আপনার বিবেককে—কিভাবে প্রশিক্ষিত করবেন
একটি শুদ্ধ বিবেক হল সর্বোত্তম বালিশ।” এই পুরনো প্রবাদটি এক গুরুত্বপূর্ণ সত্যকে তুলে ধরে: যখন আমরা আমাদের বিবেকের প্রতি মনোযোগ দিই, আমরা এক অন্তঃস্থ শান্তি এবং একতা উপভোগ করি।
কিন্তু, সকলেই তা করাকে মনোনয়ন করে না। অ্যাডলফ হিটলার মানুষকে হানিকর অদ্ভুত কল্পনা অথবা বিভ্রান্তি যা বিবেক হিসাবে পরিচিত, তার থেকে মুক্ত করার এক কাজে তিনি নিযুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। যখন তারা তাদের বিবেককে উপেক্ষা করে তখন মানুষ যে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে, তার সন্ত্রাসের রাজত্ব সেই সম্বন্ধে এক ঝলক হতাশাজনক দৃষ্টি প্রদান করে। আজকের হিংস্র অপরাধীরাও সমভাবে নির্মম—যারা অনুতাপহীনভাবে ধর্ষণ এবং হত্যা করে। এই অপরাধীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা হল অল্পবয়স্কেরা। ফলে একটি বই যেটি এই বিষয়ের উপর পর্যালোচনা করে এই উপশিরোনাম বহন করে, বিবেকহীন সন্তানেরা (ইংরাজি)।
যদিও অধিকাংশ লোকেরা একটি হিংস্র অপরাধ করার কথা কখনও চিন্তাও করবে না, তবুও অনেকে যৌন অনৈতিকতা, মিথ্যা বলা অথবা প্রতারণায় জড়িত হওয়া সম্বন্ধে কোন বিবেকের তাড়না অনুভব করে না। বিশ্বব্যাপী নীতিবোধের অবক্ষয় ঘটছে। সত্য উপাসনার মধ্যে গুরুতর ধর্মভ্রষ্টতার বিষয়ে উল্লেখ করতে গিয়ে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন যে কিছু খ্রীষ্টানেরা জগতের প্রভাবে মিশে যাবে আর এইভাবেই “নিজ সংবেদ [“বিবেক,” NW] তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত” হয়ে পড়বে। (১ তীমথিয় ৪:২) দুর্নীতির এই বিপদ আজকে এই ‘শেষ কালে’ এমনকি আরও অধিকতর মাত্রায় বিদ্যমান। (২ তীমথিয় ৩:১) তাই খ্রীষ্টানেরা তাদের বিবেককে রক্ষা করতে অবশ্যই ঐকান্তিক প্রচেষ্টা করবে। এটিকে প্রশিক্ষিত এবং উন্নতকরণের মাধ্যমে আমরা তা করতে পারি।
মন, হৃদয় এবং আপনার বিবেক
প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “আমি খ্রীষ্টে সত্য কহিতেছি, মিথ্যা কহিতেছি না, আমার সংবেদও [“বিবেক,” NW] পবিত্র আত্মাতে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতেছে।” (রোমীয় ৯:১) অতএব বিবেক এক সাক্ষ্য বহনকারী হতে পারে। এটি আচরণবিধি পরীক্ষা করতে পারে এবং এটিকে হয় অনুমোদন না হয় অগ্রাহ্য করতে পারে। আমাদের মধ্যে সঠিক অথবা ভুল সম্বন্ধে অনুভূতিগুলির অধিকাংশই আমাদের সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে। তবুও, আমাদের বিবেককে গড়ে তোলা এবং প্রশিক্ষিত করা যেতে পারে। কিভাবে? ঈশ্বরের বাক্য থেকে আমাদের সঠিক জ্ঞান নেওয়ার মাধ্যমে। প্রেরিত পৌল বলেন “মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।” (রোমীয় ১২:২) ঈশ্বরের চিন্তাধারা এবং ইচ্ছাকে যখন আপনি আপনার মনের মধ্যে স্থাপন করবেন, আপনার বিবেক আরও অধিকতর ঈশ্বরীয় পথে কাজ করতে শুরু করবে।
যিহোবার সাক্ষীরা সমগ্র জগতে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিদের ‘যিহোবা ঈশ্বর এবং যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে জ্ঞান নিতে’ সাহায্য করেছে। (যোহন ১৭:৩, NW) তাদের বিনামূল্যে গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে, তারা সৎহৃদয় ব্যক্তিদের যৌনতা, মদ্যজাতীয় পানীয়, বিবাহ, ব্যবসায়িক লেনদেন এবং আরও অন্যান্য বিষয়ের উপর যিহোবা ঈশ্বরের মানদণ্ডগুলি সম্বন্ধে শিখিয়ে থাকে।a (হিতোপদেশ ১১:১; মার্ক ১০:৬-১২; ১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০; ইফিষীয় ৫:২৮-৩৩) একটি ঈশ্বরীয় বিবেক গড়ে তুলতে এই “যথার্থ জ্ঞান” নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (ফিলিপীয় ১:৯, NW) অবশ্যই, এমনকি একজন খ্রীষ্টান বাইবেলের উপর পরিপক্ব বোধগম্যতা অর্জনের পরও, যদি সে তার বিবেককে স্বাস্থ্যবান রাখতে চায় তবে অবশ্যই তাকে ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা তার মনকে নিয়মিতভাবে প্রতিপালিত করতে হবে।—গীতসংহিতা ১:১-৩.
