খ্রীষ্টের ব্যবস্থা অনুসারে জীবনযাপন করা
“তোমরা পরস্পর এক জন অন্যের ভার বহন কর; এইরূপে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পালন কর।”—গালাতীয় ৬:২
১. কেন এটি বলা যেতে পারে যে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা আজকে উত্তমের জন্য এক শক্তিশালী প্রভাব?
রুয়াণ্ডায় হুটু ও টুট্সি যিহোবার সাক্ষীরা তাদের দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড থেকে একে অপরকে রক্ষা করার জন্য নিজেদের জীবন বিপদাপন্ন করেছিল। জাপানে, কোবের যিহোবার সাক্ষীরা, বিধ্বংসী ভূমিকম্পে যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছিল, তাদের বিপর্যয়ে তারা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তবুও, তারা তৎক্ষণাৎ অন্যান্য পীড়িত ব্যক্তিদের উদ্ধারের কাজে প্রণোদিত হয়েছিল। হ্যাঁ, পৃথিবীর চতুর্দিক থেকে আগত হৃদয়-উদ্রেককারী উদাহরণগুলি প্রদর্শন করে যে বর্তমানে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা কার্যকারী। উত্তম কিছুর জন্য এটি এক শক্তিশালী প্রভাব।
২. খ্রীষ্টীয় জগৎ কিভাবে খ্রীষ্টের ব্যবস্থার বিষয়গুলি হারিয়ে ফেলেছে এবং কিভাবে আমরা এই ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করতে পারি?
২ একই সময়ে, এই সংকটময় ‘শেষ কাল’ সম্বন্ধীয় বাইবেলের এক ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণতা লাভ করছে। অনেকেই “ভক্তির অবয়বধারী,” কিন্তু ‘তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে।’ (২ তীমথিয় ৩:১, ৫) বিশেষত খ্রীষ্টীয় জগতে ধর্ম প্রায়ই আচারসর্বস্ব এক বিষয়, যার সাথে হৃদয়ের কোন সম্পর্ক নেই। এটি কি এই কারণে যে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা অনুসারে জীবনযাপন করা খুব কষ্টসাধ্য? না। যীশু আমাদের এমন কোন ব্যবস্থা দেবেন না যা অনুসরণ করতে পারা যায় না। খ্রীষ্টীয় জগৎ খুব সহজে এই ব্যবস্থার মূল বিষয়টিকে হারিয়ে ফেলেছে। সে এই অনুপ্রাণিত বাক্যগুলি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে: “তোমরা পরস্পর এক জন অন্যের ভার বহন কর; এইরূপে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পালন কর।” (গালাতীয় ৬:২) আমরা ‘খ্রীষ্টের ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পালন করি’ একে অপরের ভার বহন করার দ্বারা, ফরীশীদের অনুকরণ করা এবং অযৌক্তিকভাবে আমাদের ভাইয়েদের বোঝা বাড়ানোর দ্বারা নয়।
৩. (ক) কিছু আজ্ঞা কী যা খ্রীষ্টের ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত? (খ) কেন এই উপসংহারে পৌঁছান ভুল যে খ্রীষ্টের সরাসরি আজ্ঞাগুলি ব্যতীত খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর জন্য আর অন্য কোন নিয়ম থাকা উচিত নয়?
৩ খ্রীষ্টের ব্যবস্থা খ্রীষ্ট যীশুর সমস্ত আজ্ঞাকে অন্তর্ভুক্ত করে—তা সে প্রচার করা ও শিক্ষাদান সংক্রান্ত, চক্ষুকে শুদ্ধ ও সরল রাখার বিষয়, আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি রাখার জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে অথবা মণ্ডলী থেকে অপরিচ্ছন্নতা অপসারণ করা যাই হোক না কেন। (মথি ৫:২৭-৩০; ১৮:১৫-১৭; ২৮:১৯, ২০; প্রকাশিত বাক্য ২:১৪-১৬) বাস্তবিকই, খ্রীষ্টানেরা বাইবেলের সমস্ত নির্দেশ পালন করতে দায়িত্ববদ্ধ যা খ্রীষ্টের অনুগামী হতে পরিচালিত করে। এছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে। যিহোবার সংগঠন সেই সাথে মণ্ডলীগুলিতে উত্তম শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম ও পদ্ধতি স্থাপন করা প্রয়োজন। (১ করিন্থীয় ১৪:৩৩, ৪০) কারণ, খ্রীষ্টানেরা কখনই এমনকি একসাথে একত্র হতে পারত না যদি না তাদের কখন, কোথায় এবং কিভাবে এইধরনের সভাগুলি অনুষ্ঠিত হবে সে সম্বন্ধে কোন নিয়ম না থাকত! (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) সংগঠনে ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্থাপিত যুক্তিসঙ্গত নির্দেশনার সাথে সহযোগিতাও খ্রীষ্টের ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করার একটি অংশ।—ইব্রীয় ১৩:১৭.
