আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা—এক উদাহরণযোগ্য দম্পতি
“খ্রীষ্ট যীশুতে আমার সহকারী প্রিষ্কা ও আক্বিলাকে মঙ্গলবাদ কর; তাঁহারা আমার প্রাণের নিমিত্তে আপনাদের গ্রীবা পাতিয়া দিয়াছিলেন; কেবল আমিই যে তাঁহাদের ধন্যবাদ করি, এমন নয়, কিন্তু পরজাতীয়দের সমুদয় মণ্ডলীও করে।”—রোমীয় ১৬:৩, ৪.
রোমের খ্রীষ্টান মণ্ডলীর প্রতি প্রেরিত পৌলের এই কথাগুলি, এই বিবাহিত দম্পতির প্রতি তার গভীর সম্মান ও আন্তরিক শ্রদ্ধাকে ইঙ্গিত করেছিল। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে তাদের মণ্ডলীতে লেখার সময় তিনি তাদের উপেক্ষা করেননি। কিন্তু পৌলের এই দুই “সহকারী” কারা ছিলেন এবং কেন তারা তার কাছে এবং মণ্ডলীর কাছে এত প্রিয় ছিলেন?—২ তীমথিয় ৪:১৯.
আক্বিলা ডায়াস্পোরার এক যিহূদী (বিক্ষিপ্ত যিহূদী) আর উত্তর এশিয়া মাইনরের একটি অঞ্চল পোনটাসে বসবাসকারী ছিলেন। তিনি এবং তার স্ত্রী প্রিষ্কিল্লা (প্রিষ্কা) রোমে স্থায়ীভাবে বাস করতেন। সা.শ.পূ. ৬৩ সালে পম্পেই যিরূশালেম অধিকার করার সময় পর্যন্ত, সেই শহরে একটি বৃহৎ যিহূদী গোষ্ঠী ছিল যখন অন্ততপক্ষে এক বৃহৎ সংখ্যক বন্দীকে রোমে দাস হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বস্তুতপক্ষে, রোমীয় শিলালিপি সেই প্রাচীন শহরে বারোটি অথবা তার চেয়েও বেশি সমাজগৃহের অস্তিত্ব সম্বন্ধে প্রকাশ করে। সা.শ. ৩৩ সালে পঞ্চাশত্তমীতে রোমের অসংখ্য যিহূদীরা যিরূশালেমে উপস্থিত ছিলেন, যখন তারা সুসমাচার শুনেছিলেন। সম্ভবত এটি হয়ত তাদের দ্বারা ঘটেছিল যে খ্রীষ্টীয় বার্তা প্রথম রোম সাম্রাজ্যের রাজধানীতে পৌঁছেছিল।—প্রেরিত ২:১০.
কিন্তু, ৪৯ অথবা সা.শ. ৫০ সালের প্রথমদিকে সম্রাট ক্লৌদিয়ের আদেশে যিহূদীদের রোম থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল। সুতরাং, এটি ছিল গ্রীক শহর করিন্থ যেখানে প্রেরিত পৌল আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লার সাথে মিলিত হয়েছিলেন। যখন পৌল করিন্থে এসে পৌঁছান, আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা দয়ার সাথে তাকে আতিথ্য ও কাজ উভয়ই প্রদান করেছিলেন, যেহেতু তাদের একই পেশা ছিল—তাঁবু নির্মাণ।—প্রেরিত ১৮:২, ৩.
