আপনি সাদরে আমন্ত্রিত
স ম্ভবত আপনি আপনার এলাকায় যিহোবার সাক্ষিদের একটা কিংডম হলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভেবেছেন যে, এখানে আসলে কী হয়। আপনি কি জানেন যে, তাদের সাপ্তাহিক সভাগুলোতে যে-কেউ আসতে পারে? অভ্যাগতরা সাদরে আমন্ত্রিত।
কিন্তু, আপনার মনে হয়তো কিছু প্রশ্ন আসতে পারে। কেন যিহোবার সাক্ষিরা একত্রে মিলিত হয়? সেই সভাগুলোতে কী হয়ে থাকে? আর যে-অভ্যাগতরা যিহোবার সাক্ষি নয়, তারা সভাগুলো সম্বন্ধে কী বলে থাকে?
‘লোকদিগকে একত্র কর’
প্রাচীনকাল থেকেই লোকেরা ঈশ্বরকে উপাসনা করার ও তাঁর সম্বন্ধে জানার জন্য একত্রে মিলিত হয়ে এসেছে। প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে, ইস্রায়েলীয়দের বলা হয়েছিল: “তুমি লোকদিগকে, পুরুষ, স্ত্রী, বালক-বালিকা ও তোমার নগর-দ্বারের মধ্যবর্ত্তী বিদেশী সকলকে একত্র করিবে, যেন তাহারা শুনিয়া শিক্ষা পায়, ও তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করে, এবং এই ব্যবস্থার সমস্ত কথা যত্নপূর্ব্বক পালন করে।” (দ্বিতীয় বিবরণ ৩১:১২) তাই, ইস্রায়েলে যুবক-বৃদ্ধ সকলকে যিহোবা ঈশ্বরকে উপাসনা করার ও তাঁর বাধ্য হওয়ার জন্য শিক্ষা দেওয়া হতো।
সেই ঘটনার বেশ কয়েক-শো বছর পর, যখন খ্রিস্টীয় মণ্ডলী গঠিত হয়েছিল, তখনও সভাগুলো সত্য উপাসনার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে অব্যাহত ছিল। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি; এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি—যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস—বরং পরস্পরকে চেতনা দিই।” (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) পরিবারের সদস্যরা যখন একত্রে সময় কাটায়, তখন যেমন পারিবারিক বন্ধন আরও মজবুত হয়, তেমনই যারা ঈশ্বরকে সেবা করতে চায়, তাদের মধ্যে বিদ্যমান প্রেমের বন্ধন শক্তিশালী হয়, যখন খ্রিস্টানরা উপাসনার জন্য একত্রে মিলিত হয়ে থাকে।
এই শাস্ত্রীয় পূর্বদৃষ্টান্তগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে যিহোবার সাক্ষিরা সপ্তাহে দু-বার তাদের কিংডম হলগুলোতে একত্রিত হয়ে থাকে। এই সভাগুলো এখানে যোগদানকারী ব্যক্তিদেরকে বাইবেলের নীতিগুলোকে উপলব্ধি করতে, বুঝতে এবং প্রয়োগ করতে সাহায্য করে। যতটা সম্ভব সারা পৃথিবীতে সভার বিষয়সূচি একই রাখা হয় আর প্রতিটা সভারই নিজস্ব আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য রয়েছে। যারা সেখানে যোগ দেয়, তারা গঠনমূলক কথাবার্তার মাধ্যমে সভাগুলোর আগে ও পরে ‘উভয় পক্ষের আশ্বাস’ বা উৎসাহ লাভ করে থাকে। (রোমীয় ১:১২) এই ধরনের প্রতিটা সভাতে কী হয়ে থাকে?
