কারা অকৃত্রিম খ্রিস্টান?
“খ্রিস্টধর্ম একমাত্র সেখানেই বিরাজ করে, যেখানে যিশু খ্রিস্টের স্মৃতি শিক্ষায় ও কাজে সক্রিয়।” (একজন খ্রিস্টান হওয়ায়, ইংরেজি) এই কথাগুলোর দ্বারা, সুইস ঈশ্বরতত্ত্ববিদ হান্স কুং স্পষ্টত প্রতীয়মান এক সত্যের বিষয়ে বলেন: অকৃত্রিম খ্রিস্টধর্ম একমাত্র সেখানেই বিরাজ করে, যেখানে আন্তরিক ব্যক্তিবিশেষরা যিশুর শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগায়।
কিন্তু, ব্যক্তিবিশেষরা অথবা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি খ্রিস্টের অনুসারী বলে দাবি করে অথচ যিশু বস্তুতপক্ষে যা শিক্ষা দিয়েছিলেন তা কাজে না লাগায়, তা হলে কী? যিশু নিজেই বলেছিলেন যে, অনেকেই খ্রিস্টান বলে দাবি করবে। তারা যে তাঁকে সেবা করে সেটা প্রমাণ করার জন্য তারা বিভিন্ন কাজকর্মের বিষয়ে উল্লেখ করবে, এই কথা বলে: “আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য্য করি নাই?” কিন্তু যিশু কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন? তাঁর লক্ষণীয় এই কথাগুলো তাঁর বিচারকে প্রকাশ করে: “আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্ম্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।”—মথি ৭:২২, ২৩.
যিশুকে অনুসরণ করে বলে দাবি করে এমন ‘অধর্ম্মাচারীদের’ জন্য কী এক কড়া সতর্কবাণী! লোকেরা যদি চায় যে, যিশু তাদেরকে অধর্মচারী বলে প্রত্যাখ্যান না করে বরং অকৃত্রিম খ্রিস্টান হিসেবে শনাক্ত করুন, তা হলে তিনি যে-দুটো মৌলিক শর্তের বিষয় বলেন, তা বিবেচনা করুন।
“তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ”
যিশুর দ্বারা উল্লেখিত একটা শর্ত হল: “এক নূতন আজ্ঞা আমি তোমাদিগকে দিতেছি, তোমরা পরস্পর প্রেম কর; আমি যেমন তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি, তোমরাও তেমনি পরস্পর প্রেম কর। তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য।”—যোহন ১৩:৩৪, ৩৫.
যিশু চান তাঁর অনুসারীরা যেন একে অপরের প্রতি এবং বাকি মানবজাতির প্রতি অকৃত্রিম প্রেম দেখায়। যিশু পৃথিবীতে থাকার সময় থেকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অনেক খ্রিস্টান এই শর্তটি পালন করেছে। কিন্তু, সেই অধিকাংশ ধর্মীয় সংগঠন সম্বন্ধে কী বলা যায় যারা খ্রিস্টকে প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করেছে? তাদের ইতিহাস কি প্রেমের দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে? কখনোই না। পরিবর্তে, তারা সেই অগণিত যুদ্ধ ও সংঘাতগুলোর অগ্রভাগে থেকেছে, যেখানে নির্দোষ লোকেদের রক্তপাত ঘটেছে।—প্রকাশিত বাক্য ১৮:২৪.
সেটা আধুনিক সময় পর্যন্ত সত্য হয়েছে। যে-জাতিগুলো খ্রিস্টান বলে দাবি করে তারা হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছে, যা বিংশ শতাব্দীর দুটো বিশ্বযুদ্ধকে চিহ্নিত করেছে। অতি সম্প্রতি, তথাকথিত খ্রিস্টান গির্জাগুলো অত্যন্ত নৃশংস কাজগুলোর অগ্রভাগে ছিল এবং সম্প্রদায়ের বিলোপসাধনের চেষ্টা করেছিল, যা ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডাতে ঘটেছিল। ‘যারা এইরকম রক্তাক্ত উপায়ে একে অপরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়ে উঠেছিল, তারা কিন্তু একই বিশ্বাসকে গ্রহণ করেছিল’ প্রাক্তন আ্যংলিকান আর্চবিশপ ডেজ্মন্ড টুটু লেখেন। “অধিকাংশই খ্রিস্টান ছিল।”
“তোমরা যদি আমার বাক্যে স্থির থাক”
যিশু অকৃত্রিম খ্রিস্টধর্মের দ্বিতীয় মৌলিক শর্তের বিষয় উল্লেখ করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন: “তোমরা যদি আমার বাক্যে স্থির থাক, তাহা হইলে সত্যই তোমরা আমার শিষ্য; আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে।”—যোহন ৮:৩১, ৩২.
যিশু চান তাঁর অনুগামীরা যেন তাঁর বাক্যে স্থির থাকে—অর্থাৎ তাঁর শিক্ষাগুলোকে মেনে চলে। এর পরিবর্তে, যে-ধর্মীয় শিক্ষকরা খ্রিস্টকে অনুসরণ করে বলে দাবি করে, তারা “ক্রমাগত গ্রিক ধারণাকে গ্রহণ করে নিয়েছে,” ঈশ্বরতত্ত্ববিদ কুং বলেন। তারা যিশুর শিক্ষাগুলোর জায়গায় এই ধরনের ধারণাগুলোকে গ্রহণ করে নিয়েছে যেমন, আত্মার অমরত্ব, পুরগাতরিতে বিশ্বাস, মরিয়মের উপাসনা এবং পাদরিশ্রেণী—যে-ধারণাগুলো পৌত্তলিক ধর্ম ও দার্শনিকদের কাছ থেকে এসেছে।—১ করিন্থীয় ১:১৯-২১; ৩:১৮-২০.
এ ছাড়া, ধর্মীয় শিক্ষকরা ত্রিত্বের অবোধ্য মতবাদ প্রবর্তন করে যিশুকে এমন এক পদে উন্নীত করেছে, যে-পদের জন্য তিনি নিজে কখনো দাবি করেননি। এই মতবাদের দ্বারা, তারা লোকেদেরকে সেই ব্যক্তিকে উপাসনা করা থেকে তাদের মনকে বিক্ষিপ্ত করেছে, যাঁর প্রতি যিশু সবসময়ই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলেন—তাঁর পিতা যিহোবার প্রতি। (মথি ৫:১৬; ৬:৯; যোহন ১৪:২৮; ২০:১৭) “যিশু যখন ঈশ্বর সম্বন্ধে কথা বলেন,” হান্স কুং লেখেন, “তখন তিনি কুলপতি অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের প্রাচীনকালের ঈশ্বরকে বোঝান: ইয়াওয়ে . . . তাঁর কাছে ইনিই হচ্ছেন একজন এবং একমাত্র ঈশ্বর।” আজকে কত জন সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করে যে, যিশুর ঈশ্বর এবং পিতা হলেন ইয়াওয়ে অর্থাৎ যিহোবা, বাংলা ভাষায় সাধারণত যেভাবে তাঁর নাম লেখা হয়ে থাকে?
রাজনৈতিক ব্যাপারগুলোতে নিরপেক্ষ থাকার বিষয়ে যিশুর আদেশকে ধর্মীয় নেতারা সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করেছে। যিশুর দিনে, গালীল “সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের কেন্দ্রস্থল ছিল,” লেখক ত্রিভোর মরো বলেন। অনেক যিহুদি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল। যিশু কি তাঁর শিষ্যদের এই ধরনের সংগ্রামে জড়িত হতে বলেছিলেন? না। এর বিপরীতে, তিনি তাদের বলেছিলেন: “তোমরা ত জগতের নহ।” (যোহন ১৫:১৯; ১৭:১৪) কিন্তু নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরিবর্তে গির্জার নেতারা, আইরিশ লেখক হিউবার্ট বাটলার যেটাকে “গির্জার সংগ্রামশীল ও রাজনৈতিক নীতি” বলে বর্ণনা করেন, তা গড়ে তুলেছিল। তিনি লেখেন, “রাজনৈতিক খ্রিস্টধর্ম প্রায় সবসময়ই এমন এক খ্রিস্টধর্ম, যা সামরিক ধারণাগুলোকে উদ্যমের সঙ্গে সমর্থন করে ও প্রশয় দেয় এবং রাষ্ট্রনায়ক ও পাদরিবর্গ যখন কোনো চুক্তি করে, তখন প্রায়ই এমনটা ঘটে থাকে যে, কিছু সুযোগ পাওয়ার জন্য গির্জা রাষ্ট্রের সৈন্যদলকে আশীর্বাদ করে।”
মিথ্যা শিক্ষকরা যিশুকে অস্বীকার করে
প্রেরিত পৌল অকৃত্রিম খ্রিস্টধর্ম থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সাবধান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তার মৃত্যুর পর, নামধারী খ্রিস্টানদের মধ্যে থেকে “দুরন্ত কেন্দুয়ারা” “শিষ্যদিগকে আপনাদের পশ্চাৎ টানিয়া লইবার জন্য বিপরীত কথা” বলবে। (প্রেরিত ২০:২৯, ৩০) তারা “স্বীকার” করবে “যে, ঈশ্বরকে জানে” কিন্তু বাস্তবে তারা “কার্য্যে তাঁহাকে অস্বীকার” করবে। (তীত ১:১৬) একইভাবে প্রেরিত পিতর সাবধান করে দিয়েছিলেন যে, মিথ্যা শিক্ষকরা “গোপনে বিনাশজনক দলভেদ উপস্থিত করিবে, যিনি তাহাদিগকে ক্রয় করিয়াছেন, সেই অধিপতিকেও অস্বীকার করিবে।” তিনি বলেছিলেন, তাদের মন্দ আচরণ লোকেদের “সত্যের পথ” সম্বন্ধে ‘নিন্দাজনক’ কথা বলতে প্ররোচিত করবে। (২ পিতর ২:১, ২) গ্রিক পণ্ডিত ডব্লু. ই. ভাইন বলেন, এইভাবে খ্রিস্টকে অস্বীকার করার অর্থ হল “ধর্মভ্রষ্ট হওয়া এবং অত্যন্ত ক্ষতিকর শিক্ষাগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়ার দ্বারা পিতা ও পুত্রকে অস্বীকার” করা।
এই নামধারী শিষ্যরা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে “[তাঁহার] বাক্যে স্থির” থাকতে এবং তিনি যে-নির্দিষ্ট শর্তগুলোর বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন সেগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে যিশু কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন? তিনি সাবধান করে দিয়েছিলেন: “যে কেহ মনুষ্যদের সাক্ষাতে আমাকে অস্বীকার করে, আমিও আপন স্বর্গস্থ পিতার সাক্ষাতে তাহাকে অস্বীকার করিব।” (মথি ১০:৩৩) অবশ্যই, যিশু এমন কাউকে অস্বীকার করেন না, যিনি মনেপ্রাণে বিশ্বস্ত থাকার ইচ্ছা সত্ত্বেও ভুল করেন। উদাহরণস্বরূপ, প্রেরিত পিতর যদিও তিন বার যিশুকে অস্বীকার করেছিলেন কিন্তু পিতর অনুতপ্ত হয়েছিলেন এবং তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল। (মথি ২৬:৬৯-৭৫) কিন্তু, যিশু সেই ব্যক্তিবিশেষদের অথবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্বীকার করেন, যারা প্রকৃতপক্ষে মেষের বেশে কেন্দুয়া—খ্রিস্টকে অনুসরণ করছে বলে ভান করে কিন্তু জেনেশুনে ও ক্রমাগতভাবে তাঁর শিক্ষাগুলোকে প্রত্যাখ্যান করছে। এই ধরনের মিথ্যা শিক্ষকদের সম্বন্ধে যিশু বলেছিলেন: “তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে চিনিতে পারিবে।”—মথি ৭:১৫-২০.
প্রেরিতদের মৃত্যুর পর, ধর্মভ্রষ্টতা শুরু হয়
মিথ্যা খ্রিস্টানরা কখন খ্রিস্টকে অস্বীকার করতে শুরু করেছিল? যিশুর মৃত্যুর অল্প কিছু সময় পরেই। তিনি নিজেই সাবধান করে দিয়েছিলেন যে, শয়তান দিয়াবল দ্রুত ‘ভাল বীজের’ অর্থাৎ অকৃত্রিম খ্রিস্টান, যাদের যিশু তাঁর পরিচর্যাকালে রোপন করেছিলেন, তাদের মাঝে “শ্যামাঘাস” অর্থাৎ মিথ্যা খ্রিস্টানদের বপন করবে। (মথি ১৩:২৪, ২৫, ৩৭-৩৯) প্রেরিত পৌল সাবধান করে দিয়েছিলেন যে, তার সময়ে প্রতারক শিক্ষকরা ইতিমধ্যেই সক্রিয় ছিল। তিনি বলেছিলেন, যিশু খ্রিস্টের শিক্ষাগুলো থেকে তাদের সরে যাওয়ার মূল কারণ ছিল যে, তাদের প্রকৃত “সত্যের প্রেম” ছিল না।—২ থিষলনীকীয় ২:১০.
