কেন উপলব্ধি প্রকাশ করবেন?
“প্রিয় রাকেল,
আপনি আমার জন্য উৎসাহের এক উৎস হয়েছেন বলে, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি হয়তো জানেন না কিন্তু আপনার গঠনমূলক স্বভাব ও সদয় কথাবার্তা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।”—জেনিফার।
আপনি কি কখনো অপ্রত্যাশিতভাবে কৃতজ্ঞতাপূর্ণ কোনো চিঠি পেয়েছেন? যদি পেয়ে থাকেন, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই যে, সেটা পেয়ে আপনি অনেক আনন্দিত হয়েছিলেন। আসলে, এইরকম চাওয়াটাই স্বাভাবিক যে, অন্যেরা আমাদের মূল্য দেবে ও আমাদের প্রতি উপলব্ধি প্রকাশ করবে।—মথি ২৫:১৯-২৩.
ধন্যবাদের অভিব্যক্তিগুলো দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে যে-বন্ধন রয়েছে, সেটাকে সাধারণত আরও দৃঢ় করে থাকে। অধিকন্তু, যে-ব্যক্তি উপলব্ধি প্রকাশ করেন, তিনি যিশু খ্রিস্টের পদচিহ্ন অনুসরণ করছেন, যাঁর দৃষ্টিতে অন্যদের উত্তম কাজগুলো অলক্ষিত থাকেনি।—মার্ক ১৪:৩-৯; লূক ২১:১-৪.
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি, তা সেটা মুখে বলে বা লিখে যেভাবেই হোক না, তা প্রকাশের বিষয়টা দিন দিন বিরল হয়ে উঠছে বলেই মনে হয়। বাইবেল সাবধান করেছিল যে, “শেষ কালে” লোকেরা “অকৃতজ্ঞ” হবে। (২ তীমথিয় ৩:১, ৩) আমরা যদি সতর্ক না হই, তাহলে বর্তমানে ব্যাপকভাবে বিদ্যমান কৃতজ্ঞতাবোধের অভাব, আমাদের মধ্যে উপলব্ধি প্রকাশের যে-কোমল অনুভূতিগুলো উদ্ভূত হতে পারে, সেগুলোকে দমিয়ে রাখতে পারে।
কীভাবে উপলব্ধি প্রকাশ করতে হবে, সেই বিষয়ে সন্তানদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাবামারা কোন ব্যবহারিক পদক্ষেপগুলো নিতে পারে? কাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত? আর এমনকি আমাদের চারপাশের লোকেরা যদি অকৃতজ্ঞও হয়, তবুও কেন আমাদের উপলব্ধিপরায়ণ হওয়া উচিত?
পারিবারিক বৃত্তের মধ্যে
বাবামারা তাদের সন্তানদের ভরণপোষণ জোগানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। কিন্তু, মাঝে মাঝে বাবামারা হয়তো ভাবতে পারে যে, তাদের প্রচেষ্টাগুলোকে উপলব্ধি করা হয় না। এই পরিস্থিতির প্রতিকার করার জন্য তারা কী করতে পারে? তিনটে বিষয় অত্যাবশ্যক।
(১) উদাহরণ। সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অধিকাংশ দিকের মধ্যে উদাহরণ হচ্ছে এক কার্যকারী শিক্ষক। প্রাচীন ইস্রায়েলের একজন কঠোর পরিশ্রমী মায়ের সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “তাঁহার সন্তানগণ উঠিয়া তাঁহাকে ধন্য বলে।” এই সন্তানরা কোথা থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শিখেছিল? এই পদের বাকি অংশ একটা ইঙ্গিত প্রদান করে। এটি বলে: “তাঁহার স্বামীও . . . তাঁহার . . . প্রশংসা করেন।” (হিতোপদেশ ৩১:২৮) যে-বাবামারা একে অন্যের প্রতি উপলব্ধি প্রকাশ করে, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখায় যে, এইরকম অভিব্যক্তিগুলো গ্রহীতাকে আনন্দ দেয়, পারিবারিক সম্পর্ককে মজবুত করে আর সেটা হচ্ছে পরিপক্বতার এক চিহ্ন।
স্টিভেন নামে একজন বাবা বলেন, “আমি আমার স্ত্রীকে খাবারের জন্য ধন্যবাদ দেওয়ার দ্বারা আমার মেয়েদের সামনে উদাহরণ স্থাপন করার চেষ্টা করেছি।” এর ফল কী হয়েছে? “আমার দুই মেয়ে তা লক্ষ করেছে আর এটা তাদেরকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ব্যাপারে অধিক সচেতন হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে,” স্টিভেন বলেন। আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কি আপনার সাথির করা রোজকার সেইসব টুকিটাকি কাজ, যেগুলোকে সহজেই হালকাভাবে নেওয়া হয়ে থাকে, সেগুলোর জন্য নিয়মিতভাবে তাকে ধন্যবাদ বলেন? আপনি কি আপনার ছেলেমেয়েদেরকে ধন্যবাদ বলেন, এমনকি যখন তারা সেই কাজগুলোই করে থাকে, যেগুলো তাদের কাছ থেকে সাধারণত আশা করা হয়?
