ঈশ্বর বয়স্ক ব্যক্তিদের যত্ন নিয়ে থাকেন
বর্তমানে সর্বত্র বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তা অবাক হওয়ার কোনো বিষয় নয়। অনেক আগেই বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, এই অধার্মিক ব্যবস্থার “শেষ কালে,” লোকেরা “আত্মপ্রিয়, . . . স্নেহরহিত” হবে। (২ তীমথিয় ৩:১-৩) যে-গ্রিক শব্দকে ‘স্নেহ’ হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, তা সেই ভালবাসাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যা সাধারণত পরিবারগুলোর মধ্যে বিদ্যমান থাকে। বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মিল রেখে, বর্তমানে লক্ষণীয়ভাবে এই ধরনের স্নেহের অভাব দেখা যায়।
বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে যারা দুর্ব্যবহার করে, তাদের পুরোপুরি বৈসাদৃশ্যে, যিহোবা ঈশ্বর বৃদ্ধদের খুবই মূল্যবান বলে মনে করেন এবং যত্ন নিয়ে থাকেন। বাইবেলে এটা যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা বিবেচনা করুন।
“বিধবাদের বিচারকর্ত্তা”
বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য যিহোবা ঈশ্বরের চিন্তা ইব্রীয় শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, গীতসংহিতা ৬৮:৫ পদে দায়ূদ ঈশ্বরকে “বিধবাদের,” যারা প্রায়ই বয়স্ক তাদের “বিচারকর্ত্তা” বলে অভিহিত করেন।a অন্যান্য বাইবেল অনুবাদে, “বিচারকর্ত্তা” শব্দটিকে “সমর্থক,” “রক্ষক” এবং “পক্ষগ্রহণকারী” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, যিহোবা বিধবাদের যত্ন নিয়ে থাকেন। বস্তুত, বাইবেল বলে যে, তাদের সঙ্গে যদি দুর্ব্যবহার করা হয়, তা হলে তাঁর ক্রোধ প্রজ্বলিত হয়। (যাত্রাপুস্তক ২২:২২-২৪) বিধবাদের—এবং সমস্ত বিশ্বস্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে—ঈশ্বর ও তাঁর দাসেরা খুবই মূল্যবান বলে মনে করে। হিতোপদেশ ১৬:৩১ পদ যিহোবা ঈশ্বর এবং তাঁর লোকেদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করে, যখন এটি জানায়: “পক্ব কেশ শোভার মুকুট; তাহা ধার্ম্মিকতার পথে পাওয়া যায়।”
এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান দেখানো, ইস্রায়েলীয়দেরকে দেওয়া যিহোবার ব্যবস্থার একটা মৌলিক বিষয় ছিল। ইস্রায়েলীয়দের আদেশ দেওয়া হয়েছিল: “তুমি পক্বকেশ প্রাচীনের সম্মুখে উঠিয়া দাঁড়াইবে, বৃদ্ধ লোককে সমাদর করিবে, ও আপন ঈশ্বরের প্রতি ভয় রাখিবে; আমি সদাপ্রভু।” (লেবীয় পুস্তক ১৯:৩২) তাই, ইস্রায়েলে বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান দেখানো, যিহোবা ঈশ্বরের সঙ্গে একজনের সম্পর্কের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। একজন ব্যক্তি যদি বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন, তা হলে তিনি বলতে পারতেন না যে, তিনি ঈশ্বরকে ভালবাসেন।
খ্রিস্টানরা মোশির ব্যবস্থার অধীন নয়। কিন্তু, তারা ‘খ্রীষ্টের ব্যবস্থার’ অধীন, যেটি তাদের আচারব্যবহার ও মনোভাবের ওপর এক বিরাট প্রভাব ফেলে আর এর অন্তর্ভুক্ত হল, বাবামা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি ভালবাসা ও চিন্তা দেখানো। (গালাতীয় ৬:২; ইফিষীয় ৬:১-৩; ১ তীমথিয় ৫:১-৩) আর খ্রিস্টানরা শুধুমাত্র তাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে বলেই ভালবাসা দেখায় না কিন্তু তারা হৃদয় থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তা দেখিয়ে থাকে। “অন্তঃকরণে পরস্পর একাগ্র ভাবে প্রেম কর,” প্রেরিত পিতর জোরালোভাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন।—১ পিতর ১:২২.
