-
“আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ”২০০৩ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১
-
-
৬ দ্বিতীয় দৃষ্টান্তটি ছিল একজন স্ত্রীলোক সম্বন্ধে। যীশু বলেছিলেন: “কোন্ স্ত্রীলোক, যাহার দশটী সিকি আছে, সে যদি একটী হারাইয়া ফেলে, তবে প্রদীপ জ্বালিয়া ঘর ঝাঁটি দিয়া যে পর্য্যন্ত তাহা না পায়, ভাল করিয়া খুঁজিয়া দেখে না? আর পাইলে পর সে বন্ধু বান্ধব ও প্রতিবাসিনীগণকে ডাকিয়া বলে, আমার সঙ্গে আনন্দ কর, কারণ আমি যে সিকিটী হারাইয়া ফেলিয়াছিলাম, তাহা পাইয়াছি। তদ্রূপ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এক জন পাপী মন ফিরাইলে ঈশ্বরের দূতগণের সাক্ষাতে আনন্দ হয়।”—লূক ১৫:৮-১০.
-
-
“আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ”২০০৩ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১
-
-
হারিয়ে গেছে কিন্তু মূল্যবান
৮. (ক) মেষপালক এবং স্ত্রীলোক তাদের হারানো বিষয়গুলোর প্রতি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল? (খ) হারানো জিনিসের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্বন্ধে আমাদের কী জানায়?
৮ দুটো দৃষ্টান্তেই কিছু হারিয়ে গিয়েছিল কিন্তু মালিকদের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করুন। মেষপালক বলেননি যে: ‘একটা মেষ গেছে তো কী হয়েছে কারণ আমার তো এখনও ৯৯টা মেষ আছে? সেটা ছাড়াও আমার চলবে।’ সেই স্ত্রীলোক বলেননি যে: ‘একটা সিকির জন্য দুশ্চিন্তা করে কী লাভ? আমার কাছে এখনও যে-নয়টা সিকি আছে, তাতেই আমি খুশি।’ এর পরিবর্তে, মেষপালক তার হারানো মেষের জন্য এমনভাবে খোঁজ করেছিলেন যেন তার শুধু একটাই ছিল। আর স্ত্রীলোকটি সেই হারানো সিকির জন্য এমন বোধ করেছিলেন যেন তার কাছে আর কোনো সিকিই নেই। দুটো ঘটনাতেই হারিয়ে যাওয়া বস্তুটি মালিকের মনে মূল্যবানই থেকে গিয়েছিল। এর থেকে কোন বিষয়টা স্পষ্ট হয়?
-
-
“আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ”২০০৩ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১
-
-
৯. মেষপালক এবং স্ত্রীলোকের চিন্তা থেকে কোন বিষয়টা স্পষ্ট হয়?
৯ দুটো ক্ষেত্রেই যীশুর উপসংহার শুনুন: “তদ্রূপ এক জন পাপী মন ফিরাইলে স্বর্গে আনন্দ হইবে” এবং “তদ্রূপ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এক জন পাপী মন ফিরাইলে ঈশ্বরের দূতগণের সাক্ষাতে আনন্দ হয়।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) তাই, মেষপালক এবং স্ত্রীলোকের চিন্তা কিছুটা হলেও যিহোবা ও তাঁর স্বর্গীয় প্রাণীদের অনুভূতিকে প্রতিফলিত করে। হারানো জিনিসগুলো মেষপালক ও স্ত্রীলোকের চোখে যেমন মূল্যবান রয়ে গিয়েছিল, ঠিক একইভাবে যারা সরে গেছে এবং ঈশ্বরের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, তারা যিহোবার চোখে মূল্যবান রয়ে গেছে। (যিরমিয় ৩১:৩) এই ব্যক্তিরা হয়তো আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে দুর্বল হতে পারে কিন্তু সেটার মানে এই নয় যে, তারা বিদ্রোহী। তাদের দুর্বল অবস্থা সত্ত্বেও, তারা হয়তো এখনও যিহোবা তাদের কাছ থেকে যা চান সেগুলোর কিছুটা পূরণ করে যাচ্ছে। (গীতসংহিতা ১১৯:১৭৬; প্রেরিত ১৫:২৯) তাই, অতীতের মতো এখনও যিহোবা তাদের ‘আপনার সম্মুখ হইতে নিক্ষেপ করিবার’ ক্ষেত্রে ধীর আছেন।—২ রাজাবলি ১৩:২৩.
১০, ১১. (ক) যারা মণ্ডলী থেকে সরে গেছে তাদের আমরা কীভাবে দেখতে চাই? (খ) যিশুর দৃষ্টান্ত দুটো অনুসারে, তাদের জন্য আমরা কীভাবে আমাদের চিন্তা প্রকাশ করতে পারি?
১০ যিহোবা ও যিশুর মতো, আমরাও সেই ব্যক্তিদের জন্য গভীরভাবে চিন্তিত যারা দুর্বল এবং যাদের খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে আর দেখা যায় না। (যিহিষ্কেল ৩৪:১৬; লূক ১৯:১০) আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে দুর্বল একজন ব্যক্তিকে আমরা এক হারানো মেষ হিসেবে দেখি—অকর্মণ্য হিসেবে নয়। আমরা এইরকম যুক্তি দেখাই না যে: ‘দুর্বল ব্যক্তির সম্বন্ধে কেন চিন্তা করব? তাকে ছাড়া মণ্ডলী তো বেশ ভালই চলে যাচ্ছে?’ এর পরিবর্তে, যারা সরে গেছে কিন্তু ফিরে আসতে চায় তাদের আমরা যিহোবার মতো মূল্যবান হিসেবে দেখি।
-