বলে: “তুমি কি হঠকারী [‘তাড়াতাড়ি করে কথা বলতে চায় এমন,’ বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] লোককে দেখিতেছ? তাহার অপেক্ষা বরং হীনবুদ্ধির বিষয়ে অধিক আশা আছে।”
আপনার প্রস্তাবটা ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সময় নিন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, “লোকেদের চিন্তাভাবনা ও ‘জগতের আত্মা’ কি আমার চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে?” (১ করি. ২:১২, ১৩) মনে রাখবেন, শুধুমাত্র ভালো উদ্দেশ্য থাকাই হয়তো যথেষ্ট নয়। যিশুর কঠিন কার্যভার সম্বন্ধে শোনার পর, প্রেরিত পিতর যিশুকে এই উপদেশ দিয়েছিলেন: “প্রভু, ইহা আপনা হইতে দূরে থাকুক [“নিজের প্রতি সদয় হোন,” NW], ইহা আপনার প্রতি কখনও ঘটিবে না।” পিতরের প্রতিক্রিয়া থেকে আমরা কী শিখতে পারি? সতর্ক না থাকলে, এমনকী একজন আন্তরিক ব্যক্তিও “যাহা ঈশ্বরের, তাহা নয়, কিন্তু যাহা মনুষ্যের, তাহাই” তুলে ধরতে পারেন। (মথি ১৬:২১-২৩) আমাদের কথা বলার আগে চিন্তা করা কতই না গুরুত্বপূর্ণ! আর ঈশ্বরের প্রজ্ঞার তুলনায় আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা কি খুবই সীমিত নয়?—ইয়োব ৩৮:১-৪; হিতো. ১১:২.
৩ নম্রভাবে ঈশ্বরের বাক্য কাজে লাগান।
“আমি আপনা হইতে কিছুই করি না, কিন্তু পিতা আমাকে যেমন শিক্ষা দিয়াছেন, তদনুসারে এই সকল কথা কহি।” —যোহন ৮:২৮.
আপনি কি এইরকম বলবেন, “আপনার জায়গায় থাকলে আমি হয়তো . . . ”? এমনকী প্রশ্নের উত্তরটা যদি স্পষ্ট বলেও মনে হয়, তবুও আপনার যিশুর দ্বারা স্থাপিত নম্রতা ও বিনয়ের আদর্শ থেকে শিক্ষা লাভ করা উচিত। অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে তাঁর অনেক বেশি প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা ছিল; তা সত্ত্বেও, তিনি বলেছিলেন: “আমি আপনা হইতে বলি নাই; কিন্তু কি কহিব ও কি বলিব, তাহা আমার পিতা, . . . আমাকে আজ্ঞা করিয়াছেন।” (যোহন ১২:৪৯, ৫০) যিশুর শিক্ষা ও উপদেশ সবসময় তাঁর পিতার ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, লূক ২২:৪৯ পদে আমরা পড়ি যে, যিশু যখন গ্রেপ্তার হতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর শিষ্যরা লড়াই করবে কি না, সেই বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েছিল। একজন শিষ্য একটা খড়্গ ব্যবহার করেছিলেন। মথি ২৬:৫২-৫৪ পদে বর্ণিত একই বিবরণ থেকে লক্ষ করুন যে, এমনকী সেই পরিস্থিতির মধ্যেও যিশু শিষ্যদের সঙ্গে যিহোবার ইচ্ছা সম্বন্ধে যুক্তি করার জন্য সময় করে নিয়েছিলেন। আদিপুস্তক ৯:৬ পদে প্রাপ্ত নীতিগুলো এবং গীতসংহিতার ২২ গীত ও যিশাইয় ৫৩ অধ্যায়ের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো জানা থাকায়, যিশু এমন বিজ্ঞ নির্দেশনা দিতে পেরেছিলেন, যা নিঃসন্দেহে জীবন রক্ষা করেছিল এবং যিহোবাকে সন্তুষ্ট করেছিল।
৪ আপনার বাইবেলভিত্তিক লাইব্রেরি ব্যবহার করুন।
“এখন, সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্ দাস কে, যাহাকে তাহার প্রভু নিজ পরিজনের উপরে নিযুক্ত করিয়াছেন, যেন সে তাহাদিগকে উপযুক্ত সময়ে খাদ্য দেয়?”—মথি ২৪:৪৫.
