-
ঈশ্বরের জ্ঞানের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটা যুক্তি খণ্ডন করুন!প্রহরীদুর্গ (অধ্যয়ন)—২০১৯ | জুন
-
-
১. অভিষিক্ত খ্রিস্টানদের উদ্দেশে পৌল কোন সতর্কবাণী দিয়েছিলেন?
“এই যুগের অনুরূপ হইও না।” (রোমীয় ১২:২) পৌল এই কথাগুলো প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানদের উদ্দেশে লিখেছিলেন। কেন তিনি ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গীকৃত এবং পবিত্র আত্মার দ্বারা অভিষিক্ত পুরুষ ও নারীদের এই দৃঢ় সতর্কবাণী দিয়েছিলেন?—রোমীয় ১:৭.
২-৩. কীভাবে শয়তান আমাদের যিহোবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কীভাবে আমরা আমাদের মনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে গেঁথে থাকা বিষয়গুলো উপড়ে ফেলতে পারি?
২ পৌল চিন্তিত ছিলেন কারণ কোনো কোনো খ্রিস্টান খুব সম্ভবত শয়তানের জগতের মাধ্যমে তুলে ধরা ক্ষতিকর যুক্তি ও দর্শনবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিল। (ইফি. ৪:১৭-১৯) আমাদের মধ্যে যেকোনো ব্যক্তি এর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। শয়তান হল এই বিধিব্যবস্থার শাসক আর সে আমাদের যিহোবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, আমরা যদি গুরুত্বপূর্ণ অথবা সুপরিচিত ব্যক্তি হয়ে উঠতে চাই, তা হলে সে এই আকাঙ্ক্ষাকে ব্যবহার করে আমাদের যিহোবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সে হয়তো এমনকী আমাদের পটভূমি, আমাদের সংস্কৃতি অথবা আমাদের শিক্ষার কোনো কোনো দিককে ব্যবহার করে তার মতো করে চিন্তা করাতে চায়।
-
-
ঈশ্বরের জ্ঞানের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটা যুক্তি খণ্ডন করুন!প্রহরীদুর্গ (অধ্যয়ন)—২০১৯ | জুন
-
-
“মনের নূতনীকরণ” করা
৪. বাইবেল প্রকৃতপক্ষে যা শিক্ষা দেয়, তা শেখার সময়ে আমাদের মধ্যে অনেককে কোন পরিবর্তনগুলো করতে হয়েছিল?
৪ আপনি যখন বাইবেল প্রকৃতপক্ষে যা শিক্ষা দেয়, তা শিখেছিলেন এবং যিহোবার সেবা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন আপনাকে যে-পরিবর্তনগুলো করতে হয়েছিল, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। এর জন্য আমাদের মধ্যে অনেককে বিভিন্ন ধরনের মন্দ অভ্যাস ত্যাগ করতে হয়েছিল। (১ করি. ৬:৯-১১) যিহোবার সাহায্যে এই পাপপূর্ণ অভ্যাসগুলো কাটিয়ে উঠতে পেরে আমরা কতই-না কৃতজ্ঞ!
৫. রোমীয় ১২:২ পদে কোন দুটো পদক্ষেপের বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে?
৫ তবে, আমরা যেন কখনোই মনে না করি, আমাদের আর কোনো পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। এমনকী আমরা যদিও সেই গুরুতর পাপগুলো করা বন্ধ করে দিয়েছি, যেগুলো আমরা বাপ্তিস্মের আগে করেছিলাম, তারপরও আমাদের এমন যেকোনো বিষয় এড়িয়ে চলার জন্য ক্রমাগত কঠোর প্রচেষ্টা করতে হবে, যেগুলো আমাদের সেই গুরুতর পাপগুলো পুনরায় করার জন্য প্রলুব্ধ করতে পারে। কীভাবে আমরা এই প্রচেষ্টা করতে পারি? পৌল বলেছিলেন: “এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও।” (রোমীয় ১২:২) তাই, আমাদের অবশ্যই দুটো পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, আমাদের এই জগতের ‘অনুরূপ হওয়া’ বা এর দ্বারা প্রভাবিত হওয়া বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের “মনের নূতনীকরণ” বা মনোভাব পরিবর্তন করার দ্বারা “স্বরূপান্তরিত” হতে হবে।
৬. মথি ১২:৪৩-৪৫ পদে বলা যিশুর কথাগুলোর পিছনে যে-ধারণা রয়েছে, সেখান থেকে আমরা কী শিখি?
৬ পৌল যে-স্বরূপান্তরের বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন, সেটার সঙ্গে বাহ্যিক পরিবর্তনের চেয়ে আরও বেশি কিছু জড়িত রয়েছে। এটা আমাদের ব্যক্তিত্বের সমস্ত দিককে প্রভাবিত করে। (“আমরা কি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছি, না কি কেবল বাইরে থেকে দেখে এমনটা মনে হচ্ছে?” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।) আমাদের মনকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে আমাদের মনোভাব, অনুভূতি ও আকাঙ্ক্ষা। তাই আমাদের সবাইকে নিজেদের জিজ্ঞেস করতে হবে, ‘একজন খ্রিস্টান হওয়ার জন্য আমি যে-পরিবর্তনগুলো করছি, সেগুলো কি কেবল বাহ্যিক, না কি আমি মনে-প্রাণে একজন প্রকৃত খ্রিস্টান হয়ে উঠছি?’ যিশু মথি ১২:৪৩-৪৫ পদে বলা তাঁর কথায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, কী করার প্রয়োজন রয়েছে। (পড়ুন।) সেই কথাগুলোর পিছনে যে-ধারণা রয়েছে, সেটা এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যকে তুলে ধরে: আমাদের মন থেকে মন্দ চিন্তাভাবনা দূর করে দেওয়াই যথেষ্ট নয়; সেই স্থান ঈশ্বরের অনুমোদিত চিন্তাভাবনার দ্বারা পূরণ করতে হবে।
-