৪. শুদ্ধ উপাসনার পিছনে অনুপ্রেরণাদায়ক শক্তিটি কী?
৪ যাইহোক, সত্য খ্রীষ্টানেরা তাদের উপাসনাকে ব্যবস্থার এক অর্থহীন পরিকাঠামোতে পরিণত হতে দেয় না। তারা কেবলমাত্র কিছু ব্যক্তি অথবা সংগঠন তাদের তা করতে বলেছে সেই কারণে যিহোবার সেবা করে না। বরং তাদের উপাসনার পশ্চাতে অনুপ্রেরণাদায়ক শক্তিটি হচ্ছে প্রেম। পৌল লিখেছিলেন: “খ্রীষ্টের প্রেম আমাদিগকে বশে রাখিয়া চালাইতেছে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (২ করিন্থীয় ৫:১৪, পাদটীকা, NW) যীশু তাঁর অনুগামীদের আদেশ দিয়েছিলেন পরস্পরকে প্রেম করতে। (যোহন ১৫:১২, ১৩) আত্ম-ত্যাগমূলক প্রেম খ্রীষ্টের ব্যবস্থার ভিত্তি এবং এটি সর্বস্থানে, পরিবার ও মণ্ডলী উভয় ক্ষেত্রেই সত্য খ্রীষ্টানদের বশে রাখে অথবা পরিচালিত করে। আসুন আমরা দেখি তা কিভাবে করে।
পরিবারে
৫. (ক) কিভাবে পিতামাতারা গৃহেতে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করতে পারেন? (খ) পিতামাতাদের কাছ থেকে সন্তানদের কিসের প্রয়োজন আছে এবং এটি প্রদান করতে কিছু পিতামাতাকে কোন্ বাধাগুলি অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে?
৫ প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন।” (ইফিষীয় ৫:২৫) যখন এক স্বামী খ্রীষ্টকে অনুকরণ করেন ও প্রেম এবং বোধগম্যতার সাথে তার স্ত্রীর প্রতি ব্যবহার করেন, তখন তিনি খ্রীষ্টের ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক পরিপূর্ণ করেন। এছাড়া যীশু প্রকাশ্যে ছোট শিশুদের প্রতিও স্নেহ দেখিয়েছিলেন, তাদের কোলে নিয়ে, তাদের মাথার উপর হাত রেখে তাদের আশীর্বাদ করেছিলেন। (মার্ক ১০:১৬) পিতামাতারা যারা খ্রীষ্টের ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করেন তারাও তাদের সন্তানদের প্রতি স্নেহ দেখান। এটা সত্য যে কিছু পিতামাতা আছেন যারা এই ক্ষেত্রে যীশুর উদাহরণ অনুকরণ করাকে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাস্বরূপ বলে মনে করে থাকেন। কিছুজন হয়ত প্রকৃতিগতভাবে তা দেখাতে পারেন না। পিতামাতারা, এইধরনের মনোবৃত্তি যেন আপনাকে আপনার সন্তানদের জন্য আপনি যে ভালবাসা অনুভব করেন তা দেখাতে বিরত না করে! আপনার জন্য এটুকু জানাই যথেষ্ট নয় যে আপনি আপনার সন্তানদের ভালবাসেন। তাদেরও এটি অবশ্যই জানার প্রয়োজন আছে। আর তারা তা জানতে পারবে না যতক্ষণ না আপনি তাদের ভালবাসা দেখানোর জন্য উপায় খুঁজে নিচ্ছেন।—তুলনা করুন মার্ক ১:১১.