(২) প্রশিক্ষণ। কৃতজ্ঞতার অনুভূতি হচ্ছে ফুলের মতো। দুটোর ক্ষেত্রেই সর্বোত্তম ফল পাওয়ার জন্য, সেগুলোকে রোপণ করতে বা গড়ে তুলতে হয়। কীভাবে বাবামারা তাদের সন্তানদের মধ্যে উপলব্ধিবোধ গড়ে তুলতে ও তা প্রকাশ করায় সাহায্য করতে পারে? বিজ্ঞ রাজা শলোমন একটা মূল বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন, যখন তিনি লিখেছিলেন: “ধার্ম্মিকের মন উত্তর করিবার নিমিত্ত চিন্তা করে।”—হিতোপদেশ ১৫:২৮.
বাবামারা, আপনারা কি আপনাদের ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন, যাতে তারা যখন কারো কাছ থেকে বিভিন্ন উপহার পায়, তখন সেগুলোর পিছনে যে-প্রচেষ্টা ও উদারতা জড়িত রয়েছে, সেই বিষয়ে চিন্তা করতে পারে? এই ধরনের ধ্যান হচ্ছে সেই মাটি, যেটার ওপর উপলব্ধিবোধ গড়ে ওঠে। মারিয়া, যিনি তিনটে সন্তানকে মানুষ করে তুলেছেন, তিনি বলেন: “কেউ যখন কোনো উপহার দেয়, তখন সন্তানদের একসঙ্গে নিয়ে বসার ও সেটার সঙ্গে যা জড়িত—কেউ তোমার ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করেছে এবং তোমাকে দেখাতে চেয়েছে যে তারা তোমার জন্য কতখানি চিন্তা করে—সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু, আমার মনে হয় যে, সেই প্রচেষ্টা সার্থক হয়।” এই ধরনের কথাবার্তা ছেলেমেয়েদেরকে উপলব্ধি প্রকাশ করার সময় শুধুমাত্র কী বলা উচিত, তা-ই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে কেন তাদের তা বলা উচিত, সেটাও শিখতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞ বাবামারা তাদের ছেলেমেয়েদের এই অনুভূতি পরিহার করতে সাহায্য করে যে, ছেলেমেয়েরা যেসমস্ত ভাল ভাল জিনিস পাচ্ছে, তারা সেগুলো পাওয়ার যোগ্য।a দাস-দাসীদের সঙ্গে আচরণ করার বিষয়ে হিতোপদেশ ২৯:২১ (NW) পদে প্রাপ্ত সাবধানবাণীটি ছেলেমেয়েদের প্রতি সমভাবেই প্রযোজ্য: “কোনো ব্যক্তি যদি আপন দাসকে বাল্যকাল থেকে প্রশ্রয় দেয়, তাহলে সে ভবিষ্যতে অকৃতজ্ঞ হয়ে উঠবে।”
কীভাবে একেবারে ছোটো বাচ্চাদেরকে উপলব্ধি প্রকাশ করার জন্য সাহায্য করা যেতে পারে? তিন সন্তানের মা লিন্ডা বলেন: “আমার স্বামী ও আমি যখন কাউকে ধন্যবাদ জানিয়ে নোট লিখতাম, তখন সেটাতে অবদান রাখার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে কোনো ছবি আঁকতে কিংবা কার্ডের মধ্যে তাদের নাম লিখে দিতে উৎসাহিত করতাম।” এটা ঠিক যে, ছবিটা হয়তো খুবই সাধারণ ও হাতের লেখা তেমন ভাল না-ও হতে পারে কিন্তু এই কাজ করার ফলে বাচ্চারা যে-শিক্ষা লাভ করে, তা তাদের ওপর সারাজীবন প্রভাব ফেলতে পারে।
(৩) অধ্যবসায়। আমাদের সকলেরই স্বার্থপর হওয়ার এক সহজাত প্রবণতা রয়েছে আর এই প্রবণতা ধন্যবাদের অভিব্যক্তিগুলো প্রকাশে বাধা দিতে পারে। (আদিপুস্তক ৮:২১; মথি ১৫:১৯) তা সত্ত্বেও, বাইবেল ঈশ্বরের দাসদেরকে জোরালো পরামর্শ দেয়: “আপন আপন মনের ভাবে যেন ক্রমশঃ নবীনীকৃত হও, এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান কর, যাহা . . . ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হইয়াছে।”—ইফিষীয় ৪:২৩, ২৪.