তাঁবু নির্মাণকারী
এটি সহজ কাজ ছিল না। তাঁবু নির্মাণ করার মধ্যে শক্ত, অমসৃণ কাপড় অথবা চামড়া একসাথে কাটা ও সেলাই করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইতিহাসবেত্তা ফার্নান্ডো বিয়ার মতানুসারে এটি ছিল “এমন একটি কাজ যার জন্য দক্ষতা ও সতর্কতার প্রয়োজন হত” একজন তাঁবু নির্মাণকারীর পক্ষে যে “রুক্ষ, শক্ত কাপড় নিয়ে কাজ করত যা রৌদ্র ও বৃষ্টি থেকে আশ্রয়স্বরূপ ভ্রমণের সময় শিবির হিসাবে অথবা জাহাজে জিনিস বাঁধার কাজে ব্যবহৃত হত।”
এটি একটি প্রশ্ন উত্থাপন করে। পৌল কি বলেননি যে তিনি “গমলীয়েলের চরণে মানুষ” হয়েছিলেন আর এইভাবে আগত বছরগুলিতে তার জন্য এক মর্যাদাপূর্ণ পেশার অনুধাবন করার পথ সুগম হয়েছিল? (প্রেরিত ২২:৩) এটি সত্য যে প্রথম শতাব্দীর যিহূদীরা এক বালককে একটি পেশা শিক্ষা দেওয়া সম্মানজনক বলে বিবেচনা করত এমনকি যদি সে উচ্চশিক্ষাও লাভ করত। সুতরাং, আক্বিলা ও পৌল উভয়েই সম্ভবত তাঁবু নির্মাণে তাদের দক্ষতা অর্জন করেছিলেন যখন তারা যুবক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে এই অভিজ্ঞতা খুবই কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু খ্রীষ্টান হিসাবে তারা এইধরনের জাগতিক কাজকে মুখ্য বিষয় হিসাবে বিবেচনা করেননি। পৌল ব্যাখ্যা করেছিলেন যে করিন্থে তিনি আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লার সাথে এই কাজ করেছিলেন কেবলমাত্র তার প্রধান কাজকে সমর্থন করার মাধ্যম হিসাবে যেটি ছিল ‘কাহারও ভারস্বরূপ না হয়ে’ সুসমাচার ঘোষণা করা।—২ থিষলনীকীয় ৩:৮; ১ করিন্থীয় ৯:১৮; ২ করিন্থীয় ১১:৭.
স্পষ্টতই, আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা সেই সমস্ত কিছু যা তারা পৌলের মিশনারী সেবাকে সহজসাধ্য করার জন্য করতে পারতেন তা করতে পেরে খুশি হয়েছিলেন। কে জানে যে কতখানি সময় এই তিন বন্ধু তাদের কাজ থেকে বিরত হয়ে ক্রেতা অথবা পথচারীদের সাথে রীতিবহির্ভূত সাক্ষ্যদানে ব্যয় করতেন! আর যদিও তাদের তাঁবু তৈরির কাজ অবনমিত ও ক্লান্তিকর ছিল, তারা এটি করতে খুশি ছিলেন, এমনকি “দিবারাত্র,” ঈশ্বরের উদ্দেশ্যকে উন্নত করার জন্য—ঠিক যেমন অনেক আধুনিক-দিনের খ্রীষ্টানেরা আংশিক-সময়ের অথবা ঋতুভিত্তিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে, অবশিষ্ট অধিকাংশ সময় লোকেদের সুসমাচার শুনতে সাহায্য করার জন্য উৎসর্গ করে।—১ থিষলনীকীয় ২:৯; মথি ২৪:১৪; ১ তীমথিয় ৬:৬.
অতিথি-সেবার উদাহরণগুলি
করিন্থে থাকাকালীন ১৮ মাস ব্যাপী পৌল আক্বিলার গৃহকে সম্ভবত তার মিশনারী কার্যধারার ভিত্তিস্থান হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। (প্রেরিত ১৮:৩, ১১) তাই এটি সম্ভব, যে আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা, সীল (সিলভানাস) এবং তীমথিকেও তাদের অতিথিস্বরূপ পেয়ে আনন্দ উপভোগ করেছিলেন, যখন তারা মাকিদনিয়া থেকে এসে পৌঁছেছিলেন। (প্রেরিত ১৮:৫) থিষলনীকীয়দের প্রতি পৌলের দুটি পত্র যা পরবর্তী সময়ে বাইবেল ক্যাননের অংশ হয়েছিল হয়ত সেই সময় লেখা হয়েছিল যখন প্রেরিত আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লার সাথে বাস করতেন।
এটি কল্পনা করা সহজ যে, এই সময় প্রিষ্কিল্লা ও আক্বিলার গৃহ ঈশতান্ত্রিক কার্যধারার এক প্রকৃত কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। সম্ভবত এটি অনেক প্রিয় বন্ধুদের জন্য সহজগম্য ছিল—স্তিফান ও তার পরিবার, আখায়া প্রদেশের প্রথম খ্রীষ্টান যারা স্বয়ং পৌল দ্বারা বাপ্তিস্মিত হয়েছিলেন; তিতিয় যুষ্ট, যিনি বক্তৃতা দেওয়ার জন্য পৌলকে তার গৃহ ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন আর সমাজাধ্যক্ষ ক্রীষ্প, যিনি তার পরিবারসহ সত্য গ্রহণ করেছিলেন। (প্রেরিত ১৮:৭, ৮; ১ করিন্থীয় ১:১৬) এছাড়াও ফর্তুনাত ও আখায়িকও ছিলেন; গায়ঃ, যার গৃহে হয়ত মণ্ডলীর সভাগুলি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকত; ইরাস্ত যিনি নগরের ধনাধ্যক্ষ ছিলেন; পত্রলেখক তর্ত্তিয় যিনি রোমে পৌলের পত্রের শ্রুতিলিখন করেছিলেন; এবং ফৈবী নিকটস্থ মণ্ডলী কিংক্রিয়ার এক বিশ্বস্ত বোন যিনি সম্ভবত করিন্থ থেকে রোমে পত্র বহন করে নিয়ে গিয়েছিলেন।—রোমীয় ১৬:১, ২২, ২৩; ১ করিন্থীয় ১৬:১৭.
