অধ্যায় একুশ
যিহোবার উদ্দেশ্য চমৎকারভাবে সফল হয়
১, ২. (ক) যিহোবার বুদ্ধিমান প্রাণীদের সম্বন্ধে তাঁর উদ্দেশ্য কী? (খ) ঈশ্বরের উপাসকদের একতাবদ্ধ পরিবারের মধ্যে কারা ছিল?
সমস্ত বুদ্ধিমান সৃষ্টি একতাবদ্ধভাবে একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করুক এবং তারা সবাই ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে প্রতাপের স্বাধীনতা উপভোগ করুক—এটাই যিহোবার প্রেমময় উদ্দেশ্য। ধার্মিকতার প্রেমিকরাও মনেপ্রাণে তা-ই চায়।
২ যিহোবা যখন তাঁর সৃষ্টির কাজ শুরু করেছিলেন, তখন এই মহান উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করতে শুরু করেন। তিনি প্রথমে এক পুত্রকে সৃষ্টি করেছিলেন, যিনি তাঁর পুনরুত্থানের সময় থেকে “[ঈশ্বরের] প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক।” (ইব্রীয় ১:১-৩) ঈশ্বর একমাত্র তাঁকেই সৃষ্টি করেছিলেন বলে এই পুত্র ছিলেন অদ্বিতীয়। পরে, এই পুত্রের দ্বারা সমস্ত কিছু অস্তিত্বে এসেছে: প্রথমে স্বর্গ দূতেরা ও পরে পৃথিবীর মানুষ। (ইয়োব ৩৮:৭; লূক ৩:৩৮) এরা সবাই মিলে এক সর্বজনীন পরিবার গঠন করেছিল। যিহোবা তাদের সকলের ঈশ্বর, সার্বিক সার্বভৌম রাজা ও তাদের প্রেমময় পিতা ছিলেন।
৩. (ক) আমরা সবাই আমাদের প্রথম পিতামাতার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে কী পেয়েছি? (খ) আদমের সন্তানদের জন্য যিহোবা কোন প্রেমময় ব্যবস্থা করেছিলেন?
৩ আমাদের প্রথম মানব পিতামাতাকে যখন স্বেচ্ছাচারী পাপী হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তখন তাদের এদন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল এবং ঈশ্বর তাদের ত্যাগ করেছিলেন। তারা আর তাঁর সর্বজনীন পরিবারের অংশ ছিল না। (আদিপুস্তক ৩:২২-২৪; দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪, ৫) আমরা সবাই তাদের বংশধর, তাই আমরা পাপ করার প্রবণতা নিয়ে জন্মেছি। কিন্তু যিহোবা জানতেন যে, আদম ও হবার বংশধরদের মধ্যে থেকে কিছু ব্যক্তি ধার্মিকতা ভালবাসবে। তাই, তিনি প্রেমের সঙ্গে একটা ব্যবস্থা করেছিলেন, যার মাধ্যমে তারা “ঈশ্বরের সন্তানগণের প্রতাপের স্বাধীনতা” লাভ করতে পারে।—রোমীয় ৮:২০, ২১.
ইস্রায়েল অনুগ্রহ হারায়
৪. যিহোবা প্রাচীন ইস্রায়েলকে কোন সুযোগ দিয়েছিলেন?
৪ আদমের সৃষ্টির প্রায় ২,৫০০ বছর পরে, যিহোবা কিছু মানুষকে তাঁর সঙ্গে এক বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তিনি প্রাচীন ইস্রায়েলকে তাঁর প্রজা হওয়ার জন্য মনোনীত করেছিলেন এবং তাদের তাঁর ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। (আদিপুস্তক ১২:১, ২) তিনি তাদের একটা জাতি করেছিলেন এবং তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ করতে ব্যবহার করেছিলেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৪:১, ২; যিশাইয় ৪৩:১) কিন্তু, তখনও তারা পাপ ও মৃত্যুর দাসত্বে ছিল, তাই আদম ও হবার যা ছিল, সেই প্রতাপের স্বাধীনতা তারা উপভোগ করতে পারেনি।
৫. ইস্রায়েলীয়রা কীভাবে ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের বিশেষ সম্পর্ক হারিয়েছিল?