বয়স্ক ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়া সম্বন্ধে শিষ্য যাকোব আমাদের আরও কারণ জোগান। তিনি লিখেছিলেন: “ক্লেশাপন্ন পিতৃমাতৃহীনদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করা, এবং সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে শুচি ও বিমল ধর্ম্ম।” (যাকোব ১:২৭) যাকোব এক মর্মস্পর্শী বিষয় তুলে ধরেন। এই প্রিয় ব্যক্তিরা যে যিহোবার কাছে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিষয়ে এটা আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
তাই, বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে শুধুমাত্র দুর্ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই যথেষ্ট নয়। বরং, ইতিবাচক কাজগুলো সম্পাদন করার দ্বারা তাদের প্রতি আমাদের সক্রিয় চিন্তা দেখানো উচিত। (৬-৭ পৃষ্ঠায় “প্রেম কার্যরত” নামক বাক্সটা দেখুন।) যাকোব লিখেছিলেন: ‘কর্ম্মবিহীন বিশ্বাস মৃত।’—যাকোব ২:২৬.
‘ক্লেশাপন্নদের’ সান্ত্বনা দিন
যাকোবের কথাগুলো থেকে আরেকটা বিষয় শেখা যায়। লক্ষ করুন যে, যাকোব খ্রিস্টানদের “ক্লেশাপন্ন” বিধবাদের তত্ত্বাবধান করতে বলেছিলেন। যে-গ্রিক শব্দটিকে ‘ক্লেশ’ হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে তা মূলত দুর্দশা, যন্ত্রণা, কষ্টভোগ করাকে বোঝায়, যা আমাদের জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আসা চাপগুলোর দরুন ভোগ করতে হয়। কোনো সন্দেহ নেই যে, বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই এই ধরনের দুর্দশা ভোগ করে থাকে। কেউ কেউ নিঃসঙ্গবোধ করে। অন্যেরা বার্ধক্যের ফলে আসা সীমাবদ্ধতাগুলোর দরুন হতাশ হয়ে পড়ে। এমনকি যারা ঈশ্বরের সেবায় বেশ সক্রিয়, তারাও হয়তো নিরুৎসাহিত হয়ে পড়তে পারে। চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঈশ্বরের রাজ্যের একজন বিশ্বস্ত ঘোষণাকারী, জনেরb কথা বিবেচনা করুন, যিনি এই চল্লিশ বছরের মধ্যে বিগত ত্রিশ বছর পূর্ণসময়ের পরিচর্যায় ব্যয় করেছেন। এখন ৮০-র কোঠায় বয়সি জন স্বীকার করেন যে, মাঝেমধ্যে তিনি নিরুৎসাহবোধ করেন। তিনি বলেন: “আমি প্রায়ই অতীতের দিনগুলোর কথা গভীরভাবে চিন্তা করি এবং আমার ভুলগুলোর, অসংখ্য ভুলের কথা মনে পড়ে যায়। আমার বার বারই মনে হয় যে, আমি আরেকটু ভাল করতে পারতাম।”
এই ধরনের ব্যক্তিরা এটা জেনে সান্ত্বনা পেতে পারে যে, যিহোবা যদিও সিদ্ধ কিন্তু তিনি আমাদের কাছ থেকে সিদ্ধতা আশা করেন না। যদিও তিনি আমাদের ভুলগুলো সম্বন্ধে অবগত আছেন কিন্তু বাইবেল তাঁর সম্বন্ধে বলে: “হে সদাপ্রভু, তুমি যদি অপরাধ সকল ধর, তবে, হে প্রভু, কে দাঁড়াইতে পারিবে?” (গীতসংহিতা ১৩০:৩) হ্যাঁ, যিহোবা আমাদের ভুলগুলোকে ছাড়িয়ে আরও বেশি কিছু দেখেন এবং তিনি আমাদের হৃদয়ে কী আছে, তা উপলব্ধি করেন। আমরা কীভাবে এটা জানি?