এছাড়া বাইবেল বিবেককে রূপক হৃদয়ের সাথেও যুক্ত করে, যা আমাদের অনুভূতি এবং আবেগকে জড়িত করে। (রোমীয় ২:১৫) যদি বিবেককে সঠিকভাবে কাজ করতে হয় তবে মন এবং হৃদয়কে অবশ্যই একত্রে মিলে কাজ করতে হবে। আপনার মনের মধ্যে কেবলমাত্র তথ্য যোগানোর চেয়েও তা আরও বেশি কিছু বোঝায়। এছাড়া আপনাকে অবশ্যই আপনার হৃদয়কে—আপনার অন্তঃস্থ অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং কামনাগুলিকে নমনীয় করতে হবে। তাই হিতোপদেশের পুস্তক এইধরনের অভিব্যক্তিগুলিকে ব্যবহার করে যেমন “হৃদয়কে আনত কর,” (NW) “মনোযোগ কর” এবং “তোমার হৃদয় . . . চালাও।” (হিতোপদেশ ২:২; ২৩:১৯; ২৭:২৩) শাস্ত্রগুলির উপর ধ্যান এবং চিন্তা করা হল সেইরূপ করার একটি উপায়। গীতসংহিতা ৭৭:১২ পদ বলে, “আমি তোমার সমস্ত কর্ম্ম ধ্যানও করিব, তোমার ক্রিয়া সকল আলোচনা করিব।” ধ্যান করা আমাদের একেবারে অন্তঃস্থ অনুভূতি এবং উদ্দেশ্যগুলিতে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন, আপনার একটি নোংরা অভ্যাস আছে, যেমন তামাকের প্রতি আসক্তি। অধিকাংশ লোকের মত, নিঃসন্দেহে আপনিও এইক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি সম্বন্ধে ভালভাবে জানেন। তবুও, আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের পরামর্শ সত্ত্বেও, আপনি তা পরিত্যাগ করা কষ্টকর মনে করেন। বাইবেলের বার্তার উপর ধ্যান করা কিভাবে এই সম্বন্ধে আপনার বিবেককে শক্তিশালী করতে পারে?
উদাহরণস্বরূপ, ২ করিন্থীয় ৭:১ পদে প্রাপ্ত প্রেরিত পৌলের বাক্যগুলির উপর ধ্যান করতে চেষ্টা করুন: “অতএব, প্রিয়তমেরা এই সকল প্রতিজ্ঞার অধিকারী হওয়াতে আইস, আমরা মাংসের ও আত্মার সমস্ত মালিন্য হইতে আপনাদিগকে শুচি করি, ঈশ্বরভয়ে পবিত্রতা সিদ্ধ করি।” এই বাক্যগুলির অর্থ বুঝতে চেষ্টা করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘পৌল “এই সকল প্রতিজ্ঞার” বিষয়ে যা উল্লেখ করেছেন তা আসলে কী?’ প্রসঙ্গটি পড়ার মাধ্যমে, পূর্ববর্তী পদগুলি যা বলে আপনি তা লক্ষ্য করবেন: “‘তোমরা তাহাদের মধ্য হইতে বাহির হইয়া আইস, ও পৃথক্ হও, ইহা প্রভু কহিতেছেন, এবং অশুচি বস্তু স্পর্শ করিও না; তাহাতে আমিই তোমাদিগকে গ্রহণ করিব, এবং তোমাদের পিতা হইব, ও তোমরা আমার পুত্ত্র কন্যা হইবে, ইহা সর্ব্বশক্তিমান্ প্রভু কহেন।’”—২ করিন্থীয় ৬:১৭, ১৮.