আধুনিক-দিনের যিহোবার দাসেরা যাদের ভ্রমণ পরিচারকদের অতিথি-সেবা দেখানোর সুযোগ রয়েছে তারা জানেন যে এটি কতই না উৎসাহজনক ও স্মরণীয় হতে পারে। এইধরনের পরিস্থিতিগুলিতে বর্ণিত গঠনমূলক অভিজ্ঞতাগুলি সকলের জন্য আধ্যাত্মিক সতেজতার এক প্রকৃত উৎস হতে পারে। (রোমীয় ১:১১, ১২) আর যেমন আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা করেছিলেন যারা তাদের গৃহ সভাগুলির জন্য উন্মুক্ত রাখেন সম্ভবত মণ্ডলীর বুকস্টাডির জন্য, সত্য উপাসনার অগ্রগতিতে এইভাবে সহযোগিতা করতে পেরে তারা আনন্দ ও পরিতৃপ্তি লাভ করেন।
পৌলের সাথে আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লার বন্ধুত্ব এতই ঘনিষ্ঠ ছিল যে সা.শ. ৫২ সালের বসন্তকালে যখন পৌল করিন্থ ত্যাগ করছিলেন, তখন তারা ইফিষ পর্যন্ত তার সঙ্গী হয়েছিলেন। (প্রেরিত ১৮:১৮-২১) তারা সেই শহরে থেকেছিলেন আর প্রেরিতের পরবর্তী সাক্ষাতের ভিত্তি প্রস্তুত করছিলেন। এখানেই সুসমাচারের এই পুরস্কৃত শিক্ষকেরা বাক্পটু আপল্লোকে “আপনাদের নিকটে আনিলেন” এবং “ঈশ্বরের পথ আরও সুক্ষ্ণরূপে” বুঝিয়ে দিতে সাহায্য করে আনন্দ উপভোগ করেছিলেন। (প্রেরিত ১৮:২৪-২৬) যখন পৌল তার তৃতীয় মিশনারী ভ্রমণের সময় পুনরায় ইফিষ পরিদর্শনে আসেন সা.শ. ৫২/৫৩ সালের শীতকালের কাছাকাছি সময়ে, সেই ক্ষেত্র যা এই সক্রিয় দম্পতির দ্বারা কর্ষিত হয়েছিল, ইতিমধ্যেই ছেদনের জন্য পক্ব ছিল। প্রায় তিন বছর পৌল সেখানে এই “পথ” সম্বন্ধে প্রচার করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন যখন ইফিষীয় মণ্ডলীর সভাগুলি আক্বিলার গৃহে অনুষ্ঠিত হত।—প্রেরিত ১৯:১-২০, ২৬; ২০:৩১; ১ করিন্থীয় ১৬:৮, ১৯.
পরবর্তী সময়ে, যখন তারা রোমে ফিরে এসেছিলেন, পৌলের এই দুই বন্ধু তাদের গৃহকে খ্রীষ্টীয় সভাগুলির জন্য প্রাপ্তিসাধ্য রেখে “অতিথি-সেবায় রত” থেকে ছিলেন।—রোমীয় ১২:১৩; ১৬:৩-৫.
তারা পৌলের জন্য তাদের ‘গ্রীবা পাতিয়া দিয়াছিলেন’
সম্ভবত পৌল যখন ইফিষে ছিলেন তিনি আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লার সাথে বাস করেছিলেন। তিনি কি রৌপ্যকারদের কোলাহলপূর্ণ বিক্ষোভের সময়েও তাদের সাথে ছিলেন? প্রেরিত ১৯:২৩-৩১ পদের বিবরণ অনুযায়ী যখন সেই শিল্পকর যে সুসমাচার প্রচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, ভাইয়েরা পৌলকে সেই উচ্ছৃঙ্খল জনতার মাঝে গিয়ে নিজেকে বিপদগ্রস্ত করা থেকে বিরত করেছিল। কিছু বাইবেল মন্তব্যকারীরা মনে করেন যে এটি হয়ত এতখানিই বিপজ্জনক পরিস্থিতি হয়ে থাকতে পারে যে পৌল ‘এমন কি তার নিজের জীবনের আশাও ছাড়িয়া’ দিয়েছিলেন, আর আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা কোনভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন তার জন্য ‘আপনাদের গ্রীবা পাতিয়া দিয়ে।’—২ করিন্থীয় ১:৮; রোমীয় ১৬:৩, ৪.
