যিহোবা ধার্মিকতা এবং ন্যায়বিচারের প্রেমিক
সারাজেভোর এক যুবতী মেয়ে নিজেকে জিজ্ঞাসা করে কেন তার শহরের ছেলেমেয়েদের এত দুঃখভোগ করতে হবে। “আমরা কিছুই করিনি। আমরা নির্দোষ,” সে বলে। হতভম্ব আর্জেন্টিনার মায়েরা তাদের ছেলেদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াতে বুয়েনস এয়ার্সের চৌরাস্তায় প্রায় ১৫ বছর ধরে আসছে। ইম্মানুয়েল নামে এক আফ্রিকান যার মা এবং তিন বোনকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, দাবি করে: “সকলের ন্যায্য পরিশোধ পাওয়া উচিত . . . আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
ন্যায়বিচার হল যিহোবার ঈশ্বরের মুখ্য গুণাবলির মধ্যে একটি। “তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য,” বাইবেল বলে। সত্যই, যিহোবা “ধার্ম্মিকতা ও ন্যায়বিচার ভালবাসেন।” (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪; গীতসংহিতা ৩৩:৫) ঈশ্বরকে ভালভাবে জানতে হলে আমাদের অবশ্যই তাঁর ন্যায়বিচারের অর্থ জানা এবং তা অনুকরণ করা শিখতে হবে।—হোশেয় ২:১৯, ২০; ইফিষীয় ৫:১.
ন্যায়বিচার সম্বন্ধে আমাদের চিন্তাধারা হয়ত মানুষ যেভাবে চিন্তা করে তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। জগতের কিছু অংশে, ন্যায়বিচারকে চোখে কাপড় দেওয়া এক নারীর দ্বারা চিত্রিত করা হয় যার হাতে তলোওয়ার এবং দাড়িপাল্লা রয়েছে। মানুষের ন্যায়বিচার পক্ষপাতহীন হওয়া উচিত যার অর্থ হল ধন এবং প্রভাবের প্রতি অন্ধ। এটির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দোষী ব্যক্তির দোষ অথবা দোষহীনতাকে দাড়িপাল্লায় ওজন করা উচিত। তলোওয়ারের সাহায্যে, ন্যায়বিচারের উচিত নির্দোষকে রক্ষা এবং দোষীকে শাস্তি দেওয়া।
রাইট অ্যান্ড রিসেন—এথিক্স ইন থিয়োরি অ্যান্ড প্রাকটিস্ নামক বইটি বলে “ন্যায়বিচার যুক্ত রয়েছে আইন, দায়িত্ব, অধিকার এবং কর্তব্যের সাথে এবং পক্ষপাতিত্বহীন অথবা যা ন্যায্য সেই অনুযায়ী ন্যায়বিচার দিয়ে থাকে।” কিন্তু যিহোবার ন্যায়বিচার এর থেকেও অধিকতর। এটি আমরা দেখতে পাই যীশু খ্রীষ্টের কাজগুলি এবং গুণাবলি বিবেচনা করার দ্বারা যিনি অনেকখানি তাঁর স্বর্গীয় পিতার মত।—ইব্রীয় ১:৩.
যিশাইয় ৪২:৩ পদের বাক্যগুলি সুসমাচার লেখক মথি যীশুর প্রতি প্রয়োগ করেন, যিনি বলেছিলেন: “তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গিবেন না; সধূম শলিতা নির্ব্বাণ করিবেন না; সত্যে তিনি ন্যায়বিচার প্রচলিত করিবেন।” থেৎলা নলের মত বাঁকানো এবং নিপীড়িত লোকেদের কাছে যীশু সান্ত্বনাদায়ক বার্তা ঘোষণা করেছিলেন। তারা প্রদীপের সধূম শলতের মত ছিল যেন তাদের জীবনের শেষ শিখা টুকু নির্বাণ করে দেওয়া হয়েছে। রূপক অর্থে থেৎলা নল ভাঙ্গা এবং সধূম শলিতা নির্ব্বাণ করার পরিবর্তে, যীশু নিপীড়িতদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন, শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং সুস্থ করেছিলেন এবং যিহোবা ঈশ্বরের ন্যায়বিচার তাদের কাছে স্পষ্ট করেছিলেন। (মথি ১২:১০-২১) ঠিক যেমন যিশাইয়ের ভবিষ্যদ্বাণী বলেছিল সেই ধরনের ন্যায়বিচার আশাকে প্রণোদিত করেছিল।
দয়া এবং যিহোবার ন্যায়বিচার
ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের অপরিহার্য অংশ হল দয়া। এটি প্রকাশিত হয়েছিল যখন যীশু পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি নিখুঁতভাবে ঈশ্বরের ন্যায়বিচার এবং ধার্মিকতার মানগুলির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কিন্তু, যিহূদী অধ্যাপক এবং ফরীশীরা ধার্মিকতা অর্জন করতে চেয়েছিল নিয়মাবলীকে নিখুঁতভাবে অনুকরণ করে—যার অধিকাংশ ছিল তাদের নিজেদের দ্বারা তৈরি। তাদের বৈধ ন্যায়বিচারে সাধারণত দয়াকে পরিহার করা হত। যীশু এবং ফরীশীদের মধ্যে বেশির ভাগ বাদবিবাদ এই বিষয়টি নিয়ে ছিল: সত্য ন্যায়বিচার এবং ধার্মিকতা কী?—মথি ৯:১০-১৩; মার্ক ৩:১-৫; লূক ৭:৩৬-৪৭.