‘মালিন্য হতে আপনাদিগকে শুচি করার’ বিষয়ে পৌলের আদেশ এখন আরও বেশি জোরদার হয়ে ওঠে! এটি করার জন্য এক বিশেষ অনুপ্রেরণা হল, ‘আমাদের গ্রহণ করা,’ সম্বন্ধে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা যা হল তাঁর সুরক্ষিত তত্ত্বাবধানে আমাদের রাখা। আপনি হয়ত নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, ‘তাঁর সাথে কি আমি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উপভোগ করব—যেরকম একজন পিতার সাথে তার ছেলে বা মেয়ের সম্পর্ক হয়ে থাকে? একজন বিজ্ঞ, প্রেমময় ঈশ্বরের মাধ্যমে ‘গ্রহণ করার’ অথবা প্রেম পাওয়ার চিন্তাধারা কি হৃদয় স্পর্শ করার মত নয়? যদি সেই চিন্তাধারা আপনার কাছে বেমানান মনে হয়, তবে প্রেমময় পিতারা তাদের সন্তানদের প্রতি যেভাবে প্রেম প্রদর্শন করে তা লক্ষ্য করুন। এখন কল্পনা করুন এইধরনের একটি বন্ধন আপনার এবং যিহোবার মধ্যে রয়েছে! এই বিষয়ের উপর আপনি যতই ধ্যান করবেন, এইধরনের সম্পর্কের প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষা ততই বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু লক্ষ্য করুন: ঈশ্বরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক একমাত্র তখনই সম্ভব যদি আপনি “অশুচি বস্তু স্পর্শ” না করেন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: ‘তামাকের প্রতি আসক্তি কি “অশুচি বস্তুর”-র মধ্যে পড়ে না যা ঈশ্বর নিন্দা করেন? নিজেকে সকল প্রকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়ে এটিকে ব্যবহার করা কি “মাংসের . . . মালিন্য” হবে? যেহেতু যিহোবা হলেন একজন শুচি অথবা “পবিত্র” ঈশ্বর, তাই তিনি কি স্বেচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে এইভাবে কলুষিত করার বিষয়টি অনুমোদন করবেন?’ (১ পিতর ১:১৫, ১৬) লক্ষ্য করুন পৌলও ‘একজনের আত্মার মালিন্য’ অথবা মানসিক প্রবণতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: ‘এই আসক্তি কি আমার চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রণ করে? আমার কামনাগুলিকে চরিতার্থ করার জন্য আমি কি এমন পর্যায়ে পৌঁছাব যেখানে হয়ত আমার স্বাস্থ্য, আমার পরিবার অথবা এমনকি ঈশ্বরের সাথে আমার সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে হবে? আমার জীবনকে নষ্ট করতে তামাকের প্রতি আমার আসক্তিকে কোন্ সীমা পর্যন্ত আমি প্রশ্রয় দিয়েছি?’ এই বেদনাদায়ক প্রশ্নগুলির মুখোমুখি হওয়া, হয়ত তা পরিত্যাগ করতে আপনাকে যথেষ্ট সাহস যোগাবে!
অবশ্যই, তামাকের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে আপনার হয়ত অন্যান্যদের কাছ থেকে সাহায্য এবং সমর্থন প্রয়োজন হতে পারে। তদুপরি, বাইবেলের উপর ধ্যান করা আপনাকে আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আপনার বিবেককে প্রশিক্ষিত করতে এবং তা দৃঢ় করার ক্ষেত্রে অনেক কিছু করতে পারে।
যখন আমরা ভুল করি
যা সঠিক তা করতে আমাদের যথেষ্ট প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও, মাঝে মাঝে আমাদের অসিদ্ধতা আমাদের জয় করে এবং আমরা ভুল করি। আমাদের বিবেক তখন আমাদের দংশন করবে, কিন্তু এটিকে অবজ্ঞা করতে চেষ্টা করা প্রলুব্ধকর। অথবা আমরা এতই নিরুৎসাহিত হয়ে পড়তে পারি যে ঈশ্বরকে সেবা করার সমস্ত প্রচেষ্টাগুলি আমরা ছেড়ে দিতে চাই। যাইহোক, রাজা দায়ূদের ঘটনাটি স্মরণ করুন। বৎশেবার সাথে পারদারিকতায় লিপ্ত হওয়ার পর, তার বিবেক তাকে আঘাত করেছিল। যে মর্মপীড়া তিনি অনুভব করেছিলেন তা তিনি বর্ণনা করেন: “দিবারাত্র আমার উপরে তোমার হস্ত ভারী ছিল, আমার সরসতা গ্রীষ্মকালের শুষ্কতায় পরিণত হইয়াছিল।” (গীতসংহিতা ৩২:৪) এটি কি বেদনাদায়ক ছিল? অবশ্যই! তথাপি এই ঈশ্বরীয় দুঃখই দায়ূদকে অনুতাপ করতে এবং ঈশ্বরের সাথে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রণোদিত করেছিল। (২ করিন্থীয় ৭:১০ পদের সাথে তুলনা করুন।) ক্ষমা পাওয়ার জন্য দায়ূদের যন্ত্রণাপূর্ণ আবেদন তার আন্তরিক অনুতাপের প্রচুর প্রমাণ দেয়। তার বিবেকের প্রতি সাড়া দেওয়ার কারণে দায়ূদ পরিবর্তিত হতে সাহায্য পান এবং পরিশেষে পুনরায় তিনি তার আনন্দ ফিরে পেয়েছিলেন।—গীতসংহিতা ৫১.
