হিংসা কে শেষ করবে?
উনিশশ নিরানব্বই সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব কোফি আনান, ৫৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। টরেন্টো স্টার খবরের কাগজ বলে যে তিনি পৃথিবীর বড় বড় নেতাদের সামনে একটা কঠিন কথা বলেছিলেন: “পৃথিবীতে কোটি কোটি লোক আছে যারা আন্তর্জাতিক সমাজের কাছ থেকে শুধু সান্ত্বনার কথা শুনতে চায় না। তাদের সত্যিকারের ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি দরকার, যা ব্যাপক হিংসা শেষ করে নিরাপদে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।”
রাষ্ট্রসংঘ এবং এর সদস্য দেশগুলো কি হিংসা শেষ করার জন্য ‘সত্যিকারের ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি’ দিতে পারবে? স্টার খবরের কাগজেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন বলেছিলেন: “এই শতাব্দীতে যত রক্তপাত হয়েছে তা দেখে বোঝা যায় যে ‘এরকম আর কখনও হবে না’ বলা যতটা সহজ করা ততটা নয়।” তিনি আরও বলেছিলেন: “অনেক অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেগুলো না রাখা হলে তা খুবই দুঃখজনক।”
আড়াই হাজার বছরেরও আগে ভাববাদী যিরমিয় মানুষের সম্বন্ধে বলেছিলেন: “হে সদাপ্রভু আমি জানি, মনুষ্যের পথ তাহার বশে নয়, মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।” (যিরমিয় ১০:২৩) তাহলে হিংসা শেষ করার জন্য আমরা কার ওপর ভরসা রাখতে পারি?
যিশাইয় ৬০:১৮ পদে ঈশ্বর আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন: “আর শুনা যাইবে না—তোমার দেশে উপদ্রবের কথা, তোমার সীমার মধ্যে ধ্বংস ও বিনাশের কথা।” ঈশ্বর যখন তাঁর বন্দি লোকেদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন তখন ওই ভবিষ্যদ্বাণী প্রাথমিকভাবে পূর্ণ হয়েছিল। ভবিষ্যতে এটা আরও বড় আকারে পূর্ণ হবে। যিহোবা ঈশ্বর “অনেক অনেক প্রতিশ্রুতি” দেন না। সার্বভৌম ও মানবজাতির স্রষ্টা হওয়ায় একমাত্র তিনিই সবচেয়ে ভালভাবে এই “ব্যাপক হিংসা”-কে শেষ করতে পারেন। ঈশ্বরের রাজ্যে শান্তি থাকবে। হিংসা চিরকালের জন্য শেষ হয়ে যাবে!—দানিয়েল ২:৪৪.