খাঁটি সোনার চেয়েও বেশি টেকসই
সোনা সুন্দর ও টেকসই বলেই এর প্রচুর চাহিদা। আসলে সোনার প্রচুর চাহিদার মূল কারণ হচ্ছে, এটা সবসময় উজ্জ্বল থাকে এবং চকচক করে। এর কারণ হল সোনা জল, অক্সিজেন, গন্ধক ও অন্যান্য প্রায় সবকিছুর আক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারে। জলের গভীরে থাকা সোনার পাত্রগুলো এবং আরও অন্যান্য জায়গা থেকে পাওয়া সোনার তৈরি শিল্পকর্মগুলো শত শত বছর পরেও তাদের ঔজ্জ্বল্য ধরে রেখেছে।
কিন্তু আগ্রহের বিষয় হল যে বাইবেল এমন কিছুর সম্বন্ধে বলে, যা আরও বেশি টেকসই এবং “সোনার চেয়েও মহামূল্য, যে সোনা অগ্নি দ্বারা পরীক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ক্ষয় পায়।” (১ পিতর ১:৭, NW) আগুন এবং আরও অন্যান্য পদ্ধতির দ্বারা সোনাকে যখন “পরীক্ষিত” বা পরিষ্কৃত করা হয়, তখন এটা ৯৯.৯ শতাংশ বিশুদ্ধ থাকে। কিন্তু, পরিষ্কৃত সোনাও এমনকি ক্ষয় পায় বা গলে যায়, যখন এটা আকুয়া রেজিয়ার (অম্লরাজের) সংস্পর্শে আসে। আকুয়া রেজিয়া হল তিন ভাগ হাইড্রোক্লোরিক আ্যসিড ও এক ভাগ নাইট্রিক আ্যসিডের মিশ্রণ। তাই, বাইবেল বলে যে ‘সোনা ক্ষয় পায়’ যা বিজ্ঞানের দিক দিয়ে সঠিক।
অন্যদিকে, সত্য খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস ‘প্রাণ রক্ষা করে।’ (ইব্রীয় ১০:৩৯) লোকেরা এমন একজনকে মেরে ফেলতে পারে যার দৃঢ় বিশ্বাস আছে, যেমন তারা যীশু খ্রীষ্টের প্রতি করেছিল। কিন্তু, যাদের খাঁটি বিশ্বাস আছে তাদের কাছে এই প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে: “তুমি মরণ পর্য্যন্ত বিশ্বস্ত থাক, তাহাতে আমি তোমাকে জীবন-মুকুট দিব।” (প্রকাশিত বাক্য ২:১০) যারা বিশ্বস্ত থেকে মারা যায়, তারা ঈশ্বরের স্মৃতিতে থাকে এবং তিনি তাদের পুনরুত্থিত করবেন। (যোহন ৫:২৮, ২৯) কিন্তু প্রচুর পরিমাণ সোনা দিয়েও তা সম্ভব নয়। এই দিক দিয়ে সোনার চেয়ে বিশ্বাসের মূল্য হাজার গুণ বেশি। কিন্তু, বিশ্বাস এমন উৎকৃষ্ট মূল্য হতে হলে এটাকেও পরখ করার বা পরীক্ষিত হওয়ার দরকার আছে। আসলে, ‘পরীক্ষাসিদ্ধ বিশ্বাসকেই’ পিতর সোনার চেয়ে বেশি মূল্যবান বলেছিলেন। যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে বাইবেল অধ্যয়ন করার জন্য সাহায্য করতে খুশি হবেন, যাতে আপনি সত্যময় ঈশ্বর যিহোবা এবং তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে তুলতে ও তা বজায় রাখতে পারেন। যীশুর কথানুসারে এটাই “অনন্ত জীবন।”—যোহন ১৭:৩.