‘সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করা’
ঈশ্বরের বাক্য হল নীতির এক সঞ্চয় ভাণ্ডার যা সফল জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একজন পরিচারককে শিক্ষা দিতে, অনুযোগ করতে ও সংশোধন করতে সাহায্য করে । (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭) কিন্তু, এই ঐশিক পরিচালনা থেকে সম্পূর্ণভাবে উপকার পেতে হলে, আমাদের অবশ্যই তীমথিয়ের উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রেরিত পৌলের উপদেশটিকে মেনে চলতে হবে: “তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্য্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।”—২ তীমথিয় ২:১৫.
ঈশ্বরের বাক্যকে অন্যান্য বস্তু ছাড়াও, পুষ্টিকর দুগ্ধ, কঠিন খাদ্য, সতেজপূর্ণ ও স্বচ্ছ জল, দর্পণ এবং ধারালো খড়্গের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই শব্দগুলির অর্থ উপলব্ধি করা, একজন পরিচারককে সাহায্য করবে কৌশলতার সাথে বাইবেল ব্যবহার করতে।
ঈশ্বরের বাক্যরূপ দুগ্ধ বিতরণ করা
দুধ এমন একটি খাদ্য যা সদ্যজাত শিশুদের প্রয়োজন। শিশুটি যতই বেড়ে ওঠে, আসতে আসতে তার খাদ্য তালিকার মধ্যে কঠিন খাদ্য যোগ করা হয়, কিন্তু শুরুতে সে শুধু দুধই হজম করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, যারা ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে খুব অল্পই জানে তারা এই শিশুদেরই তুল্য। ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি যদি একজন ব্যক্তির সম্প্রতি আগ্রহ হয়ে থাকে অথবা সে যদি বেশ কিছুদিন ধরে এর সাথে পরিচিত থাকে, যদি বাইবেল কী বলে এইবিষয় তার শুধুমাত্র প্রাথমিক জ্ঞান থেকে থাকে, তাহলে সে আধ্যাত্মিক অর্থে শিশু এবং সহজে হজম হয় এমন পুষ্টির তার প্রয়োজন আছে—অর্থাৎ আধ্যাত্মিক ‘দুগ্ধ।’ সে এখনও “কঠিন খাদ্য” গ্রহণ করতে পারে না অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্যের গভীর বিষয়গুলি।—ইব্রীয় ৫:১২.
এটাই ছিল সদ্য প্রতিষ্ঠিত করিন্থীয় মণ্ডলীর পরিস্থিতি যখন পৌল তাদের লিখেছিলেন: “আমি তোমাদিগকে দুগ্ধ পান করাইয়াছিলাম, অন্ন দিই নাই, কেননা তখন তোমাদের শক্তি হয় নাই।” (১ করিন্থীয় ৩:২) করিন্থীয়দের প্রথমে প্রয়োজন ছিল “ঈশ্বরীয় বচনকলাপের আদিম কথার অক্ষরমালা” শেখা। (ইব্রীয় ৫:১২) গঠনের এই পর্যায়ে, তাদের পক্ষে “ঈশ্বরের গভীর বিষয়সকল” গ্রহণ করা সম্ভব ছিল না।—১ করিন্থীয় ২:১০.
পৌলের মত, আজকের দিনেও খ্রীষ্টীয় পরিচারকেরা এই আধ্যাত্মিক শিশুদের “দুগ্ধ” দেওয়ার দ্বারা অর্থাৎ মূল খ্রীষ্টীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করার মাধ্যমে তাদের প্রতি চিন্তা প্রদর্শন করে থাকে। তারা এই নতুন অথবা অপরিপক্বদের “পারমার্থিক অমিশ্রিত দুগ্ধের লালসা” গড়ে তুলতে উৎসাহ দেয় । (১ পিতর ২:২) এই নবাগতদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন আছে, এটা যে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তা প্রেরিত পৌল প্রমাণ করেন যখন তিনি লেখেন: “যে দুগ্ধপোষ্য, সে ত ধার্ম্মিকতার বাক্যে অভ্যস্ত নয়; কারণ সে শিশু।” (ইব্রীয় ৫:১৩) গৃহ বাইবেল অধ্যয়নের সময় এবং মণ্ডলীতে যখন ঈশ্বরের পরিচারকেরা বাক্যের এই অমিশ্রিত দুগ্ধ নতুনদের এবং অনভিজ্ঞদের সাথে বন্টন করে তখন তাদের উচিত সহিষ্ণুতা, বিবেচনা, উপলব্ধিবোধ এবং কোমলতা প্রদর্শন করা।
ঈশ্বরের বাক্যের কঠিন খাদ্য ব্যবহার করা
পরিত্রাণের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য, খ্রীষ্টানদের “দুগ্ধ” ছাড়াও আরও অতিরিক্ত কিছুর প্রয়োজন আছে। একবার বাইবেলের প্রাথমিক সত্যটি স্পষ্টভাবে বোঝা ও গৃহীত হওয়ার পর, সে ‘কঠিন খাদ্য যা সিদ্ধবয়স্কদের জন্য’ তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত হয়। (ইব্রীয় ৫:১৪) এটা সে কিভাবে করে? মূলত, ব্যক্তিগত অধ্যয়নের এক নিয়মিত কর্মসূচী এবং খ্রীষ্টীয় সভাগুলিতে সহভাগিতা করার মাধ্যমে। এইধরনের উত্তম অভ্যাস একজন খ্রীষ্টানকে পরিচর্যায় আধ্যাত্মিকভাবে দৃঢ়, পরিপক্ব এবং কার্যকারী করে তুলবে। (২ পিতর ১:৮) আমাদের কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে জ্ঞান ছাড়াও, যিহোবার ইচ্ছা পালন করার অন্তর্ভুক্ত হল আধ্যাত্মিক খাদ্য।—যোহন ৪:৩৪.