কিভাবে ন্যায্য এবং ধার্মিকভাবে অন্যদের সাথে ব্যবহার করা যায় তা যীশু উদাহরণসহ দেখিয়েছিলেন। একজন ব্যক্তি যিনি নিয়মের ব্যবস্থায় শিক্ষিত ছিলেন যীশুকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে অনন্ত জীবন পাওয়ার জন্য কী প্রয়োজন। প্রত্যুত্তরে যীশু তাকে একটি প্রশ্ন করেন এবং প্রশংসা করেন যখন সে উত্তর দেয় যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি নিয়ম হল ঈশ্বরকে সম্পূর্ণ হৃদয়, প্রাণ, মন এবং শক্তি দিয়ে প্রেম করা এবং নিজের প্রতিবেশীকে প্রেম করা। তারপর সেই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছিল: “আমার প্রকৃত প্রতিবাসী কে?” যীশু এর উত্তর দিয়েছিলেন প্রতিবেশী শমরিয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে।—লূক ১০:২৫-৩৭.
যিহোবার ধার্মিকতা এবং দয়াপূর্ণ ন্যায়বিচার যীশুর শমরিয়ের দৃষ্টান্তে দেখানো হয়েছিল। এক আহত ব্যক্তি যাকে তিনি চেনেন না তাকে স্বার্থহীনভাবে সাহায্য করে সেই শমরিয় এক উত্তম, ন্যায্য এবং দয়াপূর্ণ কাজ করেছিল। যীশু নিজে যখন পৃথিবীতে ছিলেন তখন সেই একই মনোভাব দেখিয়েছিলেন। তিনি ধার্মিক এবং ন্যায্য ছিলেন। এছাড়াও, তিনি তাঁর জীবন প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের, পাপীদের জন্য এবং অসিদ্ধ মানবজাতির জন্য দান করেছিলেন যারা দুঃখভোগ, অসুস্থতা এবং মৃত্যুভোগ করছিল। প্রেরিত পৌল ধার্মিকতাকে মুক্তিরমূল্যরূপ বলিদানের সাথে যোগ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “যেমন এক অপরাধ দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে দণ্ডাজ্ঞা পর্য্যন্ত ফল উপস্থিত হইল, তেমনি ধার্ম্মিকতার একটী কার্য্য দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে জীবনদায়ক ধার্ম্মিক-গণনা পর্য্যন্ত ফল উপস্থিত হইল।” (রোমীয় ৫:১৮) এই “ধার্ম্মিকতার একটী কার্য্য” ছিল ঈশ্বরের পথ যার দ্বারা তিনি বাধ্য মানবজাতিকে আদমের পাপের খারাপ পরিণতি থেকে বাঁচিয়েছেন যার জন্য তারা প্রত্যক্ষভাবে দায়ী ছিল না।
ঈশ্বরের ন্যায়বিচার পাপপূর্ণ মানবজাতিকে পুনরুদ্ধার করেছে এবং একই সাথে তার উৎকৃষ্ট ধার্মিক নীতিগুলি তুলে ধরেছে। পাপকে অবজ্ঞা করা অসংগত এবং প্রেমহীন হবে কারণ তা অরাজকতাকে উৎসাহ দিতে পারত। অপরপক্ষে, যদি ঈশ্বরের ন্যায়বিচার শুধুমাত্র পুরস্কার এবং শাস্তিতে সীমাবদ্ধ থাকত, তাহলে মানবজাতির পরিস্থিতি আশাহীন হত। বাইবেল অনুযায়ী, “পাপের বেতন মৃত্যু” এবং “ধার্ম্মিক কেহই নাই, এক জনও নাই।” (রোমীয় ৩:১০; ৬:২৩) নিজের এবং তাঁর প্রিয় পুত্রের অনেক ব্যক্তিগত ক্ষতি সত্ত্বেও পাপের জন্য যিহোবা পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত প্রদান করেছিলেন।—১ যোহন ২:১, ২.