আজকেও একই বিষয় ঘটতে পারে। অতীতে কেউ কেউ যিহোবার সাক্ষীদের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করত কিন্তু যখন তারা জানতে পারে যে তাদের জীবন ঈশ্বরের উচ্চ মানের সাথে মিল রাখে না, তখন তারা তা বন্ধ করে দেয়। হয়ত তারা বিপরীত লিঙ্গের একজনের সাথে বিবাহ ছাড়াই বাস করত অথবা তারা নোংরা অভ্যাসের দাস ছিল। তাদের বিবেক তাদেরকে ব্যথিত করেছিল!
আপনি যদি এইধরনের এক পরিস্থিতিতে থাকেন, পঞ্চাশত্তমীর দিনে বলা প্রেরিত পিতরের বাক্যগুলি বিবেচনা করুন। যখন তিনি তার সহবাসী যিহূদীদের পাপগুলি উন্মোচন করেছিলেন, “তাহাদের হৃদয়ে যেন শেল-বিদ্ধ হইল।” হাল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, তারা অনুতপ্ত হওয়ার জন্য পিতরের পরামর্শের প্রতি মনোযোগ দিয়েছিল আর এর ফলে তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছিল। (প্রেরিত ২:৩৭-৪১) আপনিও তাই করতে পারেন! আপনার বিবেক আপনাকে ব্যথিত করে বলে সত্য ত্যাগ করার পরিবর্তে, আপনার বিবেককে ‘মন ফিরাতে এবং ফিরতে’ পরিচালিত হতে দিন। (প্রেরিত ৩:১৯) স্থিরসংকল্প এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে, আপনি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি করতে পারেন।
“উত্তম বিবেক রক্ষা করুন”
আপনি সবেমাত্র যিহোবার পথগুলি শিখতে আরম্ভ করেছেন অথবা একজন পরিপক্ব খ্রীষ্টান হিসাবে আপনার অনেক বছরের অভিজ্ঞতা আছে, যাই হোক না কেন, পিতরের সতর্কবাণী যথার্থ: “উত্তম বিবেক রক্ষা করুন।” (১ পিতর ৩:১৬, NW) এটি একটি সম্পদ, বোঝা নয়। ঈশ্বরের বাক্য, বাইবেল যে প্রজ্ঞা বহন করে তা গ্রহণের মাধ্যমে আপনার মন এবং হৃদয়কে প্রশিক্ষিত করুন। আপনার বিবেক যখন আপনাকে সতর্ক করে এর প্রতি মনোযোগ দিন। একজনের বিবেকের প্রতি বাধ্য থাকা মনের যে অন্তঃস্থ শান্তি আনে তা উপভোগ করুন।
এটি সত্য যে, আপনার বিবেককে প্রশিক্ষিত করা এবং গড়ে তোলা একটি সহজ কাজ নয়। কিন্তু, আপনাকে সাহায্য করার জন্য আপনি যিহোবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারেন। তাঁর সাহায্যের মাধ্যমে আপনি ঈশ্বরকে সেবা করতে সমর্থ হবেন, যা “সৎসংবেদ [“উত্তম বিবেক,” NW] ও অকল্পিত বিশ্বাস হইতে উৎপন্ন।”—১ তীমথিয় ১:৫.
[পাদটীকাগুলো]
a আপনি যদি বিনামূল্যে একটি গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পেতে আগ্রহী হন, তবে যিহোবার সাক্ষীদের স্থানীয় মণ্ডলীর সাথে যোগাযোগ করুন অথবা এই পত্রিকার প্রকাশকদের কাছে লিখে জানান।
[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের বাক্য পড়া এবং ধ্যান করা আমাদের বিবেককে প্রশিক্ষিত করতে সাহায্য করে