৬. (ক) সন্তানদের কি পিতামাতার কাছ থেকে নিয়মের প্রয়োজন আছে এবং কেন আপনি এইপ্রকার উত্তর দেবেন? (খ) গৃহের নিয়মের কোন সুপ্ত কারণ সন্তানদের আত্মস্থ করার প্রয়োজন আছে? (গ) যখন গৃহেতে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা বিরাজমান হয় তখন কোন্ বিপদগুলি এড়ানো যায়?
৬ একই সময়ে, সন্তানদেরও নির্দেশনার প্রয়োজন হয়ে থাকে, যার অর্থ যে তাদের পিতামাতার কিছু নিয়ম স্থাপন করা এবং কখনও কখনও এই নিয়মকে শাসন দ্বারা প্রয়োগ করা প্রয়োজন। (ইব্রীয় ১২:৭, ৯, ১১) এমনকি সন্তানদের অবশ্যই ধীরে ধীরে এই নিয়মগুলির অন্তর্নিহিত কারণ দেখাতে সাহায্য করতে হবে: যা বোঝায় যে তাদের পিতামাতারা তাদের ভালবাসেন। আর তাদের অবশ্যই শেখা প্রয়োজন যে তাদের জন্য পিতামাতার বাধ্য হওয়ার সর্বোত্তম কারণ হচ্ছে ভালবাসা। (ইফিষীয় ৬:১; কলসীয় ৩:২০; ১ যোহন ৫:৩) এক বিচক্ষণ পিতামাতার লক্ষ্য হবে তাদের শিশুদের “যুক্তি করার ক্ষমতা” ব্যবহার করতে শিক্ষা দেওয়া যাতে করে পরবর্তী সময়ে তারা তাদের নিজেদের সম্বন্ধে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। (রোমীয় ১২:১, NW; তুলনা করুন ১ করিন্থীয় ১৩:১১.) অপরদিকে, নিয়ম অসংখ্য অথবা শাসন রূঢ় হওয়া উচিত নয়। পৌল বলেন: “পিতারা, তোমরা আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, পাছে তাহাদের মনোভঙ্গ হয়।” (কলসীয় ৩:২১; ইফিষীয় ৬:৪) যখন খ্রীষ্টের ব্যবস্থা গৃহেতে প্রভাববিস্তারকারী হয়, তখন অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধসহ শাসনের অথবা ক্ষতিকর তীব্র ব্যঙ্গের কোন স্থান থাকে না। এইপ্রকার এক গৃহে সন্তানেরা নিজেদের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ্য অনুভব করে, ভারগ্রস্ত অথবা বিচূর্ণ হয় না।—তুলনা করুন গীতসংহিতা ৩৬:৭.
৭. গৃহে নিয়ম স্থাপন করার সময় কোন্ ভাবে বেথেল গৃহ হয়ত এক উদাহরণ প্রদান করতে পারে?
৭ যে সমস্ত ব্যক্তিরা পৃথিবীব্যাপী বেথেল পরিবারগুলি পরিদর্শন করেছেন, বলেন যে একটি পরিবারের জন্য নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে এগুলি এক ভারসাম্যপূর্ণ উত্তম উদাহরণ। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এর অন্তর্গত কিন্তু, এই প্রতিষ্ঠানগুলি অনেকাংশে পরিবারের মত কাজ করে।a বেথেলের কার্যধারা জটিল ও সেইকারণে বেশকিছু সংখ্যক নিয়মাবলীর প্রয়োজন—নিশ্চিতভাবেই সাধারণ পরিবারগুলির চেয়ে অনেক বেশি। তবুও, যে প্রাচীনেরা বেথেল গৃহ, অফিস এবং কারখানার কার্য পরিচালনায় নেতৃত্ব নিয়ে থাকেন, তারা খ্রীষ্টের ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে প্রচেষ্টা করেন। কেবলমাত্র কাজ সংগঠিত করা নয়, কিন্তু আধ্যাত্মিক অগ্রগতি ও সহকর্মীদের মধ্যে “যিহোবাতে যে আনন্দ” তার উন্নতিসাধন করার ক্ষেত্রেও তারা এটিকে তাদের কার্যভার হিসাবে দেখে থাকেন। (নহিমিয় ৮:১০, NW) সুতরাং, তারা সমস্ত বিষয় এক ইতিবাচক ও উৎসাহমূলক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে প্রচেষ্টা করে থাকেন এবং যুক্তিবাদী হতে চেষ্টা করেন। (ইফিষীয় ৪:৩১, ৩২) আশ্চর্যের বিষয় নয় যে বেথেল পরিবারগুলি তাদের আনন্দপূর্ণ মনোভাবের জন্য সুপরিচিত!
