আপনি কি মশীহকে শনাক্ত করতেন?
যীশু খ্রীষ্ট সাড়ে তিন বছর ইস্রায়েলীয়দের মাঝে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করে অতিবাহিত করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পার্থিব পরিচর্যা শেষ হয়ে আসার সময়ে, তাঁর সমকালীন অধিকাংশ লোক তাঁকে মশীহ অথবা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত “অভিষিক্ত ব্যক্তি” হিসাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল। কেন?
প্রথম শতাব্দীর যিহূদীরা কেন যীশুকে মশীহ হিসাবে স্বীকার করেনি, তার বিভিন্ন কারণগুলি শনাক্ত করতে বাইবেল আমাদের সাহায্য করে। এই কারণগুলির মধ্যে তিনটি, অনেককে শাসনরত মশীহ রাজা হিসাবে যীশুর বর্তমান অবস্থানকে স্বীকার করা থেকে বিরত করে।
“আমরা . . . কোন চিহ্ন দেখিতে ইচ্ছা করি”
প্রথম শতাব্দীর যিহূদীরা কেন মশীহকে শনাক্ত করেনি, তার একটি কারণ ছিল তাঁর মশীহপদ নির্দেশক শনাক্তিকরণের শাস্ত্রীয় চিহ্নগুলি গ্রহণ করতে অস্বীকার করা। একটি ক্ষেত্রে, লোকেরা যীশুর কথা শোনার সময়ে দাবি জানিয়েছিল যে, তিনি যে ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছিলেন, তা প্রমাণ করার জন্য তিনি যেন তাদের চিহ্ন দেন। উদাহরণস্বরূপ, মথি ১২:৩৮ পদ বিবৃতি দেয়, যে কিছু অধ্যাপক এবং ফরীশীরা বলেছিল: “হে গুরু, আমরা আপনার কাছে কোন চিহ্ন দেখিতে ইচ্ছা করি।” যীশু কি ইতিমধ্যেই তাদের চিহ্ন দেখাননি? অবশ্যই তিনি দেখিয়েছিলেন।
সেই সময়ের মধ্যেই যীশু অনেক অলৌকিক কাজ সম্পাদন করেছিলেন। তিনি জলকে দ্রাক্ষারসে পরিণত করেছিলেন, মুমূর্ষু বালককে সুস্থ করেছিলেন, পিতরের অসুস্থ শাশুড়ীকে সুস্থ করেছিলেন, কুষ্ঠরোগীকে শুচি করেছিলেন, পক্ষাঘাতী ব্যক্তিকে হাঁটতে সক্ষম করেছিলেন, ৩৮ বৎসরের অসুস্থ এক ব্যক্তির স্বাস্থ্যকে আরোগ্য করেছিলেন, এক ব্যক্তির শুষ্ক হাতকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছিলেন, অনেক লোককে তাদের কঠিন রোগগুলি থেকে উপশম দিয়েছিলেন, শতপতির এক দাসকে সুস্থ করেছিলেন, এক বিধবার পুত্রকে মৃত্যু থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং এক অন্ধ ও বোবাকে সুস্থ করেছিলেন। এই অলৌকিক কাজগুলি কান্নায়, কফরনাহূমে, যিরূশালেমে এবং নায়িনে ঘটেছিল। অধিকন্তু, এই অলৌকিক কাজগুলির সংবাদ সমস্ত যিহূদা এবং চতুর্পাশ্বস্থ দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল।—যোহন ২:১-১২; ৪:৪৬-৫৪; মথি ৮:১৪-১৭; ৮:১-৪; ৯:১-৮; যোহন ৫:১-৯; মথি ১২:৯-১৪; মার্ক ৩:৭-১২; লূক ৭:১-১০; ৭:১১-১৭; মথি ১২:২২.
স্পষ্টতই, যীশু যে মশীহ ছিলেন তা প্রমাণ করতে চিহ্নের কোন সংখ্যাল্পতা ছিল না। যদিও তিনি লোকেদের সম্মুখে বহু চিহ্ন সম্পাদন করেছিলেন, তবুও তারা তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেনি। যীশু যে ঈশ্বর দ্বারা প্রেরিত তার প্রমাণ যারা দেখেছিল, কিন্তু মশীহ হিসাবে তাঁকে স্বীকার করেনি, তারা আধ্যাত্মিকভাবে অন্ধ ছিল। সত্যের প্রতি তাদের হৃদয় কঠিন এবং দুষ্প্রবেশ্য ছিল।—যোহন ১২:৩৭-৪১.
