“নীরব থাকিবার কাল ও কথা কহিবার কাল”
কতবার আপনি অনুশোচনা করেছেন, “আমার মনে হয় এই কথাগুলি না বললেই ভাল হত”? তবুও, আপনি হয়ত এমন অন্যান্য পরিস্থিতির কথাও মনে করতে পারেন, যখন আপনি সাহসের সাথে কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছেন। পিছনে তাকিয়ে, আপনার হয়ত মনে হয়েছে, ‘যদি আমি বলতে পারতাম।’
বাইবেল বলে যে, “নীরব থাকিবার কাল ও কথা কহিবার কাল” আছে। (উপদেশক ৩:৭) এখানেই হল সমস্যা—যে কখন কথা বলতে হবে ও কখন নীরব থাকতে হবে তা স্থির করা। আমাদের অসিদ্ধ মনুষ্য প্রবণতা প্রায়ই আমাদের অনুপ্রাণিত করে ভুল সময়ে কিছু করতে ও বলতে। (রোমীয় ৭:১৯) তাই, কিভাবে আমরা আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জিহ্বাকে সংযত করতে পারি?—যাকোব ৩:২.
জিহ্বাকে দমন করার পদ্ধতিসকল
কখন কথা বলতে হবে ও কখন নীরব থাকতে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্যের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য পরিস্থিতিগুলিকে উপস্থিত করে এমন এক দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত করার প্রয়োজন আমাদের নেই। বরঞ্চ, আমাদের সেই গুণাবলিগুলি দ্বারা পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন আছে যা খ্রীষ্টীয় ব্যক্তিত্বের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই গুণাবলিগুলি কী?
যীশু খ্রীষ্ট ব্যাখ্যা করেছিলেন যে প্রেম হচ্ছে প্রধান গুণ যা তাঁর শিষ্যদের অনুপ্রাণিত করে। “তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য,” তিনি বলেছিলেন। (যোহন ১৩:৩৫) এইধরনের ভ্রাতৃপ্রেম যত বেশি আমরা প্রদর্শন করব, তার দ্বারা আমরা আমাদের জিহ্বাকে তত উত্তমরূপে সংযত করতে পারব।
দুটি সম্পর্কযুক্ত গুণাবলিও আমাদের প্রচুরভাবে সাহায্য করতে পারে। তার মধ্যে একটি হল নম্রতা। এটি আমাদের ‘নিজেদের হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান’ করতে সক্ষম করে। (ফিলিপীয় ২:৩) অন্যটি হল মৃদুভাব, যা আমাদের “সহনশীল” করে। (২ তীমথিয় ২:২৪, ২৫) কিভাবে এই গুণাবলিগুলি অনুশীলন করা উচিত তার এক সিদ্ধ উদাহরণ হিসাবে আমরা যীশু খ্রীষ্টকে দেখতে পাই।
যখন আমরা চাপের মধ্যে থাকি তখন আমাদের জিহ্বাকে সংযত করা যেহেতু আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, আসুন আমরা যীশুর মৃত্যুর পূর্বের রাতটির কথা বিবেচনা করি—এমন একটি সময় যখন তিনি “ব্যাকুল” ছিলেন। (মথি ২৬:৩৭, ৩৮) এটি আশ্চর্যের নয় যে, যীশু এইভাবে অনুভব করেছিলেন, যেহেতু সমস্ত মানবজাতির অনন্ত ভবিষ্যৎ ঈশ্বরের প্রতি তাঁর বিশ্বস্ত থাকার উপর নির্ভর করছিল।—রোমীয় ৫:১৯-২১.
এটি নিশ্চিতভাবে যীশুর জন্য তাঁর স্বর্গীয় পিতার সাথে কথা বলার একটি উপযুক্ত সময় ছিল। তাই তিনি প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন তাঁর তিনজন শিষ্যকে জেগে থাকার নির্দেশ দিয়ে। কিছু সময় পরে তিনি ফিরে আসেন ও তাদের নিদ্রিত অবস্থায় দেখেন। সেই কারণে তিনি পিতরকে বলেন: “এক ঘন্টাও কি আমার সঙ্গে জাগিয়া থাকিতে তোমাদের শক্তি হইল না?” এই প্রেমপূর্ণ ভর্ৎসনামূলক বাক্যগুলি প্রকাশ করেছিল যে তাদের দুর্বলতা তিনি বোঝেন। তিনি বলেছিলেন: “আত্মা ইচ্ছুক বটে, কিন্তু মাংস দুর্ব্বল।” পরে, যীশু আবার এসে দেখেন শিষ্যেরা নিদ্রাগত। তিনি দয়ালুভাবে তাদের সাথে কথা বলেন এবং “তিনি পুনরায় . . . ছাড়িয়া গিয়া তৃতীয়বার . . . প্রার্থনা করিলেন।”—মথি ২৬:৩৬-৪৪.