মণ্ডলীতে
৮. (ক) মণ্ডলীতে সর্বদা আমাদের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত? (খ) কোন পরিস্থিতিতে কিছুজন নিয়মের জন্য জিজ্ঞাসা অথবা নিয়ম তৈরি করতে চেষ্টা করতে পারেন?
৮ মণ্ডলীর ক্ষেত্রেও অনুরূপভাবে আমাদের লক্ষ্য হবে পরস্পরকে প্রেমের মনোভাব দ্বারা গেঁথে তোলা। (১ থিষলনীকীয় ৫:১১) সুতরাং সকল খ্রীষ্টানদের, ব্যক্তিগত নির্বাচনের বিষয়ে তাদের নিজেদের ধারণা অন্যের উপর চাপিয়ে অন্যদের বোঝা না বাড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। কখনও কখনও, কিছুজন ওয়াচ টাওয়ার সমিতিকে লিখে এইধরনের কিছু বিষয়ের নিয়ম সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে থাকে যেমন নির্দিষ্ট কিছু চলচিত্র, বই এবং এমনকি খেলনা প্রভৃতি বিষয়গুলির প্রতি তাদের কী দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিত। কিন্তু, সমিতি এই প্রকার বিষয়গুলিকে পরীক্ষা করা এবং সেগুলির উপর বিচার করার অধিকারী নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, এই বিষয়গুলি হচ্ছে সেই ক্ষেত্র যেখানে ব্যক্তি নিজে অথবা পরিবারের মস্তকের তার বাইবেলের নীতিগুলির প্রতি প্রেমের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অন্যেরা আবার সমিতির পরামর্শ ও নির্দেশনাকে নিয়মে পরিণত করার প্রবণতা দেখিয়ে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৬ সালের মার্চ ১৫, প্রহরীদুর্গ সংখ্যায় একটি সুন্দর প্রবন্ধ ছিল, যেখানে প্রাচীনদের উৎসাহিত করা হয়েছিল নিয়মিতভাবে মণ্ডলীর সদস্যদের পালনার্থে সাক্ষাৎ করতে। এটি কি নিয়ম স্থাপন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল? না। যদিও এই পরামর্শটি যারা অনুসরণ করতে পেরেছিলেন তারা অনেক উপকার দেখতে পেয়েছিলেন, কিন্তু, কিছু প্রাচীন তা প্রয়োগ করার মত পরিস্থিতিতে ছিলেন না। একইভাবে, ১৯৯৫ সালের এপ্রিল ১, প্রহরীদুর্গ সংখ্যার “পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল” প্রবন্ধটি চরম পর্যায়ে যাওয়ার দ্বারা বাপ্তিস্ম অনুষ্ঠানটির গাম্ভীর্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল যেমন উশৃঙ্খল সমাবেশ অথবা বিজয় উৎসব পালন। কিছুজন এই বিজ্ঞ পরামর্শটিকে অত্যন্ত চরমভাবে গ্রহণ করেছিল, এমনকি এমন এক নিয়ম তৈরি করেছিল যে এই উপলক্ষে উৎসাহমূলক একটি কার্ড পাঠানোও অন্যায়!
