-
যিশু “ঈশ্বর হইতে প্রজ্ঞা” প্রকাশ করেনযিহোবার নিকটবর্তী হোন
-
-
৬-৮. (ক) চিন্তা এড়ানোর জন্য যিশু কোন জোরালো কারণগুলো জোগান? (খ) কী দেখায় যে, যিশুর পরামর্শ ওপর থেকে আসা প্রজ্ঞাকে প্রতিফলিত করে?
৬ উদাহরণস্বরূপ, বস্তুগত বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ার সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সেই সম্বন্ধে যিশুর বিজ্ঞ পরামর্শ বিবেচনা করুন, যা মথি ৬ অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। “‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না,” যিশু আমাদের পরামর্শ দেন। (২৫ পদ) খাদ্য ও বস্ত্র হল মৌলিক চাহিদা আর এগুলো লাভ করার জন্য চিন্তিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যিশু আমাদের বলেন যে, এই বিষয়গুলোর জন্য “ভাবিত হইও না।”b কেন?
৭ যিশু যে-দৃঢ়প্রত্যয় উৎপাদক যুক্তি দেখান, তা শুনুন। যেহেতু যিহোবা আমাদের জীবন ও শরীর দিয়েছেন, তা হলে তিনি কি বেঁচে থাকার জন্য খাবার ও আচ্ছাদনের জন্য বস্ত্র জোগাতে পারেন না? (২৫ পদ) ঈশ্বর যদি পাখিদের খাবার জোগান এবং ফুলদের সৌন্দর্য দিয়ে বিভূষিত করেন, তা হলে তাঁর মানব উপাসকদের তিনি কত যত্নই না নেবেন! (২৬, ২৮-৩০ পদ) সত্যিই, অযথা চিন্তিত হওয়া অর্থহীন। এটা আমাদের আয়ু এমনকি সামান্যও বাড়াতে পারে না।c (২৭ পদ) কীভাবে আমরা চিন্তা এড়াতে পারি? যিশু আমাদের পরামর্শ দেন: ঈশ্বরের উপাসনাকে সবসময় জীবনে প্রথম স্থান দাও। যারা তা করে তারা নিশ্চিত হতে পারে যে তাদের রোজকার প্রয়োজনগুলো তাদের স্বর্গীয় পিতার মাধ্যমে তাদের “দেওয়া হইবে।” (৩৩ পদ) শেষে, যিশু অত্যন্ত এক ব্যবহারিক পরামর্শ দিয়েছিলেন—শুধু সেই দিনের জন্যই ভাবিত হও। আজকের চিন্তাগুলোর সঙ্গে কেন আগামীকালের চিন্তাগুলো যুক্ত করবেন? (৩৪ পদ) এ ছাড়া, যা হয়তো কখনও ঘটবে না, তা নিয়ে অযথা কেন উদ্বিগ্ন হবেন? এইরকম বিজ্ঞ পরামর্শ কাজে লাগানো এই চাপপূর্ণ জগতের অনেক মনোদুঃখ থেকে আমাদের স্বস্তি এনে দিতে পারে।
-