৫ তাসত্ত্বেও, ইস্রায়লীয়দের ঈশ্বরের অনুগ্রহ ছিল। এ ছাড়াও, যিহোবাকে পিতা হিসেবে সম্মান করার ও তাঁর উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করার দায়িত্ব তাদের ছিল। যীশু তাদের সেই দায়িত্ব পালন করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন। (মথি ৫:৪৩-৪৮) কিন্তু, ইস্রায়েল জাতি তা করতে পারেনি। ওই যিহুদিরা যদিও দাবি করেছিল যে, “আমাদের একমাত্র পিতা আছেন, তিনি ঈশ্বর” কিন্তু যীশু বলেছিলেন, তাদের কাজ ও মনোভাব এই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করে। (যোহন ৮:৪১, ৪৪, ৪৭) সা.কা. ৩৩ সালে, ঈশ্বর তাঁর ব্যবস্থা বিলোপ করেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে ইস্রায়েলের বিশেষ সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার মানে কি এই ছিল যে, লোকেরা আর কখনও ঈশ্বরের সঙ্গে এক অনুগ্রহপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করতে পারবে না?
“স্বর্গস্থ” বিষয়গুলো সংগ্রহ করা
৬. ইফিষীয় ১:৯, ১০ পদে পৌল যে-‘বিধানের’ কথা উল্লেখ করেছিলেন, সেটার উদ্দেশ্য কী?
৬ প্রেরিত পৌল দেখিয়েছিলেন যে, মানবজাতির মধ্যে কিছুজন ঈশ্বরের সঙ্গে এক বিশেষ সম্পর্ক উপভোগ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যিহোবার ব্যবস্থায় যারা বিশ্বাস অনুশীলন করবে তারা যে তাঁর পরিবারের সদস্য হতে পারে, সেই সম্বন্ধে পৌল লিখেছিলেন: “[ঈশ্বর] আমাদিগকে আপন ইচ্ছার নিগূঢ়তত্ত্ব জ্ঞাত করিয়াছেন, তাঁহার সেই হিতসঙ্কল্প অনুসারে যাহা তিনি কালের পূর্ণতার বিধান লক্ষ্য করিয়া তাঁহাতে পূর্ব্বে সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। তাহা এই, স্বর্গস্থ ও পৃথিবীস্থ সমস্তই খ্রীষ্টেই সংগ্রহ করা যাইবে।” (ইফিষীয় ১:৯, ১০) যীশু খ্রীষ্টকে ঘিরেই এই “বিধান” আবর্তিত হয়। তাঁর মাধ্যমেই মানুষদের ঈশ্বরের সামনে এক অনুমোদিত অবস্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক সীমিত সংখ্যক ব্যক্তির স্বর্গে যাওয়ার আশা আছে। আর এক বিরাট সংখ্যক লোক পৃথিবীতে অনন্তকাল বেঁচে থাকবে।
৭. কারা ‘স্বর্গস্থ বিষয়’?
৭ প্রথমে, সা.কা. ৩৩ সালের পঞ্চাশত্তমীর দিন থেকে শুরু করে ‘স্বর্গস্থ বিষয়গুলো’ অর্থাৎ যারা স্বর্গীয় রাজ্যে খ্রীষ্টের সঙ্গে সহ উত্তরাধিকারী হবে, তাদের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। যীশুর বলিদানের মূল্যে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে, ঈশ্বরের দ্বারা তারা ধার্মিক ঘোষিত হয়েছিল। (রোমীয় ৫:১, ২) পরে, যিহুদি ও পরজাতীয়দের যুক্ত করা হয়েছিল আর ‘স্বর্গস্থ বিষয়গুলোর’ সংখ্যা ১,৪৪,০০০ হবে। (গালাতীয় ৩:২৬-২৯; প্রকাশিত বাক্য ১৪:১) তাদের কেবল এক অবশিষ্টাংশ এখনও পৃথিবীতে আছে।
‘পৃথিবীস্থ বিষয়গুলো’ সংগ্রহ করা
৮. কারা ‘পৃথিবীস্থ বিষয়’ আর যিহোবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কী?
৮ সেই একই বিধান ‘পৃথিবীস্থ বিষয়গুলোও’ সংগ্রহ করছে। এখন লক্ষ লক্ষ লোককে পৃথিবীতে অনন্তকাল বেঁচে থাকার আশা নিয়ে একত্র করা হচ্ছে। রাজ্যের উত্তরাধিকারীদের অবশিষ্টাংশদের সঙ্গে একতাবদ্ধভাবে, তারা যিহোবার নামের প্রশংসা ও তাঁর উপাসনাকে মহিমান্বিত করে। (যিশাইয় ২:২, ৩; সফনিয় ৩:৯) এ ছাড়া, তারা যিহোবাকে “পিতা” বলে ডাকে কারণ তারা তাঁকে জীবনের উৎস বলে স্বীকার করে। আর তারা যীশুর পাতিত রক্তে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে তাঁর সামনে এক অনুমোদিত অবস্থান উপভোগ করে। (প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১৪) কিন্তু তারা যেহেতু এখনও অসিদ্ধ, তাই ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করা এখনও ভবিষ্যতের বিষয়।
৯. রোমীয় ৮:২১ পদে মানবজাতির জন্য কোন প্রতিজ্ঞা রয়েছে?