৯. একে অপরের প্রতি খুব বেশি সমালোচক ও বিচারমূলক হওয়াকে এড়িয়ে চলা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
৯ এই বিষয়টিও বিবেচনা করুন, যদি ‘স্বাধীনতার সিদ্ধ ব্যবস্থা’ আমাদের মধ্যে বিরাজমান হয় আমরা অবশ্যই মেনে নেব যে সমস্ত খ্রীষ্টীয় বিবেক এক নয়। (যাকোব ১:২৫) যদি কোন ব্যক্তি এমন কোন ব্যক্তিগত মনোনয়ন নেয় যা শাস্ত্রীয় নীতিকে লঙ্ঘন করে না সেক্ষেত্রে আমরা কি সেটিকে বিচার্য বিষয় করে তুলব? না। আমাদের এইপ্রকার কাজ বিভেদজনক হবে। (১ করিন্থীয় ১:১০) যখন পৌল সহখ্রীষ্টানদের বিচার করার বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন: “নিজ প্রভুরই নিকটে হয় সে স্থির থাকে, নয় পতিত হয়। বরং তাহাকে স্থির রাখা যাইবে, কেননা প্রভু তাহাকে স্থির রাখিতে পারেন।” (রোমীয় ১৪:৪) যে বিষয়গুলি ব্যক্তির বিবেকের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত সে ক্ষেত্রে যদি আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলি তাহলে আমরা যিহোবাকে অসন্তুষ্ট করার ঝুঁকি নেব।—যাকোব ৪:১০-১২.
১০. কারা মণ্ডলীর তত্ত্বাবধানের কাজে নিযুক্ত এবং আমাদের কিভাবে তাদের সমর্থন করা উচিত?
১০ আসুন আমরা এই বিষয়েও স্মরণ করি যে, প্রাচীনেরা ঈশ্বরের পালের রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য নিযুক্ত। (প্রেরিত ২০:২৮) তারা সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। পরামর্শের জন্য আমাদের তাদের কাছে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা উচিত, কারণ তারা বাইবেলের ছাত্র এবং ওয়াচ টাওয়ার সমিতির প্রকাশনায় কী বিষয় আলোচিত হয়েছে তার সাথে সুপরিচিত। যখন প্রাচীনেরা দেখেন যে এমন কোন আচরণ যা সম্ভবত শাস্ত্রীয় নীতি লঙ্ঘন করতে পরিচালিত করবে তারা নির্ভয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। (গালাতীয় ৬:১) মণ্ডলীর সদস্যেরা খ্রীষ্টের ব্যবস্থা অনুসরণ করে এই প্রিয় পালকদের সাথে সহযোগিতা করে, যারা তাদের মধ্যে নেতৃত্ব নেন।—ইব্রীয় ১৩:৭.
প্রাচীনেরা খ্রীষ্টের ব্যবস্থা প্রয়োগ করেন
১১. কিভাবে প্রাচীনেরা মণ্ডলীতে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা প্রয়োগ করেন?
১১ প্রাচীনেরা মণ্ডলীতে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করার জন্য উৎসুক। তারা সুসমাচার প্রচার কাজে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, হৃদয়ে পৌঁছানোর উপযোগীভাবে বাইবেল থেকে শিক্ষা দেন এবং প্রেমময়, নম্র পালক হিসাবে “ক্ষীণসাহসদিগকে সান্ত্বনা” দেন। (১ থিষলনীকীয় ৫:১৪) তারা অখ্রীষ্টীয় মনোভাব এড়িয়ে চলেন যা খ্রীষ্টীয় জগতের অনেক ধর্মগুলিতে দেখা যায়। সত্যই, এই জগৎ দ্রুত অধঃপতিত হচ্ছে এবং পৌলের মতই প্রাচীনেরা পালের জন্য উদ্বেগ অনুভব করেন; কিন্তু এইপ্রকার বিষয়ে কাজ করার সময়ে তারা ভারসাম্য বজায় রাখেন।—২ করিন্থীয় ১১:২৮.
১২. যখন কোন খ্রীষ্টান সাহায্যের জন্য এক প্রাচীনের সম্মুখীন হয়, কিভাবে প্রাচীন সাড়া দিতে পারেন?