আমাদের দিন সম্পর্কে কী বলা যায়? কিছু লোক বলে থাকে, “আমি নিজের চোখে যা দেখি কেবলমাত্র তাই-ই বিশ্বাস করি।” কিন্তু এটি ভাবা কি প্রকৃতই একটি বিজ্ঞতার কাজ? বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত করে যে যীশু ইতিমধ্যেই মশীহ রাজ্যে স্বর্গীয় রাজা হিসাবে সিংহাসনে উপবেশন করেছেন। যেহেতু তিনি অদৃশ্য, তাই তাঁর শাসনব্যবস্থাকে বোধশক্তি দ্বারা নির্ণয় করতে আমাদের চিহ্নের প্রয়োজন, যা এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থার শেষ কালের আরম্ভকে চিহ্নিত করে। আপনি কি চিহ্নটিকে শনাক্ত করেন?—মথি ২৪:৩.
বাইবেল অনুযায়ী, মশীহ রাজা হিসাবে খ্রীষ্টের শাসনের শুরু অভূতপূর্ব মাত্রায় যুদ্ধ, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ এবং মহামারী দ্বারা চিহ্নিত হবে। “শেষ কালে,” মনুষ্য-সম্পর্ক স্বার্থপরতা, লোভ এবং নিয়ন্ত্রণের অভাব দ্বারা চিত্রিত হবে। (২ তীমথিয় ৩:১-৫; মথি ২৪:৬, ৭; লূক ২১:১০, ১১) বংশানুক্রমিক প্রমাণ ছাড়াও, এই শেষ কালের ২০টিরও বেশি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ১৯১৪ সালে মশীহ রাজ্যের আরম্ভকে চিহ্নিত করে।—প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি), মার্চ ১, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ৫ দেখুন।
“অর্থপ্রিয়”
যিহূদীরা কেন যীশুকে মশীহ হিসাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল তার আরেকটি কারণ ছিল বস্তুবাদিতা। সম্পদের প্রতি অতিরিক্ত গুরুত্ব প্রদান অনেককে, যীশুকে অনুসরণ করা থেকে বিরত করেছিল। উদাহরণস্বরূপ, ফরীশীরা “অর্থপ্রিয়” হিসাবে পরিচিত ছিল। (লূক ১৬:১৪, NW) এক ধনবান যুবক শাসকের বিষয়টি বিবেচনা করুন, যিনি যীশুর কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন কিভাবে অনন্ত জীবন লাভ করা যায়। যীশুর উত্তর ছিল, “আজ্ঞা সকল পালন কর।” ঐ নির্দষ্ট আইনগুলি অপেক্ষা আরও কিছুর প্রয়োজন আছে তা বুঝে, যুবকটি ঝিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি এ সকলই পালন করিয়াছি, এখন আমার কি ত্রুটি আছে?” যীশু তাকে বলেছিলেন, “তোমার যাহা যাহা আছে, বিক্রয় কর, এবং দরিদ্রদিগকে দান কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।” কি এক উত্তম সুযোগ—মশীহের শিষ্য হওয়া! তথাপি, শাসনকর্তাটি দুঃখিত হয়ে চলে গিয়েছিলেন। কেন? কারণ তার কাছে স্বর্গের ধন অপেক্ষা পৃথিবীর ধন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।—মথি ১৯:১৬-২২.
পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। মশীহ রাজার অকৃত্রিম অনুগামী হওয়ার অর্থ হল আধ্যাত্মিক বিষয়গুলিকে পার্থিব সম্পদসহ সমস্ত কিছুর অগ্রে স্থান দেওয়া। যে কারও পক্ষে, যার বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আছে, এটি এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাস্বরূপ। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচ্যের একটি দেশে এক মিশনারী দম্পতি একজন মহিলার সাথে বাইবেল সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। তিনি যিহোবা এবং তাঁর পুত্র, যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে আরও শিখতে চান, এটি মনে করে দম্পতিটি তাকে প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকাগুলি অর্পণ করেছিলেন। তিনি কিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “এই পত্রিকাগুলি কি আমাকে আরও অর্থ অর্জন করতে সাহায্য করবে?” মহিলাটি আধ্যাত্মিক বিষয়গুলির তুলনায় বস্তুসামগ্রীর প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী ছিলেন।
সেই একই দম্পতি একজন যুবকের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করতেন যে কিংডম হলের সভাগুলিতে যোগ দিতে শুরু করেছিল। তার পিতামাতা তাকে বলেছিলেন, “তুমি তোমার সময় নষ্ট করছ। সন্ধ্যায় তোমার আরেকটি চাকুরি করা এবং আরও অর্থ উপার্জন করা উচিত।” এটি কতই না দুঃখজনক যখন পিতামাতারা তাদের সন্তানদের মশীহ রাজার সম্বন্ধে শেখার অগ্রে বস্তুসামগ্রীকে রাখার প্রতি উৎসাহিত করেন! একটি চৈনিক প্রবাদবাক্য জানায়, “তার সমস্ত সম্পদ দিয়েও এক শাসক দশহাজার বছরের জীবন কিনতে পারেন না।”
অনেকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, মশীহ রাজা সম্বন্ধে শেখা এবং তাঁকে অনুসরণ করা, অর্থপ্রিয় হওয়ার জন্য কোন সুযোগ রাখে না। একজন যিহোবার সাক্ষী যার নিজস্ব ব্যবসা ছিল ও প্রচুর অর্থ উপার্জন করতেন, তিনি বলেছিলেন: “প্রচুর অর্থ থাকা খুব সন্তোষজনক, কিন্তু তা অপরিহার্য নয়। অর্থ সেই বস্তু নয়, যা এক ব্যক্তিকে সুখী করতে পারে।” তিনি এখন ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির ইউরোপ শাখার বেথেল পরিবারের এক সদস্যা।
‘যিহূদিগণের ভয়’
যিহূদীরা কেন যীশুকে মশীহ হিসাবে গ্রহণ করেনি তার আরেকটি কারণ ছিল মনুষ্য ভয়। তাঁর মশীহপদকে প্রকাশ্যে স্বীকার করার অর্থ ছিল তাদের সুনামকে ঝুঁকির সম্মুখীন করা। কিছু ব্যক্তির জন্য এর মূল্য খুব বেশি ছিল। মহাসভা নামে পরিচিত যিহূদীদের উচ্চ আদালতের সদস্য নীকদীমের কথা বিবেচনা করুন। যীশুর চিহ্নকার্য এবং শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, তিনি স্বীকার করেছিলেন: “রব্বি, আমরা জানি, আপনি ঈশ্বরের নিকট হইতে আগত গুরু; কেননা আপনি এই যে সকল চিহ্ন-কার্য্য সাধন করিতেছেন, ঈশ্বর সহবর্ত্তী না থাকিলে এ সকল কেহ করিতে পারে না।” তথাপি, নীকদীম সম্ভবত অন্যান্য যিহূদীদের দ্বারা শনাক্তিকৃত হওয়াকে এড়ানোর জন্য, রাত্রির অন্ধকারে যীশুর কাছে এসেছিলেন।—যোহন ৩:১, ২.
যারা যীশুর কথা শুনেছিল, তাদের মধ্যে অনেকের কাছে, ঈশ্বরের অনুমোদনের চাইতে মানুষের অনুমোদন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। (যোহন ৫:৪৪) সা.শ. ৩২ সালে কুটির উৎসবের জন্য যখন যীশু যিরূশালেমে ছিলেন, সেখানে “সমাগত লোকেরা তাঁহার বিষয়ে ফুস্ ফুস্ করিয়া অনেক কথা কহিতে লাগিল।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) কিন্তু, “যিহূদিগণের ভয়ে” কেউ যীশুর বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। (যোহন ৭:১০-১৩) এমনকি সেই ব্যক্তির পিতামাতাও, যাকে যীশু অন্ধত্ব থেকে সুস্থ করেছিলেন, সেই অলৌকিক কাজটি ঈশ্বরের প্রতিনিধির কাছ থেকে এসেছে বলে স্বীকার করে উঠতে পারেনি। তারাও “যিহূদীদিগকে ভয় করিত।”—যোহন ৯:১৩-২৩.
বর্তমানে, কিছুজন উপলব্ধি করেন যে যীশু এখন মশীহ রাজা রূপে স্বর্গে শাসন করছেন, কিন্তু তারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করতে ভয় পান। তাদের জন্য অন্যদের কাছে তাদের পদমর্যাদা ক্ষুণ্য হওয়ার মূল্য অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানীতে, একজন যিহোবার সাক্ষীর এক ব্যক্তির সাথে বাইবেল আলোচনা হয়েছিল যিনি স্বীকার করেছিলেন: “আপনারা সাক্ষীরা বাইবেল সম্পর্কে যা প্রচার করেন তা সত্য। কিন্তু আমি যদি আজকে একজন যিহোবার সাক্ষী হই, তাহলে কালকের মধ্যেই সকলে এ বিষয়টি জেনে যাবে। কর্মক্ষেত্রে, প্রতিবেশীদের মধ্যে এবং আমি ও আমার পরিবার যে ক্লাবের সাথে যুক্ত আছি, তারা কী ভাববে? আমি তা সহ্য করতে পারব না।”
মনুষ্য ভয়ের কারণগুলি কী কী? গর্ব, পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, উপহাস আর অবমাননার ভয়, অধিকাংশ লোকেদের থেকে ভিন্ন হওয়ার উদ্বিগ্নতা। এই সকল অনুভূতিগুলি একটি পরীক্ষাস্বরূপ প্রমাণিত হয়েছে বিশেষভাবে তাদের ক্ষেত্রে, যারা যিহোবার সাক্ষীদের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ, মশীহ রাজ্য যীশু খ্রীষ্টের শাসনাধীনে পৃথিবীতে পরমদেশ প্রতিষ্ঠিত করবে, এটি জেনে এক যুবতী মহিলা রোমাঞ্চিত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু, তিনি এক অত্যুৎসাহী ডিস্কোপ্রেমী ছিলেন এবং মনুষ্য ভয় তাকে এই আশা সম্বন্ধে অন্যদের সাথে কথা বলতে বাধা দিত। পরিশেষে, তিনি বাইবেল সম্পর্কে স্বচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য সাহস অর্জন করেছিলেন। তার ডিস্কো বন্ধুরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, কিন্তু তার স্বামী এবং তার পিতামাতা আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। পরিশেষে, মহিলাটি এবং তার মা বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন আর তার স্বামী ও তার বাবা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। মনুষ্য ভয়কে কাটিয়ে ওঠার কী উত্তমই না এক পুরস্কার!
