আমাদের বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করা
“হৃদয়মধ্যে খ্রীষ্টকে প্রভু বলিয়া পবিত্র করিয়া মান। যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্ব্বদা প্রস্তুত থাক।”—১ পিতর ৩:১৪, ১৫.
১, ২. কেন যিহোবার সাক্ষীরা বিরোধিতার মুখোমুখি হলে আশ্চর্য হন না কিন্তু তারা কী চান?
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে, যিহোবার সাক্ষীরা সাধারণত সৎ ও নৈতিক জীবনযাপনকারী লোক হিসাবে পরিচিত। অনেকে তাদের ভাল প্রতিবেশী বলে জানেন যারা কারও কোন ক্ষতি করেন না। কিন্তু, তারপরও এই শান্তিপ্রিয় খ্রীষ্টানেরা অন্যায় নির্যাতন ভোগ করে থাকেন—যুদ্ধের সময় ও শান্তির সময়। তারা এই বিরোধিতায় আশ্চর্য হন না। সত্যি বলতে কি, তারা এটি প্রত্যাশা করেন। আর তারা তো জানেনই যে প্রথম শতাব্দীর বিশ্বস্ত খ্রীষ্টানেরা “ঘৃণিত” হয়েছিলেন, তাহলে আজকে তারা কেনই বা প্রত্যাশা করবেন যে যারা খ্রীষ্টের সত্য অনুগামী হওয়ার জন্য প্রাণপণ করেন তাদের সঙ্গে এইরকম আচরণ করা হবে না? (মথি ১০:২২) এছাড়াও, বাইবেল বলে: “যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।”—২ তীমথিয় ৩:১২.
২ যিহোবার সাক্ষীরা নির্যাতিত হতে চান না কিংবা এর সঙ্গে আসা কষ্টগুলি উপভোগও করেন না যেমন জরিমানা, জেলখাটা বা রূঢ় আচরণ। তারা “নিরুদ্বেগ ও প্রশান্ত জীবন যাপন” করতে চান যাতে তারা নির্বিঘ্নে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করতে পারেন। (১ তীমথিয় ২:১, ২) বেশিরভাগ দেশে, উপাসনা করার জন্য তাদের যে ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে তা তারা উপলব্ধি করেন এবং মানব শাসক সহ “মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে” থাকার জন্য সৎভাবে তাদের যথাসাধ্য করে থাকেন। (রোমীয় ১২:১৮; ১৩:১-৭) তবুও কেন তারা “ঘৃণিত” হন?
৩. একটি কারণ কী যার জন্য যিহোবার সাক্ষীরা অন্যায়ভাবে ঘৃণিত হয়ে থাকেন?
৩ প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের যে কারণে নির্যাতন করা হয়েছিল মূলত সেই একই কারণে যিহোবার সাক্ষীরাও অন্যায়ভাবে ঘৃণিত হয়েছেন। প্রথমত, যিহোবার সাক্ষীরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী যেভাবে কাজ করে থাকেন তা তাদেরকে কিছু লোকের কাছে অপ্রিয় করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, তারা উদ্যোগ সহকারে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করেন কিন্তু লোকেরা প্রায়ই তাদের উদ্যোগকে ভুল বোঝেন ও তাদের প্রচার কাজকে “জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা” হিসাবে দেখে থাকেন। (প্রেরিত ৪:১৯, ২০ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) এছাড়াও রাজনীতি ও যুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাক্ষীরা নিরপেক্ষ থাকেন ফলে মাঝে মাঝে তাদের সম্বন্ধে ভুল ধারণা করা হয়েছে যে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী নাগরিক।—মীখা ৪:৩, ৪.
৪, ৫. (ক) কিভাবে যিহোবার সাক্ষীরা মিথ্যা অভিযোগের শিকার হয়েছেন? (খ) যিহোবার দাসেদের নির্যাতন করার মুখ্য উদ্যোক্তা কারা?