কিন্তু, অভিজ্ঞ বাবামারা জানে যে, সন্তানদের “নূতন মনুষ্যকে” বা ব্যক্তিত্বকে ‘পরিধান করিতে’ সাহায্য করার বিষয়টা মুখে বলা যত সহজ, কাজে ততটা নয়। ওপরে উল্লেখিত স্টিভেন বলেন, “আমাদের মেয়েদেরকে ধন্যবাদ বলার জন্য মনে করিয়ে না দিয়ে নিজে থেকে তা বলতে শেখাতে অনেক সময় লেগেছিল।” কিন্তু, স্টিভেন ও তার স্ত্রী হাল ছেড়ে দেয়নি। “অত্যন্ত অধ্যবসায়ী হওয়ার ফলে,” স্টিভেন বলে চলেন, “আমাদের মেয়েরা শিক্ষা লাভ করেছে। এখন তারা অন্যদের প্রতি যেভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে, তা দেখে আমরা গর্বিত।”
বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সম্বন্ধে কী বলা যায়?
আমরা যখন ধন্যবাদ বলতে ব্যর্থ হই, তখন তার মানে হয়তো এই নয় যে, আমরা অকৃতজ্ঞ, বরং এর অর্থ হতে পারে আমরা হয়তো ভুলে গিয়েছি। কেবল উপলব্ধি বোধ করাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও কি আমাদের জন্য আসলেই এতটা গুরুত্বপূর্ণ? সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য, এমন একটা ঘটনা বিবেচনা করুন, যেটাতে যিশু ও কয়েক জন কুষ্ঠরোগী জড়িত।
যিরূশালেমে যাত্রা করার সময়, যিশুর সঙ্গে দশজন কুষ্ঠরোগীর দেখা হয়েছিল। বাইবেল বর্ণনা করে: “তাহারা উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, যীশু, নাথ, আমাদিগকে দয়া করুন! তাহাদিগকে দেখিয়া তিনি কহিলেন, যাও, যাজকগণের নিকটে গিয়া আপনাদিগকে দেখাও। যাইতে যাইতে তাহারা শুচীকৃত হইল। তখন তাহাদের এক জন আপনাকে সুস্থ দেখিয়া উচ্চ রবে ঈশ্বরের গৌরব করিতে করিতে ফিরিয়া আসিল, এবং যীশুর চরণে উবুড় হইয়া পড়িয়া তাঁহার ধন্যবাদ করিতে লাগিল; সেই ব্যক্তি শমরীয়।”—লূক ১৭:১১-১৬.
অন্যদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ব্যর্থতাকে কি যিশু উপেক্ষা করেছিলেন? সেই বিবরণ আরও বলে: “যীশু উত্তর করিয়া কহিলেন, দশ জন কি শুচীকৃত হয় নাই? তবে সেই নয় জন কোথায়? ঈশ্বরের গৌরব করিবার জন্য ফিরিয়া আসিয়াছে, এই অন্যজাতীয় লোকটী ভিন্ন এমন কাহাকেও কি পাওয়া গেল না?”—লূক ১৭:১৭, ১৮.
অন্য নয়জন কুষ্ঠরোগী দুষ্ট লোক ছিল না। এর আগে, তারা জনসমক্ষে যিশুর ওপর বিশ্বাস প্রকাশ করেছিল এবং স্বেচ্ছায় তাঁর নির্দেশনার বাধ্য হয়েছিল, যেটার সঙ্গে নিজেদেরকে যাজকদের কাছে দেখানোর জন্য যিরূশালেমে যাত্রা করা জড়িত ছিল। যা-ই হোক, যদিও যিশুর সদয় কাজের জন্য নিঃসন্দেহে তাদের গভীর উপলব্ধিবোধ ছিল কিন্তু তারা তাঁর প্রতি সেই উপলব্ধি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের আচরণ যিশুকে দুঃখিত করেছিল। আমাদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? কেউ যখন আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে, তখন আমরা কি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধন্যবাদ বলি ও যেখানে উপযুক্ত, একটা নোট লিখে সেটা পাঠিয়ে আমাদের উপলব্ধি প্রকাশ করি?
