“বৃক্ষের আয়ুর তুল্য”
তিন হাজার বছরেরও বেশি আগে মোশি লিখেছিলেন: “আমাদের আয়ুর পরিমাণ সত্তর বৎসর; বলযুক্ত হইলে আশী বৎসর হইতে পারে; তথাপি তাহাদের দর্প ক্লেশ ও দুঃখমাত্র।”—গীতসংহিতা ৯০:১০.
চিকিৎসা শাস্ত্রে অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও মানুষের আয়ু একই থেকে গেছে ঠিক মোশির দিনের মত। তৎসত্ত্বেও, মানুষের এই ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের দণ্ডাজ্ঞা চিরকাল ভোগ করতে হবে না। বাইবেলের যিশাইয় পুস্তকে, ঈশ্বর বলেছেন: “আমার প্রজাদের আয়ু বৃক্ষের আয়ুর তুল্য হইবে, এবং আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘকাল আপন আপন হস্তের শ্রমফল ভোগ করিবে।”—যিশাইয় ৬৫:২২.
বাইবেলের দেশগুলিতে সবচেয়ে দীর্ঘকাল যে গাছগুলি বেঁচে থাকে, তা হল জলপাই গাছ। উপরে যে গাছটি চিত্রিত করা হয়েছে, সেটি হল অনেক হাজার বছর জীবিত জলপাই গাছগুলির একটি যা এখনও সমৃদ্ধশালী অবস্থায় গালীলে দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ কি কখনও এত দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবে? সেই একই ভাববাণী ব্যাখ্যা দেয় যে সেটা তখনই সম্ভব হবে, যখন ঈশ্বর “নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর” সৃষ্টি করবেন।—যিশাইয় ৬৫:১৭.
প্রকাশিত বাক্যের ভাববাণীও “এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী” স্থাপিত হবে বলে জানায়—এক নূতন স্বর্গীয় সরকার এবং একটাই মাত্র মানব-সমাজ যখন ঈশ্বর “তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যাথ্যাও আর হইবে না।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:১, ৪.
এই ঐশিক প্রতিজ্ঞা অতি শীঘ্রই পরিপূর্ণ হবে। তখন, জলপাই গাছের আয়ুও শুধুমাত্র ২৪-ঘন্টার দিনের মতই মনে হবে। আর আমাদের হাতে থাকবে আনন্দ করার অফুরন্ত সময়, যা আমরা হস্তের শ্রমফল ভোগ করতে কাজে লাগাব।