বাইবেলভিত্তিক বক্তৃতা
অধিকাংশ লোক প্রথমে যে-সভাতে যোগ দিয়ে থাকে, সেটা হচ্ছে জনসাধারণের উদ্দেশে তৈরি বাইবেলভিত্তিক একটা বক্তৃতা, যেটা সাধারণত সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠিত হয়। যিশু খ্রিস্ট প্রায়ই জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতাগুলো দিতেন—সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত পর্বতেদত্ত উপদেশ। (মথি ৫:১; ৭:২৮, ২৯) প্রেরিত পৌল আথীনীয় লোকেদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। (প্রেরিত ১৭:২২-৩৪) সেই আদর্শ অনুসরণ করে, যিহোবার সাক্ষিদের সভাগুলো এমন একটা বক্তৃতা তুলে ধরে, যেটা বিশেষভাবে সাধারণ জনগণের উদ্দেশে তৈরি, যাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো প্রথম বারের মতো সভাতে যোগ দেয়।
যিহোবার উদ্দেশে প্রশংসা গীত গাওa ব্রোশার থেকে একটা গান দিয়ে সভা শুরু হয়। যারা দাঁড়িয়ে এই গান গাওয়ায় অংশ নিতে চায়, তারা তা করতে আমন্ত্রিত। এক সংক্ষিপ্ত প্রার্থনার পর, একজন যোগ্য বক্তা ৩০ মিনিটের একটা বক্তৃতা দেন। (“জনসাধারণের উদ্দেশে ব্যবহারিক বক্তৃতাগুলো” নামক বাক্স দেখুন।) তার বক্তৃতাটা সম্পূর্ণরূপে বাইবেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। বক্তা প্রায়ই শ্রোতাদেরকে প্রাসঙ্গিক শাস্ত্রপদগুলো দেখতে এবং যখন সেই পদগুলো পড়া হয়, তখন একসঙ্গে তা অনুসরণ করতে আমন্ত্রণ জানান। তাই, আপনি হয়তো আপনার নিজের বাইবেল নিয়ে আসতে পারেন অথবা সভার আগে আপনি হয়তো একজন যিহোবার সাক্ষির কাছে একটি বাইবেল চাইতে পারেন।
প্রহরীদুর্গ অধ্যয়ন
যিহোবার সাক্ষিদের অধিকাংশ মণ্ডলীতে, জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতার পর প্রহরীদুর্গ অধ্যয়ন হয়ে থাকে, যেটা হচ্ছে বাইবেলের একটা বিষয়ের ওপর এক ঘন্টার প্রশ্নোত্তর আলোচনা। এই সভা উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে পৌলের দিনের বিরয়াবাসীদের উদাহরণকে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করে, যারা “সম্পূর্ণ আগ্রহপূর্ব্বক বাক্য গ্রহণ করিল, . . . শাস্ত্র পরীক্ষা করিতে লাগিল।”—প্রেরিত ১৭:১১.
প্রহরীদুর্গ অধ্যয়ন একটা গান দিয়ে শুরু হয়। যে-তথ্য আলোচনা করা হয় এবং পরিচালক যে-প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করেন, সেগুলো এই পত্রিকার অধ্যয়ন সংস্করণে দেওয়া থাকে। আপনি হয়তো একজন যিহোবার সাক্ষির কাছ থেকে অধ্যয়ন সংস্করণের একটি কপি পেতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: “বাবামারা—আপনাদের সন্তানদের প্রেমের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিন,” “মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না” এবং “যেকারণে সমস্ত দুঃখকষ্ট শীঘ্রই শেষ হবে।” যদিও এই সভা প্রশ্নোত্তর আকারে পরিচালিত হয়ে থাকে কিন্তু শ্রোতারা স্বেচ্ছায় অংশ নিতে পারে এবং সাধারণত তারাই মন্তব্য করে থাকে, যারা সেই প্রবন্ধটি ও সম্পর্কযুক্ত শাস্ত্রপদগুলো আগে থেকেই পড়েছে এবং সেগুলো নিয়ে চিন্তা করেছে। একটা গান ও প্রার্থনা দিয়ে সভা শেষ হয়।—মথি ২৬:৩০; ইফিষীয় ৫:১৯.
মণ্ডলীর বাইবেল অধ্যয়ন
প্রতি সপ্তাহে একদিন সন্ধ্যায় যিহোবার সাক্ষিরা আরেকবার তিন অংশের এক কার্যক্রমের জন্য কিংডম হলে মিলিত হয়ে থাকে, যে-সভা মোট ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট হয়। সেই সভার প্রথম অংশ হচ্ছে মণ্ডলীর বাইবেল অধ্যয়ন, যেটা ২৫ মিনিট হয়ে থাকে। এটা উপস্থিত সেই ব্যক্তিদের সাহায্য করে, যারা তাদের বাইবেলের সঙ্গে আরও পরিচিত হয়ে উঠতে, তাদের চিন্তাভাবনা ও মনোভাবকে রদবদল করতে এবং খ্রিস্টের শিষ্য হিসেবে উন্নতি করতে চায়। (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭) প্রহরীদুর্গ অধ্যয়ন-এর মতো, এই সভাতেও বাইবেলের একটি বিষয়ের ওপর প্রশ্নোত্তর আলোচনা হয়ে থাকে। যারা মন্তব্য করে, তারা স্বেচ্ছায় তা করে থাকে। বাইবেল অধ্যয়ন সহায়কটি সাধারণত যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত কোনো বই অথবা ব্রোশার।