৪ দ্বিতীয়ত, যিহোবার সাক্ষীরা বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগের শিকার হয়েছেন। তাদের বিশ্বাস সম্বন্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ধারণা প্রচার এবং সেগুলিকে বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে, কিছু দেশে তাদেরকে এক বিপদজনক সম্প্রদায় হিসাবে দেখা হয়। এছাড়াও, ‘রক্ত হইতে পৃথক’ থাকা সম্বন্ধীয় বাইবেলের পরামর্শটি পালন করার জন্য তারা যেহেতু রক্ত ছাড়া চিকিৎসা করাতে চান, তাই তাদের ভুলভাবে “সন্তান হত্যাকারী” ও “আত্মঘাতী গোষ্ঠী” হিসাবে মনে করা হয়। (প্রেরিত ১৫:২৯) কিন্তু আসল বিষয়টি হল যে যিহোবার সাক্ষীরা জীবনকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করেন এবং তারা নিজেদের ও তাদের সন্তানদের যথাসম্ভব ভাল চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করে থাকেন। প্রতি বছর যিহোবার সাক্ষীদের অসংখ্য সন্তান রক্ত না নেওয়ার কারণে মারা যায়, এই অভিযোগটি একেবারেই ভিত্তিহীন। এই অভিযোগকে সত্যি প্রমাণ করার জন্য কোন পরিসংখ্যানই তৈরি করা যেতে পারে না। যেহেতু বাইবেলের সত্য পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে একইভাবে কাজ করে না, তাই সাক্ষীদেরকে পরিবারে ভাঙন নিয়ে আসার জন্য দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু, যারা যিহোবার সাক্ষীদের সঙ্গে পরিচিত তারা জানেন যে সাক্ষীরা পারিবারিক জীবনকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন আর স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরকে ভালবাসবে ও সম্মান করবে এবং বাবামা বিশ্বাসী হোক বা নাই হোক সন্তানেরা তাদের বাধ্য থাকবে, বাইবেলের এই আজ্ঞাগুলি পালন করার চেষ্টা করে থাকেন।—ইফিষীয় ৫:২১–৬:৩.
৫ বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে, যিহোবার সাক্ষীদের নির্যাতন করার মুখ্য উদ্যোক্তারা ধর্ম বিরোধী বলে প্রমাণিত হয়েছেন, যারা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ ও সংবাদ মাধ্যমগুলিতে তাদের প্রভাব খাটিয়ে সাক্ষীদের কাজকে দমন করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের, যিহোবার সাক্ষীদের এই বিরোধিতার প্রতি কিভাবে সাড়া দেওয়া উচিত—তা সে আমাদের বিশ্বাস ও কাজের কারণেই আসুক কিংবা মিথ্যা অভিযোগের কারণেই আসুক?
“তোমাদের শান্ত ভাব [যুক্তিবাদিতা] মনুষ্যমাত্রের বিদিত হউক”
৬. খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত নন এমন লোকেদের প্রতি এক ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
৬ প্রথমত, যারা আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন তাদের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ, যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন। নতুবা, আমরা হয়তো অযথাই আমাদের নিজেদের জন্য বিরোধিতা ডেকে আনতে পারি। “তোমাদের শান্তভাব [যুক্তিবাদিতা] মনুষ্যমাত্রের বিদিত হউক,” প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন। (ফিলিপীয় ৪:৫) এই কারণে, বাইবেল আমাদেরকে খ্রীষ্টীয় মন্ডলীর অন্তর্ভুক্ত নন এমন ব্যক্তিদের প্রতি এক ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে উৎসাহিত করে।
৭. “সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা” করার সঙ্গে কী জড়িত?
৭ শাস্ত্র আমাদের খুব স্পষ্টভাবে “সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা” করার জন্য পরামর্শ দেয়। (যাকোব ১:২৭; ৪:৪) বাইবেলের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত “সংসার” শব্দটি এখানে সত্য খ্রীষ্টানদের থেকে বিচ্ছিন্ন মানবসমাজকে নির্দেশ করে। আমরা লোকেদের এই সমাজে বাস করি; চাকরিস্থলে, বিদ্যালয়ে আর পাড়ায় এই লোকেদের সংস্পর্শে আসি। (যোহন ১৭:১১, ১৫; ১ করিন্থীয় ৫:৯, ১০) তাসত্ত্বেও, আমরা ঈশ্বরের ধার্মিক পথের বিপরীত মনোভাব, কথাবার্তা ও আচরণ এড়িয়ে চলে নিজেদেরকে সংসার থেকে নিষ্কলঙ্ক রাখি। এছাড়াও এই সংসারের—বিশেষ করে যারা যিহোবার মানগুলিকে সম্পূর্ণরূপে অবজ্ঞা করে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করার বিপদ চেনাও আমাদের জন্য খুবই জরুরি।—হিতোপদেশ ১৩:২০.
৮. সংসার থেকে নিষ্কলঙ্ক থাকার পরামর্শটি কেন অন্যদের ছোট করে দেখার জন্য আমাদের কোন ভিত্তি যোগায় না?
৮ কিন্তু, সংসার থেকে নিষ্কলঙ্ক থাকার পরামর্শটি, যারা যিহোবার সাক্ষী নন তাদেরকে ছোট করে দেখার জন্য কোন ভিত্তি যোগায় না। (হিতোপদেশ ৮:১৩) আগের প্রবন্ধে আলোচিত যিহূদী ধর্মীয় নেতাদের দৃষ্টান্ত মনে করুন। তাদের গড়ে তোলা ধর্ম যিহোবার অনুগ্রহ লাভ করতে পারেনি কিংবা ন-যিহূদীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতেও সাহায্য করেনি। (মথি ২১:৪৩, ৪৫) নিজেদের ধার্মিক মনে করায় এই গোড়াঁ ব্যক্তিরা পরজাতীয়দেরকে নিচু চোখে দেখতেন। আমরা এইধরনের সংকীর্ণ মনোভাব রাখি না আর ন-সাক্ষীদের সঙ্গে অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণও করি না। প্রেরিত পৌলের মতো আমরাও চাই যে যারা বাইবেলের সত্য শোনেন তারা সকলেই যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহ পান।—প্রেরিত ২৬:২৯; ১ তীমথিয় ২:৩, ৪.
৯. এক ভারসাম্যপূর্ণ, শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি, যারা আমাদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন তাদের সম্বন্ধে আমরা যেভাবে কথা বলি তাতে কী প্রভাব ফেলবে?
৯ ন-সাক্ষীদের সম্বন্ধে আমরা যেভাবে কথা বলি তাতে এক ভারসাম্যপূর্ণ, শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব থাকা উচিত। পৌল তীতকে ক্রীতী দ্বীপের খ্রীষ্টানদের এই কথা মনে করিয়ে দিতে বলেছিলেন, তারা যেন “কাহারও নিন্দা না করে, নির্ব্বিরোধ ও ক্ষান্তশীল [যুক্তিবাদী] হয়, সকল মনুষ্যের কাছে সম্পূর্ণ মৃদুতা দেখায়।” (তীত ৩:২) লক্ষ্য করুন যে খ্রীষ্টানদের “কাহারও”—এমনকি ক্রীতীর ন-খ্রীষ্টানদেরও নিন্দা না করার জন্য বলা হয়েছিল যারা তাদের মিথ্যা বলার অভ্যাস, অতিভোজন এবং অলসতার জন্য পরিচিত ছিলেন। (তীত ১:১২) সুতরাং যারা আমাদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন তাদের সম্বন্ধে কথা বলার সময় যদি আমরা অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করি, তাহলে আমরা বাইবেলের শিক্ষা অনুযায়ী চলছি না। শ্রেষ্ঠত্বের মনোভাব অন্যদের যিহোবার উপাসনার প্রতি আকর্ষণ করবে না। পরিবর্তে, আমরা যখন যিহোবার বাক্যের যুক্তিসংগত নীতিগুলির সঙ্গে মিল রেখে অন্যদের সঙ্গে আচরণ করি ও তাদের সেভাবে দেখি, তখন আমরা “ঈশ্বরের শিক্ষা . . . ভূষিত” করি।—তীত ২:১০.
নীরব থাকার ও কথা বলার কাল
১০, ১১. কিভাবে যীশু দেখিয়েছিলেন যে তিনি জানতেন কখন (ক) “নীরব থাকিবার কাল”? (খ) “কথা কহিবার কাল”?
১০ উপদেশক ৩:৭ পদ বলে, “নীরব থাকিবার কাল ও কথা কহিবার কাল” আছে। অতএব, সমস্যাটি এখানেই: কখন বিরোধীদের উপেক্ষা করতে হবে এবং কখন আমাদের বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করার জন্য প্রতিবাদ করতে হবে তা নির্ধারণ করা। এই ক্ষেত্রে আমরা একজন ব্যক্তির উদাহরণ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি যিনি সবসময় উৎকৃষ্ট বিচক্ষণতা দেখিয়েছিলেন—তিনি হলেন যীশু। (১ পিতর ২:২১) তিনি জানতেন কখন “নীরব থাকিবার কাল।” দৃষ্টান্তস্বরূপ, প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ যখন পীলাতের সামনে যীশুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন, তখন তিনি “কিছুই উত্তর করিলেন না।” (মথি ২৭:১১-১৪) তিনি এমন কিছু বলতে চাননি যা হয়তো তাঁর জন্য ঈশ্বরের যে ইচ্ছা তা পূরণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। পরিবর্তে, তিনি তাঁর প্রকাশ্য কাজকেই সেগুলির পক্ষে কথা বলতে দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন, এমনকি সত্যও তাদের গর্বিত মন ও হদয়কে পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই তিনি তাদের অভিযোগকে উপেক্ষা করেছিলেন ও তাঁর উদ্দেশ্যপূর্ণ নীরবতা ভঙ্গ করেননি।—যিশাইয় ৫৩:৭.
১১ কিন্তু, কখন “কথা কহিবার কাল” তাও যীশু জানতেন। একবার, তিনি খোলাখুলি ও প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনাকারীদের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন ও তাদের মিথ্যা অভিযোগগুলিকে খণ্ডন করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, অধ্যাপক ও ফরীশীরা যখন জনতার সামনে যীশুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে তাঁর সুনাম নষ্ট করতে চেয়েছিলেন যে তিনি বেল্সবূবের দ্বারা ভূত ছাড়ান, তখন তিনি মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। জোরালো যুক্তি ও শক্তিশালী দৃষ্টান্তের দ্বারা তিনি মিথ্যাকে খণ্ডন করেছিলেন। (মার্ক ৩:২০-৩০. এছাড়াও মথি ১৫:১-১১; ২২:১৭-২১ এবং যোহন ১৮:৩৭ পদগুলি দেখুন।) একইভাবে, বিশ্বাসঘাতকতা ও গ্রেপ্তারের পর যখন যীশুকে মহাসভার সামনে আনা হয়, তখন মহাযাজক কায়াফা চতুরতার সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “আমি তোমাকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে দিব্য দিতেছি, আমাদিগকে বল দেখি, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্ত্র?” তখনও “কথা কহিবার কাল” ছিল কারণ সেই সময় নীরব থাকলে, তিনিই যে খ্রীষ্ট তা অস্বীকার করাকে বোঝাতে পারত। তাই যীশু উত্তর দিয়েছিলেন: “আমি সেই।”—মথি ২৬:৬৩, ৬৪; মার্ক ১৪:৬১, ৬২.
১২. কোন্ পরিস্থিতিগুলি পৌল ও বার্ণবাকে ইকনিয়াতে সাহসপূর্বক কথা বলতে পরিচালিত করেছিল?
১২ পৌল ও বার্ণবার উদাহরণটিও বিবেচনা করুন। প্রেরিত ১৪:১, ২ পদ উল্লেখ করে: “ইকনিয়ে তাঁহারা একসঙ্গে যিহূদীদের সমাজ-গৃহে প্রবেশ করিলেন, এবং এমন ভাবে কথা কহিলেন যে, যিহূদী ও গ্রীকদের বিস্তর লোক বিশ্বাস করিল। কিন্তু যে যিহূদীরা অবাধ্য হইল, তাহারা ভ্রাতৃগণের বিপক্ষে পরজাতীয়দের মনকে উত্তেজিত ও হিংসার্থী করিল।” দ্যা নিউ ইংলিশ বাইবেল বলে: “কিন্তু ধর্মান্তরিত হয়নি এমন যিহূদীরা পরজাতীয়দেরকে উত্তেজিত এবং খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে তাদের মনকে বিষিয়ে তুলেছিল।” যিহূদী বিরোধীরা সেই বার্তা অগ্রাহ্য করেই সন্তুষ্ট হননি, তারা পরজাতীয়দের মধ্যে খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে প্রতিকূল ধারণা সৃষ্টি করার চেষ্টায় অপপ্রচার চালিয়েছিলেন।a খ্রীষ্টধর্মের প্রতি কত তীব্র ঘৃণাই না তাদের ছিল! (প্রেরিত ১০:২৮ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) পৌল ও বার্ণবা অনুভব করেছিলেন যে তা ছিল “কথা কহিবার কাল,” নতুবা নতুন শিষ্যরা প্রকাশ্য কলঙ্কের দ্বারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন। “এইরূপে তাঁহারা [পৌল ও বার্ণবা] সেই স্থানে অনেক দিন অবস্থিতি করিলেন, প্রভুর উপরে সাহস বাঁধিয়া কথা কহিতেন,” যিনি তাদেরকে অলৌকিক চিহ্ন সম্পাদন করার শক্তি দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে তাদের উপর তাঁর অনুমোদন আছে। ফলে “এক দল যিহূদীদের পক্ষ, অন্য দল প্রেরিতদের পক্ষ হইল।”—প্রেরিত ১৪:৩, ৪.
১৩. কলঙ্কের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সাধারণত কখন “নীরব থাকিবার কাল”?
১৩ তাহলে, যখন আমাদের বিরুদ্ধে কলঙ্ক রটানো হয় তখন আমাদের কিভাবে সাড়া দেওয়া উচিত? তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কিছু পরিস্থিতিতে “নীরব থাকিবার কাল” সম্বন্ধীয় নীতিটি মেনে চলার প্রয়োজন হয়। এটি বিশেষ করে তখন প্রযোজ্য যখন একগুঁয়ে বিরোধীরা আমাদেরকে অর্থহীন তর্কে জড়াতে চেষ্টা করেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে কিছু লোক একেবারেই সত্য জানতে চান না। (২ থিষলনীকীয় ২:৯-১২) যাদের হৃদয় অবিশ্বাসে ভরা তাদেরকে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা অর্থহীন। এছাড়াও আমরা যদি, আমাদের আক্রমণ করেন এমন প্রত্যেক মিথ্যা অভিযোগকারীর সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হই, তাহলে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ কাজ অর্থাৎ যারা প্রকৃতই বাইবেলের সত্য জানতে চান সেই সৎহৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্য করা থেকে সরে যেতে পারি। অতএব যে বিরোধীরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানোর জন্য দৃঢ়সংকল্প তাদের মুখোমুখি হলে, অনুপ্রাণিত পরামর্শটি হল: “তাহাদের হইতে দূরে থাক।”—রোমীয় ১৬:১৭, ১৮; মথি ৭:৬.
১৪. অন্যদের সামনে আমরা কোন্ কোন্ উপায়ে আমাদের বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করতে পারি?
১৪ অবশ্যই এর অর্থ নয় যে আমরা আমাদের বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করি না। কারণ, ‘কথা কহিবারও কাল’ আছে। আমরা সেইসব আন্তরিক লোকেদের বিষয়ে যথার্থভাবে উদ্বিগ্ন যাদের কাছে আমাদের সম্বন্ধে কুৎসামূলক সমালোচনা করা হয়েছে। অন্যদের কাছে আমরা আমাদের আন্তরিক বিশ্বাস স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে চাই আর আমরা সেই সুযোগকে অবশ্যই কাজে লাগাই। পিতর লিখেছিলেন: “যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্ব্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও।” (১ পিতর ৩:১৫) আন্তরিকভাবে আগ্রহী ব্যক্তিরা যখন আমাদের সযত্নে লালিত বিশ্বাসের প্রমাণ চান ও বিরোধীদের দ্বারা উত্থাপিত মিথ্যা অভিযোগগুলি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেন, তখন বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করা ও বাইবেল থেকে যুক্তিপূর্ণ উত্তর দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এছাড়াও, আমাদের উত্তম আচরণ এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য হতে পারে। একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যখন লক্ষ্য করেন যে আমরা সত্যিই ঈশ্বরের ধার্মিক মান অনুযায়ী জীবনযাপন করার চেষ্টা করি, তখন তারা সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন যে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি মিথ্যা।—১ পিতর ২:১২-১৫.
অপবাদমূলক প্রচার সম্বন্ধে কী বলা যায়?
১৫. প্রচার মাধ্যমে যিহোবার সাক্ষীরা যেভাবে বিকৃত তথ্যের শিকার হয়েছেন তার একটি উদাহরণ কী?
১৫ সময়ে সময়ে যিহোবার সাক্ষীরা প্রচার মাধ্যমের বিকৃত তথ্যের স্বীকার হয়েছেন? উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৭ সালের ১লা আগস্ট, একটি রুশ সংবাদপত্র একটি অপবাদমূলক প্রবন্ধ ছাপিয়েছিল আর তাতে অন্যান্য বিষয়গুলির সঙ্গে এই বিষয়টিও বলা হয়েছিল যে সাক্ষীরা তাদের সদস্যদের কাছ থেকে দাবি করেন যেন তারা ‘তাদের স্ত্রী, স্বামী ও বাবামাকে পরিত্যাগ করেন যদি তারা তাদের বিশ্বাসকে না বোঝেন ও তাতে অংশ না নেন।’ যারা যিহোবার সাক্ষীদের সঙ্গে বেশ ভালভাবে পরিচিত তারা জানেন, অভিযোগটি মিথ্যা। বাইবেল বলে, খ্রীষ্টানদেরকে পরিবারের অবিশ্বাসী সদস্যদের সঙ্গে প্রেম ও সম্মানপূর্বক আচরণ করতে হবে আর সাক্ষীরা সেই নির্দেশ পালন করার জন্য প্রাণপণ করেন। (১ করিন্থীয় ৭:১২-১৬; ১ পিতর ৩:১-৪) কিন্তু তারপরও, প্রবন্ধটি ছাপা হয়েছিল এবং সেটি পড়ে অনেক পাঠকপাঠিকা ভুল তথ্য পেয়েছিলেন। আমরা যখন মিথ্যা অভিযোগের শিকার হই তখন আমরা কিভাবে আমাদের বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করতে পারি?
১৬, ১৭ এবং ১৬ পৃষ্ঠার বাক্স। (ক) প্রচার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্যের প্রতি সাড়া দেওয়ার বিষয়ে প্রহরীদুর্গ একবার কী বলেছিল? (খ) কোন্ পরিস্থিতিগুলিতে হয়তো যিহোবার সাক্ষীরা প্রচার মাধ্যমের নেতিবাচক সংবাদগুলির প্রতি সাড়া দিতে পারেন?
১৬ এইক্ষেত্রেও, “নীরব থাকিবার কাল ও কথা কহিবার কাল” আছে। একবার প্রহরীদুর্গ এটিকে এভাবে প্রকাশ করেছিল: “সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত মিথ্যা তথ্যকে আমরা তুচ্ছ জ্ঞান করব অথবা উপযুক্ত উপায়ে সত্যকে রক্ষা করব, তা নির্ভর করে পরিস্থিতির উপরে, অর্থাৎ সমালোচনার প্ররোচক এবং তার লক্ষ্যের উপর।” কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক সংবাদগুলিকে উপেক্ষা করাই সবচেয়ে ভাল উপায় হতে পারে কারণ তা করলে মিথ্যা তথ্য আরও বেশি প্রচারিত হওয়ার সুযোগ পায় না।
১৭ কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি হয়তো “কথা কহিবার কাল।” একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক কিংবা সংবাদদাতা হয়তো যিহোবার সাক্ষীদের সম্বন্ধে ভুল তথ্য পেয়েছেন আর তারা হয়তো আমাদের সম্বন্ধে সঠিক তথ্য জানতে আগ্রহী হতে পারেন। (“এক বিকৃত উপস্থাপনাকে সংশোধন করা” বাক্সটি দেখুন।) যদি প্রচার মাধ্যমের নেতিবাচক সংবাদ প্রতিকূল ধারণার সৃষ্টি করে যা আমাদের প্রচার কাজে বাধা দেয়, তাহলে ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির শাখা অফিসের প্রতিনিধিরা কিছু উপযুক্ত উপায়ে সত্যের পক্ষ সমর্থন করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেন।b উদাহরণস্বরূপ, যোগ্য প্রাচীনদের হয়তো প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য নিযুক্ত করা হতে পারে, যেমন কোন টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে, যেখানে উপস্থিত না হওয়ার মানে হয়তো দাঁড়াবে যে যিহোবার সাক্ষীদের কাছে কোন উত্তর নেই। প্রত্যেক সাক্ষী এইধরনের বিষয়গুলিতে, ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটি এবং এর প্রতিনিধিদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজ্ঞতার সঙ্গে সহযোগিতা করেন।—ইব্রীয় ১৩:১৭.
আইনগতভাবে সুসমাচারের পক্ষ সমর্থন করা
১৮. (ক) প্রচার করার জন্য কেন আমাদের মানব সরকারগুলির অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই? (খ) প্রচার করার অনুমতি দেওয়া না হলে আমরা কোন্ পদ্ধতি অবলম্বন করি?
১৮ ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার অধিকার আমরা স্বর্গ থেকে পেয়েছি। যীশু, যিনি আমাদের এই কাজে নিযুক্ত করেছিলেন, তাঁকে ‘স্বর্গের ও পৃথিবীর সমস্ত কর্ত্তৃত্ব’ দেওয়া হয়েছে। (মথি ২৮:১৮-২০; ফিলিপীয় ২:৯-১১) সুতরাং, প্রচার করার জন্য আমাদের মানব সরকারগুলির অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপরও, আমরা স্বীকার করি যে ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকলে রাজ্যের বার্তা প্রচার করতে অনেক সুবিধা হয়। যে দেশগুলিতে আমাদের উপাসনা করার স্বাধীনতা আছে সেখানে আমরা এটিকে সমর্থন করার জন্য আইনের আশ্রয় নেব। যেখানে এইধরনের স্বাধীনতা নেই সেখানে আমরা আইনগত কাঠামোর মধ্যে তা পাওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাব। আমাদের উদ্দেশ্য সমাজের সংস্কারসাধন নয় কিন্তু ‘সুসমাচারের পক্ষসমর্থন ও প্রতিপাদন’ করা।c—ফিলিপীয় ১:৭.
১৯. (ক) “ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে” দেওয়ার ফল হয়তো কী হতে পারে? (খ) আমাদের দৃঢ়সংকল্প কী?
১৯ যিহোবার সাক্ষী হিসাবে আমরা যিহোবাকে নিখিলবিশ্বের সার্বভৌম কর্তা বলে স্বীকার করি। তাঁর আইনই সর্বোচ্চ। আমরা নৈতিকভাবে মানব সরকারগুলির আদেশ মেনে চলি আর এভাবেই “কৈসরের যাহা যাহা, কৈসরকে” দিই। কিন্তু “ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে” দেওয়া—আমাদের এই অধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে আমরা কোন বাধাই মানব না। (মথি ২২:২১) আমরা ভালভাবেই জানি যে এর জন্য আমরা জাতিগুলির কাছে “ঘৃণিত” হব কিন্তু এটিকে আমরা শিষ্য হওয়ার মূল্য হিসাবে মেনে নিই। এই বিংশ শতাব্দীতে যিহোবার সাক্ষীদের আইনসংক্রান্ত নথি, বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করা সম্বন্ধে আমাদের দৃঢ়সংকল্পের সাক্ষ্য দেয়। যিহোবার সাহায্য ও সমর্থনে আমরা ‘ক্ষান্ত না হয়ে উপদেশ দেব এবং সুসমাচার প্রচার করে যাব।’—প্রেরিত ৫:৪২.
[পাদটীকাগুলো]
a সম্পূর্ণ বাইবেলের উপর ম্যাথিউ হ্যানরির মন্তব্য (ইংরাজি) ব্যাখ্যা করে যে যিহূদী বিরোধীরা “জেনেশুনে এইধরনের [পরজাতীয়দের] কাছে গিয়েছিলেন যারা তাদের সামান্যই চিনত এবং তারা নিজেদের তৈরি মিথ্যা ধারণা কিংবা বিদ্বেষ তাদেরকে বলেছিলেন যাতে সেই লোকেদের মধ্যে খ্রীষ্টধর্মের প্রতি কেবল ঘৃণাই নয় সেইসঙ্গে এক আপত্তিজনক ধারণাও গড়ে উঠে।”
b রুশ সংবাদপত্রে (১৫ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত) অপবাদমূলক প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর, যিহোবার সাক্ষীরা প্রবন্ধে উল্লেখিত মিথ্যা অভিযোগগুলি পুনরায় পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে প্রেসিডেনসিয়াল জুডিসিয়াল চেম্বার ফর ইনফরমেশনাল ডিসপুটস অফ দ্যা রাশিয়ান ফেডারেশনে আবেদন করেছিলেন। সম্প্রতি আদালত এইধরনের মানহানিকর প্রবন্ধ ছাপানোর জন্য ওই সংবাদপত্রের প্রতি শাস্তির রায় ঘোষণা করেছে।—১৯৯৮ সালের ২২শে নভেম্বর সংখ্যার সচেতন থাক! (ইংরাজি) পত্রিকার ২৬-৭ পৃষ্ঠা দেখুন।
c ১৯-২২ পৃষ্ঠায় “আইনগতভাবে সুসমাচারকে সমর্থন করা” প্রবন্ধটি দেখুন।
আপনার কি স্মরণে আছে
◻ কেন যিহোবার সাক্ষীরা “ঘৃণিত”?
◻ যারা আমাদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন তাদেরকে আমাদের কিভাবে দেখা উচিত?
◻ বিরোধীদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে, যীশু কোন্ ভারসাম্যপূর্ণ উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন?
◻ আমাদের সম্বন্ধে যখন কলঙ্ক রটানো হয়, তখন আমরা কিভাবে এই নীতিটি প্রয়োগ করতে পারি যে “নীরব থাকিবার কাল, ও কথা কহিবার কাল” আছে?
[১৬ পৃষ্ঠার বাক্স]
এক বিকৃত উপস্থাপনাকে সংশোধন করা
“বলিভিয়ার ইয়াকুইবায়, এক স্থানীয় প্রচারক দল টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে এমন একটি চলচ্চিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন যা স্পষ্টতই ধর্মভ্রষ্টরা তৈরি করেছিল। ওই কার্যক্রমের নেতিবাচক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে, প্রাচীনেরা দুটি টেলিভিশন কেন্দ্রে যান এবং তাদেরকে যিহোবার সাক্ষীবৃন্দ—নামের পিছনে সংগঠনটি এবং বাইবেল—সত্য ঘটনা এবং ভবিষ্যদ্বাণীর একটি বই ভিডিওগুলি জনসাধারণকে দেখানোর জন্য টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সোসাইটির ভিডিওগুলি দেখার পর, একটি বেতার কেন্দ্রের মালিক ধর্মভ্রষ্টদের কার্যক্রমের বিকৃত উপস্থাপনায় রেগে যান এবং যিহোবার সাক্ষীদেরকে তাদের আসন্ন জেলা সম্মেলন সম্বন্ধে বেতার থেকে বিনামূল্যে সংক্ষিপ্ত ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। উপস্থিতির সংখ্যা স্বাভাবিক মাত্রাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং অনেক সৎহৃদয়বান ব্যক্তিরা আন্তরিক প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যখন সাক্ষীরা পরিচর্যার সময় তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।”—যিহোবার সাক্ষীদের ১৯৯৭ সালের বর্ষপুস্তক, (ইংরাজি) পৃষ্ঠা ৬১-২.
[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
একবার, যীশু তাঁর সমালোচনাকারীদের মিথ্যা অভিযোগগুলি প্রকাশ্যে খণ্ডন করেছিলেন