যখন “কোলাহল নিবৃত্ত” হয়েছিল পৌল বিজ্ঞতার সাথে সেই শহর পরিত্যাগ করেছিলেন। (প্রেরিত ২০:১) কোন সন্দেহ নেই যে আক্বিল্লা ও প্রিষ্কিল্লাও বিরোধিতা ও উপহাসের সম্মুখীন হয়েছিলেন। এটি কি তাদের নিরুৎসাহিত করে দিয়েছিল? এর সম্পূর্ণ বিপরীতে, আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা নির্ভীকতার সাথে তাদের খ্রীষ্টীয় প্রচেষ্টায় ক্রমাগত লেগে ছিলেন।
এক ঘনিষ্ঠ দম্পতি
ক্লৌদিয়ের শাসন শেষ হওয়ার পর, আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা রোমে ফিরে এসেছিলেন। (রোমীয় ১৬:৩-১৫) কিন্তু, বাইবেলে যখন শেষবারের মত তারা উল্লেখিত হয়েছেন, তখন আমরা তাদের আবার ইফিষে ফিরে আসতে দেখি। (২ তীমথিয় ৪:১৯) আবার, শাস্ত্রের অন্যান্য সমস্ত উল্লেখগুলিতেও এই স্বামী ও স্ত্রী একসাথে উল্লেখিত হয়েছেন। কতই না ঘনিষ্ঠ ও ঐক্যবদ্ধ দম্পতি! পৌল এই প্রিয় ভাই আক্বিলার কথা চিন্তা করতে পারতেন না, তার স্ত্রীর বিশ্বস্ত সহযোগিতাকে স্মরণ না করে। আর আজকের খ্রীষ্টীয় দম্পতিদের জন্য কতই না উত্তম উদাহরণ, যেহেতু এক উৎসর্গীকৃত স্ত্রীর নিষ্ঠাপূর্ণ সহযোগিতা এক ব্যক্তিকে “প্রভুর কার্য্যে” অনেক বেশি করতে অনুমতি দেয় আর কখনও কখনও এমনকি এক একাকী ব্যক্তির পক্ষে হয়ত যা করা সম্ভব তার চেয়েও বেশি।—১ করিন্থীয় ১৫:৫৮.
আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা বিভিন্ন পৃথক পৃথক মণ্ডলীতে সেবা করেছিলেন। তাদের মত, অনেক আধুনিক-দিনের উদ্যোগী খ্রীষ্টানেরা যেখানে প্রয়োজন বেশি সেখানে যাওয়ার জন্য নিজেদের প্রাপ্তিসাধ্য করেছে। রাজ্যের আগ্রহ বৃদ্ধির অন্বেষণ করে এবং আন্তরিক ও মূল্যবান খ্রীষ্টীয় বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে সমর্থ হয়ে তারা আনন্দ ও পরিতৃপ্তিও অভিজ্ঞতা করেন।
খ্রীষ্টীয় প্রেমের ক্ষেত্রে তাদের উজ্জ্বল উদাহরণের জন্য আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা পৌল ও অন্যান্যদের প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু, এমনকি আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল যে তারা স্বয়ং যিহোবার কাছে এক উত্তম সুনাম স্থাপন করতে পেরেছিলেন। শাস্ত্র আমাদের নিশ্চিত করে: “ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্য্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।”—ইব্রীয় ৬:১০.
আমাদের হয়ত আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা যেমন করেছিলেন, নিজেদের ততখানি প্রসারিত করার সুযোগ নেই, তবুও আমরা তাদের উৎকৃষ্ট উদাহরণ অনুকরণ করতে পারি। গভীর আত্মতৃপ্তি আমরা লাভ করব যদি আমরা আমাদের শক্তি ও জীবন পবিত্র সেবায় উৎসর্গ করি, কখনও এটি না ভুলে গিয়ে যে “উপকার ও সহভাগিতার কার্য্য ভুলিও না, কেননা সেই প্রকার যজ্ঞে ঈশ্বর প্রীত হন।”—ইব্রীয় ১৩:১৫, ১৬.