কথাবার্তা শুরু করার জন্য
পাঠ ২
কথা বলতে বলতে সাক্ষ্য দিন
নীতি: “ঠিক সময়ে বলা কথা কেমন ভাল!”—হিতো. ১৫:২৩, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন।
ফিলিপ কী করেছিলেন?
১. ভিডিওটা দেখুন অথবা প্রেরিত ৮:৩০, ৩১ পদ পড়ুন। এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে চিন্তা করুন:
ক. ফিলিপ কীভাবে কথা শুরু করেছিলেন?
খ. কেন আমরা বলতে পারি, আলোচনা শুরুর করার জন্য এটা একটা ভালো উপায় ছিল? আর এর ফল কী হয়েছিল?
ফিলিপের কাছ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
২. সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আমরা যদি তাড়াহুড়ো না করে ধীরে-সুস্থে কথা বলি, তা হলে সেই ব্যক্তি হয়তো স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন। পরে আমরা যখন কথা বলতে বলতে বাইবেল থেকে কোনো বিষয় জানাব, তখন তিনি হয়তো তা শুনতে চাইবেন।
আমরা কীভাবে ফিলিপকে অনুকরণ করতে পারি?
৩. মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করুন। একজন ব্যক্তির চেহারা অথবা হাবভাব দেখে সেই ব্যক্তি সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা যায়। সেই ব্যক্তিকে দেখে কি মনে হয়, তিনি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন? বাইবেল থেকে কোনো বিষয় জানানোর জন্য আপনি হয়তো এইরকম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন: “আপনি কি জানেন . . . ?” কেউ যদি কথা বলতে না চায়, তা হলে জোর করে কথা বলার চেষ্টা করবেন না।
৪. ধৈর্য ধরুন। এইরকম মনে করবেন না, আপনাকে শুরুতেই বাইবেল থেকে কিছু জানাতে হবে। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনি হয়তো কথা বলতে বলতে একসময় বাইবেল থেকে সত্য তুলে ধরতে পারেন। আর আপনি যদি প্রথম সাক্ষাতেই বাইবেল থেকে কিছু জানাতে না-ও পারেন, তা হলে পরের বার আপনি হয়তো সেই সুযোগ পেতে পারেন।
৫. প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয়বস্তু পরিবর্তন করুন। কখনো কখনো সেই ব্যক্তি হয়তো একেবারে ভিন্ন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। সেইসময় আপনি যা বলবেন বলে ঠিক করেছেন, তা না বলে বরং সেই ব্যক্তি যা বলছেন, সেটার সঙ্গে মিল রেখে বাইবেল থেকে কোনো বিষয় তুলে ধরুন।