-
‘ঐকান্তিকী প্রতীক্ষায়’ অপেক্ষা করা১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ | সেপ্টেম্বর ১৫
-
-
“সৃষ্টির ঐকান্তিকী প্রতীক্ষা”
১২, ১৩. কিভাবে মানুষ “অসারতার বশীকৃত হইল” এবং অপর মেষেরা কিসের আকাঙ্ক্ষা করেন?
১২ অপর মেষদেরও কি এমন কিছু আছে যার জন্য তাদের ঐকান্তিকী প্রতীক্ষায় জীবনযাপন করতে হয়? অবশ্যই তাদের আছে। স্বর্গীয় রাজ্যে আত্মায়-জাত “পুত্ত্র” এবং “খ্রীষ্টের সহদায়াদ” হিসাবে যিহোবা যাদের দত্তকপুত্ররূপে গ্রহণ করেছেন তাদের গৌরবময় আশা সম্বন্ধে বলার পর, পৌল বলেছিলেন: “সৃষ্টির ঐকান্তিকী প্রতীক্ষা ঈশ্বরের পুত্ত্রগণের প্রকাশপ্রাপ্তির অপেক্ষা করিতেছে। কারণ সৃষ্টি অসারতার বশীকৃত হইল, স্ব-ইচ্ছায় যে হইল, তাহা নয়, কিন্তু বশীকর্ত্তার নিমিত্ত; এই প্রত্যাশায় হইল যে, সৃষ্টি নিজেও ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত হইয়া ঈশ্বরের সন্তানগণের প্রতাপের স্বাধীনতা পাইবে।”—রোমীয় ৮:১৪-২১; ২ তীমথিয় ২:১০-১২.
-
-
‘ঐকান্তিকী প্রতীক্ষায়’ অপেক্ষা করা১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ | সেপ্টেম্বর ১৫
-
-
১৪. “ঈশ্বরের পুত্ত্রগণের প্রকাশপাপ্তির” সঙ্গে কী জড়িত এবং কিভাবে এটি মানবজাতির জন্য ‘ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্তি’ নিয়ে আসবে?
১৪ “ঈশ্বরের” অভিষিক্ত “পুত্ত্রগণের” অবশিষ্টাংশগণকে অবশ্যই প্রথমে ‘প্রকাশ’ পেতে হবে। এটি কী বোঝায়? ঈশ্বরের নিরূপিত সময়ে, এটি অপর মেষদের কাছে স্পষ্ট হবে যে অভিষিক্তগণ চূড়ান্তরূপে “মুদ্রাঙ্কিত” এবং খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজত্ব করার জন্য মহিমান্বিত হয়েছেন। (প্রকাশিত বাক্য ৭:২-৪) ঈশ্বরের পুনরুত্থিত “পুত্ত্রগণ”-ও ‘প্রকাশিত’ হবেন যখন তারা শয়তানের দুষ্ট বিধিব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে খ্রীষ্টের সঙ্গে অংশ নেবেন। (প্রকাশিত বাক্য ২:২৬, ২৭; ১৯:১৪, ১৫) পরে, খ্রীষ্টের সহস্র বছরের রাজত্বের সময়ে, তারা মানব “সৃষ্টি”-কে যীশুর মুক্তিরমূল্যরূপ বলিদানের উপকারগুলি প্রদান করার জন্য যাজকীয় মাধ্যম হিসাবে আবারও ‘প্রকাশিত’ হবেন। এর ফলে মানবজাতি “ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত” হবে এবং পরিশেষে “ঈশ্বরের সন্তানগণের প্রতাপের স্বাধীনতা” -য় প্রবেশ করবে। (রোমীয় ৮:২১; প্রকাশিত বাক্য ২০:৫; ২২:১, ২) এইধরনের চমৎকার প্রত্যাশাগুলি থাকায়, এটি কি কোন আশ্চর্যের বিষয় যে অপর মেষেরা “ঐকান্তিকী প্রতীক্ষা”-য় “ঈশ্বরের পুত্ত্রগণের প্রকাশপ্রাপ্তির অপেক্ষা করিতেছে”?—রোমীয় ৮:১৯.
-