আজকে, “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্ দাস”-কে নিযুক্ত করা হয়েছে ঈশ্বরের দাসেদের সঠিক সময় খাদ্য সরবরাহ করতে এবং “ঈশ্বরের বহুবিধ প্রজ্ঞা” বোঝার ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করতে। যিহোবা, তাঁর আত্মার সাহায্যে, এই বিশ্বস্ত দাসেদের মাধ্যমে, গভীর শাস্ত্রীয় সত্যগুলি প্রকাশ করেন, যারা বিশ্বস্ততার সাথে আধ্যাত্মিক অর্থে “উপযুক্ত সময়ে খাদ্য” প্রকাশ করে থাকে। (মথি ২৪:৪৫-৪৭; ইফিষীয় ৩:১০, ১১; তুলনা করুন প্রকাশিত বাক্য ১:১, ২.) প্রত্যেকটি খ্রীষ্টানদের ব্যক্তিগত দায়িত্ব হল প্রকাশ ব্যবস্থাগুলিকে পূর্ণভাবে ব্যবহার করা।—প্রকাশিত বাক্য ১:৩.
অবশ্যই, বাইবেলের মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা এমনকি পরিপক্ব খ্রীষ্টানদের পক্ষেও “বুঝা কষ্টকর।” (২ পিতর ৩:১৬) এখানে কয়েকটি হতবুদ্ধিকর অভিব্যক্তি, ভবিষ্যদ্বাণী ও দৃষ্টান্ত রয়েছে যার জন্য প্রয়োজন গভীর অধ্যয়ন ও ধ্যান করা। সুতরাং, ব্যক্তিগত অধ্যয়নের অন্তর্ভুক্ত হল ঈশ্বরের বাক্যকে গভীরভাবে খনন করা। (হিতোপদেশ ১:৫, ৬; ২:১-৫) মণ্ডলীতে শিক্ষা দেওয়ার সময়, বিশেষকরে প্রাচীনদের এক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। মণ্ডলীর বুকস্টাডি অথবা প্রহরীদুর্গ অধ্যয়ন পরিচালনা করার সময়, জনসাধারণের বক্তৃতা দেওয়ার সময় অথবা যে কোন ক্ষেত্রে শিক্ষা দেওয়ার সময়, প্রাচীনদের উচিত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টির সাথে পরিচিত থাকা এবং তাদের ‘শিক্ষাদানের নিপুণতার’ প্রতি সজাগ থাকা যখন তারা মণ্ডলীকে কঠিন আধ্যাত্মিক খাদ্য সরবরাহ করে।—২ তীমথিয় ৪:২.