১২ উদাহরণস্বরূপ, একজন খ্রীষ্টান হয়ত এক প্রাচীনের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ করতে ইচ্ছুক হতে পারে যে সম্বন্ধে কোন সরাসরি শাস্ত্রীয় উল্লেখ পাওয়া যায় না অথবা যা বিভিন্ন খ্রীষ্টীয় নীতির মধ্যে ভারসাম্য আনার প্রয়োজনীয়তা দেখায়। সম্ভবত তাকে হয়ত কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি প্রদান করা হচ্ছে যার ফলে হয়ত এক বৃহৎ পরিমাণ বেতন পাওয়া যাবে, কিন্তু তার সাথে অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে। অথবা এক যুবক খ্রীষ্টানের অবিশ্বাসী পিতা হয়ত তার ছেলের কাছ থেকে এমন কিছু দাবি করছেন যা তার পরিচর্যাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্ত পরিস্থিতিতে প্রাচীন ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বরং, তিনি হয়ত বাইবেল খুলে সেই ব্যক্তিকে প্রাসঙ্গিক শাস্ত্রপদগুলি থেকে যুক্তি করতে সাহায্য করতে পারেন। যদি পাওয়া যায়, তিনি ওয়াচ টাওয়ার পাবলিকেশন ইনডেক্স ব্যবহার করতে পারেন, এটি নির্দেশ করতে যে “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্ দাস” এই বিষয়ে প্রহরীদুর্গ ও অন্যান্য প্রকাশনার পৃষ্ঠাগুলিতে কী বলেছেন। (মথি ২৪:৪৫) কিন্তু সে ক্ষেত্রে কী যখন এরপর সেই খ্রীষ্টান কোন সিদ্ধান্ত নেয় যা প্রাচীনের কাছে বিজ্ঞ বলে মনে হয় না? যদি সেই সিদ্ধান্ত সরাসরি বাইবেলের নীতি বা নিয়মকে লঙ্ঘন না করে, তাহলে সেই খ্রীষ্টান দেখবে যে এইপ্রকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাচীন ব্যক্তির অধিকারকে স্বীকৃতি দেন এটি জেনে যে “প্রত্যেক জন নিজ নিজ ভার বহন করিবে।” কিন্তু সেই খ্রীষ্টানের মনে রাখা উচিত যে “মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।”—গালাতীয় ৬:৫, ৭.
১৩. প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়া অথবা তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার পরিবর্তে কেন প্রাচীন অন্যদের সেই বিষয়টির উপর যুক্তি করতে সাহায্য করবেন?
১৩ কেন এক অভিজ্ঞ প্রাচীন এইভাবে কাজ করেন? অন্তত দুটি কারণের জন্য। প্রথমত, পৌল একটি মণ্ডলীকে বলেছিলেন যে তিনি ‘বিশ্বাসের উপর প্রভুত্বকারী’ নন। (২ করিন্থীয় ১:২৪) প্রাচীন, শাস্ত্র থেকে যুক্তি করাতে ও তার নিজস্ব বুদ্ধিসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে তার ভাইকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে পৌলের মনোভাব অনুকরণ করেন। তিনি উপলদ্ধি করেন যে তার কর্তৃত্বের একটা সীমা আছে, ঠিক যেমন যীশু উপলব্ধি করেছিলেন যে তাঁর কর্তৃত্বের সীমা ছিল। (লূক ১২:১৩, ১৪; যিহূদা ৯) একই সময়ে, প্রাচীনেরা যেখানে প্রয়োজন সাহায্যকারী, এমনকি দৃঢ় আধ্যাত্মিক পরামর্শ প্রদান করতে প্রস্তুত থাকেন। দ্বিতীয়ত, তিনি তার সহখ্রীষ্টানকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “কঠিন খাদ্য সেই সিদ্ধবয়স্কদেরই জন্য, যাহাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল অভ্যাস প্রযুক্ত সদসৎ বিষয়ের বিচরণে পটু হইয়াছে।” (ইব্রীয় ৫:১৪) সুতরাং, পরিপক্বতার দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য আমাদের নিজেদের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল অভ্যাসের প্রয়োজন আছে, সবসময় উত্তরের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করা ঠিক নয়। কিভাবে শাস্ত্র থেকে যুক্তি করতে হয় সেবিষয়ে তার সহখ্রীষ্টানকে দেখানোর দ্বারা প্রাচীন তাকে অগ্রগতি করতে সাহায্য করেন।
১৪. কিভাবে পরিপক্ব ব্যক্তিরা দেখাতে পারেন যে তারা যিহোবার উপর আস্থা রাখেন?
