-
ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমনের ক্ষেত্রে ‘ন্যায়বিচার অনুশীলন করুন’যিহোবার নিকটবর্তী হোন
-
-
১৩ আমরা যদি ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের করুণাপূর্ণ বৈশিষ্ট্যকে উপলব্ধি করি, তা হলে আমরা তাড়াহুড়ো করে সেই বিষয়গুলো নিয়ে অন্যদের বিচার করব না, যেগুলো নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই বা যেগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যিশু তাঁর পর্বতে দত্ত উপদেশে সতর্ক করেছিলেন: “তোমরা বিচার করিও না, যেন বিচারিত না হও।” (মথি ৭:১) লূকের বিবরণ অনুযায়ী, যিশু আরও বলেছিলেন: “দোষী করিও না, তাহাতে দোষীকৃত হইবে না।”a (লূক ৬:৩৭) যিশু দেখিয়েছিলেন যে, অসিদ্ধ মানুষদের বিচার করার প্রবণতা সম্বন্ধে তিনি জানতেন। তাঁর শ্রোতাদের কারও যদি অন্যদের কঠোরভাবে বিচার করার অভ্যাস থাকত, তা হলে সেটা তাদের বন্ধ করতে হতো।
১৪. কোন কোন কারণে আমরা অন্যের ‘বিচার করিব’ না?
১৪ কেন আমরা অন্যদের ‘বিচার করিব’ না? একটা কারণ হল যে, আমাদের কর্তৃত্ব সীমিত। শিষ্য যাকোব আমাদের মনে করিয়ে দেন: “একমাত্র ব্যবস্থাপক ও বিচারকর্ত্তা আছেন,” তিনি যিহোবা। তাই যাকোব নির্দিষ্টভাবে জিজ্ঞেস করেন: “তুমি কে যে প্রতিবাসীর বিচার কর?” (যাকোব ৪:১২; রোমীয় ১৪:১-৪) এ ছাড়া, আমাদের পাপপূর্ণ স্বভাব খুব সহজেই আমাদের বিচারকে অন্যায্য করতে পারে। মনোভাব ও উদ্দেশ্যগুলো—যেগুলোর অন্তর্ভুক্ত প্রতিকূল ধারণা, ক্ষতিকর গর্ব, হিংসা এবং আত্মধার্মিকতা—সহমানবদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিকৃত করতে পারে। আমাদের আরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং এই বিষয়গুলো গভীরভাবে চিন্তা করার দ্বারা আমাদের তাড়াহুড়ো করে অন্যদের দোষ খোঁজা থেকে বিরত থাকা উচিত। আমরা হৃদয় পড়তে জানি না; অথবা আমরা অন্যদের ব্যক্তিগত পরিস্থিতি সম্বন্ধেও জানি না। তা হলে, সহবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্য খারাপ বলার বা ঈশ্বরের সেবায় তাদের প্রচেষ্টা সম্বন্ধে সমালোচনা করার আমরা কে? আমাদের ভাইবোনদের ত্রুটিগুলোর দিকে মনোযোগ না দিয়ে তাদের ভাল দিকগুলো দেখার মাধ্যমে যিহোবাকে অনুকরণ করা কতই না ভাল!
১৫. ঈশ্বরের উপাসকদের মধ্যে কোন ধরনের ভাষা ও আচরণের কোনো জায়গা নেই এবং কেন?
১৫ আমাদের পরিবারের সদস্যদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? দুঃখের বিষয় হল যে, আজকের জগতে সবচেয়ে কঠোর বিচারগুলোর কয়েকটা সেখানে ঘটে থাকে, যেটা হওয়া উচিত শান্তির এক আশ্রয়স্থল আর তা হল ঘর। খারাপ ব্যবহার করে এমন স্বামী, স্ত্রী বা বাবামাদের কথা প্রায়ই শোনা যায়, যারা সবসময় গালিগালাজ বা মারধর করে তাদের পরিবারের সদস্যদের “শাস্তি দেয়।” কিন্তু ঈশ্বরের উপাসকদের মধ্যে খারাপ ভাষা, তিক্ত বিদ্রূপ এবং মারধরের কোনো জায়গা নেই। (ইফিষীয় ৪:২৯, ৩১; ৫:৩৩; ৬:৪) “বিচার করিও না” এবং “দোষী করিও না,” যিশুর এই পরামর্শ যখন আমরা ঘরে থাকি, তখন সেটার প্রয়োগ বাদ হয়ে যায় না। মনে করে দেখুন যে, ন্যায়বিচার অনুশীলনের অন্তর্ভুক্ত যিহোবা আমাদের সঙ্গে যেরকম আচরণ করেন অন্যদের সঙ্গে সেরকম আচরণ করা। আর আমাদের ঈশ্বর কখনোই আমাদের সঙ্গে রূঢ় বা নির্মম আচরণ করেন না। বরং, যারা তাঁকে ভালবাসে তাদের প্রতি তিনি “স্নেহপূর্ণ।” (যাকোব ৫:১১) আমাদের অনুকরণের জন্য কতই না চমৎকার এক উদাহরণ!
-
-
ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমনের ক্ষেত্রে ‘ন্যায়বিচার অনুশীলন করুন’যিহোবার নিকটবর্তী হোন
-
-
a “বিচার করিও না” এবং “দোষী করিও না” এই অনুবাদগুলো “বিচার করতে শুরু কোরো না” এবং “দোষ দিতে শুরু কোরো না” অভিব্যক্তিগুলোকে ইঙ্গিত করে। যাই হোক, মূল ভাষায় বাইবেল লেখকগণ এখানে (ঘটমান) বর্তমান কালে নেতিবাচক আদেশগুলো ব্যবহার করে। অতএব বর্ণিত কাজগুলো সেই সময় চলছিল কিন্তু সেগুলো বন্ধ করতে হয়েছিল।
-