জল যা সতেজতা ও স্বচ্ছতা আনে
যীশু একটি শমরীয় নারীকে কূপের কাছে বলেছিলেন যে তিনি তাকে এমন পানীয় দ্রব্য দেবেন যা তার অন্তরে “জলের উনুই হইবে, যাহা অনন্ত জীবন পর্য্যন্ত উথলিয়া উঠিবে।“ (যোহন ৪:১৩, ১৪; ১৭:৩) এই জীবন-দায়ী জল হল ঈশ্বরের মেষের মাধ্যমে জীবন লাভ করার জন্য ঈশ্বরের সমস্ত ব্যবস্থাগুলি আর এই ব্যবস্থাগুলির কথাই ব্যাখ্যা করা আছে বাইবেলে। আর যে সব ব্যক্তিবিশেষেরা সেই ‘জল’ পান করার জন্য তৃষ্ণার্ত, আমরা আত্মা ও খ্রীষ্টের ভার্যার কাছ থেকে আসা আমন্ত্রণকে গ্রহণ করি যা বলে “বিনামূল্যেই জীবন-জল গ্রহণ” কর। (প্রকাশিত বাক্য ২২:১৭) এই জল পান করার অর্থ অনন্ত জীবন হতে পারে।
এছাড়াও, বাইবেল সত্য খ্রীষ্টানদের জন্য নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মানদণ্ড নির্ধারণ করে দেয়। যতই আমরা এই ঐশিক মানগুলিকে প্রয়োগ করি, আমরা যিহোবার বাক্যের দ্বারা পরিষ্কৃত হই, “ধৌত” হই সেইসব অভ্যাসের থেকে যা যিহোবা ঈশ্বর ঘৃণা করেন। (১ করিন্থীয় ৬:৯-১১) এই কারণে, অনুপ্রাণিত বাক্যের মধ্যে যে সত্য রয়েছে তাকে বলা হয় “জলস্নান।” (ইফিষীয় ৫:২৬) যদি আমরা নিজেদের, ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা এইভাবে পরিষ্কৃত হতে না দিই, তাহলে আমাদের উপাসনা তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
আগ্রহের বিষয় হল যে, প্রাচীনেরা যারা ‘যথার্থভাবে ঈশ্বরের বাক্য ব্যবহার করে’ তারাও ঠিক জলের তুল্য। যিশাইয় বলেছিলেন যে তারা হল “শুষ্ক স্থানে জলস্রোত।” (যিশাইয় ৩২:১, ২) প্রেমময় প্রাচীনেরা এই বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্য রাখে যখন তারা আধ্যাত্মিক পালক হিসাবে ভাইয়েদের কাছে যায় এবং তাদের গঠন করতে, সান্ত্বনা দিতে, আধ্যাত্মিক তথ্য যা দৃঢ়তা ও সুরক্ষাস্বরূপ তা বন্টন করার জন্য ঈশ্বরের সতেজপূর্ণ বাক্য ব্যবহার করে।—তুলনা করুন মথি ১১:২৮, ২৯.a
মণ্ডলীর সদস্যেরা আগ্রহের সাথে প্রাচীনদের আসার অপেক্ষায় থাকে। “আমি জানি প্রাচীনেরা কত সতেজপূর্ণ হতে পারে আর আমি খুশি যে যিহোবা এইধরনের ব্যবস্থা করেছেন,” বনি লিনডা বলেন, যিনি হলেন একজন একক মা, আর তিনি লেখেন: “শাস্ত্রের সাহায্যে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে প্রাচীনেরা আমাকে সহ্য করতে সাহায্য করেছেন। তারা আমার কথা শুনেছেন এবং সহানুভূতি দেখিয়েছেন।” মাইকেল বলেন: “তারা আমাকে এমন এক সংগঠনের অংশ বলে নিজেকে মনে করতে সাহায্য করেছেন, যেটি যত্ন নেয়।” “প্রাচীনদের আমার সাথে দেখা করা, আমাকে সাহায্য করেছে গভীর নৈরাশ্যবোধকে অতিক্রম করতে,” আরেকজন বলেন। প্রাচীনদের তরফ থেকে এইধরনের আধ্যাত্মিক ও গঠনমূলক পরিদর্শন, এক শীতল, সতেজপূর্ণ জলের মত। মেষতুল্য ব্যক্তিরা সান্ত্বনা পায় যখন প্রেমময় প্রাচীনেরা তাদের সাহায্য করে দেখতে যে কিভাবে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে শাস্ত্রীয় মানগুলি প্রয়োগ করা যায়।—রোমীয় ১:১১, ১২; যাকোব ৫:১৪.