সভাতে কেন বাইবেলভিত্তিক সাহিত্য ব্যবহার করা হয়? বাইবেলের সময়ে ঈশ্বরের বাক্য শুধুমাত্র পড়াই যথেষ্ট ছিল না। ‘তাহা, পাঠ করা হইত, এবং তাহার অর্থ করিয়া লোকদিগকে পাঠ বুঝাইয়া দেওয়া হইত।’ (নহিমিয় ৮:৮) সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আলোচিত প্রকাশনাগুলো এই সভাতে যোগদানকারী ব্যক্তিদেরকে বাইবেল সম্বন্ধে তাদের বোধগম্যতাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়
মণ্ডলীর বাইবেল অধ্যয়ন-এর পরে রয়েছে ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়। ৩০ মিনিটের এই সভাটি খ্রিস্টানদেরকে “শিক্ষা দেওয়ার কৌশল” গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য তৈরি। (২ তীমথিয় ৪:২, NW) উদাহরণস্বরূপ, আপনার সন্তান বা কোনো বন্ধু কি কখনো আপনাকে ঈশ্বর বা বাইবেল নিয়ে এমন কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছে, যেটার এক উপযুক্ত উত্তর দেওয়া আপনার জন্য কঠিন বলে মনে হয়েছে? ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় আপনাকে শিক্ষা দিতে পারে যে, কীভাবে কঠিন প্রশ্নগুলোর উৎসাহজনক, বাইবেলভিত্তিক উত্তর দিতে হয়। এভাবে আমরা ভাববাদী যিশাইয়ের এই কথাগুলো প্রতিধ্বনিত করতে পারি, যিনি ঘোষণা করেছিলেন: “প্রভু সদাপ্রভু আমাকে শিক্ষাগ্রাহীদের জিহ্বা দিয়াছেন, যেন আমি বুঝিতে পারি, কিরূপে ক্লান্ত লোককে বাক্য দ্বারা সুস্থির করিতে [“উত্তর দিতে,” NW] হয়।”—যিশাইয় ৫০:৪.
ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় বাইবেলের এমন এক অংশের ওপর ভিত্তি করে একটা বক্তৃতা দিয়ে শুরু হয়, যে-অংশটুকু উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে আগের সপ্তাহে পড়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই বক্তৃতার পর, বক্তা শ্রোতাদেরকে নির্ধারিত পাঠের যে-অংশগুলোকে তারা উপকারজনক বলে মনে করেছে, সেগুলোর ওপর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করতে আমন্ত্রণ জানান। এই আলোচনার পর, যে-ছাত্রছাত্রীদেরকে বিদ্যালয়ে অংশ নেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, তারা তাদের নির্ধারিত উপস্থাপনাগুলো তুলে ধরে।
ছাত্রদেরকে প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইবেলের একটা নির্দিষ্ট অংশ পড়ার কার্যভার দেওয়া হয় অথবা কীভাবে শাস্ত্রের একটা বিষয় অন্যকে শিক্ষা দিতে হয়, তা প্রদর্শন করতে ছাত্র বা ছাত্রীদের কার্যভার দেওয়া হয়। প্রতিটা বক্তৃতার পর, একজন অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা তার মন্তব্যের ভিত্তি হিসেবে আপনার কথা বলার ও শিক্ষাদানের ক্ষমতাকে যেভাবে উন্নত করা যায় পুস্তিকাটি ব্যবহার করে ছাত্র বা ছাত্রী যে-বিষয়ে ভালো করেছে, সেটার জন্য প্রশংসা করেন। পরে, ব্যক্তিগতভাবে তিনি হয়তো পরামর্শ দিতে পারেন যে, ছাত্র বা ছাত্রী কীভাবে উন্নতি করতে পারেন।
দ্রুত উপস্থাপিত কার্যক্রমের এই অংশ শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদেরকেই সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়নি কিন্তু উপস্থিত সকলকে যারা তাদের পাঠ, কথা বলা ও শিক্ষাদানের দক্ষতাকে উন্নত করতে চায়, তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় শেষ হয়ে যাওয়ার পর, বাইবেলের একটি পদের ওপর ভিত্তি করে রচিত গান গেয়ে পরিচর্যা সভা শুরু হয়।
পরিচর্যা সভা
কার্যক্রমের শেষ ভাগ হচ্ছে পরিচর্যা সভা। বিভিন্ন বক্তৃতা, নমুনা, সাক্ষাৎকার এবং শ্রোতাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপস্থিত ব্যক্তিরা কার্যকারীভাবে বাইবেলের সত্য শিক্ষা দিতে শেখে। তাঁর শিষ্যদেরকে প্রচারে পাঠানোর আগে, যিশু তাদেরকে একত্রিত করে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন। (লূক ১০:১-১৬) সুসমাচার প্রচার কাজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে তারা অনেক আগ্রহজনক অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল। পরে, যিশুর অনুসারীরা ফিরে এসে তাঁকে সমস্ত কথা জানিয়েছিল। (লূক ১০:১৭) শিষ্যরা প্রায়ই একে অপরকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা জানাত।—প্রেরিত ৪:২৩; ১৫:৪.