আপনি কি প্রকৃতই মশীহকে শনাক্ত করেন?
যখন যীশু যাতনাদণ্ডে মৃত্যু বরণ করছিলেন, তখন তার কয়েকজন শিষ্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা তাকে ভাববাণীকৃত মশীহ হিসাবে শনাক্ত করেছিলেন। যিহূদী শাসকেরাও সেখানে উপস্থিত ছিল যারা যেন তখনও একটি চিহ্নের দাবি করেছিল। “যদি ও ঈশ্বরের সেই খ্রীষ্ট [অথবা মশীহ], তাঁহার মনোনীত হয়, আপনাকে রক্ষা করুক।” (লূক ২৩:৩৫) তারা কি কখনও চিহ্ন দেখতে চাওয়ার থেকে বিরত থাকবে না? যীশু বিপুল সংখ্যক অলৌকিক কাজ সম্পাদন করেছিলেন। অতিরিক্তভাবে, তাঁর জন্ম, পরিচর্যা, পরীক্ষা, বিচারদণ্ডাজ্ঞা এবং পুনরুত্থান ইব্রীয় শাস্ত্রের অনেক ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ করেছিল।—ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত, “অল স্ক্রিপচার ইজ ইনন্সপায়ার্ড অফ গড অ্যান্ড বেনিফিশিয়াল” নামক বইটির পৃষ্ঠা ৩৪৩-৪ দেখুন।
পথচারীরা যীশুর মশীহপদের প্রমাণকে অবজ্ঞা করে তাঁকে তীব্র নিন্দা করেছিল। (মথি ২৭:৩৯, ৪০) সৈন্যেরা নিজেদের মধ্যে যীশুর বস্ত্র বস্তুবাদী মনোভাবের সাথে ভাগ করে নিয়েছিল তাঁর আঙ্রাখাটি গুলিবাঁট করে নেওয়ার দ্বারা। (যোহন ১৯:২৩, ২৪) কিছু কিছু ক্ষেত্রে, মনুষ্য ভয়ের এক ভূমিকা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, মহাসভার একজন সদস্য, অরিমাথিয়ার যোষেফের কথা বিবেচনা করুন। যিনি “যীশুর শিষ্য ছিলেন, কিন্তু যিহূদীদের ভয়ে গুপ্ত ভাবেই ছিলেন।” মশীহের মৃত্যুর পরে, যোষেফ এবং নীকদীম যীশুর দেহের তত্ত্বাবধান করেছিলেন। এইভাবে যোষেফ মনুষ্য ভয়কে কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন।—যোহন ১৯:৩৮-৪০.
যদি আপনি প্রথম শতাব্দীতে বাস করতেন, আপনি কি যীশুকে মশীহ হিসাবে শনাক্ত করতেন? এইরূপ করার অন্তর্ভুক্ত হত যে আপনি শাস্ত্রীয় প্রমাণকে গ্রহণ করেন, বস্তুবাদী চিন্তাকরাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং মনুষ্য ভয়ের বশীভূত হন না। এই শেষকালে আমাদের প্রত্যেকের নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, ‘আমি কি যীশুকে এখন স্বর্গীয় মশীহ রাজা হিসাবে শনাক্ত করি?’ শীঘ্রই তিনি পৃথিবীর বিষয়গুলির দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। যখন তা ঘটবে, আপনি কি তাদের মধ্যে থাকবেন যারা প্রকৃতই প্রতিজ্ঞাত মশীহ হিসাবে যীশু খ্রীষ্টকে শনাক্ত করে?
[২৮ পৃষ্ঠার চিত্র]
যীশুই যে মশীহ রাজা সেই প্রমাণকে কখনও উপেক্ষা করবেন না
[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]
প্রায়ই মশীহ সম্বন্ধে শিক্ষালাভের অর্থ হল অন্যেরা কী বলতে পারে সেই ভয়কে কাটিয়ে ওঠা