বাইবেল বলে যে, “প্রেম . . . অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৫) তাই, উপলব্ধির আন্তরিক অভিব্যক্তিগুলো কেবল শিষ্টাচারের চিহ্নই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে প্রেমেরও প্রমাণ। কুষ্ঠরোগীদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঘটনাটা আমাদের শিক্ষা দেয় যে, যারা খ্রিস্টকে খুশি করতে চায়, তারা জাতীয়তা, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে সকলের প্রতি এই ধরনের প্রেম দেখাতে বাধ্য।
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘শেষ কবে আমি একজন প্রতিবেশী, সহকর্মী, সহপাঠী, হাসপাতালের কর্মী, কোনো দোকানদার অথবা অন্য কেউ যিনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন, তাকে ধন্যবাদ বলেছি?’ এক বা দুদিনের রেকর্ড রাখুন না কেন এবং আপনি আসলে কত বার ধন্যবাদ বলেছেন বা ধন্যবাদের নোট লিখেছেন, সেই বিষয়টা চিহ্নিত করে রাখুন না কেন? এই ধরনের রেকর্ড হয়তো আপনাকে দেখতে সাহায্য করতে পারে যে, উপলব্ধি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আপনি কোথায় উন্নতি করতে পারেন।
অবশ্য, যিনি আমাদের ধন্যবাদ পাওয়ার সবচেয়ে বেশি যোগ্য, তিনি হলেন যিহোবা ঈশ্বর। তিনিই হলেন “সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর” দাতা। (যাকোব ১:১৭) শেষ কবে আপনি সেই নির্দিষ্ট বিষয়গুলোর জন্য আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের প্রতি আপনার উপলব্ধি প্রকাশ করেছিলেন, যেগুলো তিনি আপনার জন্য করেছেন?—১ থিষলনীকীয় ৫:১৭, ১৮.
অন্যেরা উপলব্ধি না দেখালেও কেন তা দেখাবেন?
আমরা যখন উপলব্ধি প্রকাশ করি, তখন অন্যেরা হয়তো একইভাবে উপলব্ধি প্রকাশ না-ও করতে পারে। তাহলে, কেন অন্যেরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেও আমাদের তা প্রকাশ করা উচিত? শুধুমাত্র একটা কারণ বিবেচনা করুন।
যাদের উপলব্ধির অভাব রয়েছে, তাদের প্রতি সৎকর্ম করে আমরা আমাদের সদয় সৃষ্টিকর্তা যিহোবা ঈশ্বরকে অনুকরণ করছি। অনেকে যে যিহোবার প্রদর্শিত ভালবাসাকে উপলব্ধি করে না, এই বিষয়টা তাঁকে অন্যদের প্রতি মঙ্গল করা থেকে বিরত করে না। (রোমীয় ৫:৮; ১ যোহন ৪:৯, ১০) তিনি “ভাল মন্দ লোকদের উপরে আপনার সূর্য্য উদিত করেন, এবং ধার্ম্মিক অধার্ম্মিকগণের উপরে জল বর্ষান।” এক অকৃতজ্ঞ জগতে বাস করা সত্ত্বেও, যদি আমরা উপলব্ধি প্রকাশ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি, তাহলে আমরা “[আমাদের] স্বর্গস্থ পিতার সন্তান” হিসেবে প্রমাণিত হব।—মথি ৫:৪৫. (w০৮ ৮/১)
[পাদটীকা]
a অনেক বাবামা তাদের সন্তানদের সঙ্গে যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত মহান শিক্ষকের কাছ থেকে শেখো (ইংরেজি) বইটি পড়েছে এবং আলোচনা করেছে। ১৮ অধ্যায়ের শিরোনাম হচ্ছে, “তোমার কি ধন্যবাদ বলার কথা মনে থাকে?”
[২৩ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
এক বা দুদিনের রেকর্ড রাখুন এবং আপনি আসলে কত বার ধন্যবাদ বলেছেন, সেই বিষয়টা চিহ্নিত করে রাখুন
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
উপলব্ধি প্রকাশের ক্ষেত্রে আপনার ছেলেমেয়েদের জন্য উদাহরণ স্থাপন করুন
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
উপলব্ধি প্রকাশ করার জন্য এমনকি ছোটো বাচ্চাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে