-
যারা জ্যোতিতে চলেন তারা আনন্দিত২০০১ প্রহরীদুর্গ | মার্চ ১
-
-
২ সেই কথা মাথায় রেখে, ভাববাদী যিশাইয় যে পরিস্থিতির কথা বলেছিলেন তার গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারি। তিনি বলেছিলেন: “দেখ, অন্ধকার পৃথিবীকে, ঘোর তিমির জাতিগণকে, আচ্ছন্ন করিতেছে।” (যিশাইয় ৬০:২) অবশ্য, এখানে যেরকম অন্ধকারের কথা বলা হয়েছে এখন সত্যি সত্যি তেমনটা হচ্ছে না। এই কথা বলে যিশাইয় আসলে বোঝাতে চাননি যে এক সময় সূর্য, চাঁদ ও তারা আলো দেওয়া বন্ধ করে দেবে। (গীতসংহিতা ৮৯:৩৬, ৩৭; ১৩৬:৭-৯) বরং, তিনি আধ্যাত্মিক অন্ধকারের কথা বলছিলেন। এই আধ্যাত্মিক অন্ধকার খুবই মারাত্মক। আলো ছাড়া যেমন আমরা বেঁচে থাকতে পারি না তেমনই আধ্যাত্মিক জ্যোতি ছাড়াও আমরা বেঁচে থাকতে পারব না।—লূক ১:৭৯.
৩. যিশাইয়ের কথার পরিপ্রেক্ষিতে খ্রীষ্টানদের কী করা উচিত?
৩ তাই এটা লক্ষ্য করা খুবই জরুরি যে, যিশাইয়ের কথাগুলো যদিও প্রাচীন যিহূদাতে পূর্ণ হয়েছিল কিন্তু আজকে তা আরও বড় আকারে পূর্ণ হচ্ছে। হ্যাঁ, আমাদের সময়ে জগৎ আধ্যাত্মিক অন্ধকারে ছেয়ে আছে। এইরকম এক বিপদজনক অবস্থায় আধ্যাত্মিক জ্যোতি খুবই দরকার। সেইজন্য যীশুর এই পরামর্শে খ্রীষ্টানদের মন দেওয়া উচিত: “তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক।” (মথি ৫:১৬) বিশ্বস্ত খ্রীষ্টানরা নম্র লোকেদের জন্য অন্ধকারের মাঝে আলো জ্বালাতে পারেন অর্থাৎ জীবন পাওয়ার জন্য তাদেরকে সুযোগ করে দিতে পারেন।—যোহন ৮:১২.
-
-
যারা জ্যোতিতে চলেন তারা আনন্দিত২০০১ প্রহরীদুর্গ | মার্চ ১
-
-
৪. যিশাইয়ের ভবিষ্যদ্বাণী প্রথমে কখন পূর্ণ হয়েছিল কিন্তু ইতিমধ্যে যিশাইয়ের সময়ে কেমন অবস্থা ছিল?
৪ অন্ধকার পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করবে, যিশাইয়ের এই কথাগুলো প্রথম পূর্ণ হয়েছিল যখন যিহূদা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে ছিল ও এর লোকেদেরকে বাবিলনে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এর আগে যিশাইয়ের সময়ে ইতিমধ্যেই ইস্রায়েল জাতির বেশির ভাগ লোকেরা আধ্যাত্মিক অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল আর এইজন্যই তিনি দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলেন: “যাকোবের কুল, চল, আমরা সদাপ্রভুর দীপ্তিতে গমন করি।”—যিশাইয় ২:৫; ৫:২০.
-