৩৫ মিনিটের পরিচর্যা সভা-র বিষয়বস্তু আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা শিরোনামের এক মাসিক সমাচারপত্রে দেওয়া থাকে। সম্প্রতি আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: “পরিবারগতভাবে যিহোবাকে উপাসনা করা,” “যেকারণে আমরা বার বার ফিরে যাই” এবং “আপনার পরিচর্যায় খ্রিস্টকে অনুকরণ করুন।” একটা গান দিয়ে কার্যক্রম শেষ হয় আর মণ্ডলীর একজন সদস্যকে শেষ প্রার্থনা করার জন্য কার্যভার দেওয়া হয়।
অভ্যাগতরা যা বলেছে
মণ্ডলীগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যেন প্রত্যেকে সাদরে অভ্যর্থিত বলে অনুভব করে। উদাহরণস্বরূপ, আ্যন্ড্রু নামে একজন যুবক যিহোবার সাক্ষিদের সম্বন্ধে অনেক নেতিবাচক কথা শুনেছিল। কিন্তু, সে প্রথম বার সভাতে এসে এত অভ্যর্থনা পেয়ে খুবই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। “সেটা অত্যন্ত আনন্দদায়ক এক স্থান ছিল,” আ্যন্ড্রু বলে। “লোকেরা এত বন্ধুত্বপরায়ণ ছিল এবং আমার প্রতি এতটা আগ্রহী ছিল দেখে আমি খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।” আ্যশেল নামে কানাডার এক কিশোরীও তার সঙ্গে একমত হয়। “সভা খুবই আগ্রহজনক ছিল! সেখানে মনোযোগ দেওয়া সহজ ছিল।”
ব্রাজিলে বসবাসকারী ঝুজি তার এলাকায় আক্রমণাত্মক মনোভাবের জন্য কুখ্যাত ছিলেন। তা সত্ত্বেও, তাকে তার স্থানীয় কিংডম হলে একটা সভায় যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। “কিংডম হলে উপস্থিত ব্যক্তিরা আমাকে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল, এমনকী যদিও তারা আমার অতীত আচরণ সম্বন্ধে জানত,” তিনি বলেন। জাপানে বসবাসকারী আতসুশি মনে করে বলেন: “আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে, আমি যখন প্রথম বার যিহোবার সাক্ষিদের সভায় যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও, আমি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম যে, এই লোকেরা ছিল স্বাভাবিক। তারা সত্যি সত্যি চেষ্টা করেছিল যেন আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”
আপনি সাদরে আমন্ত্রিত
ওপরে বলা মন্তব্যগুলো যেমন দেখায়, কিংডম হলের সভাগুলোতে যোগ দেওয়া খুবই পরিতৃপ্তিদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। আপনি ঈশ্বর সম্বন্ধে শিখবেন এবং সেখানে প্রাপ্ত বাইবেলভিত্তিক নির্দেশনার মাধ্যমে যিহোবা ঈশ্বর আপনাকে শিক্ষা দেবেন যে, কীভাবে ‘আপনি উপকার’ পেতে পারেন।—যিশাইয় ৪৮:১৭.
যিহোবার সাক্ষিদের সভাগুলো বিনামূল্যে প্রবেশযোগ্য এবং কোনো চাঁদা সংগ্রহ করা হয় না। আপনি কি আপনার এলাকার কিংডম হলের কোনো একটা সভায় যোগ দিতে চান? তা করার জন্য আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। (w০৯ ২/১)
[পাদটীকা]
a এই প্রবন্ধে উল্লেখিত সব প্রকাশনা যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।
[১৯ পৃষ্ঠার বাক্স]
জনসাধারণের উদ্দেশে ব্যবহারিক বক্তৃতাগুলো
বাইবেলভিত্তিক বক্তৃতাগুলো ১৭০টারও বেশি শাস্ত্রীয় মূলভাব থেকে বাছাই করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে নীচে উল্লেখিত মূলভাবগুলোও রয়েছে:
◼ মানুষের উৎপত্তি—আপনি যা বিশ্বাস করেন, তাতে কি কিছু যায় আসে?
◼ যৌনতা ও বিবাহ সম্বন্ধে ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি
◼ পৃথিবীকে নাশ করা ঐশিক প্রতিফল নিয়ে আসে
◼ জীবনের উদ্বেগগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করা
◼ এই জীবনই কি সবকিছু?
[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
বাইবেলভিত্তিক বক্তৃতা
[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
“প্রহরীদুর্গ” অধ্যয়ন
[২০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
মণ্ডলীর বাইবেল অধ্যয়ন
[২০ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়
[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]
পরিচর্যা সভা