যিশু এক নির্ভরযোগ্য দাস শ্রেণীকে নিযুক্ত করেছেন, যে-দাস শ্রেণী অতীব গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক খাদ্য দিয়ে থাকে। আপনি যখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্বন্ধে উপদেশ ও নির্দেশনা দেন, তখন আপনি কি বাইবেলভিত্তিক প্রকাশনাদি খুব ভালোভাবে গবেষণা করার জন্য সময় করে নেন?
ওয়াচ টাওয়ার পাবলিকেশনস্ ইনডেক্স এবং ওয়াচটাওয়ার লাইব্রেরিa প্রচুর এবং স্পষ্ট তথ্য প্রদান করে, যেগুলো আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে। এই তথ্যভাণ্ডার উপেক্ষা করা কতই না ভুল হবে! উপদেশ খুঁজছেন এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করার জন্য সেখানে হাজার হাজার বিষয় উল্লেখ করা আছে আর সেইসঙ্গে অনেক প্রবন্ধ রয়েছে। অন্যদেরকে বাইবেলের নীতিগুলো পরীক্ষা করে দেখতে এবং ঈশ্বরের বাক্যের ওপর যুক্তি করতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আপনি কতটা দক্ষ? একটা মানচিত্র যেমন একজন ব্যক্তিকে তার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কোন পথে যেতে হবে, তা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে, তেমনই গবেষণা করার হাতিয়ারগুলো তাকে তিনি যে-পথে আছেন সেটা দেখতে এবং কীভাবে জীবনের পথেই থাকা যায়, তা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
অনেক প্রাচীন, প্রকাশকদেরকে ইনডেক্স অথবা ওয়াচটাওয়ার লাইব্রেরি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রবন্ধ খুঁজে বের করার প্রশিক্ষণ দিয়েছে আর এভাবে তাদের ভাইবোনদেরকে শাস্ত্রের ওপর যুক্তি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। এই ধরনের সহযোগিতা প্রকাশকদের কেবলমাত্র তাদের তাৎক্ষণিক চিন্তার বিষয়গুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতেই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে গবেষণা করার এক অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং যিহোবার আধ্যাত্মিক ব্যবস্থাগুলোর ওপর নির্ভর করতেও সাহায্য করে। এভাবে, তারা ‘তাহাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল অভ্যাস প্রযুক্ত সদসৎ বিষয়ের বিচারণে পটু করিয়াছে।’—ইব্রীয় ৫:১৪.
৫ অন্যদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করা এড়িয়ে চলুন।
“প্রত্যেক জন নিজ নিজ ভার বহন করিবে।”—গালা. ৬:৫.