যখন যীশু তৃতীয়বার শিষ্যদের ঘুমিয়ে পড়তে দেখেন, তিনি তাদের প্রতি রূঢ় হননি, বরং বলেছিলেন: “এখন তোমরা নিদ্রা যাও, বিশ্রাম কর, দেখ, সময় উপস্থিত, মনুষ্যপুত্ত্র পাপীদের হস্তে সমর্পিত হন।” (মথি ২৬:৪৫) কেবলমাত্র প্রেমপূর্ণ হৃদয় সম্পন্ন, সত্যই মৃদু ও নম্র স্বভাবের একজন ব্যক্তিই এইধরনের কঠিন সময়ে, এইভাবে জিহ্বাকে ব্যবহার করতে পারেন।—মথি ১১:২৯; যোহন ১৩:১.
এর কিছু পরেই যীশুকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তিনি পরীক্ষিত হন। এখানে আমরা শিক্ষা পায় যে কখনও কখনও নীরব থাকা সবচেয়ে উত্তম, এমনকি যখন আমরা খ্রীষ্টীয় পরিচর্যায় নিযুক্ত আছি সেই সময়েও। যীশুকে মিথ্যা দোষে অভিযুক্ত করার লক্ষ্য থাকার দরুন সত্য জানার প্রতি প্রধান যাজকদের কোন আগ্রহ ছিল না। সুতরাং এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে যীশু নীরব ছিলেন।—তুলনা করুন মথি ৭:৬.
কিন্তু, যীশু সেই সময় নীরব থাকেননি যখন মহাযাজক দাবি করেন: “আমি তোমাকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে দিব্য দিতেছি, আমাদিগকে বল দেখি, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্ত্র?” (মথি ২৬:৬৩) যেহেতু শপথপূর্বক যীশুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাই এটি ছিল তাঁর জন্য কথা বলার উপযুক্ত সময়। তাই তিনি উত্তর দিয়েছিলেন: “তুমিই বলিলে; আরও আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, এখন অবধি তোমরা মনুষ্যপুত্ত্রকে পরাক্রমের দক্ষিণ পার্শ্বে বসিয়া থাকিতে এবং আকাশের মেঘরথে আসিতে দেখিবে।”—মথি ২৬:৬৪.
সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনটিতে, যীশু তাঁর জিহ্বার প্রকৃত সংযম অনুশীলন করেছিলেন। তাঁর ক্ষেত্রে, প্রেম, মৃদুভাব এবং নম্রতা ছিল তাঁর ব্যক্তিত্বের সহজাত অংশ। যখন আমরা চাপের মধ্যে আছি, কিভাবে আমরা এই গুণাবলিগুলিকে ব্যবহার করে আমাদের জিহ্বাকে সংযত করতে পারি?
ক্রোধের সময়ে জিহ্বাকে সংযত করা
যখন আমরা ক্রুদ্ধ হই, আমরা প্রায়ই আমাদের জিহ্বার উপর সংযম হারিয়ে ফেলি। উদাহরণস্বরূপ, পৌল ও বার্ণবার মধ্যে একবার মতভেদ উপস্থিত হয়েছিল। “বার্ণবা চাহিলেন, যোহন, যাঁহাকে মার্ক বলে, তাঁহাকেও সঙ্গে লইয়া যাইবেন; কিন্তু পৌল মনে করিলেন, যে ব্যক্তি পাম্ফুলিয়াতে তাঁহাদিগকে ছাড়িয়া গিয়াছিল, তাঁহাদের সহিত কার্য্যে গমন করে নাই, এমন লোককে সঙ্গে করিয়া লওয়া উচিত নয়। ইহাতে এমন বিতণ্ডা হইল যে, তাঁহারা পরস্পর পৃথক্ হইলেন।”—প্রেরিত ১৫:৩৭-৩৯.