রাজা দায়ূদ যিনি পাপ করেছিলেন ও অসিদ্ধ ছিলেন, তিনি ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে গীতসংহিতা ১৩৯:১-৩ পদে লিপিবদ্ধ এই কথাগুলো লিখেছিলেন: “হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে অনুসন্ধান করিয়াছ, আমাকে জ্ঞাত হইয়াছ। তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ। তুমি আমার পথ ও আমার শয়ন তদন্ত করিতেছ, আমার সমস্ত পথ ভালরূপে জান।” এখানে, “তদন্ত করিতেছ” বাক্যাংশটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে “ছাঁকা,” ঠিক যেভাবে একজন কৃষক শস্য থেকে তুষ পৃথক করেন। ঐশিক অনুপ্রেরণায়, দায়ূদ আমাদের আশ্বাস দেন যে, যিহোবা জানেন কীভাবে আমাদের ভাল কাজগুলোকে ছাঁকতে এবং তাঁর স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়।
যত দিন পর্যন্ত আমরা আমাদের করুণাময় স্বর্গীয় পিতার প্রতি বিশ্বস্ত থাকি, ততদিন পর্যন্ত তিনি আমাদের ভাল কাজগুলোকে স্মরণে রাখেন এবং খুবই মূল্যবান বলে গণ্য করেন। বস্তুত, বাইবেল বলে যে, আমাদের কাজ ও তাঁর নামের প্রতি প্রদর্শিত আমাদের প্রেম ভুলে যাওয়াকে তিনি এক অন্যায় কাজ হিসেবে দেখবেন।—ইব্রীয় ৬:১০.
“প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল”
বাইবেল দেখায় যে, বার্ধক্যের সমস্যাগুলো মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল তা নয়। প্রথম মানব-মানবী, আমাদের আদি পিতামাতা তাদের সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরই, বার্ধক্যের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো মানব জীবনের অংশ হয়ে উঠেছিল। (আদিপুস্তক ৩:১৭-১৯; রোমীয় ৫:১২) এটা চিরকাল ধরে চলবে না।
ইতিমধ্যেই যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে আমরা যে-মন্দ পরিস্থিতিগুলো ভোগ করছি—যার মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা—সেগুলো প্রমাণ দেয় যে, আমরা এই বিধিব্যবস্থার “শেষ কালে” বাস করছি। (২ তীমথিয় ৩:১) ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হল, পাপের প্রভাবগুলোকে দূর করা, যার অন্তর্ভুক্ত বার্ধক্যের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো ও মৃত্যু। বাইবেল বলে: “[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪.
ঈশ্বরের নতুন জগতে, বার্ধক্যের যন্ত্রণা অতীতের বিষয় হবে। বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাও একইভাবে অতীতের বিষয় হবে। (মীখা ৪:৪) এমনকি যারা মারা গিয়েছে এবং ঈশ্বরের স্মৃতিতে রয়েছে, তাদেরকে জীবনে ফিরিয়ে আনা হবে, যাতে তারাও এক পরমদেশ পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকার সুযোগ পায়। (যোহন ৫:২৮, ২৯) সেই সময়ে, আগের চেয়ে আরও বেশি করে এটা স্পষ্ট হবে যে, যিহোবা ঈশ্বর কেবল বয়স্ক ব্যক্তিদেরই যত্ন নেন না কিন্তু যারা তাঁর বাধ্য, তাদের সকলের যত্ন নিয়ে থাকেন।
[পাদটীকাগুলো]
a অবশ্য, কিছু বিধবা বয়স্ক নয়। উদাহরণস্বরূপ, ঈশ্বর যে অল্পবয়সি বিধবাদেরও যত্ন নিয়ে থাকেন, এই বিষয়টা লেবীয় পুস্তক ২২:১৩ পদে দেখতে পাওয়া যায়।
b তার আসল নাম নয়।
[৬, ৭ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]
প্রেম কার্যরত
যিহোবার সাক্ষিদের মাঝে, মণ্ডলীর প্রাচীনরা বয়স্ক ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। তারা প্রেরিত পিতরের এই পরামর্শকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকে: “তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর।” (১ পিতর ৫:২) ব্যবহারিক উপায়গুলোর মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়া হল ঈশ্বরের পালের যত্ন নেওয়ার অংশ। কিন্তু এর সঙ্গে কী জড়িত থাকতে পারে?
একজন বয়স্ক ব্যক্তির প্রয়োজনগুলো সম্বন্ধে পুরোপুরিভাবে অবগত হওয়ার জন্য ধৈর্যের এবং সম্ভবত বেশ কয়েক বার তার সঙ্গে দেখা করা ও সেইসঙ্গে বন্ধুর মতো কথাবার্তা বলা দরকার। হয়তো কেনাকাটা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে, খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যাওয়া-আসার জন্য পরিবহণের, বাইবেল ও খ্রিস্টীয় প্রকাশনাদি পড়ার ব্যাপারে এবং আরও অন্যান্য কাজে সাহায্যের প্রয়োজন। যেখানেই সম্ভব, ব্যবহারিক ও নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থাদি করা ও তা কাজে পরিণত করা উচিত।c
কিন্তু, মণ্ডলীতে একজন বয়স্ক ভাই অথবা বোন যদি চরম সংকটের মধ্যে থাকেন, সম্ভবত আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তা হলে কী? প্রথমত, তার কোনো সন্তান অথবা এমন অন্যান্য আত্মীয়স্বজন আছে কি না যারা সাহায্য করতে পারে, তা খুঁজে বের করা ভাল হবে। এটা ১ তীমথিয় ৫:৪ পদে বলা এই কথাগুলোর সঙ্গে মিল রাখবে: “যদি কোন বিধবার পুত্ত্র কি পৌত্ত্রগণ থাকে, তবে তাহারা প্রথমতঃ নিজ বাটীর লোকদের প্রতি ভক্তি প্রকাশ করিতে ও পিতামাতার প্রত্যুপকার করিতে শিক্ষা করুক; কেননা তাহাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে গ্রাহ্য।”
হতে পারে যে, সরকার বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য যে-সাহায্য জুগিয়ে থাকে, আইনত তিনি তা পেতে পারেন কি না সেটা নির্ধারণ করার ব্যাপারে বয়স্ক ব্যক্তিটির সাহায্যের প্রয়োজন। সম্ভবত মণ্ডলীতে কেউ কেউ সাহায্য করতে পারবে। এই উপায়গুলোর কোনোটাই যদি সম্ভবপর না হয়, তা হলে প্রাচীনরা নির্ধারণ করতে পারে যে, ব্যক্তিটি মণ্ডলী থেকে সাহায্য পাওয়ার যোগ্য কি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, প্রথম শতাব্দীর মণ্ডলীতে এটাকে অনুমোদন করা হয়েছিল, কারণ প্রেরিত পৌল তার সহকর্মী তীমথিয়কে লিখেছিলেন: “বিধবা বলিয়া কেবল তাহাকেই গণনা করা হউক, যাহার বয়স ষাট বৎসরের নীচে নয়, ও যাহার একমাত্র স্বামী ছিল, এবং যাহার পক্ষে নানা সৎকর্ম্মের প্রমাণ পাওয়া যায়; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করিয়া থাকে, যদি অতিথিসেবা করিয়া থাকে, যদি পবিত্রদিগের পা ধুইয়া থাকে, যদি ক্লিষ্টদিগের উপকার করিয়া থাকে, যদি সমস্ত সৎকর্ম্মের অনুসরণ করিয়া থাকে।”—১ তীমথিয় ৫:৯, ১০.
[পাদটীকা]
c আরও আলোচনার জন্য, ১৯৮৮ সালের ১৫ই জুলাই সংখ্যার প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) পত্রিকার “আমাদের বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রয়োজনগুলো মেটানো—এক খ্রিস্টীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা” নামক প্রবন্ধটি দেখুন।
[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
দর্কা অভাবী বিধবাদের যত্ন নিয়েছিলেন।—প্রেরিত ৯:৩৬-৩৯