-
জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্সজীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০১৯ | জানুয়ারি
-
-
১১ তাই যে-সমস্ত সংবাদ বা গুজব শোনা গিয়েছিল, সেগুলোতে যদিও খুবই বিকৃত তথ্য ছিল, কিন্তু তারপরও যিহুদি বিশ্বাসীরা সেগুলোর দ্বারা বিরক্ত হয়েছিল। সেই কারণে, প্রাচীনরা পৌলকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন: “আমাদের এমন চারি জন পুরুষ আছে, যাহারা মানত করিয়াছে; তুমি তাহাদিগকে লইয়া তাহাদের সহিত আপনাকেও শুচি কর, এবং তাহাদের মস্তক মুণ্ডনের জন্য ব্যয় কর। তাহা করিলে সকলে জানিবে, তোমার বিষয়ে যে সকল সংবাদ উহারা পাইয়াছে, সে কিছু নয়, বরং তুমি নিজেও ব্যবস্থা-পালন করিয়া যথানিয়মে চলিতেছ।”—প্রেরিত ২১:২৩, ২৪.
১২ পৌল এইরকম আপত্তি জানাতে পারতেন যে, আসল সমস্যাটা তার বিষয়ে গুজব নয় বরং মোশির ব্যবস্থার প্রতি সেই যিহুদি বিশ্বাসীদের উদ্যোগ। কিন্তু তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত নমনীয় হতে ইচ্ছুক ছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তা ঈশ্বরের নীতির সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি না করে। এর আগে তিনি লিখেছিলেন: “আপনি ব্যবস্থার অধীন না হইলেও আমি ব্যস্থার অধীন লোকদিগকে লাভ করিবার জন্য ব্যবস্থাধীনদিগের কাছে ব্যবস্থাধীনের ন্যায় হইলাম।” (১ করি. ৯:২০) এই বার, পৌল যিরূশালেমের প্রাচীনদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন এবং “ব্যবস্থাধীনের ন্যায়” হয়েছিলেন। তা করার মাধ্যমে তিনি আমাদের জন্য এক চমৎকার উদাহরণ স্থাপন করেছেন, যাতে বর্তমানে আমরাও প্রাচীনদের সঙ্গে সহযোগিতা করি ও নিজেদের উপায়ে বিভিন্ন বিষয় করার জন্য নাছোড়বান্দা মনোভাব না দেখাই।—ইব্রীয় ১৩:১৭.
-
-
“আমি আপনাদের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি, শুনুন”ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়া’!
-
-
c পণ্ডিতদের মতে সেই চার জন পুরুষ সম্ভবত নাসরীয় হওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। (গণনা. ৬:১-২১) এটা সত্য যে, মোশির ব্যবস্থায় নাসরীয়দের অঙ্গীকার করার নিয়ম ছিল, কিন্তু এখন সেটার আর কোনো মূল্য নেই। তবে, পৌল হয়তো এই বিষয়ে চিন্তা করছিলেন যে, সেই পুরুষেরা যিহোবার কাছে যে-অঙ্গীকার করেছে, তা পূরণ করে তারা কোনো ভুল করছে না। সেইজন্য তাদের খরচ বহন করা এবং তাদের সঙ্গে মন্দিরে যাওয়া কোনো ভুল বিষয় ছিল না। আমরা সঠিকভাবে জানি না, সেই পুরুষেরা কোন অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু আমরা নিশ্চিত যে, পৌল কোনো পশুবলি উৎসর্গ করাকে সমর্থন করেননি, যেমনটা নাসরীয়েরা করত। পশুবলি এই জন্য উৎসর্গ করা হত যে, তা দিয়ে মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে। কিন্তু, যিশু যখন তাঁর সিদ্ধ জীবন বলি হিসেবে উৎসর্গ করেছিলেন, তখন থেকে আর পাপের ক্ষমা পাওয়ার জন্য পশুবলি উৎসর্গ করার প্রয়োজন ছিল না। আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত যে, পৌল সেই সময় এমন কিছু করেননি, যেটা থেকে তার বিবেক দংশাতে পারত।
-