৯ পার্থিব আশা রয়েছে এমন লোকেরা এখন আকুল আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে, যখন মানুষ “ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত” হবে। (রোমীয় ৮:২১) খ্রীষ্ট ও তাঁর স্বর্গীয় সেনাবাহিনী হর্মাগিদোনের মাধ্যমে মহাক্লেশের শেষ নিয়ে আসার পর এই মুক্ত করার কাজ শুরু হবে। এর মানে হবে শয়তানের সম্পূর্ণ দুষ্ট বিধিব্যবস্থার ধ্বংস আর এর পরে রাজ্য ক্ষমতায় খ্রীষ্টের হাজার বছরের রাজত্বের আশীর্বাদগুলো আসবে।—প্রকাশিত বাক্য ১৯:১৭-২১; ২০:৬.
১০. যিহোবার দাসেরা কোন প্রশংসা গান গাইবে?
১০ এটা কতই না রোমাঞ্চকর হবে যখন পৃথিবীতে যিহোবার দাসেরা, স্বর্গে তাঁর দাসদের অনুভূতি প্রতিধ্বনিত করার জন্য একতাবদ্ধ হবে, যারা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করে: “মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্ব্বশক্তিমান্; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন! হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্ম্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।” (প্রকাশিত বাক্য ১৫:৩, ৪) হ্যাঁ, যিহোবার সমস্ত দাস একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনায় একতাবদ্ধ হবে। এমনকি মৃতদের পুনরুত্থিত করা হবে এবং যিহোবার প্রশংসায় স্বর মেলানোর সুযোগ তাদেরও দেওয়া হবে।—প্রেরিত ২৪:১৫.
সামনে চমৎকার স্বাধীনতা
১১. মহাক্লেশ থেকে রক্ষাপ্রাপ্তরা কোন চমৎকার স্বাধীনতা উপভোগ করবে?
১১ মহাক্লেশ ও হর্মাগিদোনের চূড়ান্ত পরিণতির পর, পৃথিবী থেকে দুষ্টতা দূর হয়ে যাবে, শয়তান দিয়াবল আর “এই যুগের দেব” থাকবে না। যিহোবার উপাসকদের আর শয়তানের মন্দ প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করতে হবে না। (২ করিন্থীয় ৪:৪; প্রকাশিত বাক্য ২০:১, ২) মিথ্যা ধর্ম আর যিহোবাকে ভুলভাবে তুলে ধরবে না এবং মানব সমাজের ওপর অনৈক্যের প্রভাব ফেলবে না। সত্য ঈশ্বরের দাসেরা আর মানব কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে অবিচার ভোগ করবে না ও তাদের দ্বারা শোষিত হবে না। কত চমৎকার স্বাধীনতাই না উপভোগ করা হবে!
১২. কীভাবে সকলে পাপ ও এর প্রভাবগুলো থেকে মুক্ত হবে?
১২ “ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যায়” সেই যীশু মানবজাতির পাপগুলো দূর করার জন্য তাঁর বলিদানের মূল্য প্রয়োগ করবেন। (যোহন ১:২৯) যীশু যখন পৃথিবীতে ছিলেন ও একজন ব্যক্তির পাপ ক্ষমা করেছিলেন, তখন তিনি সেটার প্রমাণস্বরূপ সেই ব্যক্তিকে সুস্থ করেছিলেন। (মথি ৯:১-৭; ১৫:৩০, ৩১) একইভাবে, ঈশ্বরের রাজ্যের স্বর্গীয় রাজা হিসেবে খ্রীষ্ট যীশু অলৌকিকভাবে অন্ধ, বোবা, কালা, শারীরিকভাবে পঙ্গু, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত এবং যারা আরও অন্যান্য রোগের দ্বারা আক্রান্ত তাদের সুস্থ করবেন। (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) সমস্ত বাধ্য লোকেদের ‘পাপের ব্যবস্থাকে’ অকার্যকর করা হবে, যাতে করে তাদের চিন্তাধারা ও কাজ তাদের নিজেদের ও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে। (রোমীয় ৭:২১-২৩) হাজার বছরের রাজত্বের শেষে, তাদের মানব সিদ্ধতায়, একমাত্র সত্য ঈশ্বরের ‘প্রতিমূর্ত্তিতে ও সাদৃশ্যে’ নিয়ে আসা হবে.—আদিপুস্তক ১:২৬.