১৪ আমরা বিশ্বাস রাখতে পারি যে যিহোবা ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে সত্য উপাসকদের হৃদয়কে প্রভাবিত করবেন। তাই, পরিপক্ব খ্রীষ্টানেরা তাদের ভাইয়েদের হৃদয় স্পর্শ করেন, যেমন প্রেরিত পৌল করেছিলেন সেইরকম সনির্বন্ধ অনুরোধ করার দ্বারা। (২ করিন্থীয় ৮:৮; ১০:১; ফিলিমন ৮, ৯) পৌল জানতেন যে এটি প্রধানত অধার্মিকদের জন্য, ধার্মিকদের জন্য নয়, যাদের উপযুক্তভাবে চলতে হলে বিস্তৃত ব্যবস্থার প্রয়োজন। (১ তীমথিয় ১:৯) তিনি ভাইয়েদের প্রতি বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন, সন্দেহ বা আস্থাহীনতা নয়। একটি মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছিলেন: “তোমাদের সম্বন্ধে প্রভুতে আমাদের এই দৃঢ় প্রত্যয় আছে।” (২ থিষলনীকীয় ৩:৪) পৌলের বিশ্বাস, আস্থা এবং প্রত্যয় নিশ্চয়ই সেই খ্রীষ্টানদের অনুপ্রাণিত করতে অনেকখানি ভূমিকা পালন করেছিল। বর্তমানে প্রাচীন ও ভ্রমণ অধ্যক্ষেরাও সমরূপ লক্ষ্য রাখেন। এই বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা কতই না সতেজতামূলক যখন তারা প্রেমপূর্ণভাবে ঈশ্বরের পালকে পালন করেন!—যিশাইয় ৩২:১, ২; ১ পিতর ৫:১-৩.
খ্রীষ্টের ব্যবস্থা অনুযায়ী জীবনযাপন করা
১৫. কিছু প্রশ্ন কী যা আমরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করতে পারি এটি দেখার জন্য যে আমরা আমাদের ভাইয়েদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা প্রয়োগ করছি অথবা করছি না?
১৫ আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা প্রয়োজন যে আমরা খ্রীষ্টের ব্যবস্থা অনুযায়ী জীবনযাপন এবং ব্যবস্থার উন্নতিবিধান করছি কি না। (২ করিন্থীয় ১৩:৫) প্রকৃতই, আমরা সকলেই এই বিষয় জিজ্ঞাসা করে উপকৃত হতে পারি: ‘আমি কি গঠনমূলক অথবা জটিল? আমি কি ভারসাম্যমূলক অথবা প্রচণ্ড? আমি কি অপরের প্রতি সুবিবেচনাপূর্ণ অথবা আমার নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে প্রচেষ্টা করি?’ যে বিষয়গুলির ক্ষেত্রে বাইবেল নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে না সেই ক্ষেত্রে তার ভাইয়ের কোন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত অথবা উচিত নয় সেই বিষয়ে এক খ্রীষ্টান কর্তৃত্বকারী হওয়ার চেষ্টা করবেন না।—রোমীয় ১২:১; ১ করিন্থীয় ৪:৬.
১৬. যাদের নিজেদের সম্বন্ধে নেতিবাচক মনোভাব আছে তাদের আমরা কিভাবে সাহায্য করতে আর এইভাবে খ্রীষ্টের ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক পরিপূর্ণ করতে পারি?
১৬ এই বিষম সময়ে, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একে অপরকে উৎসাহিত করার জন্য উপায় অনুসন্ধান করা। (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫; তুলনা করুন ৭:১-৫.) যখন আমরা আমাদের ভাই ও বোনেদের প্রতি দৃষ্টি দিই, তাদের উত্তম গুণাবলিগুলি কি তাদের দুর্বলতাগুলির চেয়ে আমাদের কাছে আরও বেশি অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে না? যিহোবার কাছে প্রত্যেকেই মহামূল্যবান। দুঃখের বিষয়, সকলে সেইরকম অনুভব করে না, এমনকি তাদের নিজেদের সম্বন্ধেও। অনেকের মধ্যেই কেবলমাত্র তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত ত্রুটি ও অসিদ্ধতার প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এইপ্রকার ব্যক্তিদের—এবং অন্যান্যদের—উৎসাহিত করার জন্য আমরা কি প্রতিটি সভায় এক অথবা দুইজন ব্যক্তির সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করতে পারি না, তাদের এই বিষয় জানতে দিয়ে যে কেন আমরা তাদের উপস্থিতি এবং যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান তারা মণ্ডলীতে রাখেন তাকে মূল্যবান বলে মনে করি? এটি কতই না আনন্দের যে এইভাবে তাদের বোঝা সহজ করা এবং তার মাধ্যমে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করা!—গালাতীয় ৬:২.
