-
অন্যদের সঙ্গে আমাদের কীভাবে ব্যবহার করা উচিত?২০০৮ প্রহরীদুর্গ | মে ১৫
-
-
১২. (ক) আধ্যাত্মিক দীপ্তি সম্বন্ধে যিশু কী বলেছিলেন? (খ) কীভাবে আমরা আমাদের দীপ্তিকে উজ্জ্বল হতে দিতে পারি?
১২ আমরা যথাসম্ভব সর্বোত্তম উপায়ে লোকেদের সঙ্গে ব্যবহার করি, যখন আমরা তাদেরকে ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রাপ্ত আধ্যাত্মিক দীপ্তি লাভ করতে সাহায্য করি। (গীত. ৪৩:৩) যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন যে, তারা ছিল “জগতের দীপ্তি” আর তিনি তাদেরকে তাদের দীপ্তি উজ্জ্বল করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে লোকেরা তাদের “সৎক্রিয়া” বা অন্যদের প্রতি করা উত্তম কাজগুলো দেখতে পারে। এটা “মনুষ্যদের সাক্ষাতে” বা মানবজাতির উপকারার্থে আধ্যাত্মিক জ্যোতি প্রকাশ করবে। (পড়ুন, মথি ৫:১৪-১৬.) আজকে, আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের প্রতি ভাল কাজ করে ও “সমুদয় জগতে” অর্থাৎ “সর্ব্বজাতির কাছে” সুসমাচার প্রচারের কাজে অংশ নিয়ে আমাদের দীপ্তিকে উজ্জ্বল হতে দিই। (মথি ২৬:১৩; মার্ক ১৩:১০) কী এক বিশেষ সুযোগই না আমরা উপভোগ করি!
-
-
অন্যদের সঙ্গে আমাদের কীভাবে ব্যবহার করা উচিত?২০০৮ প্রহরীদুর্গ | মে ১৫
-
-
১৪. (ক) প্রথম শতাব্দীর প্রদীপগুলোর বিষয়ে আপনি কীভাবে বর্ণনা করবেন? (খ) আধ্যাত্মিক দীপ্তিকে একটা “কাঠার” নীচে লুকিয়ে না রাখার অর্থ কী?
১৪ যিশু একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে এটাকে কাঠার নীচে নয় কিন্তু দীপাধারের ওপর রাখার বিষয়ে বলেছিলেন, যাতে এটা ঘরের সকলকে আলো দিতে পারে। প্রথম শতাব্দীতে সাধারণ প্রদীপ ছিল একটা মাটির পাত্র, যেটার মধ্যে একটা সলতে থাকত, যা প্রদীপকে জ্বালাতে তরলকে (সাধারণত জলপাই তেলকে) চুষে ওপরের দিকে টেনে নিয়ে আসত। প্রায়ই কোনো কাঠের বা ধাতব দীপাধারের ওপর স্থাপিত একটা প্রদীপ “গৃহস্থিত সকল লোককে আলো” দিত। লোকেরা প্রদীপ জ্বালিয়ে সেটাকে “কাঠার”—প্রায় ৯ লিটার তেল ধরে এমন একটা বড় পাত্রের—নীচে রাখত না। যিশু চাননি যে, তাঁর শিষ্যরা এক রূপক কাঠার নীচে তাদের আধ্যাত্মিক দীপ্তিকে লুকিয়ে রাখুক। তাই, আমাদের দীপ্তিকে উজ্জ্বল হতে দিতে হবে, বিরোধিতা অথবা তাড়নার কারণে আমরা কখনোই আধ্যাত্মিক সত্যকে লুকিয়ে রাখব না বা নিজেদের মধ্যে রেখে দেব না।
-