মিখায়েল,a যিনি কিছু বছর এক নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করেছেন, বর্ণনা করেন: “নির্মাণ স্থানে একজন ব্যক্তি ছিলেন যাকে আমি ভালভাবে জানতাম ও শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু তিনি ক্রমাগতভাবে আমার কাজের ভুল খুঁজতেন। আমি আঘাত পেতাম ও বিরক্ত হতাম, কিন্তু আমি কখনও আমার অনুভূতি প্রকাশ করিনি। একদিন বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছায় যখন তিনি আমার তৎক্ষণাৎ করা একটি কাজের সমালোচনা করেন।
“আমি আমার সমস্ত রুদ্ধ অনুভূতি খুব সহজে প্রকাশ করে ফেলি। সেই উত্তেজিত মুহূর্তে আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমাদের চতুর্দিকের সকলের কাছে এটি অবশ্যই এক খারাপ ধারণার সৃষ্টি করবে। দিনের বাকি সময় আমি তার সাথে কথা বলতে অথবা এমনকি তাকে দেখতেও চাইনি। আমি এখন বুঝতে পারি যে আমি সমস্যাটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করিনি। এটি অনেক বেশি ভাল হত যদি আমি নীরব থাকতাম ও শান্ত হয়ে যাওয়ার পর কথা বলতাম।”
আনন্দের সাথে বলা যায়, খ্রীষ্টীয় প্রেম এই দুই ব্যক্তিকে তাদের ভিন্নতা মিটিয়ে নিতে তৎপর করেছিল। মিখায়েল বর্ণনা করেন: “কিছু খোলাখুলি আদান-প্রদানের পর, আমরা পরস্পরকে আরও ভালভাবে বুঝেছিলাম আর এখন আমাদের এক দৃঢ় বন্ধুত্ব আছে।”
যেমন মিখায়েল শিক্ষা করেছিল, যদি আমরা ক্রুদ্ধ হই, তখন কখনও কখনও নীরব থাকা বিজ্ঞতার কাজ। “যে শীতলাত্মা, সে বুদ্ধিমান।” হিতোপদেশ ১৭:২৭ পদ বলে। বিচক্ষণতা ও ভ্রাতৃপ্রেম আমাদের সাহায্য করবে আঘাতজনক কিছু বলে ফেলার প্রবণতাকে সংযত করতে। যদি আমরা ক্ষুব্ধ হই, আসুন আমরা অন্য ব্যক্তির সাথে একাকী মৃদু ও নম্র মনোভাব নিয়ে কথা বলি, শান্তি পুনরুদ্ধারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। কী করা যেতে পারে যদি ক্রোধের এক বহিঃপ্রকাশ ইতিমধ্যেই দেখানো হয়ে থাকে? তখন প্রেম আমাদের পরিচালিত করবে আমাদের অহংকারকে প্রকাশ না করতে ও নম্রভাবে নিজেদেরকে সংশোধন করতে। এটি হল কথা বলার একটি উপযুক্ত সময়, অনুতাপ প্রকাশ করার ও আন্তরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে আঘাতপ্রাপ্ত মনোভাবকে সান্ত্বনা করার।—মথি ৫:২৩, ২৪.
যখন নীরব থাকা কোন সমাধান নয়
ক্রোধ অথবা বিরক্তির ফলে আমরা সেই ব্যক্তির সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিই যে আমাদের ক্রোধান্বিত করেছে। এটি খুব ক্ষতিকর হতে পারে। “আমাদের বিবাহের প্রথম বছরে কখনও, এমন পরিস্থিতি হত যখন আমি একটানা বেশ কিছু দিন আমার স্বামীর সাথে কথা বলতাম না,” মারিয়া স্বীকার করেন।b “সাধারণত, এটি যে খুব বড় সমস্যার কারণে হত তা নয়, বরঞ্চ খুব তুচ্ছ বিরক্তিগুলিকে পোষণ করার ফলে তা ঘটত। আমি এই সমস্ত বিরক্তিগুলির বিষয়ে চিন্তা করতাম যতক্ষণ না সেগুলি একটি পর্বতসমান বাধা হয়ে দাঁড়াত। তারপর সেই মুহূর্তটি আসত যখন আমি আর বেশিক্ষণ তা সহ্য করতে পারতাম না আর আমি আমার স্বামীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিতাম যতক্ষণ না আমার হতাশা দূর হত।”
মারিয়া আরও বলেন: “একটি নির্দিষ্ট বাইবেল পদ—‘সূর্য্য অস্ত যাইতে না যাইতে তোমাদের কোপাবেশ শান্ত হউক’—আমাকে সাহায্য করেছিল আমার চিন্তাধারাকে পুনরায় সমন্বিত করতে। আমার স্বামী ও আমি কঠোর প্রচেষ্টা করতাম আদান-প্রদানের উন্নতির ক্ষেত্রে, যাতে সমস্যা বেড়ে উঠতে না পারে। এটি করা সহজ ছিল না, কিন্তু বিবাহিত জীবনের দশ বছর পরে আমি বলতে খুশি যে এইধরনের কঠোর নীরবতার সময়কাল খুবই বিরল হয়েছে। কিন্তু আমি অবশ্যই স্বীকার করব যে আমি এখনও এই প্রবণতা সংযত করার জন্য পরিশ্রম করে চলছি।”—ইফিষীয় ৪:২৬.
যেমন মারিয়া আবিস্কার করেছিলেন, যখন দুজন ব্যক্তির মধ্যে উদ্বেগ থাকে, তখন আদান-প্রদান ছিন্ন করা কোন সমাধান নয়। ওইধরনের পরিস্থিতিগুলিতে, ক্রোধ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে ওঠে এবং যার ফলে হয়ত সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যীশু বলেছিলেন যে আমাদের ‘শীঘ্র মিলন করা’ উচিত। (মথি ৫:২৫) “উপযুক্ত সময়ে কথিত বাক্য” আমাদের সাহায্য করতে পারে ‘শান্তির অনুধাবন’ করতে।—হিতোপদেশ ২৫:১১; ১ পিতর ৩:১১.
আমাদের তখনও কথা বলা দরকার যখন আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন। যদি আমরা আধ্যাত্মিক কোন সমস্যার কারণে কষ্টভোগ করছি, আমরা হয়ত অন্যদের ভারস্বরূপ হতে অনিচ্ছাবোধ করতে পারি। কিন্তু যদি আমরা নীরব থাকি, সমস্যা আরও খারাপ পরিণতিতে যেতে পারে। নিযুক্ত প্রাচীনেরা আমাদের জন্য যত্ন নেন এবং আমরা যদি তাদের সুযোগ দিই, নিঃসন্দেহে তারা সাহায্য করতে আগ্রহী হবেন। এটি একটি উপযুক্ত সময় যখন আমাদের কথা বলা উচিত।—যাকোব ৫:১৩-১৬.
সর্বপরি, আমাদের নিয়মিতভাবে যিহোবার কাছে আন্তরিক প্রার্থনায় কথা বলা উচিত যেমন যীশু করেছিলেন। সত্যই, আসুন আমরা আমাদের স্বর্গীয় পিতার কাছে ‘মনের কথা ভাঙিয়া বলি।’—গীতসংহিতা ৬২:৮; তুলনা করুন ইব্রীয় ৫:৭.
ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে “কথা কহিবার কাল”
খ্রীষ্টীয় পরিচর্যা এক ঐশিক কার্যভার যা অবশ্যই শেষ আসার আগে পূর্ণতা প্রাপ্ত হবে। অতীতের তুলনায় তাই এটি এখন অনেক বেশি জরুরী যে যিহোবার সেবকেরা রাজ্য সম্বন্ধীয় সুসমাচার ঘোষণা করে। (মার্ক ১৩:১০) প্রেরিতদের মত, সত্য খ্রীষ্টানেরাও ‘তাহারা যাহা দেখিয়াছে ও শুনিয়াছে, তাহা না বলিয়া থাকিতে পারে না।’—প্রেরিত ৪:২০.
অবশ্য, প্রত্যেকে সুসমাচার শুনতে চায় না। প্রকৃতই, যখন তাঁর শিষ্যদের প্রচারের জন্য পাঠিয়েছিলেন যীশু তাদের উপদেশ দেন ‘তথাকার কোন্ ব্যক্তি যোগ্য, তাহা অনুসন্ধান করিও।’ যেহেতু যিহোবা কখনও কাউকে তাঁকে উপাসনা করার জন্য জোর করেন না, তাই আমরাও যারা রাজ্য বার্তা পরিকল্পিতভাবে প্রত্যাখ্যান করে এমন কারও সাথে জেদপূর্বক কথা বলা চালিয়েই যাব না। (মথি ১০:১১-১৪) কিন্তু আমরা যিহোবার রাজপদ সম্বন্ধে তাদের বলতে আনন্দিত হব যারা “অনন্ত জীবনের জন্য নিরূপিত।”—প্রেরিত ১৩:৪৮; গীতসংহিতা ১৪৫:১০-১৩.
প্রেম, মৃদুতা এবং নম্রতা হল সেই গুণাবলি যা আমাদের রূঢ়ভাবে কথা বলা অথবা নীরবতাজনিত অসিদ্ধ প্রবণতাকে সংযত করতে সাহায্য করতে পারে। যতই আমরা এই গুণাবলিতে বৃদ্ধি পেতে থাকব, আমরা কথা বলার সঠিক ও ভুল সময়ের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য আরও উত্তমভাবে সজ্জিত হতে পারব।
[পাদটীকাগুলো]
a তার আসল নাম নয়।
b তার আসল নাম নয়।
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
সমস্যার সমাধান হতে পারে উত্তম আদান-প্রদান রক্ষার মাধ্যমে