দর্পণের মত ঈশ্বরের বাক্য ব্যবহার করুন
যখন একজন কঠিন খাদ্য গ্রহণ করে, তখন তার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র স্বাদ উপভোগ করা নয়। বরঞ্চ, সে আশা করে যে এর থেকে সে পুষ্টি পাবে যা তাকে কাজ করার ক্ষমতা যোগাবে। যদি সে শিশু হয়, তাহলে সে আশা করবে যে এই খাদ্য তাকে সাহায্য করবে বড় হতে। আধ্যাত্মিক খাদ্যের ক্ষেত্রেও একই জিনিস প্রযোজ্য। ব্যক্তিগত বাইবেল অধ্যয়ন হয়ত উপভোগ্য হতে পারে, কিন্তু এটাই তার একমাত্র কারণ নয়। আধ্যাত্মিক খাদ্যের উচিত আমাদের পরিবর্তন করা। এটি আমাদের সাহায্য করে আত্মার ফলকে শনাক্ত ও উৎপাদন করতে এবং “নূতন মনুষ্যকে যে আপন সৃষ্টিকর্ত্তার প্রতিমূর্ত্তি অনুসারে তত্ত্বজ্ঞানের নিমিত্ত নূতনীকৃত হইতেছে” পরিধান করতে সাহায্য করে। (কলসীয় ৩:১০; গালাতীয় ৫:২২-২৪) এছাড়াও আধ্যাত্মিক খাদ্য আমাদের সাহায্য করে পরিপক্বতার দিকে অগ্রসর হতে, নিজের সমস্যাগুলি ও অপরকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় মানগুলি আরও ভালভাবে প্রয়োগ করতেও এটি আমাদের সাহায্যে আসে।
কিভাবে আমরা বলতে পারি যে বাইবেল এইভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলছে? আমরা বাইবেলকে দর্পণের মত ব্যবহার করতে পারি। যাকোব বলেছিলেন: “বাক্যের কার্য্যকারী হও, . . . শ্রোতামাত্র হইও না। কেননা যে কেহ বাক্যের শ্রোতামাত্র, কার্য্যকারী নয়, সে এমন ব্যক্তির তুল্য, যে দর্পণে আপনার স্বাভাবিক মুখ দেখে; কারণ সে আপনাকে দেখিল, চলিয়া গেল, আর সে কিরূপ লোক, তাহা তখনই ভুলিয়া গেল। কিন্তু যে কেহ হেঁট হইয়া স্বাধীনতার সিদ্ধ ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করে, ও তাহাতে নিবিষ্ট থাকে, ভুলিয়া যাইবার শ্রোতা না হইয়া কার্য্যকারী হয়, সে আপন কার্য্যে ধন্য হইবে।”—যাকোব ১:২২-২৫.
আমরা ঈশ্বরের বাক্যে ‘দৃষ্টিপাত’ করি যখন আমরা নিবিড়ভাবে তা পরীক্ষা এবং তুলনা করি যে আমরা আসলে কোন্ প্রকৃতির আর আমাদের ঈশ্বরের মান অনুসারে কোন্ প্রকৃতির হওয়া উচিত। এটা করার দ্বারা আমরা ‘বাক্যের কার্য্যকারী হব কেবল শ্রোতামাত্র হব না।’ বাইবেল তখনই আমাদের উপর এক উত্তম প্রভাব ফেলবে।
খড়্গ হিসাবে ঈশ্বরের বাক্য
পরিশেষে, প্রেরিত পৌল আমাদের সাহায্য করেন দেখতে যে কিভাবে আমরা ঈশ্বরের বাক্যকে খড়্গের মত ব্যবহার করতে পারি। “আধিপত্য সকলের সহিত, কর্ত্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত” এদের সম্বন্ধে আমাদের সতর্ক করে দেওয়ার সময়, তিনি আমাদের উৎসাহ দেন “আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ” করতে। (ইফিষীয় ৬:১২, ১৭) যে কোন মতবাদ যা “ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত” তা খণ্ডণ করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের বাক্য হল এক অপরিহার্য অস্ত্র।—২ করিন্থীয় ১০:৩-৫.
নিঃসন্দেহে, “ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্য্যসাধক।” (ইব্রীয় ৪:১২) তাঁর অনুপ্রাণিত বাক্যের পৃষ্ঠার মাধ্যমে যিহোবা মানবজাতির সাথে কথা বলেন। অপরকে শিক্ষা দিতে ও মিথ্যা মতবাদকে প্রকাশ করতে এটিকে ভালভাবে ব্যবহার করুন। অপরকে উৎসাহ দিতে, গড়ে তুলতে, সতেজ করতে, সান্ত্বনা দিতে, অনুপ্রাণিত করতে এবং আধ্যাত্মিকভাবে দৃঢ় করে তুলতে আপনি নিজে এটিকে ব্যবহার করুন। আর যিহোবা যেন “তাঁর ইচ্ছা সাধনার্থে আপনাকে সমস্ত উত্তম বিষয়ে পরিপক্ব করেন,” যাতে করে আপনি সর্বদা যা “তাঁর দৃষ্টিতে প্রীতিজনক,” তাই করতে পারেন।—ইব্রীয় ১৩:২১, NW.
[পাদটীকা]
a ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ সালের প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) এর প্রবন্ধ “তারা কোমলতার সাথে মেষশাবককে পালন করেন” (ইংরাজি) পৃষ্ঠা ২০-৩ দেখুন।
[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]
“সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে” প্রাচীনেরা অপরকে উৎসাহ দেন