১৩. হাজার বছরের রাজত্বের শেষে, খ্রীষ্ট কোন পদক্ষেপ নেবেন আর এর ফল কী হবে?
১৩ খ্রীষ্ট মানবজাতিকে সিদ্ধতায় নিয়ে আসার পর, এই কাজ করার জন্য তিনি যে-কর্তৃত্ব পেয়েছিলেন, তা তিনি তাঁর পিতাকে ফিরিয়ে দেবেন: “তিনি সমস্ত আধিপত্য এবং সমস্ত কর্ত্তৃত্ব ও পরাক্রম লোপ করিলে পর পিতা ঈশ্বরের হস্তে রাজ্য সমর্পণ করিবেন। কেননা যাবৎ তিনি ‘সমস্ত শত্রুকে তাঁহার পদতলে না রাখিবেন,’ তাঁহাকে রাজত্ব করিতেই হইবে।” (১ করিন্থীয় ১৫:২৪, ২৫) রাজ্যের হাজার বছরের রাজত্ব এর উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণ করবে; ফলে যিহোবা ও মানবজাতির মধ্যে এই সহায়ক সরকারের আর দরকার হবে না। আর যেহেতু পাপ ও মৃত্যু পুরোপুরি দূর করা হবে এবং মানবজাতি মুক্ত হবে, তাই মুক্তিদাতা হিসেবে যীশুর প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে। বাইবেল ব্যাখ্যা করে: “পুত্ত্র আপনিও তাঁহার বশীভূত হইবেন, যিনি সকলই তাঁহার বশে রাখিয়াছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্ব্বেসর্ব্বা হন।”—১ করিন্থীয় ১৫:২৮.
১৪. সমস্ত সিদ্ধ মানুষকে কী করা হবে এবং কেন?
১৪ এর পরে, সিদ্ধ মানবজাতিকে এটা দেখানোর সুযোগ দেওয়া হবে যে, তারা চিরকাল একমাত্র সত্য ঈশ্বরের সেবা করতে চান। তাই, যিহোবা তাদের তাঁর সন্তান হিসেবে পুরোপুরি দত্তক নেওয়ার আগে, ওই সমস্ত সিদ্ধ মানুষদের এক চূড়ান্ত পরীক্ষা করবেন। শয়তান ও তার মন্দ দূতেদের অগাধলোক থেকে মুক্ত করা হবে। যারা সত্যি সত্যি যিহোবাকে ভালবাসে তাদের এটা কোনো স্থায়ী ক্ষতি করবে না। কিন্তু যারা অবিশ্বস্তভাবে যিহোবার অবাধ্য হবে, তারা মূল বিদ্রোহী ও তার মন্দ দূতেদের সঙ্গে চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে।—প্রকাশিত বাক্য ২০:৭-১০.
১৫. যিহোবার সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণীর মধ্যে আবার কোন পরিস্থিতি বিরাজ করবে?
১৫ এরপর যিহোবা সমস্ত সিদ্ধ মানুষদের যারা সেই চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করবে, তাদের তাঁর সন্তান হিসেবে দত্তক নেবেন। সেই সময় থেকে, তারা ঈশ্বরের সর্বজনীন পরিবারের অংশ হিসেবে ঈশ্বরের সন্তানদের প্রতাপের স্বাধীনতা পূর্ণভাবে উপভোগ করবে। স্বর্গ ও পৃথিবীর সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণীরা আবারও একমাত্র সত্য ঈশ্বর হিসেবে তাঁর উপাসনায় একতাবদ্ধ হবে। যিহোবার উদ্দেশ্য চমৎকারভাবে সফল হবে! আপনি কি সেই সুখী, চিরস্থায়ী, সর্বজনীন পরিবারের অংশ হতে চান? যদি চান, তা হলে আমরা আপনাকে ১ যোহন ২:১৭ পদে বাইবেল যা বলে, তাতে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করি: “জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।”
পুনরালোচনা
• এদনে বিদ্রোহের আগে, যিহোবার সমস্ত উপাসকদের তাঁর সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক ছিল?
• যারা ঈশ্বরের দাস তাদের কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়?
• কারা এখনও ঈশ্বরে সন্তান হবে এবং এটা কীভাবে একতাবদ্ধ উপাসনা সম্বন্ধে যিহোবার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?
[১৯০ পৃষ্ঠার চিত্র]
বাধ্য মানুষেরা পৃথিবীব্যাপী এক পরমদেশে জীবন উপভোগ করবে