যিশু খ্রিস্টের প্রেরিতরা যতদিন বেঁচে ছিল, ততদিন পর্যন্ত তারা এই ধর্মভ্রষ্টতাকে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু প্রেরিতদের মৃত্যুর পর, ধর্মীয় নেতারা আরও অনেক লোককে যিশু ও তাঁর প্রেরিতদের শেখানো সত্য থেকে সরিয়ে আনার জন্য ভ্রান্ত করতে “মিথ্যার সমস্ত পরাক্রম ও নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ . . . এবং . . . অধার্ম্মিকতার সমস্ত প্রতারণা” ব্যবহার করেছিল। (২ থিষলনীকীয় ২:৩, ৬-১২) শীঘ্রই, ইংরেজ দার্শনিক বারট্রেন্ড রাসেল লেখেন, আদি খ্রিস্টীয় মণ্ডলী এক ধর্মীয় সংগঠনে পরিবর্তিত হয়েছিল, যা “যিশু এবং এমনকি পৌলকে অবাক করবে।”
অকৃত্রিম খ্রিস্টধর্ম পুনর্স্থাপিত হয়
নথি স্পষ্ট। প্রেরিতদের মৃত্যুর পর থেকে, খ্রিস্টধর্মের নামে যা ঘটেছে তাতে খ্রিস্টের শিক্ষাগুলো প্রতিফলিত হয়নি। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, যিশু “যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন” তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন বলে যে-প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। (মথি ২৮:২০) আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, যখন তিনি এই কথাগুলো বলেছিলেন, তখন থেকেই সেই বিশ্বস্ত ব্যক্তিবিশেষরা ছিল, যাদের মাঝে “যিশু খ্রিস্টের স্মৃতি শিক্ষায় ও কাজে সক্রিয় থেকেছে।” এই ব্যক্তিরা যখন প্রেম যা সত্য খ্রিস্টানদের চিহ্নিত করে, তা দেখানোর চেষ্টা করেছে এবং যিশু যে-সত্য শিক্ষা দিয়েছিলেন তার প্রতি অনুগত থেকেছে, তখন তাদেরকে সমর্থন করার জন্য যিশু খ্রিস্ট তাঁর প্রতিজ্ঞা রেখেছেন।
অধিকন্তু, যিশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, এই বিধিব্যবস্থার শেষকালে, তিনি বিশ্বস্ত শিষ্যদেরকে স্পষ্টভাবে শনাক্তিকৃত একটা খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে একত্রিত করবেন, যেটাকে তিনি তাঁর ইচ্ছা সম্পাদন করতে ব্যবহার করবেন। (মথি ২৪:১৪, ৪৫-৪৭) “প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার” পুরুষ, নারী ও শিশুদের এক ‘বিস্তর লোককে’ একত্রিত করার জন্য তিনি এখনই সেই মণ্ডলীকে ব্যবহার করছেন এবং ‘এক পালকের’ অধীনে ‘এক পালের’ মধ্যে তাঁর মস্তকব্যবস্থার অধীনে তিনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করছেন।—প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১৪-১৭; যোহন ১০:১৬; ইফিষীয় ৪:১১-১৬.
সেইজন্য, যেকোনো প্রতিষ্ঠান অথবা সংগঠন, যা বিগত দুহাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে খ্রিস্টের নামকে কলঙ্কিত করেছে এবং খ্রিস্টধর্মের ওপর দুর্নাম এনেছে, সেখান থেকে সরে আসুন। তা না হলে, যিশু খ্রিস্ট প্রেরিত যোহনকে যেমন বলেছিলেন, ঈশ্বর যখন নিকট ভবিষ্যতে তাদের ওপর তাঁর বিচারদণ্ডাজ্ঞা নিয়ে আসবেন, তখন আপনি ‘[তাহাদের] আঘাত সকল প্রাপ্ত হইতে’ পারেন। (প্রকাশিত বাক্য ১:১; ১৮:৪, ৫) ভাববাদী মীখার দ্বারা কথিত ব্যক্তিদের মাঝে থাকার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হোন যখন তিনি বলেছিলেন যে, “শেষকালে” সত্য উপাসকরা—সত্য খ্রিস্টধর্মের অনুগত ব্যক্তিরা—ঈশ্বরের নির্দেশনাবলিতে মনোযোগ দেবে এবং পুনর্স্থাপিত শুদ্ধ উপাসনা সম্বন্ধীয় ‘তাঁহার মার্গে গমন করিবে।’ (মীখা ৪:১-৪) এই পত্রিকার প্রকাশকরা সেই সত্য উপাসকদের শনাক্ত করার জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত হবে।
[৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
কেন অকৃত্রিম খ্রিস্টানরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে না?
[সৌজন্যে]
বাম দিকে, সৈন্যরা: U.S. National Archives photo; ডান দিকে, অগ্নিবর্ষী অস্ত্র: U.S. Army Photo
[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
“আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ” এবং “আমার বাক্যে স্থির থাক” হল সেই মৌলিক শর্তাবলি, যেগুলো যিশু অকৃত্রিম খ্রিস্টানদের জন্য উল্লেখ করেন