মুক্তিরমূল্যরূপ বলিদান দেখায় যে ঐশিক ন্যায়বিচারের সাথে নীতিগত প্রেম (গ্রীক, আগাপে) জড়িয়ে আছে। সত্যই, ঈশ্বরের ন্যায়বিচার হল তার ধার্মিক নীতিগুলির পরিণতি—ঈশ্বরের নৈতিক মানের এক প্রতিবিম্ব। যখন ঈশ্বরের দ্বারা প্রদর্শিত, তখন আগাপে হল সেই প্রেম যার ভিত্তির উপর ঐশিক ন্যায়বিচার অবস্থিত। (মথি ৫:৪৩-৪৮) তাই যদি আমরা যিহোবার ন্যায়বিচারকে বোধগম্য করি, তাহলে আমরা তাঁর ন্যায্য সিদ্ধান্তগুলির প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারব। “সমস্ত পৃথিবীর বিচারকর্ত্তা” হিসাবে তিনি যা কিছু করেন তা ন্যায্য।—আদিপুস্তক ১৮:২৫; গীতসংহিতা ১১৯:৭৫.
যিহোবার ন্যায়বিচারকে অনুকরণ করুন
বাইবেল আমাদের উৎসাহ দেয় “ঈশ্বরের অনুকারী হও।” (ইফিষীয় ৫:১) এর অর্থ হল তাঁর ন্যায়বিচার এবং সেইসাথে তাঁর প্রেম অনুকরণ করা। যেহেতু আমরা অসিদ্ধ, তাই আমাদের পথ যিহোবা ঈশ্বরের মত উচ্চ নয়। (যিশাইয় ৫৫:৮, ৯; যিহিষ্কেল ১৮:২৫) তাহলে কিভাবে আমরা ধার্মিকতা এবং ন্যায়বিচারের প্রেমিক হতে পারি? “সেই নূতন মনুষ্যকে . . . যাহা সত্যের ধার্ম্মিকতায় ও সাধুতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হইয়াছে” তা পরিধান করার দ্বারা। (ইফিষীয় ৪:২৪) তখন আমরা প্রেম করব যা ঈশ্বর প্রেম করেন এবং ঘৃণা করব যা তিনি ঘৃণা করেন। ‘সত্য ধার্ম্মিকতা’ পরিহার করে দৌরাত্ম্য, অনৈতিকতা, অশুদ্ধতা এবং ধর্মভ্রষ্টতা কারণ এগুলি যা পবিত্র তা উলঙ্ঘন করে। (গীতসংহিতা ১১:৫; ইফিষীয় ৫:৩-৫; ২ তীমথিয় ২:১৬, ১৭) ঈশ্বরীয় ন্যায়বিচার আমাদের অপরের প্রতি আন্তরিক আগ্রহ দেখাতে প্রণোদিত করে।—গীতসংহিতা ৩৭:২১; রোমীয় ১৫:১-৩.