খ্রীষ্টের ব্যবস্থা কার্যকারী!
১৭. আপনার মণ্ডলীতে খ্রীষ্টের ব্যবস্থাকে কোন্ ভিন্ন পদ্ধতিতে কাজ করতে আপনি দেখতে পান?
১৭ খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা কার্যকারী। আমরা এটি প্রতিদিন লক্ষ্য করি—যখন সহসাক্ষীরা উৎসুকভাবে সুসমাচারে অংশ গ্রহণ করে, যখন তারা একে অপরকে সান্ত্বনা প্রদান ও উৎসাহিত করে, যখন তারা অনেক কঠিন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যিহোবাকে সেবা করার জন্য সংগ্রাম করে, যখন পিতামাতারা আনন্দিত হৃদয়ে তাদের সন্তানদের যিহোবার প্রেমে প্রতিপালন করতে প্রচেষ্টা করেন, যখন অধ্যক্ষেরা প্রেম ও উষ্ণতা সহকারে ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দেন, তখন তা এক জ্বলন্ত উদ্যোগ সহকারে যিহোবাকে চিরকাল উপাসনা করতে পালকে উদ্দীপিত করে। (মথি ২৮:১৯, ২০; ১ থিষলনীকীয় ৫:১১, ১৪) যখন আমরা ব্যক্তিগতভাবে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা আমাদের নিজেদের জীবনে কার্যকারী হতে দিই তখন যিহোবার হৃদয় কতই না উল্লসিত হয়! (হিতোপদেশ ২৩:১৫) তিনি চান প্রত্যেকে যারা তার সিদ্ধ ব্যবস্থা ভালবাসে তারা অনন্তকাল জীবিত থাকুক। আগত পরমদেশে আমরা এমন একটি সময়ের সম্মুখীন হব যখন মনুষ্যজাতি সিদ্ধ থাকবে, এমন একটি সময় যখন কোন নিয়মভঙ্গকারী থাকবে না এবং এমন একটি সময় যখন আমাদের হৃদয়ের সমস্ত প্রবণতা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চিরকাল খ্রীষ্টের ব্যবস্থা অনুসারে জীবনযাপন করার কতই না গৌরবময় পুরস্কার!
[পাদটীকাগুলো]
a এই গৃহগুলি খ্রীষ্টীয় জগতের মঠের মত নয়। সেখানে সেই অর্থে কোন “মঠের অধ্যক্ষ” অথবা “পুরোহিত” নেই। (মথি ২৩:৯) দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইয়েরা শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু তাদের পরিচর্যা সেই একই নীতির দ্বারা পরিচালিত হয় যা সমস্ত প্রাচীনদের নিয়ন্ত্রিত করে।
আপনি কী মনে করেন?
◻ কেন খ্রীষ্টীয় জগৎ খ্রীষ্টের ব্যবস্থার বিষয়টি হারিয়ে ফেলেছে?
◻ কিভাবে আমরা পরিবারে খ্রীষ্টের ব্যবস্থাকে কার্যকারী করে তুলতে পারি?
◻ মণ্ডলীতে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা প্রয়োগ করার জন্য আমাদের অবশ্যই কী এড়াতে হবে এবং আমরা অবশ্যই কী করব?
◻ কিভাবে প্রাচীনেরা মণ্ডলীর সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খ্রীষ্টের ব্যবস্থার বাধ্য হতে পারেন?
[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র]
আপনার সন্তানের ভালবাসার অত্যন্ত প্রয়োজন আছে
[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
আমাদের প্রেমপূর্ণ পালকেরা কতই না সতেজতামূলক!