পরিশেষে, প্রত্যেক ব্যক্তির নিজেকেই বাছাই করতে হবে যে, তিনি কোন পরামর্শ এবং উপদেশ অনুসরণ করবেন। আমরা তাঁর নীতিগুলোর দ্বারা পরিচালিত হব কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা যিহোবা আমাদের সবাইকে দিয়েছেন। (দ্বিতীয়. ৩০:১৯, ২০) কিছু পরিস্থিতির সঙ্গে বাইবেলের বেশ কিছু নীতি জড়িত রয়েছে আর যে-ব্যক্তি উপদেশ খুঁজছেন, শেষপর্যন্ত তাকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে হয়। বিষয়ের ওপর অথবা আমাদের কাছে যে-ব্যক্তি উপদেশ চাইছেন তার বয়সের ওপর ভিত্তি করে, আমাদের হয়তো নিজেদের এই প্রশ্নও জিজ্ঞেস করতে হবে, ‘এই প্রশ্নের ব্যাপারে কথা বলার জন্য আমার কি সত্যিই অধিকার রয়েছে?’ কিছু বিষয় হয়তো মণ্ডলীর প্রাচীনদের কাছে বলা অথবা প্রশ্নকারী অল্পবয়সি হলে তার বাবা-মার কাছে বলা সর্বোত্তম হবে।
[পাদটীকা]
a সিডি-রম-এ ওয়াচটাওয়ার লাইব্রেরি বর্তমানে ৩৯টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার পাবলিকেশনস্ ইনডেক্স বর্তমানে ৪৫টিরও বেশি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে।
[৮ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]
পারিবারিক উপাসনা প্রকল্প
অধ্যয়ন প্রকল্প হিসেবে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা করুন না কেন, যেগুলো সম্প্রতি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে? এইরকম প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করেছে এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করার জন্য আপনি কোন প্রবন্ধ এবং বাইবেলের নীতিগুলো খুঁজে বের করতে পারেন? উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার কাছে কোনো ভাই অথবা বোন কারো সঙ্গে বিয়ের উদ্দেশ্যে ডেটিং করার ব্যাপারে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছে। আপনি যখন ইনডেক্স অথবা ওয়াচটাওয়ার লাইব্রেরি ব্যবহার করবেন, তখন যে-বিষয়টা সরাসরি সম্পর্কযুক্ত, প্রথমে সেটা খুঁজে বের করুন। উদাহরণস্বরূপ, ইনডেক্স-এ আপনি হয়তো “ডেটিং” অথবা “বিয়ে” শব্দটি খুঁজে বের করতে পারেন। এরপর, প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধগুলোর জন্য সেই বিষয়ের অধীনে যে-বিষয়বস্তু রয়েছে, তা ভালো করে দেখুন। একটি প্রধান শিরোনাম দেখার সময়ে লক্ষ রাখুন যে, “আরও দেখুন” নামে কোন বিষয় রয়েছে কি না, যেটা হয়তো আপনাকে সেই শিরোনামের প্রতি নির্দেশ করতে পারে, যা আপনি যে-বিষয়টা খুঁজছেন, সেটার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।
[৯ পৃষ্ঠার বাক্স]
যিহোবা তাঁর সংগঠনের দ্বারা যে-ব্যবস্থাগুলো করেছেন, সেগুলোর কারণে আমরা একইসঙ্গে সর্বোত্তম উপদেশ দিতে এবং লাভ করতে পারি। উপদেশক ১২:১১ পদ বলে: “জ্ঞানবানদের বাক্য সরল অঙ্কুশস্বরূপ, ও সভাপতিগণের [বাক্য] পোতা গোঁজস্বরূপ, তাহারা একই পালক দ্বারা দত্ত হইয়াছে।” ঠিক একটা অঙ্কুশের—মালবাহী পশুকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত সূচালো লাঠির—মতো, প্রেমময় ও যুক্তিযুক্ত উপদেশ আন্তরিক ব্যক্তিদেরকে সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে। ‘পোতা গোঁজ’ স্থায়ী কাঠামো প্রদান করে। একইভাবে, উত্তম উপদেশ দেওয়া হলে তা স্থায়ী ফল উৎপন্ন করার নিশ্চয়তা দিতে পারে। বিজ্ঞ ব্যক্তিরা সেই “বাক্য” বিবেচনা করে আনন্দিত হয়, যা তাদের “একই পালক” যিহোবার প্রজ্ঞাকে প্রতিফলিত করে।
উপদেশ দেওয়ার সময় পালককে অনুকরণ করুন। অন্যদের কথা শোনা এবং যখন সম্ভব হয়, তখন উপকারী পরামর্শ দিতে পারা কতই না বিশেষ এক সুযোগ! প্রকৃতপক্ষে বাইবেলের নীতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হলে আমাদের উপদেশ যুক্তিযুক্ত বলে প্রমাণিত হবে এবং শ্রোতার স্থায়ী মঙ্গলের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।