এছাড়াও, যদি আমরা ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের দয়াপূর্ণ বৈশিষ্ট্যকে উপলব্ধি করি, আমরা আধ্যাত্মিক ভাই ও বোনেদের বিচার করতে ইচ্ছুক হব না। যত ভালভাবে যিহোবা তাদের বোঝেন তত ভালভাবে আমাদের কী তাদের বোঝা সম্ভব? আমরা পক্ষপাতিত্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কী বিচার করব না? তাই, যীশু সাবধান করে দিয়েছিলেন: “তোমরা বিচার করিও না, যেন বিচারিত না হও। কেননা যেরূপ বিচারে তোমরা বিচার কর, সেইরূপ বিচারে তোমরাও বিচারিত হইবে; এবং যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের নিমিত্ত পরিমাণ করা যাইবে। আর তোমার ভ্রাতার চক্ষে যে কুটা আছে, তাহাই কেন দেখিতেছ, কিন্তু তোমার নিজের চক্ষে যে কড়িকাট আছে, তাহা কেন ভাবিয়া দেখিতেছ না? অথবা তুমি কেমন করিয়া আপন ভ্রাতাকে বলিবে, এস, আমি তোমার চক্ষু হইতে কুটা গাছটা বাহির করিয়া দিই? আর দেখ, তোমার নিজের চক্ষে কড়িকাট রহিয়াছে! হে কপটি, আগে আপনার চক্ষু হইতে কড়িকাট বাহির করিয়া ফেল, আর তখন তোমার ভ্রাতার চক্ষু হইতে কুটা গাছটা বাহির করিবার নিমিত্ত স্পষ্ট দেখিতে পাইবে।” (মথি ৭:১-৫) নিজেদের অসিদ্ধতা সম্বন্ধে সৎহৃদয়ে চিন্তা করা আমাদের বিচার করা থেকে বিরত করবে যা হয়ত যিহোবা অধার্মিক বলে গণ্য করতে পারেন।
নিযুক্ত মণ্ডলীর প্রাচীনদের গুরুতর ভুলের ক্ষেত্রে বিচার করতে হয়। (১ করিন্থীয় ৫:১২, ১৩) সেটি করার সময়, তারা মনে রাখে যিহোবার ন্যায়বিচার বলে যে যেখানে সম্ভব সেখানে দয়া দেখানো। যদি তা দেখানোর কোন কারণ না থাকে—যেমন অনুতপ্তহীন পাপীদের ক্ষেত্রে—দয়া দেখানো যাবে না। কিন্তু প্রাচীনেরা প্রতিহিংসাবশতঃ মণ্ডলী থেকে এইধরনের অপরাধীকে বহিষ্কার করেন না। তারা আশা করে যে সমাজচ্যুত করা তাকে তার সচেতনতায় ফিরিয়ে আনবে। (তুলনা করুন যিহিষ্কেল ১৮:২৩.) খ্রীষ্টের মস্তক ব্যবস্থার অধীনে প্রাচীনেরা ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করেন যার অন্তর্ভুক্ত হল “ঝটিকা হইতে অন্তরাল” হওয়ার মত। (যিশাইয় ৩২:১, ২) তাই তাদের পক্ষপাতিত্বহীন এবং যুক্তিবাদী হতে হবে।—দ্বিতীয় বিবরণ ১:১৬, ১৭.
ধার্মিকতার বীজ বপন করুন
যখন আমরা ঈশ্বরের ধার্মিক নতুন জগতের জন্য অপেক্ষা করছি, আমাদের ঐশিক অনুগ্রহ পেতে হলে অবশ্যই ‘ধর্ম্মের অনুশীলন করতে’ হবে। (সফনিয় ২:৩; ২ পিতর ৩:১৩) এই ধারণাটি খুব সুন্দরভাবে এই কথাগুলির দ্বারা ব্যক্ত হয়েছে যা হোশেয় ১০:১২ পদে পাওয়া যায়: “তোমরা আপনাদের জন্য ধার্ম্মিকতার বীজ বপন কর, দয়ানুযায়ী শস্য কাট, আপনাদের জন্য পতিত ভূমি তোল; কেননা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিবার সময় আছে, যে পর্য্যন্ত তিনি আসিয়া তোমাদের উপরে ধার্ম্মিকতা না বর্ষান।”
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধার্ম্মিকতার বীজ বপন করার’ আমাদের অনেক সুযোগ আছে ঠিক যেমন যীশু উদাহরণ দেখিয়েছিলেন তাঁর প্রতিবেশীসুলভ শমরিয়ের দৃষ্টান্তে। আমরা যাতে ‘দয়ানুযায়ী শস্য কাটি’ তা যিহোবা নিশ্চিত করবেন। যদি আমরা ‘বিচারপথে’ গমন করি, তাহলে আমরা রাজ্যের শাসনাধীনে ধার্মিকতায় শিক্ষা পেতে থাকব। (যিশাইয় ৪০:১৪) সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে, আমরা নিঃসন্দেহে আরও সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারব যে যিহোবা হলেন ধার্মিকতার এবং ন্যায়বিচারের প্রেমিক।—গীতসংহিতা ৩৩:৪, ৫.
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
প্রতিবেশীসুলভ শমরিয় যিহোবার ন্যায়বিচারের উদাহরণ দিয়েছিল
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
নিপীড়িত ব্যক্তিদের প্রতি যীশুর করুণা ছিল যারা থেৎলা নলের মত ছিল